Ajker Patrika

নাটকীয় জয়ে ইংল্যান্ডে সিরিজ বাঁচাল ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ১৫
ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে সিরিজ বাঁচাল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে সিরিজ বাঁচাল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

লন্ডনের ওভালে পঞ্চম টেস্ট শুরুর আগে সিরিজের স্কোরলাইন ছিল ইংল্যান্ড ২: ভারত ১। সিরিজ জিততে ইংল্যান্ডের জন্য সমীকরণ ছিল এই টেস্ট জেতা না হয় ড্র করা। অন্যদিকে সিরিজ বাঁচাতে ভারতকে এই ম্যাচটা জিততেই হতো। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচটি ৬ রানে জিতে সিরিজ বাঁচাল ভারত।

ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট গতকাল চতুর্থ দিনেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় আজ খেলা গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। যে ম্যাচটা ইংল্যান্ড একটা পর্যায়ে সহজে জিততে পারত, সেই ম্যাচ বাঁক বদলেছে পরতে পরতে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ ভারত ৬ রানে জিতেছে। গাস অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ইতি টেনেছেন সিরাজ। ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ২-২ ব্যবধানে।

লন্ডনের ওভালে চতুর্থ ইনিংসে এটা সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়তে পারল না ইংল্যান্ড। এর আগে ওভালে টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬৩ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৯০২ সালে। ইংল্যান্ড সেবার ২ উইকেটে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। অন্যদিকে ভারত এবার ওভালে ৬ রানে জিতে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে জয়ের কীর্তি গড়েছে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৬.২ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। দিনের খেলা শুরুর পর প্রসিধ কৃষ্ণাকে টানা দুটি চার মারেন জেভি ওভারটন। ৭৭তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার মারার পর শেষ দুই বল ডট দিয়েছেন ওভারটন। ঠিক তার পরের ওভারেই ইংল্যান্ডকে ধাক্কা দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৭৮তম ওভারের তৃতীয় বলে সিরাজের বলে খোঁচা দেন জেমি স্মিথ। ভারতীয় উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলসহ অন্যান্যরা সজোরে আবেদন করলেও মাঠের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা সাড়া দেননি। ধর্মসেনা শব্দ পেলেও মূলত দেখতে চেয়েছেন জুরেল ঠিকমতো ক্যাচ ধরতে পেরেছেন কিনা। শেষ পর্যন্ত স্মিথ (২) আউট হয়েছেন।

এক ওভার বিরতিতে বোলিংয়ে এসে সিরাজ ইংল্যান্ডকে আবার দিয়েছেন ধাক্কা। ৮০তম ওভারের পঞ্চম বলে ওভারটনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সিরাজ। ভারতীয় পেসারের জোরালো আবেদনে ধর্মসেনা অনেকক্ষণ পরে আঙুল তুলেছেন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ওভারটন (৯)। ঠিক তার পরের ওভারেই ইংল্যান্ড হারাতে পারত নবম উইকেট। ৮১তম ওভারের চতুর্থ বলে জশ টাঙের বিপক্ষে কৃষ্ণা এলবিডব্লিউর আবেদন করলে আম্পায়ার আহসান রাজা আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান টাঙ।

নবম উইকেট পড়তে ইংল্যান্ডের অবশ্য বেশি সময় লাগেনি। ৮৩তম ওভারের শেষ বলে টাঙকে অসাধারণ এক স্লোয়ারে বোল্ড করেন কৃষ্ণা। তখনই ভাঙা হাত নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন ওকস। ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার মাঠে নামতেই ওভালের গ্যালারিতে শোনা যায় মুহুর্মুহু হাততালি। কোনো বল মোকাবিলা না করে ১৬ মিনিট উইকেটে কাটিয়েছেন ওকস। তাঁকে একপ্রান্তে রেখে অ্যাটকিনসন একা খেলে যেতে থাকেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। ৮৬তম ওভারের প্রথম বলে অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করেন সিরাজ। ৩০.১ ওভারে ১০৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। ৮৫.১ ওভারে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৩৬৭ রানে। হ্যারি ব্রুক (১১১) ও জো রুট (১০৫) সেঞ্চুরি করেছেন।

