
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। অনভিজ্ঞ তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে নেওয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন নির্বাচকেরা। বিপিএলে এখন পর্যন্ত বলার মতো ইনিংস দেখা যায়নি ইমনের ব্যাটে। তবে নির্বাচকেরা মনে করেন, পাওয়ার প্লেতে তিনি আত্মবিশ্বাসী, সাবলীল ও ইমপ্যাক্টফুল ব্যাটিংয়ে বিশেষ দক্ষ। নির্বাচকদের এই আস্থার প্রতিদান দিতে ইমন কতটা তৈরি? সিলেট থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে তাঁর সঙ্গে গতকাল কথা হলো আজকের পত্রিকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ডাক পাওয়ায় আপনি নাকি বেশ বিস্মিত হয়েছেন?
পারভেজ ইমন: সত্যিই জানি না, কী বলব! পুরোপুরি বিপিএলেই ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল আমার একমাত্র চিন্তা। কিন্তু আগের রাতে কয়েকজন এসে জানিয়েছেন, আমি দলে ডাক পেতে যাচ্ছি। এতে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম।
প্রশ্ন: দলে সুযোগ পেয়েছেন, একাদশে থাকলে পারফর্ম করতেই হবে, আস্থার প্রতিদান দিতেই হবে—এমন কোনো চাপ অনুভব করছেন?
ইমন: দলে জায়গা পাওয়া সব সময় এক বিশাল সুযোগ। আমার মনে হয়, টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যেভাবে ব্যবহার করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করছে। তবে আমি আমার শক্তির জায়গাগুলো কাজে লাগিয়ে অবদান রাখতে প্রস্তুত, বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে চাপ কমাতে পারি।
প্রশ্ন: দেশের ক্রিকেটে আপনি পাওয়ার হিটার হিসেবে পরিচিত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চেও আপনার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ একই থাকবে?
ইমন: পাওয়ার হিটিং আমার খেলার স্বাভাবিক অংশ। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হবে। বলের মান, পিচের অবস্থা এবং প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণের ওপর নির্ভর করে স্ট্রাইক রোটেশন ও বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আসা। আমি এখন এগুলো নিয়ে কাজ করছি। যদিও এখনো বড় রান পাইনি, কিন্তু প্রস্তুতি নিচ্ছি। সামনে সুযোগ এলে প্রস্তুতি ও সুযোগ কাজে লাগানো ছাড়া দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কঠিন কঠিন সব বোলিং আক্রমণ সামলাতে হবে। সেটি ভাবনায় রেখে আপনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন কীভাবে?
ইমন: পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে গতি ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অনুশীলন করছি। নেটে বেশি সময় ধরে বাউন্সি বল মোকাবিলা করছি। ব্যাটিং নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আমি অনুশীলন করছি, ভালো বল হিট করছি। এখনো বড় স্কোর পাইনি, এটা সত্য। কিন্তু মনে হচ্ছে, আমি ভালো ব্যাট করছি। মনে হচ্ছে, আমার বড় একটা ইনিংস সামনে দেখতে পাবেন।
প্রশ্ন: এ প্রসঙ্গেই আসতাম, চিটাগং কিংসের হয়ে এবারের বিপিএলে এখনো আলো ছড়াতে পারেননি। নিজেকে ফিরে পেতে বিশেষ কোনো কাজ করছেন?
ইমন: ইনিংস বড় হচ্ছে না, কিছুটা অস্বস্তি তো আছেই। তবে চেষ্টা করছি ইনিংস লম্বা করার। চট্টগ্রামে ভালো কিছু আশা করছি। সেখানে আমাদের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। মোমেন্টাম পেয়ে যাব। তখন ইনশা আল্লাহ ভালো ব্যাটিং করতে পারি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে রানে ফিরতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
প্রশ্ন: উইকেটকিপিং করেন। দল থেকে আপনাকে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে বললেও করবেন?
ইমন: আমি ওপেন করতে পছন্দ করি। তবে যদি সুযোগ আসে। সব সময় দলের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিই। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই। তবে কম্বিনেশনে যদি মাঝামাঝি নামতে হয়, সেটাও হয়তো করা সম্ভব।
প্রশ্ন: আপনি যেহেতু একজন নতুন মুখ, তাই প্রতিপক্ষের জন্য আপনার ব্যাটিংয়ের শক্তি-দুর্বলতা কিছুটা অজানা থাকবে। এটা কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
ইমন: অবশ্যই, নতুন হওয়ায় প্রতিপক্ষের কাছে আমাকে নিয়ে বেশি ডেটা থাকবে না। তবে ডেটা থাকা না থাকা নির্ভর করে না। যদি না সে তার সঠিক চ্যানেলে বল করতে পারে। প্রতিপক্ষের কাজ প্রতিপক্ষ করবে। যদি একাদশে থাকার সুযোগ হয়, আমার কাজ আমি করব।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে সুযোগ পেতে যাচ্ছেন, সেটিও আবার আইসিসির টুর্নামেন্টে। নিজের জন্য একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
ইমন: এই টুর্নামেন্ট আমার জন্য একটি বড় সুযোগ। এটি একটি বিশাল ইভেন্ট। ইনশা আল্লাহ, আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব এবং দেশের জন্য ভালো কিছু করব।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ডাক পাওয়ায় আপনি নাকি বেশ বিস্মিত হয়েছেন?
পারভেজ ইমন: সত্যিই জানি না, কী বলব! পুরোপুরি বিপিএলেই ডুবে ছিলাম। সেটাই ছিল আমার একমাত্র চিন্তা। কিন্তু আগের রাতে কয়েকজন এসে জানিয়েছেন, আমি দলে ডাক পেতে যাচ্ছি। এতে আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম।
প্রশ্ন: দলে সুযোগ পেয়েছেন, একাদশে থাকলে পারফর্ম করতেই হবে, আস্থার প্রতিদান দিতেই হবে—এমন কোনো চাপ অনুভব করছেন?
ইমন: দলে জায়গা পাওয়া সব সময় এক বিশাল সুযোগ। আমার মনে হয়, টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যেভাবে ব্যবহার করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করছে। তবে আমি আমার শক্তির জায়গাগুলো কাজে লাগিয়ে অবদান রাখতে প্রস্তুত, বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে চাপ কমাতে পারি।
প্রশ্ন: দেশের ক্রিকেটে আপনি পাওয়ার হিটার হিসেবে পরিচিত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চেও আপনার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ একই থাকবে?
ইমন: পাওয়ার হিটিং আমার খেলার স্বাভাবিক অংশ। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হবে। বলের মান, পিচের অবস্থা এবং প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণের ওপর নির্ভর করে স্ট্রাইক রোটেশন ও বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আসা। আমি এখন এগুলো নিয়ে কাজ করছি। যদিও এখনো বড় রান পাইনি, কিন্তু প্রস্তুতি নিচ্ছি। সামনে সুযোগ এলে প্রস্তুতি ও সুযোগ কাজে লাগানো ছাড়া দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কঠিন কঠিন সব বোলিং আক্রমণ সামলাতে হবে। সেটি ভাবনায় রেখে আপনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন কীভাবে?
ইমন: পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে গতি ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অনুশীলন করছি। নেটে বেশি সময় ধরে বাউন্সি বল মোকাবিলা করছি। ব্যাটিং নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আমি অনুশীলন করছি, ভালো বল হিট করছি। এখনো বড় স্কোর পাইনি, এটা সত্য। কিন্তু মনে হচ্ছে, আমি ভালো ব্যাট করছি। মনে হচ্ছে, আমার বড় একটা ইনিংস সামনে দেখতে পাবেন।
প্রশ্ন: এ প্রসঙ্গেই আসতাম, চিটাগং কিংসের হয়ে এবারের বিপিএলে এখনো আলো ছড়াতে পারেননি। নিজেকে ফিরে পেতে বিশেষ কোনো কাজ করছেন?
ইমন: ইনিংস বড় হচ্ছে না, কিছুটা অস্বস্তি তো আছেই। তবে চেষ্টা করছি ইনিংস লম্বা করার। চট্টগ্রামে ভালো কিছু আশা করছি। সেখানে আমাদের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। মোমেন্টাম পেয়ে যাব। তখন ইনশা আল্লাহ ভালো ব্যাটিং করতে পারি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে রানে ফিরতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
প্রশ্ন: উইকেটকিপিং করেন। দল থেকে আপনাকে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে বললেও করবেন?
ইমন: আমি ওপেন করতে পছন্দ করি। তবে যদি সুযোগ আসে। সব সময় দলের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিই। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই। তবে কম্বিনেশনে যদি মাঝামাঝি নামতে হয়, সেটাও হয়তো করা সম্ভব।
প্রশ্ন: আপনি যেহেতু একজন নতুন মুখ, তাই প্রতিপক্ষের জন্য আপনার ব্যাটিংয়ের শক্তি-দুর্বলতা কিছুটা অজানা থাকবে। এটা কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
ইমন: অবশ্যই, নতুন হওয়ায় প্রতিপক্ষের কাছে আমাকে নিয়ে বেশি ডেটা থাকবে না। তবে ডেটা থাকা না থাকা নির্ভর করে না। যদি না সে তার সঠিক চ্যানেলে বল করতে পারে। প্রতিপক্ষের কাজ প্রতিপক্ষ করবে। যদি একাদশে থাকার সুযোগ হয়, আমার কাজ আমি করব।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে সুযোগ পেতে যাচ্ছেন, সেটিও আবার আইসিসির টুর্নামেন্টে। নিজের জন্য একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?
ইমন: এই টুর্নামেন্ট আমার জন্য একটি বড় সুযোগ। এটি একটি বিশাল ইভেন্ট। ইনশা আল্লাহ, আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব এবং দেশের জন্য ভালো কিছু করব।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ।
১০ মিনিট আগে
বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
১২ ঘণ্টা আগে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ। সিরিজটাও হাতছাড়া করলেন লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা।
চট্টগ্রামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচের শেষে ১৬ রানের কম লক্ষ্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ৩ ওভারে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ৩৩ রান। উইকেটে তখন সেট ব্যাটার তানজিদ তামিম। যিনি ৪৪ রানে জীবন পেয়ে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে তামিম ক্যাচ তুলে দিলেন থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে। ভাঙনের শুরু এখান থেকেই। জাকের আলী অনিক-শামীম হোসেন পাটোয়ারীরা ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে আটকে যায়।
১৪ রানে হারের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তানজিদ তামিম। ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলা তামিম মনে করছেন, দায়িত্ব নিয়ে দলকে তাঁর জেতানো উচিত ছিল। ২৪ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আসলে উইকেট যা ছিল, সেক্ষেত্রে সেট ব্যাটারকেই খেলা শেষ করতে হবে। উইকেটে বল ব্যাটে সেভাবে আসছিল না। নতুন ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, নতুন ব্যাটাররাও সেভাবে আউট হয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত আমি থাকতে পারতাম, তাহলে সহজেই ম্যাচটা বের হয়ে আসত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা জাকেরের কেটেছে বেঞ্চে বসে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশেও তিনি সুযোগ পাননি। গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নুরুল হাসান সোহানের পরিবর্তে একাদশে এসে নায়ক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল জাকেরের সামনে। কিন্তু ওভারপ্রতি যখন ১১-এর বেশি রান দরকার, সেই মুহূর্তে জাকেরের ১৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। ম্যাচে জাকেরের সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দেখেছেন সিরিজে তিনি (জাকের) কী করতে পারেন। কেবল এই বার্তাই দিয়েছি, ‘আপনি আগের সিরিজে তাদের সঙ্গে কীভাবে ব্যাটিং করেছেন। আপনি পারবেন। আপনি থাকলে ম্যাচটা বের করা সম্ভব।’ আসলে এখানে দায়িত্বটা বেশি ছিল আমার।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে গত বছর ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। সেবার ৬০ গড় ও ১৩৬.৩৬ স্ট্রাইকরেটে সিরিজ সর্বোচ্চ ১২০ রান করেছিলেন জাকের। তবে এখন আর তিনি আগের মতো ছন্দে নেই। একাদশেই নিয়মিত নন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। আর সেই উইন্ডিজের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ। সিরিজটাও হাতছাড়া করলেন লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমরা।
চট্টগ্রামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচের শেষে ১৬ রানের কম লক্ষ্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ৩ ওভারে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ৩৩ রান। উইকেটে তখন সেট ব্যাটার তানজিদ তামিম। যিনি ৪৪ রানে জীবন পেয়ে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে তামিম ক্যাচ তুলে দিলেন থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে। ভাঙনের শুরু এখান থেকেই। জাকের আলী অনিক-শামীম হোসেন পাটোয়ারীরা ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে আটকে যায়।
১৪ রানে হারের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তানজিদ তামিম। ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলা তামিম মনে করছেন, দায়িত্ব নিয়ে দলকে তাঁর জেতানো উচিত ছিল। ২৪ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আসলে উইকেট যা ছিল, সেক্ষেত্রে সেট ব্যাটারকেই খেলা শেষ করতে হবে। উইকেটে বল ব্যাটে সেভাবে আসছিল না। নতুন ব্যাটারদের জন্য একটু কঠিন। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, নতুন ব্যাটাররাও সেভাবে আউট হয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত আমি থাকতে পারতাম, তাহলে সহজেই ম্যাচটা বের হয়ে আসত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা জাকেরের কেটেছে বেঞ্চে বসে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশেও তিনি সুযোগ পাননি। গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নুরুল হাসান সোহানের পরিবর্তে একাদশে এসে নায়ক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল জাকেরের সামনে। কিন্তু ওভারপ্রতি যখন ১১-এর বেশি রান দরকার, সেই মুহূর্তে জাকেরের ১৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। ম্যাচে জাকেরের সঙ্গে কী কথা হচ্ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দেখেছেন সিরিজে তিনি (জাকের) কী করতে পারেন। কেবল এই বার্তাই দিয়েছি, ‘আপনি আগের সিরিজে তাদের সঙ্গে কীভাবে ব্যাটিং করেছেন। আপনি পারবেন। আপনি থাকলে ম্যাচটা বের করা সম্ভব।’ আসলে এখানে দায়িত্বটা বেশি ছিল আমার।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে গত বছর ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। সেবার ৬০ গড় ও ১৩৬.৩৬ স্ট্রাইকরেটে সিরিজ সর্বোচ্চ ১২০ রান করেছিলেন জাকের। তবে এখন আর তিনি আগের মতো ছন্দে নেই। একাদশেই নিয়মিত নন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। আর সেই উইন্ডিজের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। অনভিজ্ঞ তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে নেওয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন নির্বাচকেরা। বিপিএলে এখন পর্যন্ত বলার মতো ইনিংস দেখা যায়নি ইমনের ব্যাটে...
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
১২ ঘণ্টা আগে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
ওয়ানডে সিরিজ হেরে মিরপুর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ স্যামি বলেছিলেন, ‘যদি ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের তুলনা করি, ওয়ানডে সিরিজের উল্টো ফল পেতে উন্মুখ হয়ে আছি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে আমরা জেতার পর তারা (বাংলাদেশ) কিন্তু আমাদের ৩–০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। আশা করি এখানে আমরাও তেমন কিছু করতে পারব।’
স্যামির ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে ‘৩–০’ হবে কি না সেটা পরশু বোঝা যাবে। তবে এটা তো ঠিক হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা জিতে গেছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। ক্যারিবীয়দের জিতিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা। যথারীতি কালও অসাধারণ বোলিং করেছেন বোলাররা। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান। ১৮ তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। তার আগেই রিশাদ হোসেন আর নাসুম আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ধাক্কা দিয়ে রেখেছিলেন। মোস্তাফিজ একটিও বাউন্ডারি না দিয়ে দেন ৬ রান। পরের ওভারে তাসকিন দেন ১৪ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দিলেন না ক্যারিবীয়দের বড় স্কোর গড়তে। প্রথম বলেই রোমারিও শেফার্ড ক্যাচ তুলে দিলেন জাকের আলীর হাতে। পরের বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন খারি পিয়েরে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগলেও আকিল হোসেন তা ঠেকিয়ে দেন। শেষ ওভারে ফিজ দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। পুরো স্পেলে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আরেকবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বোলারদের চেষ্টা বৃথা হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। আজ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘গত দুই-তিনটা সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। আমাদের বোলাদের কাছে সত্যি দুঃখিত। ওরা অসাধারণ বল করেছে। কিন্তু আমরা (ব্যাটাররা) ম্যাচ জেতাতে পারিনি।’
এই সিরিজের শুরুতে লিটন বলেছিলেন ঘরের মাঠে তাঁরা কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে চান। কিন্তু ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা কী এত কঠিন পরীক্ষা? এখানে সতীর্থ কাউকে নয়, নিজেকেই কাঠগড়ায় তুললেন ১৭ বলে ২৩ রান করা লিটন, ‘১৫০ বড় কোনো লক্ষ্য নয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামে। আমরা থিতু হতেই আউট হয়ে গেছি। বিশেষ করে আমার ১২-১৩ ওভার ব্যাটিং করার দরকার ছিল। আমার নিজেরও উন্নতি করতে হবে। যদি আমি ব্যাটিং করতে পারতাম, ম্যাচটা দ্রুত শেষ করে আসতে পারতাম।’
লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না, ক্যারিবীয়রা ফিল্ডাররা আজ অন্তত চারটা ক্যাচ ছেড়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগটা নিতে না পেরে আফসোসে পুড়ছেন লিটন, ‘তারা সত্যি ভালো বোলিং করেছে। তবে ওদের ফিল্ডিং ভালো ছিল না। প্রথম ম্যাচে তারা যেভাবে তারা অসাধারণ ফিল্ডিং করেছিল। তবু আমরা পারিনি। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচটা জিতে গেছে।’
সিরিজ তো গেছে। বাংলাদেশের সামনে এখন ধবলধোলাই এড়ানোর তাড়া। লিটন বললেন, তাঁরা সাগরিকায় ক্যারিবীয়দের কাছে ধবলধোলাই এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন।

বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
ওয়ানডে সিরিজ হেরে মিরপুর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ স্যামি বলেছিলেন, ‘যদি ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের তুলনা করি, ওয়ানডে সিরিজের উল্টো ফল পেতে উন্মুখ হয়ে আছি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে আমরা জেতার পর তারা (বাংলাদেশ) কিন্তু আমাদের ৩–০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। আশা করি এখানে আমরাও তেমন কিছু করতে পারব।’
স্যামির ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে ‘৩–০’ হবে কি না সেটা পরশু বোঝা যাবে। তবে এটা তো ঠিক হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা জিতে গেছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। ক্যারিবীয়দের জিতিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা। যথারীতি কালও অসাধারণ বোলিং করেছেন বোলাররা। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান। ১৮ তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। তার আগেই রিশাদ হোসেন আর নাসুম আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ধাক্কা দিয়ে রেখেছিলেন। মোস্তাফিজ একটিও বাউন্ডারি না দিয়ে দেন ৬ রান। পরের ওভারে তাসকিন দেন ১৪ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দিলেন না ক্যারিবীয়দের বড় স্কোর গড়তে। প্রথম বলেই রোমারিও শেফার্ড ক্যাচ তুলে দিলেন জাকের আলীর হাতে। পরের বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন খারি পিয়েরে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগলেও আকিল হোসেন তা ঠেকিয়ে দেন। শেষ ওভারে ফিজ দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। পুরো স্পেলে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আরেকবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বোলারদের চেষ্টা বৃথা হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস। আজ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘গত দুই-তিনটা সিরিজে বোলাররা সত্যি অসাধারণ বোলিং করেছে। আমাদের বোলাদের কাছে সত্যি দুঃখিত। ওরা অসাধারণ বল করেছে। কিন্তু আমরা (ব্যাটাররা) ম্যাচ জেতাতে পারিনি।’
এই সিরিজের শুরুতে লিটন বলেছিলেন ঘরের মাঠে তাঁরা কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে চান। কিন্তু ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা কী এত কঠিন পরীক্ষা? এখানে সতীর্থ কাউকে নয়, নিজেকেই কাঠগড়ায় তুললেন ১৭ বলে ২৩ রান করা লিটন, ‘১৫০ বড় কোনো লক্ষ্য নয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামে। আমরা থিতু হতেই আউট হয়ে গেছি। বিশেষ করে আমার ১২-১৩ ওভার ব্যাটিং করার দরকার ছিল। আমার নিজেরও উন্নতি করতে হবে। যদি আমি ব্যাটিং করতে পারতাম, ম্যাচটা দ্রুত শেষ করে আসতে পারতাম।’
লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না, ক্যারিবীয়রা ফিল্ডাররা আজ অন্তত চারটা ক্যাচ ছেড়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগটা নিতে না পেরে আফসোসে পুড়ছেন লিটন, ‘তারা সত্যি ভালো বোলিং করেছে। তবে ওদের ফিল্ডিং ভালো ছিল না। প্রথম ম্যাচে তারা যেভাবে তারা অসাধারণ ফিল্ডিং করেছিল। তবু আমরা পারিনি। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচটা জিতে গেছে।’
সিরিজ তো গেছে। বাংলাদেশের সামনে এখন ধবলধোলাই এড়ানোর তাড়া। লিটন বললেন, তাঁরা সাগরিকায় ক্যারিবীয়দের কাছে ধবলধোলাই এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবেন।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। অনভিজ্ঞ তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে নেওয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন নির্বাচকেরা। বিপিএলে এখন পর্যন্ত বলার মতো ইনিংস দেখা যায়নি ইমনের ব্যাটে...
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ।
১০ মিনিট আগে

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

একের পর এক ক্যাচ ছাড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। যেন বাংলাদেশকে জেতানোর প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন আলিক আথানেজ, জেডন সিলস, রাদারফোর্ডরা। কিন্তু সফরকারীদের দেওয়া নতুন জীবনের সুযোগ কাজে লাগিয়েও জিততে পারল না বাংলাদেশ। আরও একটি বাজে ব্যাটিংয়ের গল্প লিখে ১৪ রানে হারল লিটন দাসের দল।
এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি–টোয়েন্টি সিরিজে খোয়াল বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে হেরেছিল স্বাগতিকরা। আগামী ৩১ অক্টোবর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুদল। সে ম্যাচ হারলে ধবল ধোলাইয়ের লজ্জা পাবে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে ১৪৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২.১ ওভার ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮৫ রান। শেষ ৪৭ বলে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ ছিল ৬৫ রানের। হাতে ছিল ৭ উইকেট। এই সমীকরণও মেলাতে পারেনি ফিল সিমন্সের দল।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিদ হাসান তামিম এ লিটন ছাড়া আর কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারে জীবন পেলেও ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি লিটন। ১৪তম ওভারে তামিমের ক্যাচ ছেড়ে দেন আথানেজ। রোমারিও শেফার্ডের বলে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন বাংলাদেশি ওপেনার। তাঁর ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো তিনটি করে চার ও ছয়ে।
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে রানের খাতা খুলতে পারেননি শামিম পাটোয়ারি। ম্যাচ হারার দায় তাঁকে দিয়েছিলেন লিটন। আজও হতাশ করলেন শামিম। ফর্মে ফেরার অপেক্ষা বাড়িয়ে এই ব্যাটার ফেরেন ১ রানে। শামিমের মতো সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়রাও এদিন হতাশ করেছেন ভক্তদের। তাঁদের ব্যাট থেকে আসে ১২ ও ৫ রান। প্রথম ম্যাচের মতো আজও সাকিব, নাসুমদের জ্বলে উঠার অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু এ দুজনের ব্যাটে আরেকদফা ঝড় উঠেনি। সিরিজ হারের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেফার্ড ও আকিল হোসেন নেন তিনটি করে উইকেট।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিফটি করেন আথানেজ ও শাই হোপ। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ৫৫ রান এনে দেন হোপ। ৩৬ বলে তিনটি করে চার এবং ছয়ে সাজানো অধিনায়কের ইনিংস। আথানেজর অবদান ৫২ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। নাসুম ও রিশাদের শিকার দুটি করে উইকেট।

একের পর এক ক্যাচ ছাড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা। যেন বাংলাদেশকে জেতানোর প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন আলিক আথানেজ, জেডন সিলস, রাদারফোর্ডরা। কিন্তু সফরকারীদের দেওয়া নতুন জীবনের সুযোগ কাজে লাগিয়েও জিততে পারল না বাংলাদেশ। আরও একটি বাজে ব্যাটিংয়ের গল্প লিখে ১৪ রানে হারল লিটন দাসের দল।
এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি–টোয়েন্টি সিরিজে খোয়াল বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে ১৬ রানে হেরেছিল স্বাগতিকরা। আগামী ৩১ অক্টোবর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুদল। সে ম্যাচ হারলে ধবল ধোলাইয়ের লজ্জা পাবে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে ১৪৯ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২.১ ওভার ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮৫ রান। শেষ ৪৭ বলে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ ছিল ৬৫ রানের। হাতে ছিল ৭ উইকেট। এই সমীকরণও মেলাতে পারেনি ফিল সিমন্সের দল।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিদ হাসান তামিম এ লিটন ছাড়া আর কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি। ষষ্ঠ ওভারে জীবন পেলেও ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি লিটন। ১৪তম ওভারে তামিমের ক্যাচ ছেড়ে দেন আথানেজ। রোমারিও শেফার্ডের বলে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন বাংলাদেশি ওপেনার। তাঁর ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো তিনটি করে চার ও ছয়ে।
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে রানের খাতা খুলতে পারেননি শামিম পাটোয়ারি। ম্যাচ হারার দায় তাঁকে দিয়েছিলেন লিটন। আজও হতাশ করলেন শামিম। ফর্মে ফেরার অপেক্ষা বাড়িয়ে এই ব্যাটার ফেরেন ১ রানে। শামিমের মতো সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়রাও এদিন হতাশ করেছেন ভক্তদের। তাঁদের ব্যাট থেকে আসে ১২ ও ৫ রান। প্রথম ম্যাচের মতো আজও সাকিব, নাসুমদের জ্বলে উঠার অপেক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু এ দুজনের ব্যাটে আরেকদফা ঝড় উঠেনি। সিরিজ হারের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেফার্ড ও আকিল হোসেন নেন তিনটি করে উইকেট।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিফটি করেন আথানেজ ও শাই হোপ। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ৫৫ রান এনে দেন হোপ। ৩৬ বলে তিনটি করে চার এবং ছয়ে সাজানো অধিনায়কের ইনিংস। আথানেজর অবদান ৫২ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। নাসুম ও রিশাদের শিকার দুটি করে উইকেট।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। অনভিজ্ঞ তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে নেওয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন নির্বাচকেরা। বিপিএলে এখন পর্যন্ত বলার মতো ইনিংস দেখা যায়নি ইমনের ব্যাটে...
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ।
১০ মিনিট আগে
বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
১২ ঘণ্টা আগে
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
এজন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। ভুল বুঝতে পেরে তিনদিনের মাথায় ক্ষমা চাইলেন ভিনিসিয়ুস। একই সঙ্গে আগের মতোই রিয়ালের জার্সিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেদিন শুরুর একাদশে নেমে ভালোই খেলছিলেন ভিনিসিয়ুস। সুযোগ পেলেই ভীতি ছড়াচ্ছিলেন কাতালান রক্ষণভাগে। জুড বেলিংহামের গোলে অবদানও রাখেন। এরপরও পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে এই উইঙ্গারকে তুলে নেন জাবি আলোনসো। বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেননি ভিনিসিয়ুস। মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এমনকি টানেলে প্রবেশ করার সময় রিয়াল ছাড়ার হুমকি দেন ভিনিসিয়ুস।
বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ শেষে কথা বলেন আলোনসো। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান লস ব্লাঙ্কোসদের কোচ। তবে ভিনিসিয়ুস ক্ষমা চাওয়ায় আলোচিত বিষয়টি নিয়ে পানি বেশিদূর গড়াল না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ভিনিসিয়ুস লিখেছেন, ‘এল ক্লাসিকোতে আমাকে তুলে নেওয়ার পর যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি এজন্য রিয়াল মাদ্রিদের সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আজ অনুশীলনের সময় আমি যেমন ব্যক্তিগতভাবে করেছি, তেমনি আবারও আমার সতীর্থ, ক্লাব এবং সভাপতির কাছে ক্ষমা চাই।’
আবেগের বর্শবর্তী হয়েই সেদিন ওই আচরণ করেছেন ভিনিসিয়ুস। তাঁর ভাষায়, ‘কখনও কখনও আমার আবেগ আমার উপর প্রভাব ফেলে; আমি সবসময় জিততে এবং আমার দলকে সাহায্য করতে চাই। আমার প্রতিযোগিতামূলক স্বভাব এই ক্লাব এবং এর প্রতিনিধিত্বকারী সবকিছুর প্রতি আমার ভালোবাসা থেকেই উদ্ভূত হয়। আমি প্রথম দিন থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ভালোর জন্য প্রতি মুহূর্তে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইস্যুতে চিন্তার ভাজ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। বদলি হিসেবে মাঠ ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ব্রাজিলিয়ান তারকা।
এজন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। ভুল বুঝতে পেরে তিনদিনের মাথায় ক্ষমা চাইলেন ভিনিসিয়ুস। একই সঙ্গে আগের মতোই রিয়ালের জার্সিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেদিন শুরুর একাদশে নেমে ভালোই খেলছিলেন ভিনিসিয়ুস। সুযোগ পেলেই ভীতি ছড়াচ্ছিলেন কাতালান রক্ষণভাগে। জুড বেলিংহামের গোলে অবদানও রাখেন। এরপরও পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে এই উইঙ্গারকে তুলে নেন জাবি আলোনসো। বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেননি ভিনিসিয়ুস। মাঠেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এমনকি টানেলে প্রবেশ করার সময় রিয়াল ছাড়ার হুমকি দেন ভিনিসিয়ুস।
বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ শেষে কথা বলেন আলোনসো। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান লস ব্লাঙ্কোসদের কোচ। তবে ভিনিসিয়ুস ক্ষমা চাওয়ায় আলোচিত বিষয়টি নিয়ে পানি বেশিদূর গড়াল না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ভিনিসিয়ুস লিখেছেন, ‘এল ক্লাসিকোতে আমাকে তুলে নেওয়ার পর যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি এজন্য রিয়াল মাদ্রিদের সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আজ অনুশীলনের সময় আমি যেমন ব্যক্তিগতভাবে করেছি, তেমনি আবারও আমার সতীর্থ, ক্লাব এবং সভাপতির কাছে ক্ষমা চাই।’
আবেগের বর্শবর্তী হয়েই সেদিন ওই আচরণ করেছেন ভিনিসিয়ুস। তাঁর ভাষায়, ‘কখনও কখনও আমার আবেগ আমার উপর প্রভাব ফেলে; আমি সবসময় জিততে এবং আমার দলকে সাহায্য করতে চাই। আমার প্রতিযোগিতামূলক স্বভাব এই ক্লাব এবং এর প্রতিনিধিত্বকারী সবকিছুর প্রতি আমার ভালোবাসা থেকেই উদ্ভূত হয়। আমি প্রথম দিন থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ভালোর জন্য প্রতি মুহূর্তে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। অনভিজ্ঞ তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে নেওয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার মুখেও পড়েছেন নির্বাচকেরা। বিপিএলে এখন পর্যন্ত বলার মতো ইনিংস দেখা যায়নি ইমনের ব্যাটে...
১৫ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা অবশ্যই জিততে হতো। কিন্তু আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ।
১০ মিনিট আগে
বোলাররা কী দারুণভাবে নিজেদের কাজটা করেছেন। ১১ ওভারেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে রান ১ উইকেটে ১০৬, এখান থেকে ক্যারিবীয়রা ২০ ওভারে ১৫০ রানও তুলতে পারেনি। চট্টগ্রামে ১৫০ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারিনি বাংলাদেশ। ১৪ রানে ম্যাচটা হেরে লিটনরা যেন ড্যারেন স্যামির কথাটাই সত্যি প্রমাণ করলেন।
১২ ঘণ্টা আগে