রানা আব্বাস, পুনে থেকে
১৯৯০ এশিয়া কাপ দিয়ে শুরুর পর গত ৩৩ বছরে ভারতের ১৫টি ভেন্যুতে খেলার সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশের। তবে পুনেতে এই প্রথম। এই ‘প্রথম’ কতটা রাঙাতে পারে বাংলাদেশ, আগামী বৃহস্পতিবার ভারত ম্যাচেই দেখা যাবে। ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই ম্যাচে খেলতে পারবেন তো?
চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং করার সময় বাঁ ঊরুর সামনে চোট পাওয়া সাকিব গত দুই দিন ছিলেন বিশ্রামে। এ দুই দিনে ব্যথা অনেকটা কমেছে তাঁর। হাঁটতেও পারছেন ঠিকঠাক। তবে মাঠের বাইরে হাঁটা আর খেলার মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। ব্যাটিংয়ের সময় রানিং বিটুইন দ্য উইকেট, ফিল্ডিংয়ের সময় বল তাড়া করা কিংবা বোলিংয়ের ফলো-থ্রুতে ঝাঁপিয়ে পড়া—কতটা স্বচ্ছন্দে করতে পারবেন সাকিব, তার পরীক্ষা হওয়ার কথা আজ।
টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন গতকাল জানিয়েছেন, সাকিবের আজ বিকেলে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেশনের নেটে ব্যাটিং করার কথা। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও করবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই ফিটনেস পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে সাকিবের চোট কোন অবস্থায় আছে। গতকাল টিম হোটেলে সুজন বলেছেন, ‘আগের চেয়ে ভালো। সে এখন ব্যথামুক্ত। তবে মাঠে কী অবস্থা হবে, সেটা এখন বলা যাবে না। কাল (আজ) নেটে ব্যাটিং করবে। হয়তো রানিং বিটুইন দ্য উইকেট করবে একটু। করলে তখন বোঝা যাবে। তবে আমরা আশাবাদী যে এই ম্যাচের আগে তাকে পাব। আমাদের ধারণা সে খেলতে পারবে। মেডিকেল ইস্যু আছে। যেহেতু টিয়ার (মাংসপেশির তন্তু থেঁতলে যাওয়া) আছে, একটু তো ঝুঁকিই থাকে। আজ (কাল) তার সুইমিং ছিল। কাল (আজ) ব্যাটিংয়ের পর বুঝতে পারব। এরপর আবার স্ক্যান করা হবে। স্ক্যান করার পর সবকিছু আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারব।’
সাকিবকে নিয়ে সুজন আশাবাদী হচ্ছেন আরও একটি কারণে। বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর বললেন, ‘যেহেতু টিয়ারের ব্যাপার, ব্যথা থাকতেই পারে। কতটা কাটিয়ে উঠেছে সাকিবের, এটা দেখতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে (এই ধরনের চোটে) হাঁটলেও ব্যথা হয়। সাকিবের মাশা আল্লাহ এ রকম কিছুই নেই। এতেই আমরা আশাবাদী।’
সাকিব মনে-প্রাণে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা চাইছেন খেলতে। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, সেটিও আবার বিশ্বকাপে। সাকিব কেন, এ ধরনের ম্যাচ খেলতে চান সর্বোচ্চ পর্যায়ের যেকোনো ক্রিকেটারই। তবে এই পরিস্থিতিতে চাইলেই হচ্ছে না। তাঁর মেডিকেল ইস্যু যেখানে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, স্বচ্ছন্দবোধ না করলে আর চিকিৎসক-ফিজিওর সবুজ সংকেত না মিললে সাকিবের পক্ষে খেলা কঠিন।
এক ম্যাচ বিশ্রামে থেকে যদি বাকি পাঁচ ম্যাচে পাওয়া যায়, তখন ভারত ম্যাচে সাকিবকে না খেলানোর সিদ্ধান্তও নিতে পারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সুজন তা-ই বলছিলেন, ‘টুর্নামেন্টের ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে। আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক। চিকিৎসক-ফিজিওদের ওপর এটা নির্ভর করছে। কোচের মতামতের ব্যাপার না এটা। আমরা চাই না যে এটা খেলে সাকিবের ক্যারিয়ারের জন্য সমস্যা হোক বা লম্বা সময়ের জন্য বিপদে পড়ুক। এই ম্যাচ যদি তাকে ছাড়াই খেলতে হয়, তাহলে আমরা খেলব।’
সব মিলিয়ে আজ অনুশীলন সেশন সাকিবের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কিছুদিনে একটা কথা বেশ ছড়িয়েছে, দলের সব সিদ্ধান্ত সাকিব একাই নিচ্ছেন, কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তৈরি হয়েছে মতবিরোধ। এই গুঞ্জন অবশ্য উড়িয়েই দিয়েছেন টিম ডিরেক্টর সুজন, ‘জানি না এসব কথা কেন আসে। কোচ-অধিনায়ক মিলে সিদ্ধান্ত নেয় কারা খেলবে, কারা খেলবে না। সাকিব যদি কখনো একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, এটা ভুল কিছু নয়। আর সাকিব যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোচের সঙ্গে কথা বলেই নেবে।’
১৯৯০ এশিয়া কাপ দিয়ে শুরুর পর গত ৩৩ বছরে ভারতের ১৫টি ভেন্যুতে খেলার সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশের। তবে পুনেতে এই প্রথম। এই ‘প্রথম’ কতটা রাঙাতে পারে বাংলাদেশ, আগামী বৃহস্পতিবার ভারত ম্যাচেই দেখা যাবে। ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই ম্যাচে খেলতে পারবেন তো?
চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং করার সময় বাঁ ঊরুর সামনে চোট পাওয়া সাকিব গত দুই দিন ছিলেন বিশ্রামে। এ দুই দিনে ব্যথা অনেকটা কমেছে তাঁর। হাঁটতেও পারছেন ঠিকঠাক। তবে মাঠের বাইরে হাঁটা আর খেলার মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। ব্যাটিংয়ের সময় রানিং বিটুইন দ্য উইকেট, ফিল্ডিংয়ের সময় বল তাড়া করা কিংবা বোলিংয়ের ফলো-থ্রুতে ঝাঁপিয়ে পড়া—কতটা স্বচ্ছন্দে করতে পারবেন সাকিব, তার পরীক্ষা হওয়ার কথা আজ।
টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন গতকাল জানিয়েছেন, সাকিবের আজ বিকেলে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেশনের নেটে ব্যাটিং করার কথা। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও করবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই ফিটনেস পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে সাকিবের চোট কোন অবস্থায় আছে। গতকাল টিম হোটেলে সুজন বলেছেন, ‘আগের চেয়ে ভালো। সে এখন ব্যথামুক্ত। তবে মাঠে কী অবস্থা হবে, সেটা এখন বলা যাবে না। কাল (আজ) নেটে ব্যাটিং করবে। হয়তো রানিং বিটুইন দ্য উইকেট করবে একটু। করলে তখন বোঝা যাবে। তবে আমরা আশাবাদী যে এই ম্যাচের আগে তাকে পাব। আমাদের ধারণা সে খেলতে পারবে। মেডিকেল ইস্যু আছে। যেহেতু টিয়ার (মাংসপেশির তন্তু থেঁতলে যাওয়া) আছে, একটু তো ঝুঁকিই থাকে। আজ (কাল) তার সুইমিং ছিল। কাল (আজ) ব্যাটিংয়ের পর বুঝতে পারব। এরপর আবার স্ক্যান করা হবে। স্ক্যান করার পর সবকিছু আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারব।’
সাকিবকে নিয়ে সুজন আশাবাদী হচ্ছেন আরও একটি কারণে। বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর বললেন, ‘যেহেতু টিয়ারের ব্যাপার, ব্যথা থাকতেই পারে। কতটা কাটিয়ে উঠেছে সাকিবের, এটা দেখতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে (এই ধরনের চোটে) হাঁটলেও ব্যথা হয়। সাকিবের মাশা আল্লাহ এ রকম কিছুই নেই। এতেই আমরা আশাবাদী।’
সাকিব মনে-প্রাণে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা চাইছেন খেলতে। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, সেটিও আবার বিশ্বকাপে। সাকিব কেন, এ ধরনের ম্যাচ খেলতে চান সর্বোচ্চ পর্যায়ের যেকোনো ক্রিকেটারই। তবে এই পরিস্থিতিতে চাইলেই হচ্ছে না। তাঁর মেডিকেল ইস্যু যেখানে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, স্বচ্ছন্দবোধ না করলে আর চিকিৎসক-ফিজিওর সবুজ সংকেত না মিললে সাকিবের পক্ষে খেলা কঠিন।
এক ম্যাচ বিশ্রামে থেকে যদি বাকি পাঁচ ম্যাচে পাওয়া যায়, তখন ভারত ম্যাচে সাকিবকে না খেলানোর সিদ্ধান্তও নিতে পারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সুজন তা-ই বলছিলেন, ‘টুর্নামেন্টের ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে। আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক। চিকিৎসক-ফিজিওদের ওপর এটা নির্ভর করছে। কোচের মতামতের ব্যাপার না এটা। আমরা চাই না যে এটা খেলে সাকিবের ক্যারিয়ারের জন্য সমস্যা হোক বা লম্বা সময়ের জন্য বিপদে পড়ুক। এই ম্যাচ যদি তাকে ছাড়াই খেলতে হয়, তাহলে আমরা খেলব।’
সব মিলিয়ে আজ অনুশীলন সেশন সাকিবের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কিছুদিনে একটা কথা বেশ ছড়িয়েছে, দলের সব সিদ্ধান্ত সাকিব একাই নিচ্ছেন, কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তৈরি হয়েছে মতবিরোধ। এই গুঞ্জন অবশ্য উড়িয়েই দিয়েছেন টিম ডিরেক্টর সুজন, ‘জানি না এসব কথা কেন আসে। কোচ-অধিনায়ক মিলে সিদ্ধান্ত নেয় কারা খেলবে, কারা খেলবে না। সাকিব যদি কখনো একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, এটা ভুল কিছু নয়। আর সাকিব যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোচের সঙ্গে কথা বলেই নেবে।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ—বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল ও দীর্ঘ ক্যারিয়ার গড়া এক ক্রিকেটার। সে স্থিতিশীলতার প্রতীক। যখনই দল চাপে পড়েছে, মাহমুদউল্লাহ ছিল এক ভরসার নাম যে সামনে থেকে দলকে টেনে তুলত। তার ব্যাটিং শুধুই রান করা নয়, বরং দলকে গুরুত্বপূর্ণ...
৩৭ মিনিট আগেটেস্ট ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকি ছিল শুধু ওয়ানডে। বাংলাদেশের জার্সিতে এবার আর কোনো সংস্করণেই দেখা যাবে না মাহমুদউল্লাহকে। সামাজিক মাধ্যমে আজ এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
৪০ মিনিট আগেকদিন আগে মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আজ মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর ঘোষণা করলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজে এই ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ।
২ ঘণ্টা আগেঘরোয়া টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি হঠাৎই কমিয়ে দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এবারের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেওয়া ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফি পাবেন ১০ হাজার পাকিস্তানি রুপি। বাংলাদেশি হিসেবে সেটা ৪৩৪০ টাকা। আগের তুলনায় ৭৫ শতাংশ কমে গেল।
৩ ঘণ্টা আগে