চোটে পড়ায় খেলতে পারেননি ইংল্যান্ডের নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস। তাঁর পরিবর্তে ওভালে পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেন ওলি পোপ। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া ভারত ২২৪ রানে অলআউট হয়েছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন করুণ নায়ার। ইংল্যান্ডের গাস অ্যাটকিনসন ২১.৪ ওভারে ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন অ্যাটকিনসন। টেস্টে ইনিংসে এই নিয়ে চারবার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি।

ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানে অলআউট হয়েছে। যদিও ক্রিস ওকস ব্যাটিং করতে পারেননি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন জ্যাক ক্রলি। ভারতের প্রসিধ ও সিরাজ নিয়েছেন চারটি করে উইকেট। ভারত এরপর তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৬ রানে অলআউট হয়েছে। যশস্বী জয়সওয়াল ১৬৪ বলে ১১৮ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন আকাশ দীপ। রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর দুজনেই করেছেন ৫৩ রান। ইংল্যান্ডের জশ টাং ৩০ ওভারে ১২৫ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাতে ইংল্যান্ডের সামনে ৩৭৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি স্বাগতিকেরা হেরে যায় ৬ রানে।

১৯০ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ওভালে পঞ্চম টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সিরাজ। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৭৫৪ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন শুবমান গিল। তাঁর (গিল) পাশাপাশি হ্যারি ব্রুকও ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পেয়েছেন। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ৫৩.৪৪ গড় ও ৮১.৩৮ স্ট্রাইকরেটে ৪৮১ রান করেছেন ব্রুক। দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন তিনি। গিলের পর সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩৭ রান করেছেন রুট। তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি এসেছে রুটের ব্যাট থেকে। গিল, রুটসহ ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৫০০-এর বেশি রান করেছেন চার ব্যাটার। লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন ৫৩২ ও ৫১৬ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোহানের ক্যাচ মিসকে দায়ী করছেন মিরাজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
সুপার ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১ রানে হেরেছে মিরাজের দল। ছবি: বিসিবি
সুপার ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১ রানে হেরেছে মিরাজের দল। ছবি: বিসিবি

যেন জয়টাই হাতছাড়া করেছেন নুরুল হাসান সোহান। ৫০ তম ওভারের শেষ বলে খ্যারি পিয়েরের ক্যাচ ছেড়ে দেন এই উইকেটরক্ষক। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ১ রানে হারের জন্য এই ক্যাচ মিসকেই দায়ী করছেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।

২১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ বল ৩ রান করতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সাইফ হাসানের করা সে বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন পিয়েরে। দৌঁড়ে বলের কাছে গিয়ে গ্লাভসে নেন সোহান। কিন্তু জমাতে পারেননি। বল ফসকে মাটিতে পড়ে যায়। ততক্ষেণ দৌঁড়ে দুই রান নেন পিয়েরে ও শাই হোপ। বাংলাদেশের করা ২১৩ রানেই থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। মোস্তাফিজের করা এভার থেকে ১০ রান নেয় ক্যারিবীয়রা। লক্ষ্য তাড়ায় আকিল হোসেনের করা ওভার থেকে ৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওভার করতে এসে ওয়াইড, নো মিলিয়ে ৯ বল করেছেন আকিল। এরপরও ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি স্বাগতিকরা। একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেননি সৌম্য সরকার, সাইফরা। সে আক্ষেপও ছিল মিরাজের কণ্ঠে।

ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, ‘সুপার ওভারে জেতার জন্য আমাদের ১১ রান দরকার ছিল। একটি বাউন্ডারি আদায় করতে পারলেই পরিস্থিতি বদলে যেত। যদি আমরা সেই ক্যাচটি (খ্যারি পিয়েরের ক্যাচ) নিতে পারলে আমরা ম্যাচ জিততাম। আমরা পরবর্তী ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

দল হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স উজ্জল ছিলেন রিশাদ হোসেন। ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে খেলেন ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। এরপর বল হাতে নেন ৩ উইকেট। দল হারায় তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স আড়ালেই থেকে গেল। তবে ঠিকই রিশাদের প্রশংসা করেছেন মিরাজ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। প্রথমবারের মতো সুপার ওভারের সাক্ষী হলাম। আমার মনে হয় এই উইকেটে ব্যাট করা সহজ ছিল না। রিশাদ খুব ভালো করছে। সব ব্যাটাররা লড়াই করেছে। কিন্তু রিশাদ আত্মবিশ্বাসী ছিল এবং সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। সাইফ ছাড়া শেষ ওভারে আমাদের কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না। আমি ভাবছিলাম আমরা কি আরেকটি উইকেট (শেষ ওভারে) পেতে পারি। কিন্তু আমরা তা পাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল উইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৫৭
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচটি রূপ নিল অলিখিত ফাইনালে। ছবি: বিসিবি
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচটি রূপ নিল অলিখিত ফাইনালে। ছবি: বিসিবি

উত্তেজনা, উন্মাদনা ও আক্ষেপের পর শেষটায় হলো দারুণ নাটকীয়তায়। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে টাইয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। যদিও সুপার ওভারে শেষ হাসি হাসতে পারল না স্বাগতিকেরা। তাদের ১ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম দুই ওয়ানডে শেষে ১-১ সমতা হওয়ায় শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ২৩ অক্টোবর মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের করা ২১৩ রানের জবাবে নিজেদের ইনিংসের বেশির ভাগ সময়ই ব্যাকফুটে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদের স্পিন ভেল্কিতে হারের শঙ্কায় ছিল অতিথিরা। কিন্তু তাদের আশার বাতি হয়ে একপ্রান্তে জ্বলতে থাকেন শাই হোপ। তানভীর ইসলামের এলবিডব্লু হয়ে শেরফানে রাদারফোর্ড ফিরলে পঞ্চম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য শেষ ৫ উইকেট হাতে রেখে তখনো তাদের দরকার ছিল ১১১ রান। মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে যেটা বেশ কঠিন। এই সমীকরণ মেলাতে না পারলেও হোপের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচ টাই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন হোপ।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৫ রান করতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সাইফ হাসানের করা প্রথম দুই বলে রান নিতে পারেননি আকিল হোসেন। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন তিনি। চতুর্থ বলে ১ রান নেন শাইপ হোপ। পঞ্চম বলে ছয় মারতে গিয়ে বোল্ড হন আকিল। শেষ বলে তাই ক্যারিবীয়দের সামনে ৩ রানের সমীকরণ দাঁড়ায়। এমন সমীকরণে ক্যাচ তুলে দেন শেষ ব্যাটার হিসেবে নামা খ্যারি পিয়েরে। ক্যাচ নিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। ততক্ষণে দুবার প্রান্ত বদল করেন হোপ ও পিয়েরে। বাংলাদেশের সমান ২১৩ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ১০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে আসেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। সফরকারীদের হয়ে বল করতে এসে এক বল করতেই ৫ রান দেন আকিল হোসেন। তাঁর করা প্রথম বলটি ওয়াইড হয়। দ্বিতীয় বল নো দেন আকিল। সেই সঙ্গে দৌড়ে ২ রান নেন সৌম্য ও সাইফ। প্রথম বৈধ ডেলিভারি থেকে ১ রান নেন সৌম্য। দ্বিতীয় বল ডট হয়। তৃতীয় বলে ১ রান নেন সাইফ। চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মোটির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সৌম্য। পরের বলে লেগ বাই থেকে ১ রান নেন নাহমুল হোসেন শান্ত। শেষ বলে ৪, বাংলাদেশের সামনে ৪ রানের সমীকরণ দাঁড়ায়। আকিল ওয়াইড দিলে সে সমীকরণে ৩ রানে নেমে আসে। তবে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি সাইফ।

