Ajker Patrika

‘মিরাজ খেললে লড়াইটা ভালো হবে’

ক্রীড়া ডেস্ক    
লঙ্কানরা ভয় পাচ্ছে না মিরাজকে, তবে লড়াইটা ভালো হবে বলছেন ধনাঞ্জয়া। ছবি: এএফপি
লঙ্কানরা ভয় পাচ্ছে না মিরাজকে, তবে লড়াইটা ভালো হবে বলছেন ধনাঞ্জয়া। ছবি: এএফপি

কলম্বোয় কাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে ফিরছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অলরাউন্ডারকে পেয়ে নিশ্চয়ই ফিল সিমন্স একাদশ তৈরিতে ভালো সমন্বয় পাবেন। প্রথম টেস্টের পর বাংলাদেশ কোচ বলেছিলেন, মিরাজ ফিট না থাকায় দলের সমন্বয় নিয়েও তিনি চিন্তার কথা বলেছিলেন।

দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে পেয়ে আজ আবার উচ্ছ্বসিত কণ্ঠ সিমন্সের, ‘মিরাজ যে কাল খেলবে, সেটা দেখে আপনি নিশ্চিত। সে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার। তার অন্তর্ভুক্তি ব্যাটে-বলে দলের শক্তি বাড়াবে।’ টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের তালিকায় দুই নম্বরে মিরাজ।

কলম্বো টেস্টে সিমন্সের ট্রাম্পকার্ড হতে পারেন মিরাজ। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ঝলক দেখিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন তিনি। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে তিনি কতটা ছন্দে আছেন, সেটার পক্ষে কথা বলবে পরিসংখ্যান। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৭ উইকেট তাঁর। মিরাজের চেয়ে বেশি ৯৯ উইকেট তাইজুল ইসলামের।

পাকিস্তান সফরে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়েও মিরাজ ছিলেন সিরিজসেরা। কলম্বো টেস্টেও লঙ্কানদের জন্য ‘থ্রেট’ হবেন মিরাজ? সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা অবশ্য ব্যাপারটি উড়িয়ে দিয়েছেন। মিরাজকে হুমকি হিসেবে দেখছেন না তিনি। তবে মিরাজের উপস্থিতি লড়াই আরও জমিয়ে তুলতে পারে।

মিরাজ প্রসঙ্গে ধনাঞ্জয়া বললেন, ‘মিরাজকে সেভাবে থ্রেট (হুমকি) হিসেবে ভাবছি না। সে আমাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের হোম কন্ডিশনে সর্বশেষ কিছু টেস্টেও খেলেছে। সে দেশের হয়ে দারুণ খেলছে। খুব বড় হুমকি হিসেবে দেখছি না। তবে লড়াইটা ভালো হবে।’

গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে শান্ত-মুশফিকের ২৬৪ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। তাঁদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন ধনাঞ্জয়। সমীহর চোখে দেখছেন সব, ‘অবশ্যই, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক দল। গত কয়েক সিরিজ ধরে তারা খুবই ভালো করছে। এমন উইকেট কাজে লাগাতে হয়। আমাদের দ্রুত ব্রেক-থ্রুর পরও শান্ত ও মুশফিক খুব ভালো করেছে, প্রয়োজনীয় রান তুলে ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডাফির বোলিং তোপে তিন দিনেই হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৩
৯ উইকেটে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো
৯ উইকেটে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে হারের পথেই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু জাস্টিন গ্রিভস, শাই হোপ, কেমার রোচরা ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ানোয় শেষ পর্যন্ত হার এড়িয়ে জয় সমতূল্য ড্র করে ক্যারিবীয়রা। কিন্তু ওয়েলিটন টেস্টে আর তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি করতে পারেনি তারা। জ্যাকব ডাফির বোলিং তোপে ৯ উইকেটে বড় ব্যবধানে হেরেছে সফরকারীরা। তাও আবার মাত্র তিন দিনেই।

নিউজিল্যান্ডের সামনে মাত্র ৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টম লাথামের উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকের। ডেভন কনওয়ে ২৮ ও কেইন উইলিয়ামসন ১৬ রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হবে। সিরিজ হার এড়াতে চাইলে সে ম্যাচে জিততেই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। অন্যদিকে ন্যূনতম হার এড়ালেই ১-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেবে টম লাথামের দল।

প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ২৭৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। ৭৩ রানে পিছিয়ে থাকা অতিথিদের দ্বিতীয় ইনিংসটা ছিল আরও বাজে। এ যাত্রায় ১২৮ রান গুটিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩২ রানে ২ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ ব্যাট করতে নেমে ডাফি, মিচেল রের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে টিকতেই পারেনি।

শেষ ৯৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন কাভেম হজ। এছাড়া গ্রিভস ২৫ ও ব্রেন্ডন কিং করেন ২২ রান। ৩৮ রানে ৫ উইকেট নেন ডাফি। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। রের শিকার ৩ উইকেট। ৪৫ রান খরচ করেন এই পেসার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকেলে বসুন্ধরা-মোহামেডান লড়াই, কীভাবে দেখবেন

ক্রীড়া ডেস্ক    
দুই দলের ম্যাচের একটি অংশ। ছবি: সংগৃহীত
দুই দলের ম্যাচের একটি অংশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আজ মাঠে গড়াবে একটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ। বিকেলে মাঠে নামবে দেশের ফুটবলের দুই জনপ্রিয় ক্লাব বসুন্ধরা এবং মোহামেডান। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আইএল টি-টোয়েন্টিতেও আছে একটি ম্যাচ। একনজরে আজকের টিভি সূচি।

ক্রিকেট

ওয়েলিংটন টেস্ট: তৃতীয় দিন

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ভোর ৪টা, সরাসরি

টি স্পোর্টস

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

ভারত-আরব আমিরাত

বেলা ১১টা, সরাসরি

টি স্পোর্টস

আইএল টি-টোয়েন্টি

ডেজার্ট ভাইপার্স-গালফ জায়ান্টস

রাত ৮টা ৩০ মিনিট, সরাসরি

টি স্পোর্টস

ফুটবল

বাংলাদেশ ফুটবল লিগ

বসুন্ধরা-মোহামেডান

বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট, সরাসরি

টি স্পোর্টস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘আগে জানত না, বিশ্বকাপের পর এখন বাংলাদেশকে সবাই চেনে’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। ছবি: বিএইচএফ
বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। ছবি: বিএইচএফ

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংবাদকর্মীদের ভিড়। শেষ কবে হকির ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গিয়েছিল মনে করা কঠিন। দেশের হকি আলোচনায় আসে বিতর্কিত ঘটনায়। এবার নেতিবাচক কিছু নয়, ভালো খেলে সুনাম বয়ে আনল অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়েছে তারা। মাথা উঁচু করেই ভারত থেকে আজ ফিরেছে দেশে।

২৪ দলের বিশ্বকাপ বাংলাদেশ শেষ করেছে ১৭ নম্বরে থেকে। এই অবস্থান দেখে অর্জনটা পরিষ্কার হবে না। বাংলাদেশ অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে জিতেছে চ্যালেঞ্জার ট্রফি। অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে হারলেও লড়াই করেছে চোখে চোখ রেখে। বিশেষ করে আমিরুল ইসলাম তো তাঁর ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিকের ক্ষমতা দিয়ে নজর কেড়েছেন পুরো হকি বিশ্বের। ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করে জিতেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।

আজ আমিরুল বলেন, ‘আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, তা আমরা পূরণ করে এসেছি। খুব ভালো খেলেছি।’ আমিরুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ সিগফ্রাইড আইকম্যানও, ‘অবশ্যই সে স্পেশাল। কিন্তু আমরা তার গুণগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। পুরো দল তার শক্তির জন্য খেলেছে, তাকে গোল করার অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে। আমরা পেনাল্টি কর্নার নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করেছি। ফরোয়ার্ডরা পিসি আদায়ের চেষ্টা করেছে।’

