Ajker Patrika

শান্ত-লিটনদের চেয়ে সেই জুনায়েদ-আফতাবরাই এগিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শান্ত-লিটনদের চেয়ে সেই জুনায়েদ-আফতাবরাই এগিয়ে

বাংলাদেশের ব্যাটারদের ‘দুর্বল’ স্ট্রাইকরেট নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। হওয়াটাও স্বাভাবিক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট স্ট্রাইকরেটেরও খেলা। যাঁরা যত বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করতে পারবেন, দলের স্কোরও হয় তত সমৃদ্ধ। দক্ষতা আর পেশির জোর খাটিয়ে বাউন্ডারির বাইরে বল আছড়ে ফেললে সমর্থকেরাও পেয়ে যান বারবার মাতোয়ারা হওয়ার উপলক্ষ। এ জন্যই তো ক্রিকেটের এই আধুনিক সংস্করণের সংযোজন। 

 ১২০ বলের খেলায় ছোট-বড় দলের পার্থক্যও কিছুটা কমে আসে। সুযোগ পেয়ে কম বলে যত বেশি রান তোলা যায়। সর্বশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অনেক ম্যাচে ইনিংসের স্কোর পৌঁছে যায় পৌনে ৩০০ রানে। পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) গত বছর বেশ কিছু ম্যাচে আড়াই শ রান পেরিয়ে যায় সংগ্রহ। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৫৭ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

আগে ব্যাটিং পেলে ভালো স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়া। পরে ব্যাটিং করলে দলের সহজ জয়ের জন্য স্ট্রাইকরেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বড় দলগুলোর সঙ্গে সেটি আরও বেশি ভূমিকা রাখে। এ ব্যাপারটি বুঝতেই যেন লম্বা সময়ের অপেক্ষা বাংলাদেশের। নিজেদের ‘দুর্বল’ স্ট্রাইকরেটের ব্যাপারটি নিয়ে একদমই চিন্তা করেন না তাঁরা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বারবারই বলছেন সেই কথা। 

গত শনিবার নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের ‘অচেনা’ উইকেটে ঋষভ পন্ত-হার্দিক পান্ডিয়ারা যেভাবে ব্যাটিং করেছেন—শান্ত সেটি মাঠে দাঁড়িয়ে থেকেই দেখেছেন। উইকেটে কিংবা স্ট্রাইকরেট নিয়ে কোনো অজুহাত দেননি তাঁরা। দক্ষতা থাকলে বাজে উইকেটেও ভালো খেলা সম্ভব। অনায়াসে ভারত তুলেছে ১৮২ রান। পরে ব্যাটিং করতে বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছিল—নিজেদের খোঁড়া যুক্তির মতোই। ১২০ রানে থামে তাদের ইনিংস। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ১৮ বছরে এগিয়েছে অনেক, পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশই। ২০০৭-২০১২, এই সময়ে খেলা জুনায়েদ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আশরাফুল, আফতাব আহমেদদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্ট্রাইকরেটও বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ দলে থাকা যেকোনো ক্রিকেটারের চেয়ে ভালো। 

অন্তত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০০ রান করেছেন—বাংলাদেশের এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে জুনায়েদের স্ট্রাইকরেট সবার চেয়ে বেশি। ৩ ম্যাচে এই বাঁহাতি ব্যাটারের রান ১২৫। নজরকাড়া ১৬৪.৪৭ স্ট্রাইকরেটের পাশাপাশি দারুণ গড় ৪১.৬৬। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে আশরাফুলের রান ২১২। স্ট্রাইকরেট ১৩৮.৫৬। ১২৭.৩৪ স্ট্রাইকরেটে ৬ ম্যাচে ১৬৩ রান আফতাব আহমেদের। ১৬ ইনিংসে ১৩৪.৪২ স্ট্রাইকরেটে মাশরাফি বিন মুর্তজার ১৬৪ রান। 

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট সাকিব আল হাসানের। ২০ ওভারের সব বিশ্বকাপে খেলা সাকিব বাংলাদেশের সর্বোচ্চ (৭৪২) রান সংগ্রাহক, স্ট্রাইকরেট ১২২.৪৪। ১১০.৬৭ স্ট্রাইকরেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩৬৩ রান। লিটন দাস ২৬০ রান করেছেন ১১৩.০৪ স্ট্রাইকরেটে। ১১৪.১৬৪ স্ট্রাইকরেটে শান্তর ১৮০ রান। সৌম্য সরকার ১০০ স্ট্রাইকরেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করেছেন ১৫১ রান। জুনায়েদ-আফতাবদের সঙ্গে শান্ত-লিটনদের বিবেচনা করলে টি-টোয়েন্টিতে এই বাংলাদেশ পিছিয়েই আছে। তাঁদের সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নিজেদের সর্বোচ্চ অর্জন—২০০৭ বিশ্বকাপে খেলেছিল সুপার এইট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাদুকরি এমবাপ্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ, বার্সার আরও কাছে রিয়াল

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৫
এমবাপ্পের জোড়া গোলে লা লিগায় জয়ে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এএফপি
এমবাপ্পের জোড়া গোলে লা লিগায় জয়ে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এএফপি

অ্যাথলেটিক বিলবাও-রিয়াল মাদ্রিদ নয়, তার চেয়ে বরং গত রাতের লা লিগার ম্যাচকে বিলবাও-এমবাপ্পে ম্যাচ বললেই ভক্ত-সমর্থকেরা অনেক খুশি হবেন। ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছন্দে থাকা ফরাসি ফরোয়ার্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো।

লা লিগায় সর্বশেষ ১ নভেম্বর ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয় পেয়েছিল রিয়াল। এই টুর্নামেন্টে এরপর টানা তিন ম্যাচ ড্র করেছিল আলোনসোর দল। অবশেষে গত রাতে রিয়াল পেল কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা। সান মিমিসে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। দুর্দান্ত জয়ের পর ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন ২০২৫-২৬ মৌসুমের লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে রিয়াল। তাতে করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার আরও একটু কাছে পৌঁছল আলোনসোর দল। সমান ১৫ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়ে গেল বার্সেলোনা।

বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের পাস বক্সের অনেক বাইরে থেকে রিসিভ করে বিলবাওয়ের রক্ষণদুর্গ ভেদ করে লক্ষ্য ভেদ করেন এমবাপ্পে। প্রথমার্ধ শেষ না হতেই রিয়াল ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এখানেও অবদান এমবাপ্পের। ৪২ মিনিটে তাঁর (এমবাপ্পে) অ্যাসিস্টে লক্ষ্য ভেদ করেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। ৫৯ মিনিটে এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। দলের জন্য তাঁর এই তৃতীয় গোলটাও বক্সের অনেক বাইরে থেকে করা। এমবাপ্পেকে প্রশংসায় ভাসিয়ে আলোনসো বলেন, ‘দারুণ ছন্দে আছে এমবাপ্পে। আজ সে অসাধারণ দুটি গোল করেছে। ভিনির সঙ্গে তার বোঝাপড়াও খুব ভালো ছিল।’

সান মিমিসে গত রাতে বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের পর এখন এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পরামর্শ আলোনসোর। ম্যাচ শেষে রিয়ালের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে কোচ বলেছেন, ‘আজ (গতকাল) পরিপূর্ণ এক ম্যাচ খেলেছে তারা। শুরু থেকেই জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল দল। পুরো ৯০ মিনিট মনোযোগ ছিল। ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলেছি। আমাদের এখন এগিয়ে যাওয়ার পালা।’

লা লিগার ২০২৫-২৬ মৌসুমের পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চারের মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি নয়। তিন ও চারে থাকা ভিয়ারিয়াল ও আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩২ ও ৩১। পাঁচ নম্বর দলের সঙ্গে আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ব্যবধান ৭। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে রিয়াল বেতিস। ছয় নম্বরে থাকা এস্পানিওলেরও পয়েন্ট ২৪। প্রত্যেকেই ১৫টি করে ম্যাচ খেলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

‘একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, ঠিক হয়ে গেছে’

বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। ছবি: ফাইল ছবি

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পরই আর থাকবেন না জাতীয় দলে, এমনটি জানিয়ে গত মাসে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। গতকাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, সব ঠিক হয়ে গেছে। তাঁর ভাবনায় এখন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

রানা আব্বাস, ঢাকা
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২১

প্রশ্ন: শুনেছি, আপনার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি... (কথা শেষ না হতেই)।

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন: আছি। আমি আছি (জাতীয় দলে)।

প্রশ্ন: কোন অভিমানে তখন পদত্যাগপত্র দেওয়া?

সালাহ উদ্দীন: ওটা বলতে চাচ্ছি না। একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। ঠিক হয়ে গেছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের বছরের সূচিটা শেষ হয়েছে। ব্যাটিং প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পাঁচ শর ওপরে চার-ছক্কা মেরেছে। টপ অর্ডার ব্যাটাররা ১৩০‍+ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন। সব মিলিয়ে ব্যাটারদের কাছে যা চেয়েছিলেন, সব মিলিয়ে প্রাপ্তি কী?

সালাহ উদ্দীন: উন্নতির তো শেষ নেই। একটা বছর ধরে আমরা নিজেদের প্রক্রিয়া ধরে রাখার চেষ্টা করছি। মাঝে মাঝে ব্যর্থ হয়েছি, মাঝে মাঝে সফল হয়েছি। আমরা বিশ্বকাপ ভাবনায় রেখেই এগোনোর চেষ্টা করেছি। আমরা টুর্নামেন্টে কীভাবে খেলব, কার ভূমিকা কী হবে। আমার কাছে মনে হয়, দলের প্রায় সবাই নিজেদের ভূমিকা ঠিকমতো বুঝতে পেরেছে। কিছু সময়ে হয়তো আমরা ফল পাইনি। তবে বেশির ভাগ সিরিজে রেজাল্ট পেয়েছি। আমাদের যতটুকু স্ট্রেন্থ আছে, সেই শক্তি যেন আমরা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। আরও দু-তিন মাস হাতে আছে। এর মধ্যে তারা বিপিএল খেলবে। টুর্নামেন্টে যদি ছেলেরা ভালো খেলতে পারে, এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে।

প্রশ্ন: এ বছর ২৭ ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭৫ রান করেছেন তানজিদ তামিম। ৪১টি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

সালাহ উদ্দীন: আমি তো চাই, এরা যেন ওয়ার্ল্ড ডমিনেট করে সব সময়। এটা দ্রুত হলে আমাদের দেশের জন্য ভালো। যেহেতু ছেলেরা একটু নবীন, একটু পরিণতবোধ যত তাড়াতাড়ি আসবে, তত দ্রুত তারা ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট ডমিনেট করতে পারবে। তাদের স্কিলে মনে হয় না, খুব সমস্যা আছে। স্কিল অনেক ভালো।

প্রশ্ন: মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ ছন্দপতন। সেটি কি দূর হয়েছে?

সালাহ উদ্দীন: এই যে একটা বছর আমরা সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এমন নয়, কাউকে সুযোগ না দিয়ে তাকে টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অনেকে হয়তো পারফর্ম করছে, অনেকে করেনি। এই জায়গায় আমরাও নিজেরাও চিন্তিত। যারা ওসব পজিশনে খেলে, তারাও জানে, আসলে তাদের কী করতে হবে। একটা ভালো টুর্নামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)। সেখানে তারা সেই পজিশনে রানে ফিরে আসতে পারলে মনে হয় খুব ভালো হবে। আশা করি, তারা নিজেরাই রানে ফিরবে। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি। বিশ্বাস না করলে তো আসলে কোনো সময় কিছু হবে না। বিশ্বাস আমাদের আছে তাদের ওপরে। এবং আমরা আশাবাদী, তারা খুব ভালো করবে।

প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের চার ম্যাচের তিনটিই পড়েছে কলকাতায়। কলকাতা অনেক চেনা হলেও এখানে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। কলকাতায় গ্রুপপর্বের চ্যালেঞ্জ কীভাবে দেখছেন?

সালাহ উদ্দীন: এক-দেড় বছর আগেও কিন্তু বলতাম, আমাদের টি-টোয়েন্টি ভালো নয়। কিন্তু দেখেন, গত এক বছরে আমাদের টি-টোয়েন্টির রেজাল্টই সবচেয়ে ভালো। মনে করি, যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছি। কোন মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই কন্ডিশন অনুযায়ী আমরা মানিয়ে নিতে সক্ষম। গত কয়েকটি সিরিজে মিরপুরে একধরনের উইকেটে খেলছি, চট্টগ্রামে আরেক ধরনের উইকেটে। আবার সিলেটে আরেক রকম। বিভিন্ন কন্ডিশনে তারা যেন মানিয়ে নিতে পারে, সেটাই চেষ্টা করেছি। ওই পরিস্থিতিতে তারা যদি এগুলো কাজে লাগাতে পারে, তখন দল ভালো ফল পাবে।

প্রশ্ন: সামনের বিরতিতে কী পরিকল্পনা করছেন?

সালাহ উদ্দীন: আমি যেহেতু বিপিএলে কাজ করব না, কিছু খেলোয়াড় নিয়ে প্র্যাকটিসের প্ল্যান আছে। তারপরে ওরা বিপিএলে চলে যাবে। তারপরও কোনো ছেলে যদি কখনো মনে করে, তার বাড়তি অনুশীলন দরকার, আমরা তো আছিই। কাজ করব, ওদের খেলাও দেখব। আর বিপিএল ফাইনালের পর অনুশীলন ক্যাম্প দরকার পড়ে, সেটা প্রধান কোচই পরিকল্পনা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাম থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কি গিলকে খেলাবে ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে নাম থাকলেও শুবমান গিলের খেলা নির্ভর করছে ফিটনেসের ওপর। ছবি: ক্রিকইনফো
টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে নাম থাকলেও শুবমান গিলের খেলা নির্ভর করছে ফিটনেসের ওপর। ছবি: ক্রিকইনফো

কলকাতায় ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ঘাড়ে চোট পাওয়ার পর সেই যে শুবমান গিল উঠে গিয়েছেন, এরপর আর তাঁর মাঠে নামা হয়নি। গুয়াহাটিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট তো তিনি খেলতে পারেননি। এমনকি তিনি নেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য আজ গিলকে নিয়েই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু নাম থাকা মানেই যে তিনি খেলতে পারবেন ব্যাপারটা এমন নয়। বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্স (সিওই) থেকে ছাড়পত্র পেলে তিনি মাঠে নামতে পারবেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন সূর্যকুমার যাদব। এই সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই মাস পর ফিরতে যাচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া। সবশেষ তিনি ভারতের হয়ে খেলেছেন এ বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

ভারত সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অক্টোবর-নভেম্বরে। সেই সিরিজের দলে নিতিশ কুমার রেড্ডি ও রিংকু সিং থাকলেও এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দলে নেই। গিল, পান্ডিয়ার ফেরাটাই শুধু নতুন প্রোটিয়া সিরিজে। অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মারা বরাবরের মতো আছেন প্রোটিয়া সিরিজেই।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ হবে ৬ ডিসেম্বর। এরপর দুই দল পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে। ৯ ডিসেম্বর কটকে শুরু হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। ১১ ডিসেম্বর নিউ চন্ডীগড়, ১৪ ডিসেম্বর ধর্মশালা, ১৭ ডিসেম্বর লক্ষ্ণৌ ও ১৯ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টোয়েন্টি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল

সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুবমান গিল*, অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, জসপ্রীত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হারশিত রানা, ওয়াশিংটন সুন্দর

*ফিটনেস সাপেক্ষে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৫৮ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভারতের দেওয়া ৩৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: ক্রিকইনফো
ভারতের দেওয়া ৩৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: ক্রিকইনফো

রাঁচিতে রোববারই রেকর্ডটা গড়তে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সেদিন ভারতের দেওয়া ৩৪৯ রানের লক্ষ্য প্রায় তাড়া করেই ফেলেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু প্রাণপণ লড়াইয়ের পরও সেই ম্যাচটা ১৭ রানে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এক দিন পর আজ প্রোটিয়ারা তার চেয়েও বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করে রেকর্ড গড়ল।

রায়পুরের শহীদ বীর নারায়ণ সিং স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৫৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ভারত। এই ম্যাচেরও বাঁক বদলেছে ক্ষণে ক্ষণে। শেষ পর্যন্ত ৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতেছে প্রোটিয়ারা। তাতে করে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের পর এইডেন মার্করাম, করবিন বশ, মার্কো ইয়ানসেনদের চোখেমুখে দেখা গেছে হাসির ঝলক। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা এই রেকর্ডটা গড়েছিল ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। নাগপুরে সেবার ভারতের দেওয়া ২৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৭ উইকেটে ৩০০ রান করেছিল প্রোটিয়ারা।

৩৫৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ২৬ রানেই ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে কুইন্টন ডি কককে (৮) ফেরান আর্শদীপ সিং। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৬ বলে ১০১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন এইডেন মার্করাম ও টেম্বা বাভুমা। ২১তম ওভারের পঞ্চম বলে বাভুমাকে (৪৬) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন প্রসিধ কৃষ্ণা।

চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন দক্ষিণ আফ্রিকার ‘মিস্টার ফিফটি’ ম্যাথু ব্রিটজকে। মাঠে নামলে ফিফটি ছাড়া তিনি যেন কিছুই বোঝেন না। তৃতীয় উইকেটে এইডেন মার্করামের সঙ্গে ৫৫ বলে ৭০ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ব্রিটজকে। এই জুটি গড়ার পথে মার্করাম তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ৩০তম ওভারের শেষ বলে মার্করামকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন হারশিত রানা। ৯৮ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১১০ রান করেন মার্করাম।

মার্করামের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। চতুর্থ উইকেটে ব্রেভিস-মার্করামের ৬৪ বলে ৯২ রানের জুটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে যায়। এখান থেকে হঠাৎ করে খেই হারায় সফরকারীরা। ৪০.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২৮৯ রান থেকে ৪৪.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২২ রানে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপদ আরও বাড়ে যখন টনি ডি জর্জি ১১ বলে ১৭ রান করে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন।

জর্জি মাঠ ছাড়ার সময়ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪৪.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩২ রান। সপ্তম উইকেটে ২৬ বলে ৩০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন করবিন বশ ও কেশব মহারাজ। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রসিধ কৃষ্ণাকে চার মেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান বশ। ৪ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিতের পর শূন্যে ঘুষি মেরে উদযাপন করেন বশ।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। আগে ব্যাটিং পাওয়া ভারত ৯.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৬২ রানে পরিণত হয়। তৃতীয় উইকেটে ১৫৬ বলে ১৯৫ রানের জুটি গড়েন বিরাট কোহলি ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটা যেকোনো উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ রানের জুটি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৮ রান করেছে ভারত। ইনিংস সর্বোচ্চ ১০৫ রান করেছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৮৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ২ ছক্কা। ওয়ানডেতে এটা তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন বিরাট কোহলি। ৯৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৭ চার ও ২ ছক্কা। ওয়ানডেতে এটা তাঁর ৫৩তম সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নান্দ্রে বার্গার ও লুঙ্গি এনগিদি। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। বিশাখাপত্তনমে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে হবে ৬ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত