ওমর ফারুক, ঢাকা
মানুষ তাঁর স্বপ্নের সমান বড়—অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের এই কথাটি সাবেক ক্রিকেটার ডলি রানি সরকারের জীবনের সঙ্গে যেন মিলে যায়। শৈশবের শুরুতে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। তারপর লম্বা সময় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলেছেন। তবে ডলির স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলের হয়ে খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও দমে যাননি। এখন অধরা সেই স্বপ্নটা নারী ক্রিকেটারদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে চান তিনি। কোচিংয়ের মাধ্যমে জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরির স্বপ্ন নওগাঁও থেকে উঠে আসা ডলি রানির।
কয়েক দিন ধরেই মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে দেশি কোচদের লেভেল-২ প্রশিক্ষণ। সেখানে ত্রিশজনের মধ্যমণি ডলি। একমাত্র নারী কোচ হওয়ায় আলাদা করে নজর কেড়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানা যায় ক্রিকেটে আসার পথে কঠিন পথচলার গল্প। নিজের ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথাও এ সময় জানান তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট তখন এত জনপ্রিয় ছিল না। নারী ক্রিকেট তো তেমন কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এমন একটি সময়ে ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা জাগে ডলির। কিন্তু নারীদের কোনো আলাদা দল না থাকায় ছেলেদের দলেই খেলতে হয়েছে তাকে।
অবশ্য এ ক্ষেত্রে ছেলেরাও সাহায্য করেছিলেন ডলিকে। তিনি বলেছেন, ‘আমি ছেলেদের সঙ্গে খেলে বড় হয়েছি। তারা সমর্থন দিয়েছে বলেই আমি এত দূর এসেছি। মেয়েদের কাছ থেকে যতটা না অনুপ্রেরণা পেয়েছি, তার দ্বিগুণ পেয়েছি ছেলেদের থেকে।’
ডলি যোগ করেন, ‘আমি মাঠে যখন খেলতাম তখন ১০ জন ছেলের সঙ্গে আমি একজন মেয়ে। পাড়ায় যখন টুর্নামেন্ট কিংবা ম্যাচ হতো তখন আমাকে নিয়েই দল করা হতো। আমাকে বাদ দিলে অনেকেই খেলতে চাইত না। ওরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
ছেলেরা সাহায্য করলেও গ্রামের অনেকে অবজ্ঞা আর অবহেলা করেছিলেন ডলিকে। তার পরিবারকেও পড়তে হয়েছিল সমালোচনার মুখে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সময় ক্রিকেট খেলাটা সহজ ছিল না। বাড়ি থেকে বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে বলত ছেলেদের সঙ্গে কেন মেয়েকে খেলতে দিচ্ছে! তা নিয়ে নানা কথা শোনাত। মানুষের কটু কথা, অবজ্ঞা, অবহেলা এসব পেরিয়েই বড় হয়েছি।’
ক্রিকেটের সঙ্গে বড় হওয়া ডলির স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে খেলা। কিন্তু সুযোগের অভাবে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। ২০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগটা হয়নি তাঁর। তাই নিজের স্বপ্নটা এখন অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। ডলি বলেছেন, ‘আমার এখন স্বপ্ন একটাই নিজে কখনো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাইনি তো, তাই আমি চাই আমার মাধ্যমে জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হোক।’
স্বপ্নের পথে হেঁটে চলা ডলি রানির মাঝে কোচিং দক্ষতা প্রথম দেখতে পান বিকেএসপির সাবেক বিদেশি কোচ মানজিৎ সিং। তারপর বিকেএসপির মাসুদ হাসানই তাঁর মাঝে কোচিংয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখেন। এরপর বিকেএসপির বিভিন্ন কোর্স করেছেন ডলি। তারপর বিসিবির লেভেল-১ করেছেন। এখন লেভেল-২ করছেন ডলি। বর্তমানে নারীদের ডিপিএলে রূপালী ব্যাংকের সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন ডলি রানি সরকার।
এখন লেভেল-২ করতে এসে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ কোচ জেমি সিডন্স, রঙ্গনা হেরাথ ও দেশি কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, সোহেল হোসেনদের কাছ থেকে পাওয়া উপদেশগুলোকে কাজে লাগিয়ে নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান ডলি।
মানুষ তাঁর স্বপ্নের সমান বড়—অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের এই কথাটি সাবেক ক্রিকেটার ডলি রানি সরকারের জীবনের সঙ্গে যেন মিলে যায়। শৈশবের শুরুতে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। তারপর লম্বা সময় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলেছেন। তবে ডলির স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলের হয়ে খেলার। সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও দমে যাননি। এখন অধরা সেই স্বপ্নটা নারী ক্রিকেটারদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে চান তিনি। কোচিংয়ের মাধ্যমে জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরির স্বপ্ন নওগাঁও থেকে উঠে আসা ডলি রানির।
কয়েক দিন ধরেই মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে দেশি কোচদের লেভেল-২ প্রশিক্ষণ। সেখানে ত্রিশজনের মধ্যমণি ডলি। একমাত্র নারী কোচ হওয়ায় আলাদা করে নজর কেড়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানা যায় ক্রিকেটে আসার পথে কঠিন পথচলার গল্প। নিজের ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথাও এ সময় জানান তিনি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট তখন এত জনপ্রিয় ছিল না। নারী ক্রিকেট তো তেমন কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এমন একটি সময়ে ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা জাগে ডলির। কিন্তু নারীদের কোনো আলাদা দল না থাকায় ছেলেদের দলেই খেলতে হয়েছে তাকে।
অবশ্য এ ক্ষেত্রে ছেলেরাও সাহায্য করেছিলেন ডলিকে। তিনি বলেছেন, ‘আমি ছেলেদের সঙ্গে খেলে বড় হয়েছি। তারা সমর্থন দিয়েছে বলেই আমি এত দূর এসেছি। মেয়েদের কাছ থেকে যতটা না অনুপ্রেরণা পেয়েছি, তার দ্বিগুণ পেয়েছি ছেলেদের থেকে।’
ডলি যোগ করেন, ‘আমি মাঠে যখন খেলতাম তখন ১০ জন ছেলের সঙ্গে আমি একজন মেয়ে। পাড়ায় যখন টুর্নামেন্ট কিংবা ম্যাচ হতো তখন আমাকে নিয়েই দল করা হতো। আমাকে বাদ দিলে অনেকেই খেলতে চাইত না। ওরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
ছেলেরা সাহায্য করলেও গ্রামের অনেকে অবজ্ঞা আর অবহেলা করেছিলেন ডলিকে। তার পরিবারকেও পড়তে হয়েছিল সমালোচনার মুখে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সময় ক্রিকেট খেলাটা সহজ ছিল না। বাড়ি থেকে বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে বলত ছেলেদের সঙ্গে কেন মেয়েকে খেলতে দিচ্ছে! তা নিয়ে নানা কথা শোনাত। মানুষের কটু কথা, অবজ্ঞা, অবহেলা এসব পেরিয়েই বড় হয়েছি।’
ক্রিকেটের সঙ্গে বড় হওয়া ডলির স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে খেলা। কিন্তু সুযোগের অভাবে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। ২০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগটা হয়নি তাঁর। তাই নিজের স্বপ্নটা এখন অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। ডলি বলেছেন, ‘আমার এখন স্বপ্ন একটাই নিজে কখনো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাইনি তো, তাই আমি চাই আমার মাধ্যমে জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হোক।’
স্বপ্নের পথে হেঁটে চলা ডলি রানির মাঝে কোচিং দক্ষতা প্রথম দেখতে পান বিকেএসপির সাবেক বিদেশি কোচ মানজিৎ সিং। তারপর বিকেএসপির মাসুদ হাসানই তাঁর মাঝে কোচিংয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখেন। এরপর বিকেএসপির বিভিন্ন কোর্স করেছেন ডলি। তারপর বিসিবির লেভেল-১ করেছেন। এখন লেভেল-২ করছেন ডলি। বর্তমানে নারীদের ডিপিএলে রূপালী ব্যাংকের সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন ডলি রানি সরকার।
এখন লেভেল-২ করতে এসে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ কোচ জেমি সিডন্স, রঙ্গনা হেরাথ ও দেশি কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, সোহেল হোসেনদের কাছ থেকে পাওয়া উপদেশগুলোকে কাজে লাগিয়ে নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চান ডলি।
কাল ভোর ৬টায় শুরু হচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। নতুন কলেবরে সাজানো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও সৌদি ক্লাব আল আহলি। ম্যাচটি সরাসরি কোনো টেলিভিশন সম্প্রচার করবে না। ফিফা সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি করেছে ব্রিটিশ ব্রিটিশ ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি) স্পোর্টস স্ট্রিমিং...
৪২ মিনিট আগেযে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ৮ দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে, সেই প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩২ দলকে নিয়ে। ফুটবলের জন্য যেটিকে ‘নতুন যুগে’র সূচনা বলছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
১ ঘণ্টা আগেচীনে গত মাসে আর্চারি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের তিরন্দাজদের। র্যাঙ্কিং বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে গেলেও কেউই উঠতে পারেননি কোয়ার্টার ফাইনালে। সেই হতাশা ভুলে এশিয়া কাপ আর্চারির দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের তিরন্দাজদের পদকের মঞ্চে দেখতে চান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ।
২ ঘণ্টা আগেগ্যালারিতে ২০ হাজারেরও বেশি দর্শক। জাতীয় দলের ম্যাচে সবশেষ এমন দৃশ্য কবে দেখা গেছে তা মনে করাটাই মুশকিল ছিল। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে তারা এসেছিল, সেটা পূরণ হয়নি। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলে।
২ ঘণ্টা আগে