
বোলিং অনুশীলনের চেয়ে এখন নাহিদ রানা যেন বেশি চিন্তিত ফিটনেস ধরে রাখা নিয়ে! বিপিএলে টানা খেলার মধ্যে আছেন। আগামী মাসে আবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বোলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে ফিটনেসও খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে নাহিদকে। কাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের জিমে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার ফাঁকেই নাহিদ জানালেন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে তাঁর ভাবনা, ব্যক্তিগত প্রস্তুতি ও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, সিলেট থেকে

প্রশ্ন: এখন পর্যন্ত বিপিএল কেমন উপভোগ করছেন?
নাহিদ রানা: আলহামদুলিল্লাহ, বিপিএল ভালো যাচ্ছে। প্রতিটি ম্যাচে নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। ব্যাটারদের বিপক্ষে গতি আর কৌশল দিয়ে চাপ তৈরি করতে পারছি, যেটা দারুণ তৃপ্তি দিচ্ছে। আমাদের দলের পরিবেশও অসাধারণ, সবাই সবার জন্য কাজ করছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, টিম ম্যানেজমেন্টের ভালোবাসা আমাকে প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রাণিত করছে।
প্রশ্ন: টানা ম্যাচ খেলার মধ্যে আছেন, একটু কি বিশ্রাম নেওয়ার দরকার মনে হয়?
নাহিদ: টানা খেলা আসলেই কঠিন। তবে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটা আমাদের জীবনেরই অংশ। ফিজিও এবং ট্রেনাররা আমার ফিটনেস ঠিক রাখতে নিয়মিত কাজ করছেন। রেস্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন তো ম্যাচ খেলতে হয়। আমি নিজ থেকে বিশ্রাম চাইনি। যদিও আমার কাছে সুযোগ আছে বিশ্রাম চাওয়ার। কিন্তু এটা টিম ম্যানেজমেন্টেরও সিদ্ধান্ত। এখন যেহেতু প্রতিটি ম্যাচ খেলছি, তাই পুরোপুরি ফোকাস রাখতে চাই খেলায়।
প্রশ্ন: আপনার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন আপনি?
নাহিদ: ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি আমি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে এটা জরুরি। আমি ফিজিও এবং কোচদের নির্দেশনা মেনে কাজ করছি। নিজেদের শরীরকে বোঝা এবং সঠিক সময়ে বিশ্রাম নেওয়াই মূলমন্ত্র। এখন পর্যন্ত আমি পুরোপুরি ফিট এবং সে অনুযায়ী ভালো করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: রংপুর রাইডার্স টানা ছয়টি ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে। দলের ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন?
নাহিদ: আমাদের দলের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো দলের মধ্যে ঐক্য আর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। দল থেকে আমাকে যে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী আমি দলকে ভালো কিছু দিতে চাইছি। দলের সবকিছু হয় খুব পেশাদারি মনোভাবে; যেমনটা জাতীয় দলে হয়। প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখে; বিশেষ করে বোলিং ও ব্যাটিং ইউনিটের মধ্যে দুর্দান্ত সমন্বয় আছে। কোচিং স্টাফও দারুণ কাজ করছে, এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে আপনার মনে কী ভাবনা কাজ করছে?
নাহিদ: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলব—এ রকম ভেবে অনেক রোমাঞ্চিত। এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলা প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন। নিজের সেরা ফর্ম নিয়ে সেখানে যেতে চাই। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করার মতো সুযোগ পেলে সেটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই। দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা সব সময় বড় অনুপ্রেরণা।
প্রশ্ন: সুযোগ পেলে এটা আপনার প্রথমবার আইসিসির কোনো ইভেন্টে খেলা হবে। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী থাকবে?
নাহিদ: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমার প্রথম আইসিসি ইভেন্ট হবে, যদি সুযোগ পাই। স্বাভাবিকভাবে অনেক স্বপ্ন দেখি। দেশের হয়ে প্রথমবার এমন একটি বড় মঞ্চে ভালো করার সুযোগ পেলে সেটা জীবনের সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকবে। তবে এখন বিপিএল খেলছি, এটায় বেশি ফোকাস রাখার চেষ্টা করছি। এখানে ভালো করলে, ফিট থাকলে আশা করি সেখানেও ভালো কিছু সম্ভব।
প্রশ্ন: আপনার গতির সঙ্গে নতুন কোনো ভেরিয়েশন যোগ করার পরিকল্পনা আছে?
নাহিদ: গতি আমার মূল শক্তি। তবে এই যুগে শুধু গতি দিয়ে ব্যাটারদের চমকে দেওয়া সম্ভব নয়। কিছু ভেরিয়েশন নিয়ে কাজ করছি। ইয়র্কার, স্লোয়ার এবং সুইং বোলিংকে আরও কার্যকরের চেষ্টা করছি। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে চেষ্টার কোনো ঘাটতি রাখি না। তবে এসবের জন্য নিজেকে ফিট রাখাটা বেশি জরুরি। চেষ্টা করছি নিয়মমাফিক জিম ও ড্রিল করে গতি ঠিক রাখার কৌশলগুলো রপ্ত করার।
প্রশ্ন: এবারের বিপিএল কি আগের চেয়ে আলাদা মনে হচ্ছে?
নাহিদ: এবারের বিপিএল অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক। উইকেট ফ্ল্যাট, রান তুলতে ব্যাটাররা সুবিধা পাচ্ছে। তবে এটা বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিংও। আসলে যেখানে চ্যালেঞ্জ নাই, সেখানে খেলে মজাও নাই। চ্যালেঞ্জ জয়ের মজাই অন্য রকম। বোলার হিসেবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভালো করতে পারলে নিজের স্কিলের উন্নতি হয়। এই চ্যালেঞ্জ উপভোগ করছি।
প্রশ্ন: হাই-স্কোরিং উইকেটে ভালো বোলিং করার চ্যালেঞ্জ কীভাবে নিচ্ছেন?
নাহিদ: উইকেট ফ্ল্যাট হলেও পরিকল্পনা ঠিক থাকলে ভালো বোলিং করা সম্ভব। সঠিক লাইন-লেন্থ ধরে রাখা, ভেরিয়েশন প্রয়োগ করা এবং ব্যাটারদের দুর্বল দিকগুলো টার্গেট করাই আমার কৌশল। প্রতিটি ম্যাচের আগে ভিডিও বিশ্লেষণ দেখি। আমার দলের অ্যানালিস্ট আমাদের এসব দেখান। জাতীয় দলের অ্যানালিস্টও আমাদের ভিডিও দেখান। কী ধরনের বল কার বিপক্ষে করতে হয়। নিজের স্কিলের উন্নতিতে কী ধরনের বোলিং প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, তা তাদের কাছ থেকে দারুণভাবে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামি ম্যাচে। সেসব পরিকল্পনা কার্যকর করার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের সিনিয়র সতীর্থ তাসকিন আহমেদ এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাঁকে টপকে যাওয়ার কোনো লক্ষ্য কি আছে?
নাহিদ: আসলে আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না। আমি খেলি এবং চেষ্টা করি আমার কাজটুকু সঠিকভাবে করতে। যদি আমার পরিকল্পনা ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। এটিই আমার সাফল্য। উইকেট পেতেই হবে, এমন কোনো মানসিকতা নিয়ে বোলিং করি না।
প্রশ্ন: এখন পর্যন্ত বিপিএল কেমন উপভোগ করছেন?
নাহিদ রানা: আলহামদুলিল্লাহ, বিপিএল ভালো যাচ্ছে। প্রতিটি ম্যাচে নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। ব্যাটারদের বিপক্ষে গতি আর কৌশল দিয়ে চাপ তৈরি করতে পারছি, যেটা দারুণ তৃপ্তি দিচ্ছে। আমাদের দলের পরিবেশও অসাধারণ, সবাই সবার জন্য কাজ করছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, টিম ম্যানেজমেন্টের ভালোবাসা আমাকে প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রাণিত করছে।
প্রশ্ন: টানা ম্যাচ খেলার মধ্যে আছেন, একটু কি বিশ্রাম নেওয়ার দরকার মনে হয়?
নাহিদ: টানা খেলা আসলেই কঠিন। তবে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটা আমাদের জীবনেরই অংশ। ফিজিও এবং ট্রেনাররা আমার ফিটনেস ঠিক রাখতে নিয়মিত কাজ করছেন। রেস্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন তো ম্যাচ খেলতে হয়। আমি নিজ থেকে বিশ্রাম চাইনি। যদিও আমার কাছে সুযোগ আছে বিশ্রাম চাওয়ার। কিন্তু এটা টিম ম্যানেজমেন্টেরও সিদ্ধান্ত। এখন যেহেতু প্রতিটি ম্যাচ খেলছি, তাই পুরোপুরি ফোকাস রাখতে চাই খেলায়।
প্রশ্ন: আপনার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন আপনি?
নাহিদ: ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি আমি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে এটা জরুরি। আমি ফিজিও এবং কোচদের নির্দেশনা মেনে কাজ করছি। নিজেদের শরীরকে বোঝা এবং সঠিক সময়ে বিশ্রাম নেওয়াই মূলমন্ত্র। এখন পর্যন্ত আমি পুরোপুরি ফিট এবং সে অনুযায়ী ভালো করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন: রংপুর রাইডার্স টানা ছয়টি ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে। দলের ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন?
নাহিদ: আমাদের দলের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো দলের মধ্যে ঐক্য আর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। দল থেকে আমাকে যে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী আমি দলকে ভালো কিছু দিতে চাইছি। দলের সবকিছু হয় খুব পেশাদারি মনোভাবে; যেমনটা জাতীয় দলে হয়। প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজের ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখে; বিশেষ করে বোলিং ও ব্যাটিং ইউনিটের মধ্যে দুর্দান্ত সমন্বয় আছে। কোচিং স্টাফও দারুণ কাজ করছে, এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে আপনার মনে কী ভাবনা কাজ করছে?
নাহিদ: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলব—এ রকম ভেবে অনেক রোমাঞ্চিত। এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলা প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন। নিজের সেরা ফর্ম নিয়ে সেখানে যেতে চাই। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করার মতো সুযোগ পেলে সেটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই। দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা সব সময় বড় অনুপ্রেরণা।
প্রশ্ন: সুযোগ পেলে এটা আপনার প্রথমবার আইসিসির কোনো ইভেন্টে খেলা হবে। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী থাকবে?
নাহিদ: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আমার প্রথম আইসিসি ইভেন্ট হবে, যদি সুযোগ পাই। স্বাভাবিকভাবে অনেক স্বপ্ন দেখি। দেশের হয়ে প্রথমবার এমন একটি বড় মঞ্চে ভালো করার সুযোগ পেলে সেটা জীবনের সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকবে। তবে এখন বিপিএল খেলছি, এটায় বেশি ফোকাস রাখার চেষ্টা করছি। এখানে ভালো করলে, ফিট থাকলে আশা করি সেখানেও ভালো কিছু সম্ভব।
প্রশ্ন: আপনার গতির সঙ্গে নতুন কোনো ভেরিয়েশন যোগ করার পরিকল্পনা আছে?
নাহিদ: গতি আমার মূল শক্তি। তবে এই যুগে শুধু গতি দিয়ে ব্যাটারদের চমকে দেওয়া সম্ভব নয়। কিছু ভেরিয়েশন নিয়ে কাজ করছি। ইয়র্কার, স্লোয়ার এবং সুইং বোলিংকে আরও কার্যকরের চেষ্টা করছি। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে চেষ্টার কোনো ঘাটতি রাখি না। তবে এসবের জন্য নিজেকে ফিট রাখাটা বেশি জরুরি। চেষ্টা করছি নিয়মমাফিক জিম ও ড্রিল করে গতি ঠিক রাখার কৌশলগুলো রপ্ত করার।
প্রশ্ন: এবারের বিপিএল কি আগের চেয়ে আলাদা মনে হচ্ছে?
নাহিদ: এবারের বিপিএল অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক। উইকেট ফ্ল্যাট, রান তুলতে ব্যাটাররা সুবিধা পাচ্ছে। তবে এটা বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিংও। আসলে যেখানে চ্যালেঞ্জ নাই, সেখানে খেলে মজাও নাই। চ্যালেঞ্জ জয়ের মজাই অন্য রকম। বোলার হিসেবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভালো করতে পারলে নিজের স্কিলের উন্নতি হয়। এই চ্যালেঞ্জ উপভোগ করছি।
প্রশ্ন: হাই-স্কোরিং উইকেটে ভালো বোলিং করার চ্যালেঞ্জ কীভাবে নিচ্ছেন?
নাহিদ: উইকেট ফ্ল্যাট হলেও পরিকল্পনা ঠিক থাকলে ভালো বোলিং করা সম্ভব। সঠিক লাইন-লেন্থ ধরে রাখা, ভেরিয়েশন প্রয়োগ করা এবং ব্যাটারদের দুর্বল দিকগুলো টার্গেট করাই আমার কৌশল। প্রতিটি ম্যাচের আগে ভিডিও বিশ্লেষণ দেখি। আমার দলের অ্যানালিস্ট আমাদের এসব দেখান। জাতীয় দলের অ্যানালিস্টও আমাদের ভিডিও দেখান। কী ধরনের বল কার বিপক্ষে করতে হয়। নিজের স্কিলের উন্নতিতে কী ধরনের বোলিং প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, তা তাদের কাছ থেকে দারুণভাবে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামি ম্যাচে। সেসব পরিকল্পনা কার্যকর করার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের সিনিয়র সতীর্থ তাসকিন আহমেদ এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাঁকে টপকে যাওয়ার কোনো লক্ষ্য কি আছে?
