
প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?

প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?

প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?

প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনো অবসরে যাননি শান মাসুদ। ক্রিকেট ক্যারিয়ার চলা অবস্থাতেই পেয়ে যান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক বিশেষ দায়িত্ব। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ককে এই দায়িত্ব থেকে বোর্ড সরিয়ে দিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
আইপিএল নিলাম শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। নিলাম সামনে রেখে এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নানারকম পরিকল্পনা করেছে। কোন ক্রিকেটারকে কিনলে দলের উপকার হবে, কার কেমন দাম হতে পারে—সেই ধারণা পেতে হয়েছে মক নিলাম। আসল নিলাম শুরুর আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের বেতন।
২ ঘণ্টা আগে
ফিফা বিশ্বকাপই ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন। কিন্তু প্রশ্নটা যদি এসে যায় ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ডের, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ফিফার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড তথা ‘ফিফা দ্য বেস্ট’। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে আজ।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৬ আইপিএল, পিএসএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনো প্রকাশ হয়নি। তার আগেই জানা গেছে ভারত ও পাকিস্তানের এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ। আগামী বছর একই দিনে শুরু হচ্ছে আইপিএল-পিএসএল।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনো অবসরে যাননি শান মাসুদ। ক্রিকেট ক্যারিয়ার চলা অবস্থাতেই পেয়ে যান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক বিশেষ দায়িত্ব। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ককে এই দায়িত্ব থেকে বোর্ড সরিয়ে দিচ্ছে।
পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে এ বছরের অক্টোবরে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁকে এই দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে বলে সূত্রের বরাতে গতকাল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও সুপার। সূত্র আরও জানিয়েছে, পিসিবির পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য দুই মাসে মৌখিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে সামনে মাসুদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচি রয়েছে। একই সঙ্গে দুই দায়িত্ব পালন করা তাঁর জন্য কঠিন হবে বলে পিসিবি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছে।
মাসুদ পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন উসমান ওয়াহলার পরিবর্তে। ওয়াহলা এই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বলে মাসুদকে দিয়ে সেই শূন্যস্থান পূরণ করা হয়েছিল। পিসিবি নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে মাসুদকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে পোস্ট করেছিল। সেই পোস্টও মুছে দিয়েছে পিসিবি। এখন মাসুদকে যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর পরিবর্তে কে আসবেন সেটা এখনো জানা যায়নি। এমনকি ওয়াহলা কোন দায়িত্ব পালন করবেন, পিসিবি সেটাও স্পষ্ট করেনি। পাকিস্তান জাতীয় দলের হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজের সূচি, পাকিস্তান শাহিনস, অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-১৬ ও ইমার্জিং টিমের ম্যাচ আয়োজন করতে সূচিসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাই মূলত পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শকের দায়িত্ব।
২০২৩ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মাসুদ। ২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটের চেয়ে তাই টেস্টে নিয়মিত খেলছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ খেলেছেন মেলবোর্নে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে সবশেষ খেলেছেন ঘরের মাঠেই। ২০২৩ সালের ৭ মে করাচিতে সেই ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। ২০১৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৪ টেস্ট, ৯ ওয়ানডে ও ১৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। আগামী বছরের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনো অবসরে যাননি শান মাসুদ। ক্রিকেট ক্যারিয়ার চলা অবস্থাতেই পেয়ে যান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক বিশেষ দায়িত্ব। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ককে এই দায়িত্ব থেকে বোর্ড সরিয়ে দিচ্ছে।
পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে এ বছরের অক্টোবরে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁকে এই দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে বলে সূত্রের বরাতে গতকাল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও সুপার। সূত্র আরও জানিয়েছে, পিসিবির পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য দুই মাসে মৌখিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে সামনে মাসুদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচি রয়েছে। একই সঙ্গে দুই দায়িত্ব পালন করা তাঁর জন্য কঠিন হবে বলে পিসিবি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছে।
মাসুদ পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন উসমান ওয়াহলার পরিবর্তে। ওয়াহলা এই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বলে মাসুদকে দিয়ে সেই শূন্যস্থান পূরণ করা হয়েছিল। পিসিবি নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে মাসুদকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে পোস্ট করেছিল। সেই পোস্টও মুছে দিয়েছে পিসিবি। এখন মাসুদকে যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর পরিবর্তে কে আসবেন সেটা এখনো জানা যায়নি। এমনকি ওয়াহলা কোন দায়িত্ব পালন করবেন, পিসিবি সেটাও স্পষ্ট করেনি। পাকিস্তান জাতীয় দলের হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজের সূচি, পাকিস্তান শাহিনস, অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-১৬ ও ইমার্জিং টিমের ম্যাচ আয়োজন করতে সূচিসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাই মূলত পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শকের দায়িত্ব।
২০২৩ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মাসুদ। ২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটের চেয়ে তাই টেস্টে নিয়মিত খেলছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ খেলেছেন মেলবোর্নে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে সবশেষ খেলেছেন ঘরের মাঠেই। ২০২৩ সালের ৭ মে করাচিতে সেই ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। ২০১৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৪ টেস্ট, ৯ ওয়ানডে ও ১৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। আগামী বছরের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।

২০২৪ বিপিএল শেষ হলো কাল। এবার ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তান কিংবদন্তি রমিজ রাজার কণ্ঠে বেশ মুগ্ধতা ঝরল বিপিএল নিয়ে। গত বুধবার রাতে মিরপুরে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে রমিজ কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
০২ মার্চ ২০২৪
আইপিএল নিলাম শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। নিলাম সামনে রেখে এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নানারকম পরিকল্পনা করেছে। কোন ক্রিকেটারকে কিনলে দলের উপকার হবে, কার কেমন দাম হতে পারে—সেই ধারণা পেতে হয়েছে মক নিলাম। আসল নিলাম শুরুর আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের বেতন।
২ ঘণ্টা আগে
ফিফা বিশ্বকাপই ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন। কিন্তু প্রশ্নটা যদি এসে যায় ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ডের, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ফিফার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড তথা ‘ফিফা দ্য বেস্ট’। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে আজ।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৬ আইপিএল, পিএসএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনো প্রকাশ হয়নি। তার আগেই জানা গেছে ভারত ও পাকিস্তানের এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ। আগামী বছর একই দিনে শুরু হচ্ছে আইপিএল-পিএসএল।