এর আগে টস জেতা বাংলাদেশকে এই সংগ্রহ এনে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন সৌম্য সরকার। এই ওপেনারের অবদান ৪৫ রান। প্রথম ওয়ানডের মতো আজও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন রিশাদ হোসেন। ১৪ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। মূলত তাঁর এই ইনিংসে ভর করেই লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ৩২ রান আসে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। ২৩ রান এনে দেন নুরুল হাসান সোহান। ৩ উইকেট নেন গুদাকেশ মোটি। ১০ ওভারে ৬৫ রান দেন তিনি। আকিল হোসেন ও আলিক আথানেজের শিকার দুটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে হারাতে আফগানদের কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৫২
ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে ১৮ নভেম্বর। ফাইল ছবি
ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে ১৮ নভেম্বর। ফাইল ছবি

নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশের মাঠকে ‘হোম গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশন। ১৮ নভেম্বর এফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে মিয়ানমারের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ম্যাচটা হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। আফগানদের ঢাকায় আসার সুযোগটা আরেকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিপক্ষে। এশিয়ান কাপের সমীকরণ শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে ঢাকায় ভারতকে হারানোর সুযোগটা নিতে চায় বাংলাদেশ। নিজেদের ভালোভাবে তৈরি করতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে বাফুফের কমপিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খেলার সম্ভাবনা বেশি। ১৮ নভেম্বরে আমাদেরও ম্যাচ আছে। (প্রীতি ম্যাচ) অনেকটা চূড়ান্ত। সব ঠিক হলে দুই-এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ ৪ ম্যাচে ২ হার ও ২ ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে ভারত। দুই দলের এশিয়ান কাপের হিসাব শেষ! গত মার্চে শিলংয়ে বাছাইপর্বে দুই দলের প্রথম দেখায় ড্র হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরুর ধাক্কা সামলে স্টাবসের ব্যাটে লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা

ক্রীড়া ডেস্ক    
৬৮ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন স্টাবস। তাঁর সঙ্গী ভারানে। ছবি: ক্রিকইনফো
৬৮ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন স্টাবস। তাঁর সঙ্গী ভারানে। ছবি: ক্রিকইনফো

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের করা ৩৩৩ রানের জবাবে দারুণ একটা শুরুর দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সে শুরুটা পায়নি সফরকারী দল। এরপরও বিপদে পড়তে হয়নি তাদের। ট্রিস্টান স্টাবসের ব্যাটে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে লড়াই করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

২২ রানে প্রথম ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ রান করা রায়ান রিকেলটনকে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানান শাহিন শাহ আফ্রিদি। স্টাবসের সঙ্গে জুটি জমে গেলেও হতাশ করেন এইডেন মার্করাম। ব্যক্তিগত ৩২ রানে সাজিদ খানের বলে আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক। ৫৪ রানেই প্যাভিলিয়নে অতিথিদের দুই ওপেনার।

তখন মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের ৩৩৩ রানের জবাব দিতে বেশ বেগ পোহাতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তৃতীয় উইকেটে স্টাবস ও টনি ডি জর্জির ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভালোভাবেই ধাক্কা সামাল দেয় অতিথিরা। এই দুজন মিলে এনে দেন ১১৩ রান। ৫৫ রান করা জর্জিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত আসিফ আফ্রিদি। জর্জির পর শেষ বিকেলে দেওয়াল্ড ব্রেভিসকেও হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনো রান করতে পারেননি ব্রেভিস। আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে হাঁটেন তরুণ ব্যাটার।

অপরপ্রান্তে ৬৮ রানে অপরাজিত আছেন স্টাবস। তাঁর সঙ্গে ১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন কাইল ভারানে। দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানে পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেট নিতে ২৪ রান খরচ করেন আফ্রিদি। শাহিন ও সাজিদ নেন একটি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত