নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ অলৌকিক কিছু করে দেখাবে—এমনটি ভাবেননি কেউ। তবে নিগার সুলতানার দল প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে জিততে হেরে গেছে বাংলাদেশ। উইন্ডিজের কাছে হারায় সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে পরের ম্যাচগুলোতে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
সেটিরই প্রথম পরীক্ষায় ঋতু মণি-নাহিদা আক্তারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আজ ভারতকে ২২৯ রানে বেঁধে ফেলেছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্যটা নাগালে থাকায় আরেকটি চমক দেখানোর সুযোগ ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে।
কিন্তু নিগারের দল আর পারলেন কই? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার রেশ জারি রাখলেন ভারতের বিপক্ষেও। ১১০ রানের বড় হারে নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল বাংলাদেশের।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শুক্রবার উইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে জিততে হারের ম্যাচে তবু ১৩৬ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। হ্যামিল্টনে আজ করেছে আরও ১৭ রান কম। স্নেহ রানা-ঝুলন গোস্বামীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নিগার-ফারজানা হক-রুমানা আহমেদরা।
টানা দুই হারে পয়েন্ট তালিকার সাতেই রইল বাংলাদেশ, ভারত উঠে এল তিনে। পাঁচ ম্যাচে নিগারদের পয়েন্ট মাত্র ২। এক ম্যাচ বেশি খেলা ভারতের পয়েন্ট ৬।
‘অলৌকিকতার’ জন্ম দিয়ে বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া অসম্ভব বলাই যায়। অলৌকিক নয় তো কী? বাংলাদেশের পরের ম্যাচ দুটি যে নারী বিশ্বকাপ সবচেয়ে সফল দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে!
ভারতের জন্যও শেষ ম্যাচ অনেকটা বাঁচা-মরার। ওয়েলিংটনে দিনের আরেক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ উইকেটে হেরে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাই মিতালি রাজদের পরবর্তী বাধা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হারলেও অবশ্য সুযোগ থাকবে ভারতের। সে ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হবে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র ওপর।
আজ রান তাড়ার শুরু থেকেই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৩৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেন নিগাররা। যেন পুরুষ দলকে অনুসরণ করতে নেমেছিল নারী দল। দুই দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের দলও ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আর সম্ভব হয়নি।
ষষ্ঠ উইকেটে অভিজ্ঞ সালমা খাতুন ও লতা মণ্ডল ৪০ রানের জুটি না গড়লে হয়তো তিন অঙ্কও ছোঁয়া হতো না বাংলাদেশের। এ দুজনের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাঙে মেয়েদের প্রতিরোধ। এরপর দ্রুত লেজ ছেঁটে দেন স্নেহ ও ঝুলন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২২৯ রান করে ভারত। মন্থর উইকেটে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রান তোলেন শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মন্ধনা। শেফালি যখন আগ্রাসী মুডে, আরেক প্রান্তে থিতু স্মৃতি। তাতে ভারত পেয়ে গিয়েছিল বড় স্কোরের ভিত।
তবে কোনো রান না দিয়েই ৩ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। ঋতু ও নাহিদার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৭৪/০ থেকে ৭৪/৩-এ পরিণত হয় ভারত। এরপর ব্যাট-বলের লড়াই আরও জমে ওঠে। শেষ দিকে দ্রুত রান তুলে ভারত গড়তে পারে মাঝারি সংগ্রহ। এই সংগ্রহটাই পরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য হয়েছে পাহাড়সম।
দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান করে ভারতকে স্বস্তি এনে দেন স্বস্তিকা ভাটিয়া। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার ঋতু। নাহিদা নিয়েছেন দুটি উইকেট। জাহানারা আলম একটি উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে। ফারিহা তৃষ্ণার জায়গায় সুযোগ পাওয়া লতাও বোলিংয়ে প্রভাব ফেলতে পারেননি।
প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ অলৌকিক কিছু করে দেখাবে—এমনটি ভাবেননি কেউ। তবে নিগার সুলতানার দল প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে জিততে হেরে গেছে বাংলাদেশ। উইন্ডিজের কাছে হারায় সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে পরের ম্যাচগুলোতে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
সেটিরই প্রথম পরীক্ষায় ঋতু মণি-নাহিদা আক্তারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আজ ভারতকে ২২৯ রানে বেঁধে ফেলেছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্যটা নাগালে থাকায় আরেকটি চমক দেখানোর সুযোগ ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে।
কিন্তু নিগারের দল আর পারলেন কই? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার রেশ জারি রাখলেন ভারতের বিপক্ষেও। ১১০ রানের বড় হারে নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল বাংলাদেশের।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শুক্রবার উইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে জিততে হারের ম্যাচে তবু ১৩৬ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। হ্যামিল্টনে আজ করেছে আরও ১৭ রান কম। স্নেহ রানা-ঝুলন গোস্বামীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নিগার-ফারজানা হক-রুমানা আহমেদরা।
টানা দুই হারে পয়েন্ট তালিকার সাতেই রইল বাংলাদেশ, ভারত উঠে এল তিনে। পাঁচ ম্যাচে নিগারদের পয়েন্ট মাত্র ২। এক ম্যাচ বেশি খেলা ভারতের পয়েন্ট ৬।
‘অলৌকিকতার’ জন্ম দিয়ে বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও শেষ চারে জায়গা করে নেওয়া অসম্ভব বলাই যায়। অলৌকিক নয় তো কী? বাংলাদেশের পরের ম্যাচ দুটি যে নারী বিশ্বকাপ সবচেয়ে সফল দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে!
ভারতের জন্যও শেষ ম্যাচ অনেকটা বাঁচা-মরার। ওয়েলিংটনে দিনের আরেক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ উইকেটে হেরে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাই মিতালি রাজদের পরবর্তী বাধা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হারলেও অবশ্য সুযোগ থাকবে ভারতের। সে ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হবে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র ওপর।
আজ রান তাড়ার শুরু থেকেই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৩৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেন নিগাররা। যেন পুরুষ দলকে অনুসরণ করতে নেমেছিল নারী দল। দুই দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের দলও ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আর সম্ভব হয়নি।
ষষ্ঠ উইকেটে অভিজ্ঞ সালমা খাতুন ও লতা মণ্ডল ৪০ রানের জুটি না গড়লে হয়তো তিন অঙ্কও ছোঁয়া হতো না বাংলাদেশের। এ দুজনের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাঙে মেয়েদের প্রতিরোধ। এরপর দ্রুত লেজ ছেঁটে দেন স্নেহ ও ঝুলন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২২৯ রান করে ভারত। মন্থর উইকেটে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রান তোলেন শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মন্ধনা। শেফালি যখন আগ্রাসী মুডে, আরেক প্রান্তে থিতু স্মৃতি। তাতে ভারত পেয়ে গিয়েছিল বড় স্কোরের ভিত।
তবে কোনো রান না দিয়েই ৩ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। ঋতু ও নাহিদার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৭৪/০ থেকে ৭৪/৩-এ পরিণত হয় ভারত। এরপর ব্যাট-বলের লড়াই আরও জমে ওঠে। শেষ দিকে দ্রুত রান তুলে ভারত গড়তে পারে মাঝারি সংগ্রহ। এই সংগ্রহটাই পরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য হয়েছে পাহাড়সম।
দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান করে ভারতকে স্বস্তি এনে দেন স্বস্তিকা ভাটিয়া। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার ঋতু। নাহিদা নিয়েছেন দুটি উইকেট। জাহানারা আলম একটি উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে। ফারিহা তৃষ্ণার জায়গায় সুযোগ পাওয়া লতাও বোলিংয়ে প্রভাব ফেলতে পারেননি।
তৃণমুল ফুটবলে উন্নতি দেখিয়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে ভিয়েতনাম ফুটবল ফেডারেশন ও নর্দার্ন মারিয়ানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে টপকে সেরা হয়েছে তারা।
৭ ঘণ্টা আগেবছরখানেক আগে টেস্ট অভিষেক হয়েছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। এবার ওয়ানডে দলের জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষায় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তাঁকে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল।
১০ ঘণ্টা আগেএএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মরক্ষার ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বের ভারতকে আতিথেয়তা দেবে হ্যাভিয়ের কাবরেরার দল। প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে সে ম্যাচের অপেক্ষায় আছেন দলের সেরা তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দল চূড়ান্ত হয়েছে আজ। সবশেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আজ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাইয়ে জাপানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে আমিরাত বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে।
১১ ঘণ্টা আগে