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আইপিএল নিলাম শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। নিলাম সামনে রেখে এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নানারকম পরিকল্পনা করেছে। কোন ক্রিকেটারকে কিনলে দলের উপকার হবে, কার কেমন দাম হতে পারে—সেই ধারণা পেতে হয়েছে মক নিলাম। আসল নিলাম শুরুর আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের বেতন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় আজ বেলা তিনটায় শুরু হবে ২০২৬ আইপিএলের নিলাম। কোন ক্রিকেটারকে কত দামে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনবে, সেটা তো পরের আলোচনা। তার আগেই বিদেশি ক্রিকেটারদের বেতন সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইপিএলে একজন বিদেশি ক্রিকেটার ১৮ কোটি রুপির বেশি আয় করতে পারবেন না। কারণ, বিদেশি খেলোয়াড়দের ধরে রাখার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বেতন ধরা হয়েছে ১৮ কোটি রুপি। তাই বলে বিদেশি ক্রিকেটার কিনতে হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি খরচ করতে পারবে না, ব্যাপারটা তা নয়। যদি কোনো ক্রিকেটার ২০ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়ে থাকেন, তাহলে বাকি ২ কোটি রুপি বিসিসিআইয়ের কল্যাণ তহবিলে যোগ হবে।
আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের আয়ের বাড়তি টাকার ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের এই নিয়ম হয়তো অনেকের কাছে ‘ছলচাতুরি’ মনে হতে পারে। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। মিনি নিলামে অর্থ নয়ছয় ঠেকাতেই মূলত নতুন নিয়ম চালু করেছে বিসিসিআই। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজির সামর্থ্য থাকলে ২০ কোটি রুপি দিয়ে একাধিক ক্রিকেটার কেনা যাবে। আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত। সৌদি আরবের জেদ্দায় গত বছরের নভেম্বরে দুই দিন ব্যাপী মেগা নিলামে ২৭ কোটি রুপি দিয়ে পন্তকে কিনেছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। সাধারণত তিন বছর পর পর ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মেগা নিলাম হয়ে থাকে। গত বছরের আগে সবশেষ ২০২২ আইপিএল সামনে রেখে মেগা নিলাম হয়েছিল। এবারের আইপিএল নিলামটা হচ্ছে সাধারণ নিলাম।
সাইলেন্ট টাই ব্রেকার নামে একটা নিয়ম ফিরতে যাচ্ছে ২০২৬ আইপিএলের নিলামে। এই নিয়ম অনুসারে কোনো ক্রিকেটারকে একই দামে যদি একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনে, তখন বিসিসিআইয়ের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে লিখিত আকারে নিলাম পেশ করতে হবে। বিসিসিআইয়ের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি একটা টাকার অঙ্ক পাঠাবে। সাইলেন্ট টাই ব্রেকারের কাজটা হবে অনেকটা নীরবে-নিভৃতে। যে ফ্র্যাঞ্চাইজি এখানে বেশি টাকা খরচ হবে, তারা সেই ক্রিকেটারকে কিনতে হবে। প্রথমবারের মতো এই নিয়ম ২০১০ আইপিএলের নিলামের সময় চালু হয়েছিল। সে বছরই কাইরন পোলার্ডকে কিনতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, কলকাতা নাইট রাইডার্স—চার ফ্র্যাঞ্চাইজি সাড়ে ৭ লাখ ডলার হাকিয়েছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। মুম্বাই সাইলেন্ট টাইব্রেকারে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারে (৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা) কিনেছিল পোলার্ডকে। ৩০ দিনের মধ্যে টাকাটা পরিশোধ করতে হবে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে।
১৩৯০ ক্রিকেটার এবারের আইপিএলের নিলামে নাম নিবন্ধন করলেও তালিকাটা সংক্ষিপ্ত করে ৩৫০ ক্রিকেটারের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ৯ ডিসেম্বর নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। গতকাল মক নিলামে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি রুপি দাম উঠেছে ক্যামেরন গ্রিনের। তাঁকে কেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবারের আইপিএলের নিলামে সর্বোচ্চ দাম তাঁর উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইপিএল নিলাম শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। নিলাম সামনে রেখে এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নানারকম পরিকল্পনা করেছে। কোন ক্রিকেটারকে কিনলে দলের উপকার হবে, কার কেমন দাম হতে পারে—সেই ধারণা পেতে হয়েছে মক নিলাম। আসল নিলাম শুরুর আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের বেতন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় আজ বেলা তিনটায় শুরু হবে ২০২৬ আইপিএলের নিলাম। কোন ক্রিকেটারকে কত দামে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনবে, সেটা তো পরের আলোচনা। তার আগেই বিদেশি ক্রিকেটারদের বেতন সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইপিএলে একজন বিদেশি ক্রিকেটার ১৮ কোটি রুপির বেশি আয় করতে পারবেন না। কারণ, বিদেশি খেলোয়াড়দের ধরে রাখার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বেতন ধরা হয়েছে ১৮ কোটি রুপি। তাই বলে বিদেশি ক্রিকেটার কিনতে হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি খরচ করতে পারবে না, ব্যাপারটা তা নয়। যদি কোনো ক্রিকেটার ২০ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়ে থাকেন, তাহলে বাকি ২ কোটি রুপি বিসিসিআইয়ের কল্যাণ তহবিলে যোগ হবে।
আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের আয়ের বাড়তি টাকার ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের এই নিয়ম হয়তো অনেকের কাছে ‘ছলচাতুরি’ মনে হতে পারে। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। মিনি নিলামে অর্থ নয়ছয় ঠেকাতেই মূলত নতুন নিয়ম চালু করেছে বিসিসিআই। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজির সামর্থ্য থাকলে ২০ কোটি রুপি দিয়ে একাধিক ক্রিকেটার কেনা যাবে। আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত। সৌদি আরবের জেদ্দায় গত বছরের নভেম্বরে দুই দিন ব্যাপী মেগা নিলামে ২৭ কোটি রুপি দিয়ে পন্তকে কিনেছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। সাধারণত তিন বছর পর পর ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মেগা নিলাম হয়ে থাকে। গত বছরের আগে সবশেষ ২০২২ আইপিএল সামনে রেখে মেগা নিলাম হয়েছিল। এবারের আইপিএল নিলামটা হচ্ছে সাধারণ নিলাম।
সাইলেন্ট টাই ব্রেকার নামে একটা নিয়ম ফিরতে যাচ্ছে ২০২৬ আইপিএলের নিলামে। এই নিয়ম অনুসারে কোনো ক্রিকেটারকে একই দামে যদি একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনে, তখন বিসিসিআইয়ের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে লিখিত আকারে নিলাম পেশ করতে হবে। বিসিসিআইয়ের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজি একটা টাকার অঙ্ক পাঠাবে। সাইলেন্ট টাই ব্রেকারের কাজটা হবে অনেকটা নীরবে-নিভৃতে। যে ফ্র্যাঞ্চাইজি এখানে বেশি টাকা খরচ হবে, তারা সেই ক্রিকেটারকে কিনতে হবে। প্রথমবারের মতো এই নিয়ম ২০১০ আইপিএলের নিলামের সময় চালু হয়েছিল। সে বছরই কাইরন পোলার্ডকে কিনতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, কলকাতা নাইট রাইডার্স—চার ফ্র্যাঞ্চাইজি সাড়ে ৭ লাখ ডলার হাকিয়েছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। মুম্বাই সাইলেন্ট টাইব্রেকারে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারে (৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা) কিনেছিল পোলার্ডকে। ৩০ দিনের মধ্যে টাকাটা পরিশোধ করতে হবে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে।
১৩৯০ ক্রিকেটার এবারের আইপিএলের নিলামে নাম নিবন্ধন করলেও তালিকাটা সংক্ষিপ্ত করে ৩৫০ ক্রিকেটারের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ৯ ডিসেম্বর নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। গতকাল মক নিলামে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি রুপি দাম উঠেছে ক্যামেরন গ্রিনের। তাঁকে কেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবারের আইপিএলের নিলামে সর্বোচ্চ দাম তাঁর উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০২৪ বিপিএল শেষ হলো কাল। এবার ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তান কিংবদন্তি রমিজ রাজার কণ্ঠে বেশ মুগ্ধতা ঝরল বিপিএল নিয়ে। গত বুধবার রাতে মিরপুরে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে রমিজ কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
০২ মার্চ ২০২৪
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনো অবসরে যাননি শান মাসুদ। ক্রিকেট ক্যারিয়ার চলা অবস্থাতেই পেয়ে যান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক বিশেষ দায়িত্ব। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ককে এই দায়িত্ব থেকে বোর্ড সরিয়ে দিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফিফা বিশ্বকাপই ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন। কিন্তু প্রশ্নটা যদি এসে যায় ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ডের, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ফিফার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড তথা ‘ফিফা দ্য বেস্ট’। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে আজ।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৬ আইপিএল, পিএসএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনো প্রকাশ হয়নি। তার আগেই জানা গেছে ভারত ও পাকিস্তানের এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ। আগামী বছর একই দিনে শুরু হচ্ছে আইপিএল-পিএসএল।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ফিফা বিশ্বকাপই ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন। কিন্তু প্রশ্নটা যদি এসে যায় ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ডের, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ফিফার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড তথা ‘ফিফা দ্য বেস্ট’। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে আজ। পুরুষ বিভাগে কে হবেন এবারের ফিফা দ্য বেস্ট। এই প্রশ্নে এবার এগিয়ে রাখছেন পিএসজির ফরাসি স্ট্রাইকার উসমান দেম্বেলেকে। ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়। এখানেই শেষ নয়, গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। ফিফা দ্য বেস্টের খুঁটিনাটি তুলে ধরা হলো এখানে—
কবে: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
কখন: বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা
কোথায়: ফেয়ারমন্ট কাতারা হল, দোহা
দেখা যাবে: ফিফার ওয়েবসাইটে
যে সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচ্য: ১১ আগস্ট, ২০২৪ থেকে ২ আগস্ট, ২০২৫
যাদের ভোটে নির্বাচিত
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও কোচ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা ভোট দিয়েছেন। এর বাইরেও অনলাইনে ভোট দিয়েছেন বিশ্বের ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ফুটবলপ্রেমী।
যে ৮ ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে পুরস্কার
বর্ষসেরা ফুটবলার: পুরুষ ও নারী
বর্ষসেরা কোচ: পুরুষ ও নারী
বর্ষসেরা গোলরক্ষক: পুরুষ ও নারী
বর্ষসেরা গোল (পুসকাস অ্যাওয়ার্ড): পুরুষ ও নারী
ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড
বিশেষ সম্মাননা
বর্ষসেরা সমর্থক দল
বর্ষসেরা একাদশ: পুরুষ ও নারী
বর্ষসেরা ক্যাটাগরিতে দেম্বেলের অন্য ১০ প্রতিদ্বন্দ্বী
লামিনে ইয়ামাল, কিলিয়ান এমবাপ্পে, পেদ্রি, কোল পালমার, ভিতিনিয়া, রাফিনিয়া, আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস, হ্যারি কেইন, মোহামেদ সালাহ
মেয়েদের বর্ষসেরায় মনোনীত ১১
আইতানা বোনমাতি, সান্দি বালতিমোর, নাতালি বিয়র্ন, লুসি ব্রোঞ্জ, মারিওনা কালদেন্তে, তেমওয়া চাউইঙ্গা, কাদিদিয়াতু দিয়ানি, মেলচি দুমোরনাই, পাত্রি গুইহারো, লিন্ডসে হিপস, লরেন জেমস, ক্লো কেলি, এভা পাজর, ক্লদিও পিনা, আলেক্সিয়া পুতেয়াস, অ্যালেসিয়া রুশো, লিহ উইলিয়ামসন

ফিফা বিশ্বকাপই ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন। কিন্তু প্রশ্নটা যদি এসে যায় ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ডের, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ফিফার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড তথা ‘ফিফা দ্য বেস্ট’। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে আজ। পুরুষ বিভাগে কে হবেন এবারের ফিফা দ্য বেস্ট। এই প্রশ্নে এবার এগিয়ে রাখছেন পিএসজির ফরাসি স্ট্রাইকার উসমান দেম্বেলেকে। ক্লাব পিএসজিকে লিগ, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে রেখেছেন বড় ভূমিকা। হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ ওয়ানডের সেরা খেলোয়াড়। এখানেই শেষ নয়, গত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে তুলতেও ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। ফিফা দ্য বেস্টের খুঁটিনাটি তুলে ধরা হলো এখানে—
কবে: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
কখন: বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা
কোথায়: ফেয়ারমন্ট কাতারা হল, দোহা
দেখা যাবে: ফিফার ওয়েবসাইটে
যে সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচ্য: ১১ আগস্ট, ২০২৪ থেকে ২ আগস্ট, ২০২৫
যাদের ভোটে নির্বাচিত
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও কোচ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা ভোট দিয়েছেন। এর বাইরেও অনলাইনে ভোট দিয়েছেন বিশ্বের ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ফুটবলপ্রেমী।
যে ৮ ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে পুরস্কার
বর্ষসেরা ফুটবলার: পুরুষ ও নারী
বর্ষসেরা কোচ: পুরুষ ও নারী
বর্ষসেরা গোলরক্ষক: পুরুষ ও নারী
বর্ষসেরা গোল (পুসকাস অ্যাওয়ার্ড): পুরুষ ও নারী
ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড
বিশেষ সম্মাননা
বর্ষসেরা সমর্থক দল
বর্ষসেরা একাদশ: পুরুষ ও নারী
বর্ষসেরা ক্যাটাগরিতে দেম্বেলের অন্য ১০ প্রতিদ্বন্দ্বী
লামিনে ইয়ামাল, কিলিয়ান এমবাপ্পে, পেদ্রি, কোল পালমার, ভিতিনিয়া, রাফিনিয়া, আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস, হ্যারি কেইন, মোহামেদ সালাহ
মেয়েদের বর্ষসেরায় মনোনীত ১১
আইতানা বোনমাতি, সান্দি বালতিমোর, নাতালি বিয়র্ন, লুসি ব্রোঞ্জ, মারিওনা কালদেন্তে, তেমওয়া চাউইঙ্গা, কাদিদিয়াতু দিয়ানি, মেলচি দুমোরনাই, পাত্রি গুইহারো, লিন্ডসে হিপস, লরেন জেমস, ক্লো কেলি, এভা পাজর, ক্লদিও পিনা, আলেক্সিয়া পুতেয়াস, অ্যালেসিয়া রুশো, লিহ উইলিয়ামসন