নাহিদ: আসলে আমি রেকর্ডের পেছনে ছুটি না। আমি খেলি এবং চেষ্টা করি আমার কাজটুকু সঠিকভাবে করতে। যদি আমার পরিকল্পনা ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। এটিই আমার সাফল্য। উইকেট পেতেই হবে, এমন কোনো মানসিকতা নিয়ে বোলিং করি না।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ।
১৪ মিনিট আগে
বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
১২ ঘণ্টা আগে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ। সিরিজটাও হাতছাড়া করলেন লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা।
চট্টগ্রামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচের শেষে ১৬ রানের কম লক্ষ্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ৩ ওভারে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ৩৩ রান। উইকেটে তখন সেট ব্যাটার তানজিদ তামিম। যিনি ৪৪ রানে জীবন পেয়ে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে তামিম ক্যাচ তুলে দিলেন থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে। ভাঙনের শুরু এখান থেকেই। জাকের আলী অনিক-শামীম হোসেন পাটোয়ারীরা ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে আটকে যায়।
১৪ রানে হারের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তানজিদ তামিম। ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলা তামিম মনে করছেন, দায়িত্ব নিয়ে দলকে তাঁর জেতানো উচিত ছিল। ২৪ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আসলে উইকেট যা ছিল, সেক্ষেত্রে সেট ব্যাটারকেই খেলা শেষ করতে হবে। উইকেটে বল ব্যাটে সেভাবে আসছিল না। নতুন ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, নতুন ব্যাটাররাও সেভাবে আউট হয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত আমি থাকতে পারতাম, তাহলে সহজেই ম্যাচটা বের হয়ে আসত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা জাকেরের কেটেছে বেঞ্চে বসে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশেও তিনি সুযোগ পাননি। গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নুরুল হাসান সোহানের পরিবর্তে একাদশে এসে নায়ক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল জাকেরের সামনে। কিন্তু ওভারপ্রতি যখন ১১-এর বেশি রান দরকার, সেই মুহূর্তে জাকেরের ১৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। ম্যাচে জাকেরের সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দেখেছেন সিরিজে তিনি (জাকের) কী করতে পারেন। কেবল এই বার্তাই দিয়েছি, ‘আপনি আগের সিরিজে তাদের সঙ্গে কীভাবে ব্যাটিং করেছেন। আপনি পারবেন। আপনি থাকলে ম্যাচটা বের করা সম্ভব।’ আসলে এখানে দায়িত্বটা বেশি ছিল আমার।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে গত বছর ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। সেবার ৬০ গড় ও ১৩৬.৩৬ স্ট্রাইকরেটে সিরিজ সর্বোচ্চ ১২০ রান করেছিলেন জাকের। তবে এখন আর তিনি আগের মতো ছন্দে নেই। একাদশেই নিয়মিত নন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। আর সেই উইন্ডিজের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ। সিরিজটাও হাতছাড়া করলেন লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা।
চট্টগ্রামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচের শেষে ১৬ রানের কম লক্ষ্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ৩ ওভারে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ৩৩ রান। উইকেটে তখন সেট ব্যাটার তানজিদ তামিম। যিনি ৪৪ রানে জীবন পেয়ে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে তামিম ক্যাচ তুলে দিলেন থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে। ভাঙনের শুরু এখান থেকেই। জাকের আলী অনিক-শামীম হোসেন পাটোয়ারীরা ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে আটকে যায়।
১৪ রানে হারের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তানজিদ তামিম। ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলা তামিম মনে করছেন, দায়িত্ব নিয়ে দলকে তাঁর জেতানো উচিত ছিল। ২৪ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আসলে উইকেট যা ছিল, সেক্ষেত্রে সেট ব্যাটারকেই খেলা শেষ করতে হবে। উইকেটে বল ব্যাটে সেভাবে আসছিল না। নতুন ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, নতুন ব্যাটাররাও সেভাবে আউট হয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত আমি থাকতে পারতাম, তাহলে সহজেই ম্যাচটা বের হয়ে আসত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা জাকেরের কেটেছে বেঞ্চে বসে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশেও তিনি সুযোগ পাননি। গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নুরুল হাসান সোহানের পরিবর্তে একাদশে এসে নায়ক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল জাকেরের সামনে। কিন্তু ওভারপ্রতি যখন ১১-এর বেশি রান দরকার, সেই মুহূর্তে জাকেরের ১৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। ম্যাচে জাকেরের সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দেখেছেন সিরিজে তিনি (জাকের) কী করতে পারেন। কেবল এই বার্তাই দিয়েছি, ‘আপনি আগের সিরিজে তাদের সঙ্গে কীভাবে ব্যাটিং করেছেন। আপনি পারবেন। আপনি থাকলে ম্যাচটা বের করা সম্ভব।’ আসলে এখানে দায়িত্বটা বেশি ছিল আমার।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে গত বছর ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। সেবার ৬০ গড় ও ১৩৬.৩৬ স্ট্রাইকরেটে সিরিজ সর্বোচ্চ ১২০ রান করেছিলেন জাকের। তবে এখন আর তিনি আগের মতো ছন্দে নেই। একাদশেই নিয়মিত নন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। আর সেই উইন্ডিজের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।

বোলিং অনুশীলনের চেয়ে এখন নাহিদ রানা যেন বেশি চিন্তিত ফিটনেস ধরে রাখা নিয়ে! বিপিএলে টানা খেলার মধ্যে আছেন। আগামী মাসে আবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বোলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে ফিটনেসও খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে নাহিদকে।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
১২ ঘণ্টা আগে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
ওয়ানডে সিরিজ হেরে মিরপুর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ স্যামি বলেছিলেন, ‘যদি ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের তুলনা করি, ওয়ানডে সিরিজের উল্টো ফল পেতে উন্মুখ হয়ে আছি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে আমরা জেতার পর তারা (বাংলাদেশ) কিন্তু আমাদের ৩–০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। আশা করি এখানে আমরাও তেমন কিছু করতে পারব।’
স্যামির ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে ‘৩–০’ হবে কি না সেটা পরশু বোঝা যাবে। তবে এটা তো ঠিক হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা জিতে গেছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। ক্যারিবীয়দের জিতিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা। যথারীতি কালও অসাধারণ বোলিং করেছেন বোলাররা। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান। ১৮ তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। তার আগেই রিশাদ হোসেন আর নাসুম আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ধাক্কা দিয়ে রেখেছিলেন। মোস্তাফিজ একটিও বাউন্ডারি না দিয়ে দেন ৬ রান। পরের ওভারে তাসকিন দেন ১৪ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দিলেন না ক্যারিবীয়দের বড় স্কোর গড়তে। প্রথম বলেই রোমারিও শেফার্ড ক্যাচ তুলে দিলেন জাকের আলীর হাতে। পরের বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন খারি পিয়েরে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগলেও আকিল হোসেন তা ঠেকিয়ে দেন। শেষ ওভারে ফিজ দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। পুরো স্পেলে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আরেকবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বোলারদের চেষ্টা বৃথা হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। আজ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘গত দুই-তিনটা সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। আমাদের বোলাদের কাছে সত্যি দুঃখিত। ওরা অসাধারণ বল করেছে। কিন্তু আমরা (ব্যাটাররা) ম্যাচ জেতাতে পারিনি।’
এই সিরিজের শুরুতে লিটন বলেছিলেন ঘরের মাঠে তাঁরা কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে চান। কিন্তু ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা কী এত কঠিন পরীক্ষা? এখানে সতীর্থ কাউকে নয়, নিজেকেই কাঠগড়ায় তুললেন ১৭ বলে ২৩ রান করা লিটন, ‘১৫০ বড় কোনো লক্ষ্য নয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামে। আমরা থিতু হতেই আউট হয়ে গেছি। বিশেষ করে আমার ১২-১৩ ওভার ব্যাটিং করার দরকার ছিল। আমার নিজেরও উন্নতি করতে হবে। যদি আমি ব্যাটিং করতে পারতাম, ম্যাচটা দ্রুত শেষ করে আসতে পারতাম।’
লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না, ক্যারিবীয়রা ফিল্ডাররা আজ অন্তত চারটা ক্যাচ ছেড়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগটা নিতে না পেরে আফসোসে পুড়ছেন লিটন, ‘তারা সত্যি ভালো বোলিং করেছে। তবে ওদের ফিল্ডিং ভালো ছিল না। প্রথম ম্যাচে তারা যেভাবে তারা অসাধারণ ফিল্ডিং করেছিল। তবু আমরা পারিনি। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচটা জিতে গেছে।’
