অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম দিন কাটল অম্ল-মধুর। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা হয়েছে ৮৪ ওভার। দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৫ উইকেটে ২৫০ রান।
দিনটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভালো কাটলেও মিকাইল লুইস ও আলিক আথানাজের জন্য ছিল কিছুটা হতাশারও! দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালে লুইস-আথানাজের দৃঢ়তায় ধাক্কা সামলে ওঠে স্বাগতিকেরা। কিন্তু সেঞ্চুরির ইঙ্গিত দিয়ে দিনের খেলা শেষ হওয়ার একটু আগেই পরপর ফিরলেন তাঁরা দুজন।
৯৭ রান করে লুইস ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। ৯০ রানে তাইজুল ইসলামের শিকার হন আথানাজে। থিতু হওয়া দুই ব্যাটারকে শেষ বিকেলে ফিরিয়ে মূলত কিছুটা স্বস্তি নিয়ে ফেরে বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে যে প্রত্যাশায় বোলিং বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের ১৪ তম টেস্ট অধিনায়ক মিরাজ, সেটি অবশ্য পুরোপুরি পূরণ হয়নি। উইকেট ছিল কিছুটা সবুজাভ। ময়শ্চারকে কাজে লাগাতে পারলে পেসাররা ভালো কিছু করবেন—এমনটি হয়তো ভেবেই বোলিং বেছে নিয়েছিলেন মিরাজ। পিচ রিপোর্টে ক্যারিবিয়ান পেস কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোসও বলেছিলেন, ঘাস আর আর্দ্রতা থাকায় এটি পেসারদের উইকেট; টস জিতলে তাই আগে বোলিং করার সিদ্ধান্তই সঠিক হবে।
কিন্তু ‘সঠিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রথম ঘণ্টায় সাফল্যের মুখ দেখেননি বাংলাদেশের পেসাররা। অবশ্য মেডেন দিয়েই শুরু করেছিলেন দুই পেসার—হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম। নেয় নেয় করেও বেশ কয়েকবারই তাঁদের বল নেয়নি ব্যাটের কানা। বাংলাদেশের পেসারদের আঁটসাঁট বোলিং অবশ্য হাত খুলে খেলার সুযোগ দেয়নি ক্যারিবীয় ব্যাটারদের। ছেড়ে দেওয়ার বল ছেড়ে দিয়েই প্রথম ১৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার—অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও মিকাইল লুইস।
১৪ তম ওভারে ব্র্যাথওয়েটকে তুলে নেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে মরু ক্যাকটাসের মতো মাটি কামড়ে টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন; ৩৮ বলে করেছেন ৪ রান। তাঁর বিদায়ে ভাঙে ২৫ রানের ওপেনিং জুটি। পরের ওভারেই ফের তাসকিনের আঘাত। এবার শিকার কেসি কার্টি। স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় মিড উইকেটে তাইজুল ইসলামের হাতে। রানের খাতা খেলার আগেই বিদায় কার্টির। এরপর উইকেটে মিকাইল লুইসের সঙ্গে যোগ দেন কাভেম হজ। অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন তাঁরা। তখন ক্যারিবীয়দের স্কোর ৫০ /২। বাংলাদেশের জন্যও সেটা খারাপ কি!
প্রথম সেশনটা তাই নিজেদের দাবি করতে পারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে সেই ছন্দ অবশ্য আর ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। এ সেশনে উইকেট নিতে পেরেছে মাত্র একটি। কাভেম হজকে রান-আউটে ফিরিয়ে লুইসের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি ভাঙে বাংলাদেশ।
৮৪ রানে তিন উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ উইকেটে লুইস-আথানাজের জুটিতে পেরিয়ে যায় দুই শ। লুইস হাঁটছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু দিনের ৭৫ তম ওভারে মিরাজের বলে স্লিপে শাহাদাত হোসেন দিপুর কাছে ক্যাচ দিয়ে পোড়েন আক্ষেপে। ২১৮ বলে ১ ছক্কা ও ৯ চারে ৯৭ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। আথানাজের সঙ্গে ভাঙে ১৪০ রানের জুটি।
৭৮ তম ওভারে ফেরেন আথানাজে। তিনি এগোচ্ছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তাইজুলের ঘূর্ণিতে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দেন ৯০ রানে। ১৩০ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ১টি ছক্কা রয়েছে তাঁর। জাস্টিন গ্রিভস ১১ ও জশুয়া ডা সিলভা ১৪ রান থেকে দ্বিতীয় আবারও ব্যাটিং শুরু করবেন। বাংলাদেশের তাসকিন নিয়েছেন ২ উইকেট।
অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম দিন কাটল অম্ল-মধুর। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা হয়েছে ৮৪ ওভার। দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ৫ উইকেটে ২৫০ রান।
দিনটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভালো কাটলেও মিকাইল লুইস ও আলিক আথানাজের জন্য ছিল কিছুটা হতাশারও! দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালে লুইস-আথানাজের দৃঢ়তায় ধাক্কা সামলে ওঠে স্বাগতিকেরা। কিন্তু সেঞ্চুরির ইঙ্গিত দিয়ে দিনের খেলা শেষ হওয়ার একটু আগেই পরপর ফিরলেন তাঁরা দুজন।