বাংলাদেশের সাফল্যের রহস্য জানতে উদ্গ্রীব ছিল অন্য দলগুলোও। আইকম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু চ্যালেঞ্জার কাপ জেতেনি, পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। টুর্নামেন্টে থাকা সব দলই বাংলাদেশের কথা বলছিল। হঠাৎ করে সবাই বাংলাদেশকে চিনেছে। আগে খুব একটা জানত না, এখন জানে। আর আমাদের খেলোয়াড়দের তারা ভালোবেসেছে। জিজ্ঞেস করছে, তোমাদের রহস্য কী? এমনটা আগে কখনো হয়নি। বড় বড় দেশও জানতে চাইছে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা কীভাবে এমনটা করল।’

সাফল্য এখন জমা পড়েছে অতীতের খাতায়। আইকম্যান আর চুক্তি নবায়ন করছেন না। তবে ঠিকই পরামর্শ দিয়েছেন সামনে এগোতে হলে কী করতে হবে। ডাচ কোচ বলেন, ‘আমি চাই তারা আরও অনুশীলন করুক, এই যাত্রা চালিয়ে যাক। কিন্তু অর্থের প্রয়োজন। আর যদি এগুলো না আসে, তিন সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে সবকিছু থেমে যাবে। এখন যে গতি তৈরি হয়েছে, সেটা হারানো যাবে না।’

সেই ছন্দ ধরে রাখতে খেলোয়াড়দের রাখতে হবে খেলার মধ্যে। অতীত পেছনে ফেলে আমিরুলরা ভাবতে চান বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে, ‘যদি খেলাটা নিয়মিত থাকে, তাহলে আমাদের পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে। ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল আনব। লিগে সবচেয়ে বেশি জোর দেব। লিগের কোনো বিকল্প নেই। এই প্রিমিয়ার লিগ, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ—এই টুর্নামেন্টগুলো যখন হবে, তখন বিদেশি যারা বা টপ লেভেলের খেলোয়াড়েরা আসবে, তখন তাদের থেকে আমরা নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারব।’

অনিশ্চয়তার ছায়া দূর করতে পারছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসানও। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় তিন মাস আগে একটা মিটিং করছিলাম প্রথম বিভাগের ক্লাবদের ডেকে। আমরা লিগটা শুরু করতে চাই। তারা আমাদের জানাল যে এখন টাকাপয়সার অভাব আছে। তিন-চার মাস করে সময় চেয়েছিল। এই ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত সময় চাইছিল। এ মাসে আমরা একটা চিঠি দেব।’

হকির এত বড় সাফল্য আসার পরও আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পুরস্কারের ঘোষণা আসেনি। রিয়াজুল বলেন, ‘আমি অপেক্ষায় আছি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আমাদের কী জানায়। সচিবের কাছে বলব যে এগিয়ে আসুন, আমরাও কিছু এগিয়ে আসি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিসিবিতে আসা মার্শাল কীভাবে ফিক্সিংয়ে জড়িত ক্রিকেটারদের ধরেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অ্যালেক্স মার্শাল, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের স্বাধীন চেয়ারম্যান। ফাইল ছবি
অ্যালেক্স মার্শাল, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের স্বাধীন চেয়ারম্যান। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) অতীতে অনেকবারই কলঙ্কিত হয়েছে ফিক্সিংয়ের কালো দাগে। গত বিপিএল যেন আগের সব টুর্নামেন্ট ছাড়িয়ে গেছে। এবার দুর্নীতি দমনে বিসিবি যুক্ত করেছে অ্যালেক্স মার্শালকে, যিনি আইসিসিতে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন সফলভাবে। ফিক্সিং কিংবা ক্রিকেটে দুর্নীতি দমন অ্যালেক্স কীভাবে সাফল্যে পেয়েছেন, সেটিই আজ ব্যাখ্যা করলেন সংবাদ সম্মেলনে।