সিরিজ তো গেছে। বাংলাদেশের সামনে এখন ধবলধোলাই এড়ানোর তাড়া। লিটন বললেন, তাঁরা সাগরিকায় ক্যারিবীয়দের কাছে ধবলধোলাই এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন।

বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
ওয়ানডে সিরিজ হেরে মিরপুর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ স্যামি বলেছিলেন, ‘যদি ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের তুলনা করি, ওয়ানডে সিরিজের উল্টো ফল পেতে উন্মুখ হয়ে আছি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে আমরা জেতার পর তারা (বাংলাদেশ) কিন্তু আমাদের ৩–০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। আশা করি এখানে আমরাও তেমন কিছু করতে পারব।’
স্যামির ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে ‘৩–০’ হবে কি না সেটা পরশু বোঝা যাবে। তবে এটা তো ঠিক হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা জিতে গেছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। ক্যারিবীয়দের জিতিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা। যথারীতি কালও অসাধারণ বোলিং করেছেন বোলাররা। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান। ১৮ তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। তার আগেই রিশাদ হোসেন আর নাসুম আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ধাক্কা দিয়ে রেখেছিলেন। মোস্তাফিজ একটিও বাউন্ডারি না দিয়ে দেন ৬ রান। পরের ওভারে তাসকিন দেন ১৪ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দিলেন না ক্যারিবীয়দের বড় স্কোর গড়তে। প্রথম বলেই রোমারিও শেফার্ড ক্যাচ তুলে দিলেন জাকের আলীর হাতে। পরের বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন খারি পিয়েরে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগলেও আকিল হোসেন তা ঠেকিয়ে দেন। শেষ ওভারে ফিজ দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। পুরো স্পেলে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আরেকবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বোলারদের চেষ্টা বৃথা হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। আজ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘গত দুই-তিনটা সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। আমাদের বোলাদের কাছে সত্যি দুঃখিত। ওরা অসাধারণ বল করেছে। কিন্তু আমরা (ব্যাটাররা) ম্যাচ জেতাতে পারিনি।’
এই সিরিজের শুরুতে লিটন বলেছিলেন ঘরের মাঠে তাঁরা কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে চান। কিন্তু ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা কী এত কঠিন পরীক্ষা? এখানে সতীর্থ কাউকে নয়, নিজেকেই কাঠগড়ায় তুললেন ১৭ বলে ২৩ রান করা লিটন, ‘১৫০ বড় কোনো লক্ষ্য নয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামে। আমরা থিতু হতেই আউট হয়ে গেছি। বিশেষ করে আমার ১২-১৩ ওভার ব্যাটিং করার দরকার ছিল। আমার নিজেরও উন্নতি করতে হবে। যদি আমি ব্যাটিং করতে পারতাম, ম্যাচটা দ্রুত শেষ করে আসতে পারতাম।’
লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না, ক্যারিবীয়রা ফিল্ডাররা আজ অন্তত চারটা ক্যাচ ছেড়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগটা নিতে না পেরে আফসোসে পুড়ছেন লিটন, ‘তারা সত্যি ভালো বোলিং করেছে। তবে ওদের ফিল্ডিং ভালো ছিল না। প্রথম ম্যাচে তারা যেভাবে তারা অসাধারণ ফিল্ডিং করেছিল। তবু আমরা পারিনি। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচটা জিতে গেছে।’
সিরিজ তো গেছে। বাংলাদেশের সামনে এখন ধবলধোলাই এড়ানোর তাড়া। লিটন বললেন, তাঁরা সাগরিকায় ক্যারিবীয়দের কাছে ধবলধোলাই এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন।

বোলিং অনুশীলনের চেয়ে এখন নাহিদ রানা যেন বেশি চিন্তিত ফিটনেস ধরে রাখা নিয়ে! বিপিএলে টানা খেলার মধ্যে আছেন। আগামী মাসে আবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বোলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে ফিটনেসও খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে নাহিদকে।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ।
১৪ মিনিট আগে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

একের পর এক ক্যাচ ছাড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। যেন বাংলাদেশকে জেতানোর প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন আলিক আথানেজ, জেডন সিলস, রাদারফোর্ডরা। কিন্তু সফরকারীদের দেওয়া নতুন জীবনের সুযোগ কাজে লাগিয়েও জিততে পারল না বাংলাদেশ। আরও একটি বাজে ব্যাটিংয়ের গল্প লিখে ১৪ রানে হারল লিটন দাসের দল।
এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি–টোয়েন্টি সিরিজে খোয়াল বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে হেরেছিল স্বাগতিকরা। আগামী ৩১ অক্টোবর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুদল। সে ম্যাচ হারলে ধবল ধোলাইয়ের লজ্জা পাবে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে ১৪৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২.১ ওভার ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮৫ রান। শেষ ৪৭ বলে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ ছিল ৬৫ রানের। হাতে ছিল ৭ উইকেট। এই সমীকরণও মেলাতে পারেনি ফিল সিমন্সের দল।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিদ হাসান তামিম এ লিটন ছাড়া আর কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারে জীবন পেলেও ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি লিটন। ১৪তম ওভারে তামিমের ক্যাচ ছেড়ে দেন আথানেজ। রোমারিও শেফার্ডের বলে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন বাংলাদেশি ওপেনার। তাঁর ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো তিনটি করে চার ও ছয়ে।
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে রানের খাতা খুলতে পারেননি শামিম পাটোয়ারি। ম্যাচ হারার দায় তাঁকে দিয়েছিলেন লিটন। আজও হতাশ করলেন শামিম। ফর্মে ফেরার অপেক্ষা বাড়িয়ে এই ব্যাটার ফেরেন ১ রানে। শামিমের মতো সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়রাও এদিন হতাশ করেছেন ভক্তদের। তাঁদের ব্যাট থেকে আসে ১২ ও ৫ রান। প্রথম ম্যাচের মতো আজও সাকিব, নাসুমদের জ্বলে উঠার অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু এ দুজনের ব্যাটে আরেকদফা ঝড় উঠেনি। সিরিজ হারের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেফার্ড ও আকিল হোসেন নেন তিনটি করে উইকেট।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিফটি করেন আথানেজ ও শাই হোপ। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ৫৫ রান এনে দেন হোপ। ৩৬ বলে তিনটি করে চার এবং ছয়ে সাজানো অধিনায়কের ইনিংস। আথানেজর অবদান ৫২ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। নাসুম ও রিশাদের শিকার দুটি করে উইকেট।

একের পর এক ক্যাচ ছাড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। যেন বাংলাদেশকে জেতানোর প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন আলিক আথানেজ, জেডন সিলস, রাদারফোর্ডরা। কিন্তু সফরকারীদের দেওয়া নতুন জীবনের সুযোগ কাজে লাগিয়েও জিততে পারল না বাংলাদেশ। আরও একটি বাজে ব্যাটিংয়ের গল্প লিখে ১৪ রানে হারল লিটন দাসের দল।
এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি–টোয়েন্টি সিরিজে খোয়াল বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে হেরেছিল স্বাগতিকরা। আগামী ৩১ অক্টোবর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুদল। সে ম্যাচ হারলে ধবল ধোলাইয়ের লজ্জা পাবে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে ১৪৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২.১ ওভার ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮৫ রান। শেষ ৪৭ বলে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ ছিল ৬৫ রানের। হাতে ছিল ৭ উইকেট। এই সমীকরণও মেলাতে পারেনি ফিল সিমন্সের দল।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিদ হাসান তামিম এ লিটন ছাড়া আর কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারে জীবন পেলেও ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি লিটন। ১৪তম ওভারে তামিমের ক্যাচ ছেড়ে দেন আথানেজ। রোমারিও শেফার্ডের বলে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন বাংলাদেশি ওপেনার। তাঁর ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো তিনটি করে চার ও ছয়ে।
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে রানের খাতা খুলতে পারেননি শামিম পাটোয়ারি। ম্যাচ হারার দায় তাঁকে দিয়েছিলেন লিটন। আজও হতাশ করলেন শামিম। ফর্মে ফেরার অপেক্ষা বাড়িয়ে এই ব্যাটার ফেরেন ১ রানে। শামিমের মতো সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়রাও এদিন হতাশ করেছেন ভক্তদের। তাঁদের ব্যাট থেকে আসে ১২ ও ৫ রান। প্রথম ম্যাচের মতো আজও সাকিব, নাসুমদের জ্বলে উঠার অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু এ দুজনের ব্যাটে আরেকদফা ঝড় উঠেনি। সিরিজ হারের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেফার্ড ও আকিল হোসেন নেন তিনটি করে উইকেট।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিফটি করেন আথানেজ ও শাই হোপ। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ৫৫ রান এনে দেন হোপ। ৩৬ বলে তিনটি করে চার এবং ছয়ে সাজানো অধিনায়কের ইনিংস। আথানেজর অবদান ৫২ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। নাসুম ও রিশাদের শিকার দুটি করে উইকেট।

বোলিং অনুশীলনের চেয়ে এখন নাহিদ রানা যেন বেশি চিন্তিত ফিটনেস ধরে রাখা নিয়ে! বিপিএলে টানা খেলার মধ্যে আছেন। আগামী মাসে আবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বোলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে ফিটনেসও খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে নাহিদকে।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ।
১৪ মিনিট আগে
বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
১২ ঘণ্টা আগে
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
এজন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। ভুল বুঝতে পেরে তিনদিনের মাথায় ক্ষমা চাইলেন ভিনিসিয়ুস। একই সঙ্গে আগের মতোই রিয়ালের জার্সিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেদিন শুরুর একাদশে নেমে ভালোই খেলছিলেন ভিনিসিয়ুস। সুযোগ পেলেই ভীতি ছড়াচ্ছিলেন কাতালান রক্ষণভাগে। জুড বেলিংহামের গোলে অবদানও রাখেন। এরপরও পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে এই উইঙ্গারকে তুলে নেন জাবি আলোনসো। বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেননি ভিনিসিয়ুস। মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এমনকি টানেলে প্রবেশ করার সময় রিয়াল ছাড়ার হুমকি দেন ভিনিসিয়ুস।
বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ শেষে কথা বলেন আলোনসো। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান লস ব্লাঙ্কোসদের কোচ। তবে ভিনিসিয়ুস ক্ষমা চাওয়ায় আলোচিত বিষয়টি নিয়ে পানি বেশিদূর গড়াল না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ভিনিসিয়ুস লিখেছেন, ‘এল ক্লাসিকোতে আমাকে তুলে নেওয়ার পর যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি এজন্য রিয়াল মাদ্রিদের সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আজ অনুশীলনের সময় আমি যেমন ব্যক্তিগতভাবে করেছি, তেমনি আবারও আমার সতীর্থ, ক্লাব এবং সভাপতির কাছে ক্ষমা চাই।’
আবেগের বর্শবর্তী হয়েই সেদিন ওই আচরণ করেছেন ভিনিসিয়ুস। তাঁর ভাষায়, ‘কখনও কখনও আমার আবেগ আমার উপর প্রভাব ফেলে; আমি সবসময় জিততে এবং আমার দলকে সাহায্য করতে চাই। আমার প্রতিযোগিতামূলক স্বভাব এই ক্লাব এবং এর প্রতিনিধিত্বকারী সবকিছুর প্রতি আমার ভালোবাসা থেকেই উদ্ভূত হয়। আমি প্রথম দিন থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ভালোর জন্য প্রতি মুহূর্তে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
এজন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। ভুল বুঝতে পেরে তিনদিনের মাথায় ক্ষমা চাইলেন ভিনিসিয়ুস। একই সঙ্গে আগের মতোই রিয়ালের জার্সিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেদিন শুরুর একাদশে নেমে ভালোই খেলছিলেন ভিনিসিয়ুস। সুযোগ পেলেই ভীতি ছড়াচ্ছিলেন কাতালান রক্ষণভাগে। জুড বেলিংহামের গোলে অবদানও রাখেন। এরপরও পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে এই উইঙ্গারকে তুলে নেন জাবি আলোনসো। বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেননি ভিনিসিয়ুস। মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এমনকি টানেলে প্রবেশ করার সময় রিয়াল ছাড়ার হুমকি দেন ভিনিসিয়ুস।
বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ শেষে কথা বলেন আলোনসো। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান লস ব্লাঙ্কোসদের কোচ। তবে ভিনিসিয়ুস ক্ষমা চাওয়ায় আলোচিত বিষয়টি নিয়ে পানি বেশিদূর গড়াল না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ভিনিসিয়ুস লিখেছেন, ‘এল ক্লাসিকোতে আমাকে তুলে নেওয়ার পর যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি এজন্য রিয়াল মাদ্রিদের সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আজ অনুশীলনের সময় আমি যেমন ব্যক্তিগতভাবে করেছি, তেমনি আবারও আমার সতীর্থ, ক্লাব এবং সভাপতির কাছে ক্ষমা চাই।’
আবেগের বর্শবর্তী হয়েই সেদিন ওই আচরণ করেছেন ভিনিসিয়ুস। তাঁর ভাষায়, ‘কখনও কখনও আমার আবেগ আমার উপর প্রভাব ফেলে; আমি সবসময় জিততে এবং আমার দলকে সাহায্য করতে চাই। আমার প্রতিযোগিতামূলক স্বভাব এই ক্লাব এবং এর প্রতিনিধিত্বকারী সবকিছুর প্রতি আমার ভালোবাসা থেকেই উদ্ভূত হয়। আমি প্রথম দিন থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ভালোর জন্য প্রতি মুহূর্তে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’

বোলিং অনুশীলনের চেয়ে এখন নাহিদ রানা যেন বেশি চিন্তিত ফিটনেস ধরে রাখা নিয়ে! বিপিএলে টানা খেলার মধ্যে আছেন। আগামী মাসে আবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বোলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে ফিটনেসও খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে নাহিদকে।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ।
১৪ মিনিট আগে
বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
১২ ঘণ্টা আগে