আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
মাত্র এক মাসের মধ্যে পুরো দৃশ্য ওলটপালট। কদিন আগেও যে জায়গায় বিশাল সাইনবোর্ডে জ্বলজ্বল করছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম, সেটির নাম-নিশানাই এখন খুঁজে পাওয়া যাবে না! পূর্বাচলে নির্মিতব্য বিসিবির বিলাসী প্রকল্প ‘দ্য বোট’ নামে পরিচিতি পাওয়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামও ব্যতিক্রম নয়।
অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরুর পরই বিসিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, বন্ধ করতে হবে পূর্বাচল স্টেডিয়ামের যাবতীয় নির্মাণপ্রক্রিয়া। বিসিবি দ্রুতই স্টেডিয়ামের টেন্ডারপ্রক্রিয়া বাতিল করে। গতকাল নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ পূর্বাচলে যান সরেজমিনে স্টেডিয়ামের জায়গা দেখতে। তাঁর আগমন উপলক্ষে সকালে দেখা গেল, প্রকল্প এলাকায় যেসব ব্যানারে ‘শেখ হাসিনা’ নাম ছিল, সব মুছে ফেলার তোড়জোড়। স্টেডিয়ামের নির্মাণের প্রকল্প অফিসের কর্মীদের ডেকে বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের ন্যাশনাল ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেনকে বলতে শোনা যায়, ‘কোথাও শেখ হাসিনার কোনো নাম থাকবে না! সাইনবোর্ডের মধ্যে নাম থাকলে মুছে ফেলো!’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগের নাম বদলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এমনকি একটি স্টেডিয়ামের নকশা কেন একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীকের আদলে হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন হতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিসিবির এই কর্মকর্তারাই কদিন আগে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়েছেন, এমনকি গত এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ায় ‘প্লেজার ট্রিপ’ দিয়ে এসেছেন। জমি ক্রয়ে পার্সেন্টেজ নেওয়া থেকে শুরু করে মাটি কেনার সিন্ডিকেটসহ যাবতীয় অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনে পাল্টে যাচ্ছেন তাঁরা, মিশে থাকছেন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে।
প্রায় এক দশক ধরে পূর্বাচলে একটি স্টেডিয়ামের কথা শুনিয়ে আসছিলেন নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বিগত পরিচালনা পর্ষদ। সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র পাওয়া ৩৭ দশমিক ৪৯৩ একর জমিতে শেখ হাসিনার নামে নৌকার আদলে বিশাল একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন পাপনরা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা ‘বিলাসী’ প্রকল্প হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিজেদের অর্থায়নে করতে যাওয়া পূর্বাচলের এই স্টেডিয়াম ভেন্যুর নির্মাণ ব্যয় শুরুতে ছিল ৯০০ কোটি টাকা। পরে সম্ভাব্য ব্যয় হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। স্টেডিয়ামের নকশা তৈরিতে পরামর্শক ফি ধরা হয়েছিল প্রায় ৬ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরামর্শককে এখন পর্যন্ত যে টাকা দেওয়া হয়েছে, বেশির ভাগই গচ্চা!
আগের বোর্ডের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরে এসে ফারুক চাইছেন পূর্বাচলে শুধুই খেলার উপযোগী মাঠ তৈরি করতে। গতকাল সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আপাতত একটা মাঠ তৈরি করে যত দ্রুত সম্ভব খেলা শুরু করতে চাই। নকশায় দেখেছি, এখানে দুটি মাঠের ডিজাইন আছে। কিন্তু এখন আমরা একটি মাঠ তৈরি করে খেলা শুরু করার দিকে যেতে চাচ্ছি। প্রয়োজনে পরে আরেকটি মাঠ সংযোজন করা হবে।’
পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের প্রশ্নে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মাঠ তৈরি করতে নৌকা বা স্কয়ার শেপ দরকার হয় না, মাঠ করতে দরকার ওভাল (ডিম্বাকৃতি)। আমরা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে আমাদের পরিচালনা পর্ষদে আলোচনা হবে। আপাতত নামের চেয়ে এখানে খেলা শুরু করাটাই মূল লক্ষ্য।’
মাত্র এক মাসের মধ্যে পুরো দৃশ্য ওলটপালট। কদিন আগেও যে জায়গায় বিশাল সাইনবোর্ডে জ্বলজ্বল করছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম, সেটির নাম-নিশানাই এখন খুঁজে পাওয়া যাবে না! পূর্বাচলে নির্মিতব্য বিসিবির বিলাসী প্রকল্প ‘দ্য বোট’ নামে পরিচিতি পাওয়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামও ব্যতিক্রম নয়।
অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরুর পরই বিসিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, বন্ধ করতে হবে পূর্বাচল স্টেডিয়ামের যাবতীয় নির্মাণপ্রক্রিয়া। বিসিবি দ্রুতই স্টেডিয়ামের টেন্ডারপ্রক্রিয়া বাতিল করে। গতকাল নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ পূর্বাচলে যান সরেজমিনে স্টেডিয়ামের জায়গা দেখতে। তাঁর আগমন উপলক্ষে সকালে দেখা গেল, প্রকল্প এলাকায় যেসব ব্যানারে ‘শেখ হাসিনা’ নাম ছিল, সব মুছে ফেলার তোড়জোড়। স্টেডিয়ামের নির্মাণের প্রকল্প অফিসের কর্মীদের ডেকে বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের ন্যাশনাল ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেনকে বলতে শোনা যায়, ‘কোথাও শেখ হাসিনার কোনো নাম থাকবে না! সাইনবোর্ডের মধ্যে নাম থাকলে মুছে ফেলো!’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগের নাম বদলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এমনকি একটি স্টেডিয়ামের নকশা কেন একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীকের আদলে হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন হতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিসিবির এই কর্মকর্তারাই কদিন আগে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়েছেন, এমনকি গত এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ায় ‘প্লেজার ট্রিপ’ দিয়ে এসেছেন। জমি ক্রয়ে পার্সেন্টেজ নেওয়া থেকে শুরু করে মাটি কেনার সিন্ডিকেটসহ যাবতীয় অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনে পাল্টে যাচ্ছেন তাঁরা, মিশে থাকছেন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে।
প্রায় এক দশক ধরে পূর্বাচলে একটি স্টেডিয়ামের কথা শুনিয়ে আসছিলেন নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বিগত পরিচালনা পর্ষদ। সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র পাওয়া ৩৭ দশমিক ৪৯৩ একর জমিতে শেখ হাসিনার নামে নৌকার আদলে বিশাল একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন পাপনরা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা ‘বিলাসী’ প্রকল্প হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিজেদের অর্থায়নে করতে যাওয়া পূর্বাচলের এই স্টেডিয়াম ভেন্যুর নির্মাণ ব্যয় শুরুতে ছিল ৯০০ কোটি টাকা। পরে সম্ভাব্য ব্যয় হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। স্টেডিয়ামের নকশা তৈরিতে পরামর্শক ফি ধরা হয়েছিল প্রায় ৬ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরামর্শককে এখন পর্যন্ত যে টাকা দেওয়া হয়েছে, বেশির ভাগই গচ্চা!
আগের বোর্ডের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরে এসে ফারুক চাইছেন পূর্বাচলে শুধুই খেলার উপযোগী মাঠ তৈরি করতে। গতকাল সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আপাতত একটা মাঠ তৈরি করে যত দ্রুত সম্ভব খেলা শুরু করতে চাই। নকশায় দেখেছি, এখানে দুটি মাঠের ডিজাইন আছে। কিন্তু এখন আমরা একটি মাঠ তৈরি করে খেলা শুরু করার দিকে যেতে চাচ্ছি। প্রয়োজনে পরে আরেকটি মাঠ সংযোজন করা হবে।’
পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের প্রশ্নে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মাঠ তৈরি করতে নৌকা বা স্কয়ার শেপ দরকার হয় না, মাঠ করতে দরকার ওভাল (ডিম্বাকৃতি)। আমরা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে আমাদের পরিচালনা পর্ষদে আলোচনা হবে। আপাতত নামের চেয়ে এখানে খেলা শুরু করাটাই মূল লক্ষ্য।’
শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা—গাণিতিক হিসেবে ৬০.২৮ শতাংশ! ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন সম্ভাবনা জাগিয়ে অনেকেই হারিয়ে গেছেন কিংবা অনেক আগেই থেমে যায় তাঁদের ক্যারিয়ার। কিন্তু জো রুট একদমই ভিন্ন। শচীনকে ছাড়িয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে দারুণভাবে ছুটছেন ইংলিশ এ ব্যাটার। পরিসং
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে হারারেতে ত্রিদেশীয় যুব ওয়ানডে সিরিজের আয়োজন করেছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ২৭৮ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুব ওয়ানডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন জরিক ফন স্কাল্কভিক (২১৫)। ছাড়িয়ে গেলেন সাত বছর আগে করা শ্রীলঙ্কার
৯ ঘণ্টা আগেখেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর মোহাম্মদ রফিককে সেভাবে দেখা যায়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে। এ ব্যাপারে সব সময় তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কাজে লাগায় না। তবে সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ঘোষণা দিয়েছিলেন রফিককে কাজে লাগাবেন। সে কথাই যেন রাখলেন।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সফর ভালো যায়নি পাকিস্তানের। ২-১ ব্যবধানে হেরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।
১২ ঘণ্টা আগে