৯৭ রান করে লুইস ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। ৯০ রানে তাইজুল ইসলামের শিকার হন আথানাজে। থিতু হওয়া দুই ব্যাটারকে শেষ বিকেলে ফিরিয়ে মূলত কিছুটা স্বস্তি নিয়ে ফেরে বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে যে প্রত্যাশায় বোলিং বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের ১৪ তম টেস্ট অধিনায়ক মিরাজ, সেটি অবশ্য পুরোপুরি পূরণ হয়নি। উইকেট ছিল কিছুটা সবুজাভ। ময়শ্চারকে কাজে লাগাতে পারলে পেসাররা ভালো কিছু করবেন—এমনটি হয়তো ভেবেই বোলিং বেছে নিয়েছিলেন মিরাজ। পিচ রিপোর্টে ক্যারিবিয়ান পেস কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোসও বলেছিলেন, ঘাস আর আর্দ্রতা থাকায় এটি পেসারদের উইকেট; টস জিতলে তাই আগে বোলিং করার সিদ্ধান্তই সঠিক হবে।
কিন্তু ‘সঠিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রথম ঘণ্টায় সাফল্যের মুখ দেখেননি বাংলাদেশের পেসাররা। অবশ্য মেডেন দিয়েই শুরু করেছিলেন দুই পেসার—হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম। নেয় নেয় করেও বেশ কয়েকবারই তাঁদের বল নেয়নি ব্যাটের কানা। বাংলাদেশের পেসারদের আঁটসাঁট বোলিং অবশ্য হাত খুলে খেলার সুযোগ দেয়নি ক্যারিবীয় ব্যাটারদের। ছেড়ে দেওয়ার বল ছেড়ে দিয়েই প্রথম ১৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার—অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও মিকাইল লুইস।
১৪ তম ওভারে ব্র্যাথওয়েটকে তুলে নেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে মরু ক্যাকটাসের মতো মাটি কামড়ে টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন; ৩৮ বলে করেছেন ৪ রান। তাঁর বিদায়ে ভাঙে ২৫ রানের ওপেনিং জুটি। পরের ওভারেই ফের তাসকিনের আঘাত। এবার শিকার কেসি কার্টি। স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় মিড উইকেটে তাইজুল ইসলামের হাতে। রানের খাতা খেলার আগেই বিদায় কার্টির। এরপর উইকেটে মিকাইল লুইসের সঙ্গে যোগ দেন কাভেম হজ। অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছেন তাঁরা। তখন ক্যারিবীয়দের স্কোর ৫০ /২। বাংলাদেশের জন্যও সেটা খারাপ কি!
প্রথম সেশনটা তাই নিজেদের দাবি করতে পারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে সেই ছন্দ অবশ্য আর ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। এ সেশনে উইকেট নিতে পেরেছে মাত্র একটি। কাভেম হজকে রান-আউটে ফিরিয়ে লুইসের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি ভাঙে বাংলাদেশ।
৮৪ রানে তিন উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ উইকেটে লুইস-আথানাজের জুটিতে পেরিয়ে যায় দুই শ। লুইস হাঁটছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু দিনের ৭৫ তম ওভারে মিরাজের বলে স্লিপে শাহাদাত হোসেন দিপুর কাছে ক্যাচ দিয়ে পোড়েন আক্ষেপে। ২১৮ বলে ১ ছক্কা ও ৯ চারে ৯৭ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। আথানাজের সঙ্গে ভাঙে ১৪০ রানের জুটি।
৭৮ তম ওভারে ফেরেন আথানাজে। তিনি এগোচ্ছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তাইজুলের ঘূর্ণিতে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দেন ৯০ রানে। ১৩০ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ১টি ছক্কা রয়েছে তাঁর। জাস্টিন গ্রিভস ১১ ও জশুয়া ডা সিলভা ১৪ রান থেকে দ্বিতীয় আবারও ব্যাটিং শুরু করবেন। বাংলাদেশের তাসকিন নিয়েছেন ২ উইকেট।
মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে ঝলমলে রোদ্দুর—সিলেটে আজ শুরু হওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশন ছিল এমনই। লাঞ্চ বিরতির আগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে প্রথম সেশনের খেলা শেষ হওয়ার পরই আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্য করে নেমেছে বৃষ্টি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ কাভারে ঢাকা রয়েছে। এই প্রতিবেদন
১৩ মিনিট আগেঘরের মাঠের চেনা কন্ডিশন হলেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সিলেটে আজ শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান ওঠার আগেই দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকেরা।
৪১ মিনিট আগেবাংলাদেশের ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ তকমা জিম্বাবুয়ে পেয়ে গেছে অনেক আগেই। মাঠের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ যখন কোনো সুখবর দিতে পারে না, তখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই দুঃখ ঘোচানোর সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এবার সেই জিম্বাবুয়েই কাঁপিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
১ ঘণ্টা আগেবয়স মাত্র ১৪ বছর। এই ১৪ বছর বয়সে আইপিএল অভিষেকে রেকর্ড বই ওলটপালট করলেন বৈভব সূর্যবংশী। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত এক শুরুর রাতে তাঁর দুচোখ বেয়ে পড়েছে অশ্রু।
২ ঘণ্টা আগে