২০২৪ বিপিএল শেষ হলো কাল। এবার ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তান কিংবদন্তি রমিজ রাজার কণ্ঠে বেশ মুগ্ধতা ঝরল বিপিএল নিয়ে। গত বুধবার রাতে মিরপুরে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে রমিজ কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
০২ মার্চ ২০২৪
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনো অবসরে যাননি শান মাসুদ। ক্রিকেট ক্যারিয়ার চলা অবস্থাতেই পেয়ে যান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক বিশেষ দায়িত্ব। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ককে এই দায়িত্ব থেকে বোর্ড সরিয়ে দিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
আইপিএল নিলাম শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। নিলাম সামনে রেখে এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নানারকম পরিকল্পনা করেছে। কোন ক্রিকেটারকে কিনলে দলের উপকার হবে, কার কেমন দাম হতে পারে—সেই ধারণা পেতে হয়েছে মক নিলাম। আসল নিলাম শুরুর আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের বেতন।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ আইপিএল, পিএসএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনো প্রকাশ হয়নি। তার আগেই জানা গেছে ভারত ও পাকিস্তানের এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ। আগামী বছর একই দিনে শুরু হচ্ছে আইপিএল-পিএসএল।
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ আইপিএল, পিএসএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনো প্রকাশ হয়নি। তার আগেই জানা গেছে ভারত ও পাকিস্তানের এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ। আগামী বছর একই দিনে শুরু হচ্ছে আইপিএল-পিএসএল।
ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত হবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই ইভেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই মাঠে গড়াচ্ছে আইপিএল-পিএসএল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভি গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১১তম পিএসএল শুরু হবে ২৬ মার্চ। শেষ হবে ৩ মে। ২৬ মার্চ শুরু হচ্ছে আইপিএলও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনো ১৯তম আইপিএলের সূচি প্রকাশ না করলেও আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে। ক্রিকবাজ, ক্রিকইনফো গতকাল আইপিএল নিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে প্রথম দুইবার পিএসএল হয়েছিল পাঁচ দল নিয়ে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আট পিএসএলে অংশ নিয়েছে ছয় দল। ২০২৬ পিএসএলে অংশগ্রহণ করবে আট দল। নতুন কোন দুই দল আসবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আর ২০২২ থেকে আইপিএল চলছে ১০ দল নিয়ে। ২০২৬ আইপিএলেও অংশগ্রহণ করছে ১০ দল। ২৬ মার্চ পিএসএল-আইপিএল শুরু হওয়ায় টানা দুই বছর আইপিএল-পিএসএলের সূচি সাংঘর্ষিক হচ্ছে। সবশেষ এ বছর আইপিএল ২২ মার্চ থেকে ৩ জুন পর্যন্ত হয়েছিল। পিএসএল চলেছিল ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ মে। ভারত-পাকিস্তানের সামরিক সংঘাতের কারণেই মূলত আইপিএল-পিএসএল শেষ হতে সময় লেগেছিল।
আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি এ বছরের নভেম্বরে ছেড়ে দেওয়া ও ধরে রাখা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে। আজ আবুধাবিতে হচ্ছে ২০২৬ আইপিএলের নিলাম। সাধারণত তিন বছর পর পর ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মেগা নিলাম। সবশেষ মেগা নিলাম হয়েছে ২০২৫ আইপিএল সামনে রেখে। ২০২৪ সালের ২৪ ও ২৫ নভেম্বর জেদ্দায় হয়েছিল আইপিএলের মেগা নিলাম। এবারের আইপিএল নিলামটা হচ্ছে সাধারণ নিলাম।
২০০৮ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ১৮ আইপিএলের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। কলকাতা নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তিনবার। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, ডেকান চার্জার্স, রাজস্থান রয়্যালস, গুজরাট টাইটান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সবশেষ ২০২৫ আইপিএলেই শিরোপা জিতেছে বেঙ্গালুরু। আর ২০২৫ পিএসএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্স। তারা এখন পর্যন্ত তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের মতো তিনবার শিরোপা জিতেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। একবার করে পিএসএল চ্যাম্পিয়ন মুলতান সুলতান্স, পেশোয়ার জালমি, কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও করাচি কিংস।