ক্রিকেটে যাঁরা ফিক্সিং বা খেলাটা কলুষিত করার চেষ্টা করে, তাঁদের অনেকের কাছে আতঙ্কের নাম অ্যালেক্স মার্শাল। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের এই স্বাধীন চেয়ারম্যান জানালেন, তিনি কীভাবে পাকড়াও করেন ফিক্সিংয়ে জড়িতদের, ‘আমি ৮ বছর ধরে ক্রীড়া দুর্নীতি দমনে কাজ করছি। আমি অন্য কারও চেয়ে ক্রিকেটে বেশি লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি এবং তাদের অভিযুক্ত করেছি এবং নিষিদ্ধ করেছি ক্রিকেটের পুরো ইতিহাসে। এবং দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার সময় আমি কী করছি তা জানি। এগুলো অনেক সময় নেয়, আমি এটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করি, আমি এটা সঠিকভাবে করি, সব সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করি। যখন আমি ট্রাইব্যুনালে যাই, তখন আমার সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশের মতো হয়। কারণ, আমি হোমওয়ার্ক করি এবং যখন এটি ট্রাইব্যুনালে যায়, তখন আমার মামলায় প্রায় সবসময়ই (অভিযুক্তরা) দোষী সাব্যস্ত হয়। দুই-একটি ব্যতিক্রম থাকতে পারে। হ্যাঁ, সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাইনি এবং এখনো সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।’

এরই মধ্যে বিসিবি ৯ অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে রাখেনি সর্বশেষ বিপিএলের নিলামে। ২০২৬ বিপিএলকে পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার মার্শালের, ‘কিছু লোক আছে যারা বিপিএলের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলোতে দুর্নীতি দমন আইন লঙ্ঘন করে পার পেয়ে গেছে। সেই লোকেরা এই ইভেন্টটিকে টার্গেট করবে। আমি এবং আমার দল আইসিসির সহায়তায়, সেই লোকদের ছেঁটে ফেলার এবং তাদের এটি করা থেকে বিরত রাখতে অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছি। এবং কিছু লোক এখন থেকে বিপিএলে কিছু অপ্রীতিকর চমক দেখাবে।’

মার্শাল ক্রিকেটে জড়িত মানুষদের আহ্বান করছেন সন্দেহজনক যেকোনো কিছু মন খুলে শেয়ার করতে, যে সব গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁরা দেখবেন, ‘এখন সময় এসেছে গোপনে এগিয়ে আসার এবং আমাদের সঙ্গে কথা বলার। আপনার কথা শুনব, আমরা এটি গুরুত্ব সহকারে নেব, আপনি আমাদের যা বলবেন তা মিডিয়াতে প্রকাশিত হবে না।’

ফিক্সিং হওয়ার ক্ষেত্রে টিম হোটেল একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানে কীভাবে সন্দেহভাজন কিংবা জুয়াড়িমুক্ত করা হবে, সেটির কিছুটা ধারণা দিলেন মার্শাল, ‘খেলোয়াড়েরা যখন ক্রিকেট ম্যাচ থেকে দূরে থাকে, তখন তারা তালাবদ্ধ থাকে না এবং আমি সারা বিশ্বে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়েছি। খেলোয়াড়েরা গলফ খেলে, তারা কেনাকাটা করতে যায়, যাই হোক না কেন। হোটেলের পরিবেশ খুবই আকর্ষণীয়। কারণ, দুর্নীতি দমন আইনের কিছু লঙ্ঘন হোটেলের পরিবেশে ঘটে যাওয়া নৈমিত্তিক কথোপকথন এবং অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের মাধ্যমে তৈরি হয়। হোটেলে লোকেদের কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করব আমরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত