Ajker Patrika

অধরা স্বপ্নকে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান ডলি

ওমর ফারুক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২২, ১৪: ০২
অধরা স্বপ্নকে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান ডলি

মানুষ তাঁর স্বপ্নের সমান বড়—অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের এই কথাটি সাবেক ক্রিকেটার ডলি রানি সরকারের জীবনের সঙ্গে যেন মিলে যায়। শৈশবের শুরুতে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। তারপর লম্বা সময় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলেছেন। তবে ডলির স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলের হয়ে খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও দমে যাননি। এখন অধরা সেই স্বপ্নটা নারী ক্রিকেটারদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে চান তিনি। কোচিংয়ের মাধ্যমে জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরির স্বপ্ন নওগাঁও থেকে উঠে আসা ডলি রানির। 

কয়েক দিন ধরেই মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে দেশি কোচদের লেভেল-২ প্রশিক্ষণ। সেখানে ত্রিশজনের মধ্যমণি ডলি। একমাত্র নারী কোচ হওয়ায় আলাদা করে নজর কেড়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানা যায় ক্রিকেটে আসার পথে কঠিন পথচলার গল্প। নিজের ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথাও এ সময় জানান তিনি। 

বাংলাদেশের ক্রিকেট তখন এত জনপ্রিয় ছিল না। নারী ক্রিকেট তো তেমন কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এমন একটি সময়ে ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা জাগে ডলির। কিন্তু নারীদের কোনো আলাদা দল না থাকায় ছেলেদের দলেই খেলতে হয়েছে তাকে। 

অবশ্য এ ক্ষেত্রে ছেলেরাও সাহায্য করেছিলেন ডলিকে। তিনি বলেছেন, ‘আমি ছেলেদের সঙ্গে খেলে বড় হয়েছি। তারা সমর্থন দিয়েছে বলেই আমি এত দূর এসেছি। মেয়েদের কাছ থেকে যতটা না অনুপ্রেরণা পেয়েছি, তার দ্বিগুণ পেয়েছি ছেলেদের থেকে।’ 

ডলি যোগ করেন, ‘আমি মাঠে যখন খেলতাম তখন ১০ জন ছেলের সঙ্গে আমি একজন মেয়ে। পাড়ায় যখন টুর্নামেন্ট কিংবা ম্যাচ হতো তখন আমাকে নিয়েই দল করা হতো। আমাকে বাদ দিলে অনেকেই খেলতে চাইত না। ওরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’ 

ছেলেরা সাহায্য করলেও গ্রামের অনেকে অবজ্ঞা আর অবহেলা করেছিলেন ডলিকে। তার পরিবারকেও পড়তে হয়েছিল সমালোচনার মুখে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সময় ক্রিকেট খেলাটা সহজ ছিল না। বাড়ি থেকে বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে বলত ছেলেদের সঙ্গে কেন মেয়েকে খেলতে দিচ্ছে! তা নিয়ে নানা কথা শোনাত। মানুষের কটু কথা, অবজ্ঞা, অবহেলা এসব পেরিয়েই বড় হয়েছি।’ 

ক্রিকেটের সঙ্গে বড় হওয়া ডলির স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে খেলা। কিন্তু সুযোগের অভাবে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। ২০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগটা হয়নি তাঁর। তাই নিজের স্বপ্নটা এখন অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। ডলি বলেছেন, ‘আমার এখন স্বপ্ন একটাই নিজে কখনো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাইনি তো, তাই আমি চাই আমার মাধ্যমে জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হোক।’ 

স্বপ্নের পথে হেঁটে চলা ডলি রানির মাঝে কোচিং দক্ষতা প্রথম দেখতে পান বিকেএসপির সাবেক বিদেশি কোচ মানজিৎ সিং। তারপর বিকেএসপির মাসুদ হাসানই তাঁর মাঝে কোচিংয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখেন। এরপর বিকেএসপির বিভিন্ন কোর্স করেছেন ডলি। তারপর বিসিবির লেভেল-১ করেছেন। এখন লেভেল-২ করছেন ডলি। বর্তমানে নারীদের ডিপিএলে রূপালী ব্যাংকের সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন ডলি রানি সরকার। 

এখন লেভেল-২ করতে এসে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ কোচ জেমি সিডন্স, রঙ্গনা হেরাথ ও দেশি কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, সোহেল হোসেনদের কাছ থেকে পাওয়া উপদেশগুলোকে কাজে লাগিয়ে নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান ডলি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাবা বিশ্বকাপে নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টারকে রুখে দিলেন বাংলাদেশের নীড়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়। ছবি: ফেসবুক
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়। ছবি: ফেসবুক

দাবা বিশ্বকাপে চমক দেখালেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়। প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার আরিয়ান তারিকে রুখে দিয়েছেন তিনি। তবে হেরেছেন আরেক বাংলাদেশি দাবাড়ু ফাহাদ রহমান।

ভারতের গোয়ায় আজ শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড। নীড় খেলতে বসেন সাদা ঘুঁটি নিয়ে। শুরুটা করেন রোসোলোমিও অ্যাটাক (অবস্থানগত আক্রমণ) কৌশলে। মিডল গেমে ভুল করলেও এন্ড গেমে দারুণ প্রতিরোধ দেখান তিনি। ফলে ৪২তম চালে গিয়ে ড্র মেনে নেন নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টারও।

সাদা ঘুঁটির সুবিধা পেয়েও ফাহাদ ছিলেন ভুলের মধ্যেই। শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করেন ম্যাচ ড্র করার। কিন্তু তাঁকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ইউক্রেনিয়ান গ্র্যান্ডমাস্টার ভাসিল ইভানচুকের।

কাল কালো ঘুঁটি নিয়ে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবেন নীড়-ফাহাদ। জিতলে নীড় পৌঁছে যাবেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবই বাংলাদেশের একমাত্র দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পেরেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০২৭ সাল পর্যন্ত শান্তই টেস্ট অধিনায়ক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৫
টেস্টে শান্তই থাকছেন অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত
টেস্টে শান্তই থাকছেন অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত

তিন সংস্করণেই একক অধিনায়কের মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। তাই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বিসিবির আলাদা আলাদা অধিনায়ক ঘোষণার পর টেস্ট নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শেষ পর্যন্ত তাঁর ওপরই আস্থা রেখেছে বিসিবি। তাই ২০২৭ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৫–২০২৭ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শেষ পর্যন্ত শান্ত থাকছেন সাদা পোশাকের নেতৃত্বে।

গতকাল বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নাজমুল হোসেন শান্ত চলতি ২০২৫–২০২৭ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

এই বিসিবির এই সিদ্ধান্তের আগেই নতুন টেস্ট অধিনায়ক কে হচ্ছেন, এ নিয়ে চলছিল অনেক আলোচনা। শান্তর বিকল্প হিসেবে ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের নামটিও শোনা গিয়েছিল। বিসিবি সভাপতি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিলেনও, আলোচনায় থাকা কয়েকজনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেই নতুন অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। শেষ পর্যন্ত শান্তকেই আরও দেড় বছরের জন্য রেখে দেওয়ার বোর্ডের। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলামের যুক্তি, ‘শান্ত টেস্ট ক্রিকেটে স্থিরতা, দায়িত্ববোধ ও গভীর উপলব্ধি দেখিয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে দলটির মধ্যে উন্নতি ও আত্মবিশ্বাস এসেছে। বোর্ড মনে করে, নেতৃত্বে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এই নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে।’

২০২৩ সালে টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর শান্ত এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো—পাকিস্তানের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করা। বোর্ড তাঁর ওপর আস্থা রাখায় শান্তর প্রতিক্রিয়া, ‘বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। আমার প্রতি বোর্ড যে আস্থা ও বিশ্বাস দেখিয়েছে, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।’

অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ‘টেস্ট ক্রিকেটে দেশের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব। আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, তা যথাসাধ্য নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করব। এমন একটি দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সত্যিই আনন্দের, যেখানে প্রচুর প্রতিভা ও সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে আমাদের জন্য এক উত্তেজনাপূর্ণ ও ইতিবাচক মৌসুম অপেক্ষা করছে।’

নভেম্বরেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে ময়মনসিংহ

ক্রীড়া ডেস্ক    
প্রথম দিন তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে। দুটিই করেছেন ময়মনসিংহের ব্যাটাররা। ছবি: বিসিবি
প্রথম দিন তিনটি সেঞ্চুরি হয়েছে। দুটিই করেছেন ময়মনসিংহের ব্যাটাররা। ছবি: বিসিবি

জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) প্রথমবারের মতো খেলতে এসেই হৈচৈ ফেলে দিয়েছে ময়মনসিংহ। প্রথম রাউন্ডে হওয়া চার ম্যাচের মধ্যে এই দলটি নজর কেড়েছে আলাদাভাবে। এবারের এনসিএলে ৪০০ রান করা প্রথম দল ময়মনসিংহ।

দ্বিতীয় রাউন্ডেও বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েছে শুভাগত হোম চৌধুরীর দল। কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে প্রথম দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান তোলেছে তারা। ময়মনসিংহের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন দুজন-মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও নাঈম শেখ। ১২৭ রান করে আউট হন রবিন। ১৩ চার ও ২ ছয়ে ইনিংস সাজান এই ওপেনার। ৯ চারের পাশাপাশি ২ ছয়ে ১১১ রান এনে দেন নাঈম। আইচ মোল্লা ২৩ ও আব্দুল মজিদ ৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে ২৬০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। সেঞ্চুরি করে ১২২ রানে আউট হন সাদিকুর রহমান। সেঞ্চুরির সুযোগ তৈরি হয়েছে মমিনুল হক সৌরভের সামনেও। ৮৪ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ৩৫ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে ঢাকা ও সিলেটের ম্যাচে এদিন খেলা হয়েছে ৪৩.১ ওভার। আগে ব্যাট করে ১২০ রান করতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। ৩৬ রানে অপরাজিত আছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ২৮ রান করেন মার্শাল আইয়ুব। ৩ উইকেট নেন ইবাদত হোসেন।

সবচেয়ে বেশি ১৩ উইকেট পড়েছে খুলনা ও রাজশাহীর ম্যাচে। আগে ব্যাট করতে নেমে নিহাদুজ্জামান ও মেহেরবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ২৩, জিয়াউর রহমান ২১ ও ইমরানুজ্জামান করেন ১৭ রান। নিহাদ ও মেহেরব নেন তিনটি করে উইকেট। জবাব দিতে নামা রাজশাহীর শুরুটাও ভালো হয়নি। ৮৭ রান করতেই ৩ ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা। সমান ২০ রান নিয়ে আগামীকাল ব্যাটিংয়ে নামবেন সাব্বির রহমান ও প্রীতম কুমার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারিনকে সরিয়ে হোল্ডারকে নেতৃত্ব দিল নাইট রাইডার্স

ক্রীড়া ডেস্ক    
আইএল টি–টোয়েন্টির পরবর্তী আসর সামনে রেখে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনল নাইট রাইডার্স। ছবি: এক্স
আইএল টি–টোয়েন্টির পরবর্তী আসর সামনে রেখে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনল নাইট রাইডার্স। ছবি: এক্স

ডিসেম্বরে শুরু হবে আইএল টি–টোয়েন্টির নতুন আসর। তার আগে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনল আবুধাবি নাইট রাইডার্স। সুনিল নারিনকে সরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক তারকা ক্রিকেটার জেসন হোল্ডারকে অধিনায়কত্বের ভার দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আজ এক বিবৃতিতে নাইট রাইডার্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আইএল টি–টোয়েন্টির সবশেষ আসরে নাইট রাইডার্স শিবিরে যোগ দেন হোল্ডার। দল খারাপ করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বেশ নজর কেড়েছেন তিনি। আসরে ১০ ইনিংসে তাঁর শিকার ১৭ উইকেট। পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১২৬ স্ট্রাইকরেটে ১৮০ রান করেন হোল্ডার। নতুন আসরে ব্যাট–বল ছাড়াও আরও একটি দায়িত্ব বেড়ে গেল এই অলরাউন্ডারের।

নারিনের অধীনে সবশেষ আসরে ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিন জয়ের দেখা পায় নাইট রাইডার্স। বিপরীতে সাত ম্যাচেই পায় হারের তিক্ত স্বাদ। পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে থেকে আসর শেষ করে তারা। এর আগে নারিনের অধীনে আইএল টি–টোয়েন্টির ২০২৩ ও ২০২৪ সালের আসরেও ব্যর্থ হয়। এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর আর নারিনের উপর ভরসা রাখতে চায়নি খানের মালিকানাধীন দলটি। স্বদেশী হোল্ডারের কাছেই নেতৃত্ব হারালেন নারিন।

হোল্ডারের নেতৃত্বে শক্তিশালী একটি দল নিয়ে আইএল টি–টোয়েন্টির নতুন আসর শুরু করবে নাইট রাইডার্স। নারিন ছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে আছেন আন্দ্রে রাসেল, লিয়াম লিভিংস্টোন, ফিল সল্ট, শেরফেন রাদারফোর্ডের মতো একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার।

নাইট রাইডার্সের নতুন আসর শুরু হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর। প্রথম ম্যাচে শারজাহ ওয়ারিয়র্সের আতিথেয়তা নেবে হোল্ডারের দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত