রানা আব্বাস
ঢাকা: জিম্বাবুয়ে সফরের ফ্লাইট ছিল ভোররাতে। গভীর রাতেই তাসকিন আহমেদকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে গেছেন সাবিত রায়হান। পারলে সাবিতকে সঙ্গে করে জিম্বাবুয়েতেই নিয়ে যান তাসকিন!
তাসকিনের ক্রিকেটীয় জীবনের সঙ্গে সাবিতের যোগ কী? আছে। বড় যোগ আছে। তাসকিন নিজেই খোলাসা করলেন সেটি, ‘তিনি আমার মাইন্ড ট্রেনার। অনেকটা কোচের মতো। আমাকে মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। আমার ইতিবাচক জিনিসগুলো বেশি বেশি তুলে ধরে হতাশা আর নেতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে শেখান।’
উড়ানে চাপার আগমুহূর্তে তাসকিনকে ফোন দেওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি, লক্ষ্য, চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি শোনার উদ্দেশ্যে। কিন্তু ২৬ বছর বয়সী পেসারের সঙ্গে কথোপকথনের বেশির ভাগ অংশজুড়েই থাকল তাঁর মনস্তাত্ত্বিক বিষয় আর সাবিত রায়হান–প্রসঙ্গ। তাসকিন একাধিকবার জানালেন, এই মানুষটি তাঁকে কীভাবে বদলে দিয়েছেন গত দুই বছরে। ২০১৮, ১৯, ২০—টানা তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থেকে হতাশার রাজ্যে হাবুডুবু খাওয়া তাসকিনকে ফিরে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছেন সাবিতই।
স্কিল, ফিটনেস ট্রেনিং তো আছেই। কেন একজন মাইন্ড ট্রেনারের দরকার হয়েছে, সেটি খুলে বললেন তাসকিন, ‘শরীর ঠিক রাখতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করি। মাঠে ভালো করতে দক্ষতার অনুশীলন করি। কিন্তু মনের জন্যও ট্রেনিং দরকার। মানসিকভাবে আমি একজন নেগেটিভ পারসন। শুধু অবসাদে ভুগি। এটা চলতে থাকলে ভালো কিংবা খারাপ খেলি—শান্তিতে থাকতে পারব না। খারাপ খেললে এমনি সবাই গালি দেয়। বাদ পড়লে, চোটে পড়লে নানান চাপ আসে। সাবিত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করছি এসব ভালোভাবে সামলাতে।’
২০১৯ বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেও (১২ ম্যাচে ২২ উইকেট) শেষ মুহূর্তে চোটে পড়ায় নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তাসকিন। এই চোট কাটিয়ে ফেরা হয়নি বিশ্বকাপ দলেও। বিশ্বকাপ দলে না থাকতে পেরে অঝোরে কেঁদেছেন। দিনের পর দিন হতাশায় ভুগেছেন। বিবর্ণ এই দিনগুলোতেই তিনি খোঁজ পেয়েছেন একজন সাবিত রায়হানের। মানসিকভাবে চাঙা হয়ে গত বছর লকডাউনে নতুন করে শুরু করেছেন তাসকিন। চোটাঘাতে বারবার ধাক্কা খাওয়া ক্যারিয়ারটা নতুনভাবে গুছিয়ে নিতে শুরু করেছেন। সেটির ফল হিসেবে গত কয়েক মাসে অন্য তাসকিনকে দেখা যাচ্ছে।
গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে চার বছর বিরতি দিয়ে ফিরেছেন টেস্ট ক্রিকেটে। দুই টেস্টেই ধারাবাহিক ভালো বোলিং করেছেন। পাল্লেকেলেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তো ক্যারিয়ারসেরা বোলিংই করলেন (৪/১২৭)। ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন মে মাসে ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও। পূর্ণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫০ উইকেট। পরিসংখ্যানটা অবশ্য তাঁর মুখে যেমন হাসি ফুটিয়েছে, মনের গভীর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাসও ঝরেছে। ক্যারিয়ার থেকে তিনটি বছর যদি হারিয়ে না যেত, এত দিন উইকেটসংখ্যা ‘৫০’–এর জায়গায় ‘১০০’ থাকতে পারত। তাসকিন অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতে চান না, ‘এসব নিয়ে ভাবতে চাই না। যেটা আমার ভুল ছিল, সেখান থেকে শিখেছি। সামনে একই ভুল হবে না। দেশের হয়ে যে ম্যাচেই সুযোগ পাই, ভালো করতে চাই। মাশরাফি ভাই, সাকিব ভাইয়ের মতো আমারও যেন ক্যারিয়ার শেষে অনেক উইকেট থাকে। এটাই আমার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’
সেই লক্ষ্য কতটা পূরণ হবে, সময় বলে দেবে। আপাতত সামনে জিম্বাবুয়ে সফর। এই সফরেও ভালো করার প্রত্যয় তাসকিনের, ‘প্রতিটি বিদেশ সফরই চ্যালেঞ্জিং। আর জিম্বাবুয়েতে জিম্বাবুয়ে শক্তিশালী দল। ওদের সঙ্গে ভালো খেলেই জিততে হবে। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করব।’
ঢাকা: জিম্বাবুয়ে সফরের ফ্লাইট ছিল ভোররাতে। গভীর রাতেই তাসকিন আহমেদকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে গেছেন সাবিত রায়হান। পারলে সাবিতকে সঙ্গে করে জিম্বাবুয়েতেই নিয়ে যান তাসকিন!
তাসকিনের ক্রিকেটীয় জীবনের সঙ্গে সাবিতের যোগ কী? আছে। বড় যোগ আছে। তাসকিন নিজেই খোলাসা করলেন সেটি, ‘তিনি আমার মাইন্ড ট্রেনার। অনেকটা কোচের মতো। আমাকে মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। আমার ইতিবাচক জিনিসগুলো বেশি বেশি তুলে ধরে হতাশা আর নেতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে শেখান।’
উড়ানে চাপার আগমুহূর্তে তাসকিনকে ফোন দেওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি, লক্ষ্য, চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি শোনার উদ্দেশ্যে। কিন্তু ২৬ বছর বয়সী পেসারের সঙ্গে কথোপকথনের বেশির ভাগ অংশজুড়েই থাকল তাঁর মনস্তাত্ত্বিক বিষয় আর সাবিত রায়হান–প্রসঙ্গ। তাসকিন একাধিকবার জানালেন, এই মানুষটি তাঁকে কীভাবে বদলে দিয়েছেন গত দুই বছরে। ২০১৮, ১৯, ২০—টানা তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থেকে হতাশার রাজ্যে হাবুডুবু খাওয়া তাসকিনকে ফিরে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছেন সাবিতই।
স্কিল, ফিটনেস ট্রেনিং তো আছেই। কেন একজন মাইন্ড ট্রেনারের দরকার হয়েছে, সেটি খুলে বললেন তাসকিন, ‘শরীর ঠিক রাখতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করি। মাঠে ভালো করতে দক্ষতার অনুশীলন করি। কিন্তু মনের জন্যও ট্রেনিং দরকার। মানসিকভাবে আমি একজন নেগেটিভ পারসন। শুধু অবসাদে ভুগি। এটা চলতে থাকলে ভালো কিংবা খারাপ খেলি—শান্তিতে থাকতে পারব না। খারাপ খেললে এমনি সবাই গালি দেয়। বাদ পড়লে, চোটে পড়লে নানান চাপ আসে। সাবিত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করছি এসব ভালোভাবে সামলাতে।’
২০১৯ বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেও (১২ ম্যাচে ২২ উইকেট) শেষ মুহূর্তে চোটে পড়ায় নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তাসকিন। এই চোট কাটিয়ে ফেরা হয়নি বিশ্বকাপ দলেও। বিশ্বকাপ দলে না থাকতে পেরে অঝোরে কেঁদেছেন। দিনের পর দিন হতাশায় ভুগেছেন। বিবর্ণ এই দিনগুলোতেই তিনি খোঁজ পেয়েছেন একজন সাবিত রায়হানের। মানসিকভাবে চাঙা হয়ে গত বছর লকডাউনে নতুন করে শুরু করেছেন তাসকিন। চোটাঘাতে বারবার ধাক্কা খাওয়া ক্যারিয়ারটা নতুনভাবে গুছিয়ে নিতে শুরু করেছেন। সেটির ফল হিসেবে গত কয়েক মাসে অন্য তাসকিনকে দেখা যাচ্ছে।
গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে চার বছর বিরতি দিয়ে ফিরেছেন টেস্ট ক্রিকেটে। দুই টেস্টেই ধারাবাহিক ভালো বোলিং করেছেন। পাল্লেকেলেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তো ক্যারিয়ারসেরা বোলিংই করলেন (৪/১২৭)। ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন মে মাসে ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও। পূর্ণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫০ উইকেট। পরিসংখ্যানটা অবশ্য তাঁর মুখে যেমন হাসি ফুটিয়েছে, মনের গভীর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাসও ঝরেছে। ক্যারিয়ার থেকে তিনটি বছর যদি হারিয়ে না যেত, এত দিন উইকেটসংখ্যা ‘৫০’–এর জায়গায় ‘১০০’ থাকতে পারত। তাসকিন অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতে চান না, ‘এসব নিয়ে ভাবতে চাই না। যেটা আমার ভুল ছিল, সেখান থেকে শিখেছি। সামনে একই ভুল হবে না। দেশের হয়ে যে ম্যাচেই সুযোগ পাই, ভালো করতে চাই। মাশরাফি ভাই, সাকিব ভাইয়ের মতো আমারও যেন ক্যারিয়ার শেষে অনেক উইকেট থাকে। এটাই আমার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’
সেই লক্ষ্য কতটা পূরণ হবে, সময় বলে দেবে। আপাতত সামনে জিম্বাবুয়ে সফর। এই সফরেও ভালো করার প্রত্যয় তাসকিনের, ‘প্রতিটি বিদেশ সফরই চ্যালেঞ্জিং। আর জিম্বাবুয়েতে জিম্বাবুয়ে শক্তিশালী দল। ওদের সঙ্গে ভালো খেলেই জিততে হবে। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করব।’
তিন বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে আছেন হাভিয়ের কাবরেরা। যদিও সাফল্যের পাল্লা খুব বেশি ভারী নয়। ৩১ ম্যাচে ডাগআউটে থেকে মাত্র ৯ ম্যাচে জয় পেয়েছেন। তাঁর কৌশল বরাবরই সমালোচনার জন্ম দেয় সমর্থকদের মধ্যে। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আস্থা হারাননি তিনি।
১২ মিনিট আগেহামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে দুর্দান্ত অভিষেকের পর থেকেই প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ বেড়েছে। কদিন আগে অভিষেক হয়ে গেছে ইতালিপ্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদু্ল ইসলাম। আলোচিত আরেক প্রবাসী শমিত শোম এখন বাংলাদেশের জার্সিতে ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছেন।
৩১ মিনিট আগেনরওয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছিল ইতালি। আজ ইতালি নামবে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বাছাইপর্বের ম্যাচে খেলতে নামবে ইতালি-মলদোভা। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে আজ কী কী খেলা রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেএভাবেও ফিরে আসা যায়—কার্লোস আলকারাজের গত রাতের ম্যাচ দেখে অনেকের এমন কথাই মনে পড়াটা স্বাভাবিক। আর একটু হলেই ম্যাচটা যেখানে হেরে বসতেন, সেখানে জয় তো অনেক দূরের পথ। তবে নিজের ওপর ভরসা রেখে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়েছেন। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে।
৩ ঘণ্টা আগে