অনলাইন ডেস্ক
আগুনে ম্যাচটা তখন শেষ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নানা তর্ক-বিতর্ক পেরিয়ে বাংলাদেশ হেসেছে জয়ের হাসি। জয়ের হাসিই শুধু নয়, বাংলাদেশের বুক থেকে নেমে গেছে বিরাট এক পাথর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ—তখন ওটাই বড় স্বস্তি। এমন স্বস্তিকর মুহূর্তে মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমামকে সাকিব আল হাসান জানালেন, একটা আঙুল গেছে!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর দিকে বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পান সাকিব। আঙুলে ব্যথানাশক স্প্রে, সাপোর্টিং টেপ লাগিয়ে খেলা চালিয়ে যান। বাইরে থেকে একটুও বোঝার উপায় ছিল না সাকিব কত বড় চোট নিয়ে খেলছেন। হারতে হারতে ক্লান্ত দলকে জেতানোর তাড়া, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে তুমুল আলোচিত-বিতর্কিত আর সেটির জেরে লঙ্কান ফিল্ডারদের তীব্র স্লেজিংয়ের শিকার—দাঁতে দাঁত চেপে সাকিব শুধুই লড়েছেন। ৬৫ বলে ৮২ রান করেছেন, নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৬৯ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জুটি গড়েছেন। দলকে জিতিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর হাতের আঙুলে টেপ প্যাঁচানো দেখলেও সংবাদকর্মীদের কারও চোখে অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। খেলতে গেলে এ রকম টুকটাক চোটাঘাত সবারই থাকে। চোট নিয়ে সেদিন সংবাদ সম্মেলনে তাই একটি প্রশ্নও হয়নি।
সাকিবের চোট যে এত গুরুতর, জানা গেল এক্স-রে রিপোর্টে। দিল্লিতে জরুরি ভিত্তিতে করা তাঁর এক্স-রেতে চিড় ধরা পড়ে। পরদিন বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ খেলতে ধরেন পুনের ফ্লাইট, আর সাকিব হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে ফিরলেন ঢাকায়। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ তাঁর চিরতরে শেষ। এখন যে প্রেক্ষাপট, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সাকিবের শেষ ম্যাচও হয়ে থাকতে পারে ওটা।
অথচ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলার যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে ম্যাচটা জিততে সাকিব সেদিন কী না করেছিলেন! ক্রিকেটীয় চেতনার তোয়াক্কা না করে নিজের ইমেজ বিসর্জন দিয়ে দেশের মান রক্ষার চেষ্টা করেছেন। গত জুনে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচে এটা যদি না হতো, আজকে বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পারত না। আর নিয়ে আসে নীতির কথা! আসল সময়ে বাংলাদেশে নীতির কথা কমই আসে। আমরা দেখানো নীতিতে বিশ্বাসী।’
বাংলাদেশ দল আগামী মাসে খেলতে যাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। দলও ঘোষণা হয়েছে। সাকিবের জায়গা হয়নি দলে। যেহেতু বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা, বিসিবির নির্বাচক প্যানেল তাঁকে শুধু ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করছে না। যে টুর্নামেন্ট খেলার জন্য বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এত কিছু করেছেন, সেটিতে এখন তিনি শুধুই দর্শক! ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বর্ণিল অধ্যায় পেছনে ফেলে সাকিব হয়তো চেষ্টা করবেন আরও কিছুদিন ঘরোয়া বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে যেতে। কিন্তু সেটি করতেও এখন বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস করতে হবে তাঁকে। আর এবার তিনি পরীক্ষা দিতে চান ভালো প্রস্তুতি নিয়ে।
আগুনে ম্যাচটা তখন শেষ। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নানা তর্ক-বিতর্ক পেরিয়ে বাংলাদেশ হেসেছে জয়ের হাসি। জয়ের হাসিই শুধু নয়, বাংলাদেশের বুক থেকে নেমে গেছে বিরাট এক পাথর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ—তখন ওটাই বড় স্বস্তি। এমন স্বস্তিকর মুহূর্তে মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমামকে সাকিব আল হাসান জানালেন, একটা আঙুল গেছে!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর দিকে বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পান সাকিব। আঙুলে ব্যথানাশক স্প্রে, সাপোর্টিং টেপ লাগিয়ে খেলা চালিয়ে যান। বাইরে থেকে একটুও বোঝার উপায় ছিল না সাকিব কত বড় চোট নিয়ে খেলছেন। হারতে হারতে ক্লান্ত দলকে জেতানোর তাড়া, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে তুমুল আলোচিত-বিতর্কিত আর সেটির জেরে লঙ্কান ফিল্ডারদের তীব্র স্লেজিংয়ের শিকার—দাঁতে দাঁত চেপে সাকিব শুধুই লড়েছেন। ৬৫ বলে ৮২ রান করেছেন, নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১৬৯ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জুটি গড়েছেন। দলকে জিতিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর হাতের আঙুলে টেপ প্যাঁচানো দেখলেও সংবাদকর্মীদের কারও চোখে অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। খেলতে গেলে এ রকম টুকটাক চোটাঘাত সবারই থাকে। চোট নিয়ে সেদিন সংবাদ সম্মেলনে তাই একটি প্রশ্নও হয়নি।
সাকিবের চোট যে এত গুরুতর, জানা গেল এক্স-রে রিপোর্টে। দিল্লিতে জরুরি ভিত্তিতে করা তাঁর এক্স-রেতে চিড় ধরা পড়ে। পরদিন বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ খেলতে ধরেন পুনের ফ্লাইট, আর সাকিব হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে ফিরলেন ঢাকায়। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ তাঁর চিরতরে শেষ। এখন যে প্রেক্ষাপট, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সাকিবের শেষ ম্যাচও হয়ে থাকতে পারে ওটা।
অথচ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খেলার যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে ম্যাচটা জিততে সাকিব সেদিন কী না করেছিলেন! ক্রিকেটীয় চেতনার তোয়াক্কা না করে নিজের ইমেজ বিসর্জন দিয়ে দেশের মান রক্ষার চেষ্টা করেছেন। গত জুনে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচে এটা যদি না হতো, আজকে বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পারত না। আর নিয়ে আসে নীতির কথা! আসল সময়ে বাংলাদেশে নীতির কথা কমই আসে। আমরা দেখানো নীতিতে বিশ্বাসী।’
বাংলাদেশ দল আগামী মাসে খেলতে যাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। দলও ঘোষণা হয়েছে। সাকিবের জায়গা হয়নি দলে। যেহেতু বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা, বিসিবির নির্বাচক প্যানেল তাঁকে শুধু ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করছে না। যে টুর্নামেন্ট খেলার জন্য বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এত কিছু করেছেন, সেটিতে এখন তিনি শুধুই দর্শক! ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বর্ণিল অধ্যায় পেছনে ফেলে সাকিব হয়তো চেষ্টা করবেন আরও কিছুদিন ঘরোয়া বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে যেতে। কিন্তু সেটি করতেও এখন বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস করতে হবে তাঁকে। আর এবার তিনি পরীক্ষা দিতে চান ভালো প্রস্তুতি নিয়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার বাঁশি বাজালেন রেফারি। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া বসুন্ধরা কিংসের কোচ ভালেরিউ তিতাকে তখন বেশ উত্তপ্ত দেখা যায়। সে জন্য হলুদ কার্ডও হজম করতে হয় তাঁকে। তারপর রেফারি বাকি অংশের খেলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু দুই দলের সঙ্গে আলোচনা করে আলোকস্বল্পতার কার
১৮ মিনিট আগেটেস্টে টানা ১২ ইনিংসে ফিফটিতে পৌঁছাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এ ব্যাটারের শেষ ৪ টেস্ট ইনিংস এক অঙ্কের ঘরে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণকে বিদায় বলা মুশফিকের ফোকাস শুধু এখন টেস্টে। তাঁর সিরিয়াসনেস ও প্রস্তুতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে না। কিন্তু বেশ লম্বা সময় ছন্দহীন
২৯ মিনিট আগেকালবৈশাখীর পর শঙ্কা নিয়েই শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গেলে খেলা চালাতে পারবেন তো রেফারি। সেই শঙ্কাই সত্যি হলো শেষ পর্যন্ত। অতিরিক্ত সময়ের ১০৫ মিনিটের পর আলোকস্বল্পতার কারণে আর খেলা মাঠে গড়াতে পারেনি। স্থগিত ঘোষণা করা হয় ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী লিমিটেডের
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ নাকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ—কে উঠবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে, সেটা নিয়ে দোটানা ছিল বাছাইপর্বের শেষ দিন ১৯ এপ্রিল। শেষ পর্যন্ত সমীকরণের হিসেবে উঠে যায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের টিকিট কাটার পর আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে দলের কয়েকজন ক্রিকেটারদের।
৩ ঘণ্টা আগে