
ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়, ফেবারিটের তকমার যথার্থতা প্রমাণে ধারাবাহিক ব্যর্থ তারা।
গত ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ভারত। এরপর থেকেই তারা আর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। অথচ, ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা আর অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কিছুতেই তাদের ঘাটতি নেই।
তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে তাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স খারাপ নয়। সর্বশেষ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৯টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এর মধ্যে শুধু ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। বাকি টুর্নামেন্টের মধ্যে চারটিতেই সেমিফাইনালে খেলেছে এবং সমান চারটিতে রানার্সআপ হয়েছে। শুধু শিরোপা হাতে উদ্যাপনই করা হয় না তাদের।
গত ১০ বছরের ফল হিসেব ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একদিক থেকে ভারতের তুলনাও শুরু হয়েছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে প্রোটিয়ারা ভালো খেলার পরও ট্রফি জিততে না পারায় ‘চোকার্স’ তকমাটি এখন ভারতের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে। টুর্নামেন্টে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় দল নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা যে বিষয়গুলো সামনে এনেছেন—
বিপুল অর্থ ও আইপিএল
অর্থই অনর্থের মূল! টাকা আর আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়াতেই ভারতের সাফল্য আটকে গেছে অন্যান্য সংস্করণে। আইপিএলের কারণেই অন্যান্য টুর্নামেন্টে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে বলে মনে করছেন অনেকে। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু আগে যখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা নিবিড় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। কিন্তু তা কানে নেননি রোহিত।
আইপিএলকে এত প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘অর্থই সকল অনর্থের মূল।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হেরে গিয়ে কথাটার সত্যতা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুব ভালো ভাবেই প্রমাণ করল।’
ভারতের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার পেছনে আইপিএলকে দায়ী করেছেন ফাহিম। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের বর্তমান টেস্ট দলের প্রায় সব ব্যাটাররাই টেস্ট এবং ফার্স্ট ক্লাস ঘরানার খেলোয়াড়। রাহুল, বিরাট, রাহানে, পূজারা—এরা সবাই টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন নিয়েই বেড়ে উঠেছে এবং সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলেছে। তাদের অতীত রেকর্ড এবং বিগত দিনের খেলার ধরন দেখে পরিষ্কার ভাবেই সেটি বোঝা যায়। কিন্তু এই ছোট ফরম্যাটকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই তারা হারিয়ে ফেলেছে তাদের সেই শিল্পীসত্তা। রং আর তুলির সেই সমন্বয় এখন আর হচ্ছে না। সাদা রং দিয়েও যে মোহনীয় ছবি আঁকা যায় তা সবাই ভুলে যাচ্ছে। এরাই যদি এভাবে এই লাগামহীন টি-টোয়েন্টির বলিতে পরিণত হয় তাহলে টি-টোয়েন্টির মানসিকতায় বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়।’
ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে না পারা
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারত যতটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ততটা আইসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায় না। গ্রুপ পর্বে কিছুটা দেখা গেলেও নকআউটে তার ছিটেফোঁটা থাকে নেই। অথচ ১০ বছর আগে ভারতের হয়ে ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন বীরেন্দ্র শেবাগ, মাঝে যুবরাজ সিং-সুরেশ রায়নারা। রোহিত শর্মা-কোহলিরাও যে খেলেননি তা নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমে এসেছে। ভারতের সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে এটিকে দায়ী করছেন নাসের হুসেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আপনাকে (উইকেটের) বাইরে গিয়ে খেলতে এবং নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। আইসিসির টুর্নামেন্টে এই বিষয়টি ভারতকে পিছিয়ে রাখছে। তারা এমন ভয়ডরহীন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে না অথচ তাদের এমন ক্রিকেটই প্রাপ্য। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে।’
অলরাউন্ডারের অভাব
একজন অলরাউন্ডার দলে কতটা অবদান রাখতে পারেন বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন কপিল দেব, ইমরান খান কিংবা যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা। ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের যে হতাশার ছবি, অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকে দেখছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের হতাশার একমাত্র কারণ অলরাউন্ডারের অভাব। যদি ১৯৮৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে ১৯৮৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চোখ রাখেন দেখবেন ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে অসামান্য অবদান রেখেছিল অলরাউন্ডাররা।’ গত দুই-তিন বছর ধরে সেই জায়গা কেউই পূরণ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন গাভাস্কার।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে বৈচিত্র্য কম
ভারতের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের স্কোয়াড দেখলে দলটির বৈচিত্র্যের অভাবের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ব্যাটিংয়ে ডান-বাঁ দুই ধরনের ব্যাটারই ছিলেন। শুরুতে শেবাগের সঙ্গে গৌতম গম্ভীর মাঝে শচীন টেন্ডুলকার-বিরাট কোহলিকে সঙ্গ দিতেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ-রায়না। এখনকার অর্ডারে সেটার ছাপ নেই। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একমাত্র বাঁহাতি ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাটিংয়ের মতোই বোলিংয়েও ছিল ডান-বাঁয়ের দারুণ কম্বিনেশন। বাঁ হাতি পেসার জহির খান-আশিস নেহেরার সঙ্গে ছিলেন শ্রীশান্ত-মুনাফ প্যাটেল। কিন্তু এখনকার দলে নিয়মিত খেলার মতো কোনো বাঁহাতি পেসার নেই। যা ভারতকে বেশ ভোগাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্টে।
বিশ্বকাপ জিততে হলে...
ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় নিদারুণ হতাশ ভারতীয় সমর্থকেরা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররাও নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন এ ব্যর্থতা। তবে রবি শাস্ত্রী তাঁদের শিরোপাখরা নিয়ে একটা মজার কথাই বলেছেন, ‘আইসিসি ট্রফি জেতা সহজ ছিল না। মাহেন্দ্র সিং ধোনি এটিকে সহজ করে দেখিয়েছিল।’ গত ১০ বছরে বৈশ্বিক শিরোপা না জিতলেও দুবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত (২০১৬ ও ২০১৮ সালে)। শিরোপাখরা ঘোচাতে গাভাস্কারের পরামর্শ, ‘এভাবে চলতে থাকলে ভারত এশিয়া কাপ ছাড়া অন্য কিছু জিতবে না। যদি কোনো ব্যাপার নিয়ে লুকোচুরি করা হয়, তাহলে বৈশ্বিক শিরোপা জেতা সম্ভব নয়। এসব ক্ষেত্রে যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নিয়ে নাও। নতুন কাউকে সুযোগ দাও। ব্যর্থতার বিষয়ে পরে ভাবা যাবে।’

ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়, ফেবারিটের তকমার যথার্থতা প্রমাণে ধারাবাহিক ব্যর্থ তারা।
গত ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ভারত। এরপর থেকেই তারা আর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। অথচ, ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা আর অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কিছুতেই তাদের ঘাটতি নেই।
তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে তাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স খারাপ নয়। সর্বশেষ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৯টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এর মধ্যে শুধু ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। বাকি টুর্নামেন্টের মধ্যে চারটিতেই সেমিফাইনালে খেলেছে এবং সমান চারটিতে রানার্সআপ হয়েছে। শুধু শিরোপা হাতে উদ্যাপনই করা হয় না তাদের।
গত ১০ বছরের ফল হিসেব ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একদিক থেকে ভারতের তুলনাও শুরু হয়েছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে প্রোটিয়ারা ভালো খেলার পরও ট্রফি জিততে না পারায় ‘চোকার্স’ তকমাটি এখন ভারতের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে। টুর্নামেন্টে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় দল নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা যে বিষয়গুলো সামনে এনেছেন—
বিপুল অর্থ ও আইপিএল
অর্থই অনর্থের মূল! টাকা আর আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়াতেই ভারতের সাফল্য আটকে গেছে অন্যান্য সংস্করণে। আইপিএলের কারণেই অন্যান্য টুর্নামেন্টে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে বলে মনে করছেন অনেকে। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু আগে যখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা নিবিড় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। কিন্তু তা কানে নেননি রোহিত।
আইপিএলকে এত প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘অর্থই সকল অনর্থের মূল।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হেরে গিয়ে কথাটার সত্যতা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুব ভালো ভাবেই প্রমাণ করল।’
ভারতের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার পেছনে আইপিএলকে দায়ী করেছেন ফাহিম। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের বর্তমান টেস্ট দলের প্রায় সব ব্যাটাররাই টেস্ট এবং ফার্স্ট ক্লাস ঘরানার খেলোয়াড়। রাহুল, বিরাট, রাহানে, পূজারা—এরা সবাই টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন নিয়েই বেড়ে উঠেছে এবং সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলেছে। তাদের অতীত রেকর্ড এবং বিগত দিনের খেলার ধরন দেখে পরিষ্কার ভাবেই সেটি বোঝা যায়। কিন্তু এই ছোট ফরম্যাটকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই তারা হারিয়ে ফেলেছে তাদের সেই শিল্পীসত্তা। রং আর তুলির সেই সমন্বয় এখন আর হচ্ছে না। সাদা রং দিয়েও যে মোহনীয় ছবি আঁকা যায় তা সবাই ভুলে যাচ্ছে। এরাই যদি এভাবে এই লাগামহীন টি-টোয়েন্টির বলিতে পরিণত হয় তাহলে টি-টোয়েন্টির মানসিকতায় বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়।’
ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে না পারা
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারত যতটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ততটা আইসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায় না। গ্রুপ পর্বে কিছুটা দেখা গেলেও নকআউটে তার ছিটেফোঁটা থাকে নেই। অথচ ১০ বছর আগে ভারতের হয়ে ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন বীরেন্দ্র শেবাগ, মাঝে যুবরাজ সিং-সুরেশ রায়নারা। রোহিত শর্মা-কোহলিরাও যে খেলেননি তা নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমে এসেছে। ভারতের সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে এটিকে দায়ী করছেন নাসের হুসেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আপনাকে (উইকেটের) বাইরে গিয়ে খেলতে এবং নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। আইসিসির টুর্নামেন্টে এই বিষয়টি ভারতকে পিছিয়ে রাখছে। তারা এমন ভয়ডরহীন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে না অথচ তাদের এমন ক্রিকেটই প্রাপ্য। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে।’
অলরাউন্ডারের অভাব
একজন অলরাউন্ডার দলে কতটা অবদান রাখতে পারেন বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন কপিল দেব, ইমরান খান কিংবা যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা। ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের যে হতাশার ছবি, অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকে দেখছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের হতাশার একমাত্র কারণ অলরাউন্ডারের অভাব। যদি ১৯৮৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে ১৯৮৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চোখ রাখেন দেখবেন ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে অসামান্য অবদান রেখেছিল অলরাউন্ডাররা।’ গত দুই-তিন বছর ধরে সেই জায়গা কেউই পূরণ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন গাভাস্কার।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে বৈচিত্র্য কম
ভারতের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের স্কোয়াড দেখলে দলটির বৈচিত্র্যের অভাবের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ব্যাটিংয়ে ডান-বাঁ দুই ধরনের ব্যাটারই ছিলেন। শুরুতে শেবাগের সঙ্গে গৌতম গম্ভীর মাঝে শচীন টেন্ডুলকার-বিরাট কোহলিকে সঙ্গ দিতেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ-রায়না। এখনকার অর্ডারে সেটার ছাপ নেই। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একমাত্র বাঁহাতি ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাটিংয়ের মতোই বোলিংয়েও ছিল ডান-বাঁয়ের দারুণ কম্বিনেশন। বাঁ হাতি পেসার জহির খান-আশিস নেহেরার সঙ্গে ছিলেন শ্রীশান্ত-মুনাফ প্যাটেল। কিন্তু এখনকার দলে নিয়মিত খেলার মতো কোনো বাঁহাতি পেসার নেই। যা ভারতকে বেশ ভোগাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্টে।
বিশ্বকাপ জিততে হলে...
ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় নিদারুণ হতাশ ভারতীয় সমর্থকেরা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররাও নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন এ ব্যর্থতা। তবে রবি শাস্ত্রী তাঁদের শিরোপাখরা নিয়ে একটা মজার কথাই বলেছেন, ‘আইসিসি ট্রফি জেতা সহজ ছিল না। মাহেন্দ্র সিং ধোনি এটিকে সহজ করে দেখিয়েছিল।’ গত ১০ বছরে বৈশ্বিক শিরোপা না জিতলেও দুবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত (২০১৬ ও ২০১৮ সালে)। শিরোপাখরা ঘোচাতে গাভাস্কারের পরামর্শ, ‘এভাবে চলতে থাকলে ভারত এশিয়া কাপ ছাড়া অন্য কিছু জিতবে না। যদি কোনো ব্যাপার নিয়ে লুকোচুরি করা হয়, তাহলে বৈশ্বিক শিরোপা জেতা সম্ভব নয়। এসব ক্ষেত্রে যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নিয়ে নাও। নতুন কাউকে সুযোগ দাও। ব্যর্থতার বিষয়ে পরে ভাবা যাবে।’

ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়, ফেবারিটের তকমার যথার্থতা প্রমাণে ধারাবাহিক ব্যর্থ তারা।
গত ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ভারত। এরপর থেকেই তারা আর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। অথচ, ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা আর অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কিছুতেই তাদের ঘাটতি নেই।
তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে তাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স খারাপ নয়। সর্বশেষ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৯টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এর মধ্যে শুধু ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। বাকি টুর্নামেন্টের মধ্যে চারটিতেই সেমিফাইনালে খেলেছে এবং সমান চারটিতে রানার্সআপ হয়েছে। শুধু শিরোপা হাতে উদ্যাপনই করা হয় না তাদের।
গত ১০ বছরের ফল হিসেব ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একদিক থেকে ভারতের তুলনাও শুরু হয়েছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে প্রোটিয়ারা ভালো খেলার পরও ট্রফি জিততে না পারায় ‘চোকার্স’ তকমাটি এখন ভারতের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে। টুর্নামেন্টে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় দল নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা যে বিষয়গুলো সামনে এনেছেন—
বিপুল অর্থ ও আইপিএল
অর্থই অনর্থের মূল! টাকা আর আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়াতেই ভারতের সাফল্য আটকে গেছে অন্যান্য সংস্করণে। আইপিএলের কারণেই অন্যান্য টুর্নামেন্টে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে বলে মনে করছেন অনেকে। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু আগে যখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা নিবিড় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। কিন্তু তা কানে নেননি রোহিত।
আইপিএলকে এত প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘অর্থই সকল অনর্থের মূল।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হেরে গিয়ে কথাটার সত্যতা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুব ভালো ভাবেই প্রমাণ করল।’
ভারতের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার পেছনে আইপিএলকে দায়ী করেছেন ফাহিম। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের বর্তমান টেস্ট দলের প্রায় সব ব্যাটাররাই টেস্ট এবং ফার্স্ট ক্লাস ঘরানার খেলোয়াড়। রাহুল, বিরাট, রাহানে, পূজারা—এরা সবাই টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন নিয়েই বেড়ে উঠেছে এবং সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলেছে। তাদের অতীত রেকর্ড এবং বিগত দিনের খেলার ধরন দেখে পরিষ্কার ভাবেই সেটি বোঝা যায়। কিন্তু এই ছোট ফরম্যাটকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই তারা হারিয়ে ফেলেছে তাদের সেই শিল্পীসত্তা। রং আর তুলির সেই সমন্বয় এখন আর হচ্ছে না। সাদা রং দিয়েও যে মোহনীয় ছবি আঁকা যায় তা সবাই ভুলে যাচ্ছে। এরাই যদি এভাবে এই লাগামহীন টি-টোয়েন্টির বলিতে পরিণত হয় তাহলে টি-টোয়েন্টির মানসিকতায় বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়।’
ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে না পারা
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারত যতটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ততটা আইসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায় না। গ্রুপ পর্বে কিছুটা দেখা গেলেও নকআউটে তার ছিটেফোঁটা থাকে নেই। অথচ ১০ বছর আগে ভারতের হয়ে ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন বীরেন্দ্র শেবাগ, মাঝে যুবরাজ সিং-সুরেশ রায়নারা। রোহিত শর্মা-কোহলিরাও যে খেলেননি তা নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমে এসেছে। ভারতের সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে এটিকে দায়ী করছেন নাসের হুসেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আপনাকে (উইকেটের) বাইরে গিয়ে খেলতে এবং নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। আইসিসির টুর্নামেন্টে এই বিষয়টি ভারতকে পিছিয়ে রাখছে। তারা এমন ভয়ডরহীন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে না অথচ তাদের এমন ক্রিকেটই প্রাপ্য। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে।’
অলরাউন্ডারের অভাব
একজন অলরাউন্ডার দলে কতটা অবদান রাখতে পারেন বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন কপিল দেব, ইমরান খান কিংবা যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা। ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের যে হতাশার ছবি, অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকে দেখছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের হতাশার একমাত্র কারণ অলরাউন্ডারের অভাব। যদি ১৯৮৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে ১৯৮৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চোখ রাখেন দেখবেন ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে অসামান্য অবদান রেখেছিল অলরাউন্ডাররা।’ গত দুই-তিন বছর ধরে সেই জায়গা কেউই পূরণ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন গাভাস্কার।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে বৈচিত্র্য কম
ভারতের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের স্কোয়াড দেখলে দলটির বৈচিত্র্যের অভাবের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ব্যাটিংয়ে ডান-বাঁ দুই ধরনের ব্যাটারই ছিলেন। শুরুতে শেবাগের সঙ্গে গৌতম গম্ভীর মাঝে শচীন টেন্ডুলকার-বিরাট কোহলিকে সঙ্গ দিতেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ-রায়না। এখনকার অর্ডারে সেটার ছাপ নেই। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একমাত্র বাঁহাতি ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাটিংয়ের মতোই বোলিংয়েও ছিল ডান-বাঁয়ের দারুণ কম্বিনেশন। বাঁ হাতি পেসার জহির খান-আশিস নেহেরার সঙ্গে ছিলেন শ্রীশান্ত-মুনাফ প্যাটেল। কিন্তু এখনকার দলে নিয়মিত খেলার মতো কোনো বাঁহাতি পেসার নেই। যা ভারতকে বেশ ভোগাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্টে।
বিশ্বকাপ জিততে হলে...
ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় নিদারুণ হতাশ ভারতীয় সমর্থকেরা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররাও নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন এ ব্যর্থতা। তবে রবি শাস্ত্রী তাঁদের শিরোপাখরা নিয়ে একটা মজার কথাই বলেছেন, ‘আইসিসি ট্রফি জেতা সহজ ছিল না। মাহেন্দ্র সিং ধোনি এটিকে সহজ করে দেখিয়েছিল।’ গত ১০ বছরে বৈশ্বিক শিরোপা না জিতলেও দুবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত (২০১৬ ও ২০১৮ সালে)। শিরোপাখরা ঘোচাতে গাভাস্কারের পরামর্শ, ‘এভাবে চলতে থাকলে ভারত এশিয়া কাপ ছাড়া অন্য কিছু জিতবে না। যদি কোনো ব্যাপার নিয়ে লুকোচুরি করা হয়, তাহলে বৈশ্বিক শিরোপা জেতা সম্ভব নয়। এসব ক্ষেত্রে যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নিয়ে নাও। নতুন কাউকে সুযোগ দাও। ব্যর্থতার বিষয়ে পরে ভাবা যাবে।’

ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়, ফেবারিটের তকমার যথার্থতা প্রমাণে ধারাবাহিক ব্যর্থ তারা।
গত ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। সর্বশেষ ২০১৩ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ভারত। এরপর থেকেই তারা আর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। অথচ, ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা আর অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কিছুতেই তাদের ঘাটতি নেই।
তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে তাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স খারাপ নয়। সর্বশেষ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৯টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এর মধ্যে শুধু ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। বাকি টুর্নামেন্টের মধ্যে চারটিতেই সেমিফাইনালে খেলেছে এবং সমান চারটিতে রানার্সআপ হয়েছে। শুধু শিরোপা হাতে উদ্যাপনই করা হয় না তাদের।
গত ১০ বছরের ফল হিসেব ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একদিক থেকে ভারতের তুলনাও শুরু হয়েছে। আইসিসির টুর্নামেন্টে প্রোটিয়ারা ভালো খেলার পরও ট্রফি জিততে না পারায় ‘চোকার্স’ তকমাটি এখন ভারতের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে। টুর্নামেন্টে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় দল নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা যে বিষয়গুলো সামনে এনেছেন—
বিপুল অর্থ ও আইপিএল
অর্থই অনর্থের মূল! টাকা আর আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়াতেই ভারতের সাফল্য আটকে গেছে অন্যান্য সংস্করণে। আইপিএলের কারণেই অন্যান্য টুর্নামেন্টে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলে বলে মনে করছেন অনেকে। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু আগে যখন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা নিবিড় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। কিন্তু তা কানে নেননি রোহিত।
আইপিএলকে এত প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘অর্থই সকল অনর্থের মূল।’ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হেরে গিয়ে কথাটার সত্যতা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুব ভালো ভাবেই প্রমাণ করল।’
ভারতের চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার পেছনে আইপিএলকে দায়ী করেছেন ফাহিম। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের বর্তমান টেস্ট দলের প্রায় সব ব্যাটাররাই টেস্ট এবং ফার্স্ট ক্লাস ঘরানার খেলোয়াড়। রাহুল, বিরাট, রাহানে, পূজারা—এরা সবাই টেস্ট ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন নিয়েই বেড়ে উঠেছে এবং সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলেছে। তাদের অতীত রেকর্ড এবং বিগত দিনের খেলার ধরন দেখে পরিষ্কার ভাবেই সেটি বোঝা যায়। কিন্তু এই ছোট ফরম্যাটকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই তারা হারিয়ে ফেলেছে তাদের সেই শিল্পীসত্তা। রং আর তুলির সেই সমন্বয় এখন আর হচ্ছে না। সাদা রং দিয়েও যে মোহনীয় ছবি আঁকা যায় তা সবাই ভুলে যাচ্ছে। এরাই যদি এভাবে এই লাগামহীন টি-টোয়েন্টির বলিতে পরিণত হয় তাহলে টি-টোয়েন্টির মানসিকতায় বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়।’
ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে না পারা
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারত যতটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে ততটা আইসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায় না। গ্রুপ পর্বে কিছুটা দেখা গেলেও নকআউটে তার ছিটেফোঁটা থাকে নেই। অথচ ১০ বছর আগে ভারতের হয়ে ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন বীরেন্দ্র শেবাগ, মাঝে যুবরাজ সিং-সুরেশ রায়নারা। রোহিত শর্মা-কোহলিরাও যে খেলেননি তা নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গতি কমে এসেছে। ভারতের সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে এটিকে দায়ী করছেন নাসের হুসেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আপনাকে (উইকেটের) বাইরে গিয়ে খেলতে এবং নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। আইসিসির টুর্নামেন্টে এই বিষয়টি ভারতকে পিছিয়ে রাখছে। তারা এমন ভয়ডরহীন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে না অথচ তাদের এমন ক্রিকেটই প্রাপ্য। তাদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে।’
অলরাউন্ডারের অভাব
একজন অলরাউন্ডার দলে কতটা অবদান রাখতে পারেন বিশ্বকাপে দেখিয়েছেন কপিল দেব, ইমরান খান কিংবা যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা। ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের যে হতাশার ছবি, অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকে দেখছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের হতাশার একমাত্র কারণ অলরাউন্ডারের অভাব। যদি ১৯৮৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপের সঙ্গে ১৯৮৫ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চোখ রাখেন দেখবেন ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করতে অসামান্য অবদান রেখেছিল অলরাউন্ডাররা।’ গত দুই-তিন বছর ধরে সেই জায়গা কেউই পূরণ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন গাভাস্কার।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে বৈচিত্র্য কম
ভারতের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়ের স্কোয়াড দেখলে দলটির বৈচিত্র্যের অভাবের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ব্যাটিংয়ে ডান-বাঁ দুই ধরনের ব্যাটারই ছিলেন। শুরুতে শেবাগের সঙ্গে গৌতম গম্ভীর মাঝে শচীন টেন্ডুলকার-বিরাট কোহলিকে সঙ্গ দিতেন দুই বাঁহাতি অলরাউন্ডার যুবরাজ-রায়না। এখনকার অর্ডারে সেটার ছাপ নেই। সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে একমাত্র বাঁহাতি ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাটিংয়ের মতোই বোলিংয়েও ছিল ডান-বাঁয়ের দারুণ কম্বিনেশন। বাঁ হাতি পেসার জহির খান-আশিস নেহেরার সঙ্গে ছিলেন শ্রীশান্ত-মুনাফ প্যাটেল। কিন্তু এখনকার দলে নিয়মিত খেলার মতো কোনো বাঁহাতি পেসার নেই। যা ভারতকে বেশ ভোগাচ্ছে আইসিসি টুর্নামেন্টে।
বিশ্বকাপ জিততে হলে...
ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় নিদারুণ হতাশ ভারতীয় সমর্থকেরা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররাও নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন এ ব্যর্থতা। তবে রবি শাস্ত্রী তাঁদের শিরোপাখরা নিয়ে একটা মজার কথাই বলেছেন, ‘আইসিসি ট্রফি জেতা সহজ ছিল না। মাহেন্দ্র সিং ধোনি এটিকে সহজ করে দেখিয়েছিল।’ গত ১০ বছরে বৈশ্বিক শিরোপা না জিতলেও দুবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত (২০১৬ ও ২০১৮ সালে)। শিরোপাখরা ঘোচাতে গাভাস্কারের পরামর্শ, ‘এভাবে চলতে থাকলে ভারত এশিয়া কাপ ছাড়া অন্য কিছু জিতবে না। যদি কোনো ব্যাপার নিয়ে লুকোচুরি করা হয়, তাহলে বৈশ্বিক শিরোপা জেতা সম্ভব নয়। এসব ক্ষেত্রে যদি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নিয়ে নাও। নতুন কাউকে সুযোগ দাও। ব্যর্থতার বিষয়ে পরে ভাবা যাবে।’

২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল।
৮ ঘণ্টা আগে
ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
৯ ঘণ্টা আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য
১০ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পেয়েছে ৫ বছরের চুক্তিতে। এবার কোন দলের কী নাম হবে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
২০২৬ বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে টেকে আটটি প্রতিষ্ঠান। এবার বিপিএলে থাকছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশালের নামে কোনো দল। আর্থিক শক্তি, ম্যানেজমেন্ট ও মোটিভেশন এবং অভিজ্ঞতা—এই তিনটি বিষয় যাচাইবাছাই করে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো দল যদি পরের মৌসুমে দল চালাতে না চায়, সেটি অন্তত ৩ মাস আগে জানাতে হবে বিসিবিকে। ২ কোটি অংশগ্রহণ ফি ও ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি পাওনা টাকা নিয়ে অনিয়ম করে, ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে পরিশোধ করবে বলে জানানো হয়েছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, পাঁচ দলের বিপিএল ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে তাঁদের। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিতে পর্যাপ্ত সময় রাখতে চায় বিসিবি। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে ১৭ নভেম্বর।

২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল পেয়েছে ৫ বছরের চুক্তিতে। এবার কোন দলের কী নাম হবে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
২০২৬ বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ১১টি প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে টেকে আটটি প্রতিষ্ঠান। এবার বিপিএলে থাকছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশালের নামে কোনো দল। আর্থিক শক্তি, ম্যানেজমেন্ট ও মোটিভেশন এবং অভিজ্ঞতা—এই তিনটি বিষয় যাচাইবাছাই করে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, কোনো দল যদি পরের মৌসুমে দল চালাতে না চায়, সেটি অন্তত ৩ মাস আগে জানাতে হবে বিসিবিকে। ২ কোটি অংশগ্রহণ ফি ও ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হচ্ছে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি পাওনা টাকা নিয়ে অনিয়ম করে, ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে পরিশোধ করবে বলে জানানো হয়েছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, পাঁচ দলের বিপিএল ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে তাঁদের। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিতে পর্যাপ্ত সময় রাখতে চায় বিসিবি। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে ১৭ নভেম্বর।

ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়
১২ জুন ২০২৩
ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
৯ ঘণ্টা আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য
১০ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
১১ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে লুচানির মাঠে খেলতে গিয়েছিল রাদনিচকি। সবকিছু ঠিকভাবেই চলছিল। গোলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলছিল ম্যাচ। কিন্তু ২২ মিনিটেই হঠা থমকে যায় সবকিছু। নিরবতা নেমে আসে গোটা গ্যালারিতে।
সার্বিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফরকারী দলের কোচ ম্লাদেন জিজোভিচ। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ৪৪ বছর বয়সী এই বসনিয়ান কোচকে।
জিজোভিচ হার্ট অ্যাটাক করার পরই খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। এই কোচের মৃত্যু দেশের ফুটবলের জন্য অপূরণী ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছে সার্বিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএসএস)।
দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে বসনিয়ার সাবেক মিডফিল্ডার জিজোবিচকে নিয়োগ দেয় রাদনিচকি। এই কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্লাবটি।
শোক বার্তায় রাদনিচকি লিখেছে, ‘গভীরতম দুঃখের সাথে জনসাধারণ, ভক্ত এবং ক্রীড়া বন্ধুদের জানাচ্ছি যে আমাদের পেশাদার কর্মীদের প্রধান ম্লাদেন জিজোভিচ লুচানিতে ম্লাদস্ত এবং রাদনিকির ম্যাচ চলাকালীন মারা গেছেন। যে কয়েকজন কোচ এই ক্লাবে এসেছেন তাঁদের মধ্যে জিজোভিচ এখানে নিজের জ্ঞান, প্রাণশক্তি ও মাহাত্ম্য দিয়ে গভীর ছাপ রেখে গেছেন। এই ক্লাব কেবল একজন কোচকে নয়, হারিয়েছে একজন ভালো মানুষ, বন্ধু ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে।’

ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে লুচানির মাঠে খেলতে গিয়েছিল রাদনিচকি। সবকিছু ঠিকভাবেই চলছিল। গোলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে চলছিল ম্যাচ। কিন্তু ২২ মিনিটেই হঠা থমকে যায় সবকিছু। নিরবতা নেমে আসে গোটা গ্যালারিতে।
সার্বিয়ার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফরকারী দলের কোচ ম্লাদেন জিজোভিচ। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি ৪৪ বছর বয়সী এই বসনিয়ান কোচকে।
জিজোভিচ হার্ট অ্যাটাক করার পরই খেলোয়াড়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। এই কোচের মৃত্যু দেশের ফুটবলের জন্য অপূরণী ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছে সার্বিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএসএস)।
দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে বসনিয়ার সাবেক মিডফিল্ডার জিজোবিচকে নিয়োগ দেয় রাদনিচকি। এই কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্লাবটি।
শোক বার্তায় রাদনিচকি লিখেছে, ‘গভীরতম দুঃখের সাথে জনসাধারণ, ভক্ত এবং ক্রীড়া বন্ধুদের জানাচ্ছি যে আমাদের পেশাদার কর্মীদের প্রধান ম্লাদেন জিজোভিচ লুচানিতে ম্লাদস্ত এবং রাদনিকির ম্যাচ চলাকালীন মারা গেছেন। যে কয়েকজন কোচ এই ক্লাবে এসেছেন তাঁদের মধ্যে জিজোভিচ এখানে নিজের জ্ঞান, প্রাণশক্তি ও মাহাত্ম্য দিয়ে গভীর ছাপ রেখে গেছেন। এই ক্লাব কেবল একজন কোচকে নয়, হারিয়েছে একজন ভালো মানুষ, বন্ধু ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে।’

ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়
১২ জুন ২০২৩
২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল।
৮ ঘণ্টা আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য
১০ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবদেক

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত।
গত জুনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ড্র দিয়ে সিরিজ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় সফরকারীরা। দলীয় পারফরম্যান্স ভালো না হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন নাঈম। ২ ম্যাচের ৩ ইনিংসে তুলে নেন ৯ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে তাঁর না থাকা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়। শান্ত জানালেন, ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই বাদ পড়েছেন নাঈম। এছাড়া পেস বান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখেও নেওয়া হয়নি এই স্পিনারকে।
আজকের পত্রিকাকে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড দলে সব ব্যাটারই ডানহাতি। নাঈম তো ডানহাতি স্পিনার। এজন্য তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। তাছাড়া সিলেটের মাঠে পেস বোলারদের জন্য সহায়তা বেশি থাকে। সেই বিবেচনাতেও বাদ পড়েছেন নাঈম। ওর বিষয়টা মাথায় আছে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ভাবা হবে নাঈমকে নিয়ে।’
২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেক হয় নাঈমের। এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ টেস্টের ২৫ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন চারবার। ইনিংসে ১০৫ রানে ৬ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত।
গত জুনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ড্র দিয়ে সিরিজ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় সফরকারীরা। দলীয় পারফরম্যান্স ভালো না হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন নাঈম। ২ ম্যাচের ৩ ইনিংসে তুলে নেন ৯ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে তাঁর না থাকা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়। শান্ত জানালেন, ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই বাদ পড়েছেন নাঈম। এছাড়া পেস বান্ধব উইকেটের কথা মাথায় রেখেও নেওয়া হয়নি এই স্পিনারকে।
আজকের পত্রিকাকে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড দলে সব ব্যাটারই ডানহাতি। নাঈম তো ডানহাতি স্পিনার। এজন্য তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি। তাছাড়া সিলেটের মাঠে পেস বোলারদের জন্য সহায়তা বেশি থাকে। সেই বিবেচনাতেও বাদ পড়েছেন নাঈম। ওর বিষয়টা মাথায় আছে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ভাবা হবে নাঈমকে নিয়ে।’
২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেক হয় নাঈমের। এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ টেস্টের ২৫ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন চারবার। ইনিংসে ১০৫ রানে ৬ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।

ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়
১২ জুন ২০২৩
২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল।
৮ ঘণ্টা আগে
ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
৯ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিক। তাঁর শততম টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাঈম হাসান।
সর্বশেষ বাংলাদেশ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট হাতে ফর্মে নেই জাকের আলী অনিক। তবে টেস্ট দলে তাঁকে জায়গা দিয়েছেন নির্বাচকরা। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৩০ গড়ে করেছেন ৩৩৭ রান। ফিফটি করেছেন চারটি।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে খেলবেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এজন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে রাখা হয়নি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। সবশেষ ১৪ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই মাহমুদুল হাসান জয়ের। এরপরও রাখা হয়েছে এই ব্যাটারকে। সাদমান ইসলাম অনিকের সাথে ওপেনিং করবেন জয়। দলে আছেন চার পেসার। স্পিনার রাখা হয়েছে তিনজন।
আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকা আসবে আয়ারল্যান্ড। ১১ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে সফরকারীরা। দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মুরাদ, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও সাদমান ইসলাম অনিক।

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিক। তাঁর শততম টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাঈম হাসান।
সর্বশেষ বাংলাদেশ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট হাতে ফর্মে নেই জাকের আলী অনিক। তবে টেস্ট দলে তাঁকে জায়গা দিয়েছেন নির্বাচকরা। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৩০ গড়ে করেছেন ৩৩৭ রান। ফিফটি করেছেন চারটি।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে খেলবেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এজন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে রাখা হয়নি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। সবশেষ ১৪ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই মাহমুদুল হাসান জয়ের। এরপরও রাখা হয়েছে এই ব্যাটারকে। সাদমান ইসলাম অনিকের সাথে ওপেনিং করবেন জয়। দলে আছেন চার পেসার। স্পিনার রাখা হয়েছে তিনজন।
আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকা আসবে আয়ারল্যান্ড। ১১ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে সফরকারীরা। দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মুরাদ, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও সাদমান ইসলাম অনিক।

ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ‘ফেবারিট’ দল হিসেবে খেলে ভারত। সেটির কারণও আছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য তো আছেই। দলে তারকার সমাবেশ, ফর্ম আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে দেখা যায়
১২ জুন ২০২৩
২০২৬ বিপিএলের পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আজ রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, টগি স্পোর্টস লিমিটেডের রংপুর রাইডার্স, চ্যাম্পিয়নস স্পোর্টস ঢাকা, নাবিল গ্রুপের রাজশাহী, ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেসের চট্টগ্রাম ও ক্রিকেট উইথ সামিকে দেওয়া হয়েছে সিলেট দল।
৮ ঘণ্টা আগে
ফুটবল কখনো কখনো অনেক নিষ্ঠুর। নির্মমভাবে ম্যাচ হারের চেয়েও এই খেলায় অনেক সময় ঘটে যায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সবশেষ তেমন কিছুই দেখা গেল সার্বিয়ান সুপার লিগাতে ম্লাদস্ত লুচানি ও এফকে রাদনিকির ম্যাচে।
৯ ঘণ্টা আগে
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল হাতে পাওয়ার পর একটা কারণে চোখ আটকে যায়। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও জায়গা হারিয়েছেন নাঈম হাসান। যেটা অবাক করেছে সবাইকে। আইরিশ সিরিজে এই স্পিনারের না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সদস্য
১০ ঘণ্টা আগে