২০২৬ আইপিএল, পিএসএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনো প্রকাশ হয়নি। তার আগেই জানা গেছে ভারত ও পাকিস্তানের এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ। আগামী বছর একই দিনে শুরু হচ্ছে আইপিএল-পিএসএল।
ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত হবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই ইভেন্ট শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই মাঠে গড়াচ্ছে আইপিএল-পিএসএল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভি গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১১তম পিএসএল শুরু হবে ২৬ মার্চ। শেষ হবে ৩ মে। ২৬ মার্চ শুরু হচ্ছে আইপিএলও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনো ১৯তম আইপিএলের সূচি প্রকাশ না করলেও আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে। ক্রিকবাজ, ক্রিকইনফো গতকাল আইপিএল নিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে প্রথম দুইবার পিএসএল হয়েছিল পাঁচ দল নিয়ে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আট পিএসএলে অংশ নিয়েছে ছয় দল। ২০২৬ পিএসএলে অংশগ্রহণ করবে আট দল। নতুন কোন দুই দল আসবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আর ২০২২ থেকে আইপিএল চলছে ১০ দল নিয়ে। ২০২৬ আইপিএলেও অংশগ্রহণ করছে ১০ দল। ২৬ মার্চ পিএসএল-আইপিএল শুরু হওয়ায় টানা দুই বছর আইপিএল-পিএসএলের সূচি সাংঘর্ষিক হচ্ছে। সবশেষ এ বছর আইপিএল ২২ মার্চ থেকে ৩ জুন পর্যন্ত হয়েছিল। পিএসএল চলেছিল ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ মে। ভারত-পাকিস্তানের সামরিক সংঘাতের কারণেই মূলত আইপিএল-পিএসএল শেষ হতে সময় লেগেছিল।
আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি এ বছরের নভেম্বরে ছেড়ে দেওয়া ও ধরে রাখা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে। আজ আবুধাবিতে হচ্ছে ২০২৬ আইপিএলের নিলাম। সাধারণত তিন বছর পর পর ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মেগা নিলাম। সবশেষ মেগা নিলাম হয়েছে ২০২৫ আইপিএল সামনে রেখে। ২০২৪ সালের ২৪ ও ২৫ নভেম্বর জেদ্দায় হয়েছিল আইপিএলের মেগা নিলাম। এবারের আইপিএল নিলামটা হচ্ছে সাধারণ নিলাম।
২০০৮ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ১৮ আইপিএলের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। কলকাতা নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তিনবার। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, ডেকান চার্জার্স, রাজস্থান রয়্যালস, গুজরাট টাইটান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সবশেষ ২০২৫ আইপিএলেই শিরোপা জিতেছে বেঙ্গালুরু। আর ২০২৫ পিএসএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্স। তারা এখন পর্যন্ত তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের মতো তিনবার শিরোপা জিতেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। একবার করে পিএসএল চ্যাম্পিয়ন মুলতান সুলতান্স, পেশোয়ার জালমি, কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও করাচি কিংস।

২০২৪ বিপিএল শেষ হলো কাল। এবার ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তান কিংবদন্তি রমিজ রাজার কণ্ঠে বেশ মুগ্ধতা ঝরল বিপিএল নিয়ে। গত বুধবার রাতে মিরপুরে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে রমিজ কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
০২ মার্চ ২০২৪
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এখনো অবসরে যাননি শান মাসুদ। ক্রিকেট ক্যারিয়ার চলা অবস্থাতেই পেয়ে যান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক বিশেষ দায়িত্ব। শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান টেস্ট অধিনায়ককে এই দায়িত্ব থেকে বোর্ড সরিয়ে দিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
আইপিএল নিলাম শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। নিলাম সামনে রেখে এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নানারকম পরিকল্পনা করেছে। কোন ক্রিকেটারকে কিনলে দলের উপকার হবে, কার কেমন দাম হতে পারে—সেই ধারণা পেতে হয়েছে মক নিলাম। আসল নিলাম শুরুর আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের বেতন।
২ ঘণ্টা আগে
ফিফা বিশ্বকাপই ফুটবলের সবচেয়ে বড় আয়োজন। কিন্তু প্রশ্নটা যদি এসে যায় ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ডের, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ফিফার বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড তথা ‘ফিফা দ্য বেস্ট’। সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে আজ।
৩ ঘণ্টা আগে