Ajker Patrika

এই দিনের ‘শোক’ কি ভারত কখনো ভুলতে পারবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩: ৩৫
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর হতাশ ভারতীয় ক্রিকেট দল। ছবি: ক্রিকইনফো
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর হতাশ ভারতীয় ক্রিকেট দল। ছবি: ক্রিকইনফো

শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকে চমকে যেতে পারেন। এই তো এ বছরের ২৯ জুন রোহিত শর্মার নেতৃত্বে বার্বাডোজে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল। কদিন আগে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত। চার ইনিংসে তিনবার ২০০ পেরিয়েছে ভারত।

আসলে এখানে বলা হচ্ছে ভারতের ওয়ানডে সংস্করণের পারফরম্যান্সের কথা। ক্রিকেটের খোঁজখবর যাঁরা রাখেন, ১৯ নভেম্বর তারিখটি তাদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে কাঁদিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ১ লাখেরও বেশি দর্শককে স্তব্ধ করে ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। সেই ফাইনালের পর থেকে ভারত ৬ ওয়ানডে খেলে জিতেছে কেবল ২ ম্যাচ।

ঘরের মাঠে গত বছর অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরু থেকেই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ভারতের। রাউন্ড রবিন লিগের ৯ ম্যাচের পর সেমিফাইনাল-টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠেন রোহিত-বিরাট কোহলিরা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল ভারতের। সেই ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স হুংকার ছেড়েছিলেন যে আহমেদাবাদের ১ লাখেরও বেশি দর্শককে চুপ করিয়ে দেবেন। তাইতো ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান করলেও ভারত এরপর চোখে সর্ষেফুল দেখেছে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে ভারত।

২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে। তবে ট্রাভিস হেড একপ্রান্ত থেকে পেটানো শুরু করলে ভারতের বোলাররা আর দিশা খুঁজে পাননি। হেডের একেকটা ছক্কা গ্যালারিতে পড়া মাত্রই আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামের দর্শকদের মাথায় হাত। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে (১২০ বলে ১৩৭ রান) করে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটার। মোহাম্মদ সিরাজকে মিড উইকেটে ঠেলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ রান নিতেই শুরু অস্ট্রেলিয়ার উদযাপন।

বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর বিরাট কোহলি, রাহুল দ্রাবিড় ও রোহিত শর্মা। রোহিত, কোহলি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই। ছবি: ক্রিকইনফো
বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর বিরাট কোহলি, রাহুল দ্রাবিড় ও রোহিত শর্মা। রোহিত, কোহলি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই। ছবি: ক্রিকইনফো

অস্ট্রেলিয়ার ঠিক বিপরীত চিত্র তখন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল। রোহিত, কোহলি থেকে শুরু করে জসপ্রীত বুমরা, শুবমান গিল, কুলদীপ যাদব-সবার চোখেমুখেই হতাশার ছাপ। রেকর্ড বই তছনছ করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় কোহলি হলেও মুখে ছিল না হাসি। শিরোপার কাছে এসে ছুঁয়ে না দেখার আক্ষেপ কেমন হয়, সেটা রোহিতকে দেখেই বোঝা গেছে। ফাইনাল শেষে ভারতের তৎকালীন প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় ড্রেসিংরুমে শিষ্যদের কান্না দেখে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।

আহমেদাবাদ ট্রাজেডির পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ওয়ানডে সিরিজ। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে রোহিত-কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটার ছাড়া তরুণদের নিয়েই ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে খেলতে গিয়েছিল ভারত। প্রোটিয়া সিরিজ জয়ের আট মাস পর ভারত গিয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরে। প্রতি ম্যাচেই রোহিত আক্রমণাত্মক শুরু এনে দিলেও কোহলি-শ্রেয়াস আইয়াররা পরে আর সেটা ধরে রাখতে পারেননি। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। সিরিজে ভারতের ৩০ উইকেটের ২৭টিই তুলে নেন লঙ্কান স্পিনাররা। যার মধ্যে কলম্বোর প্রেমাদাসায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের কাছাকাছি গেলেও ম্যাচ হয়েছিল টাই।

২০২৪ সালে ভারত আর কোনো ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। এশিয়ার দলটিকে তাই এই সংস্করণে জয়হীন থেকে শেষ করতে হচ্ছে বছরটা। তবে টি-টোয়েন্টিতে ভারত এ বছর দাপট দেখিয়ে খেলেছে। ২৬ টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে ২৪ ম্যাচ। হেরেছে ২ ম্যাচ। যার মধ্যে দুটি জয় ভারত পেয়েছিল সুপার ওভারে। টেস্টে ইংল্যান্ড, বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেললেও বিধ্বস্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। ঘরের মাঠে ভারত ৩-০ ব্যবধানে টেস্টে ধবলধোলাই হয়েছে তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ কিউইদের কাছে। যেখানে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতকে ৪৬ রানে অলআউট করে লজ্জা উপহার দেয় ব্ল্যাকক্যাপসরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা অলিখিত ফাইনাল দেখবেন কীভাবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
শেষ টি–টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: এক্স
শেষ টি–টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: এক্স

প্রথম দুই টি–টোয়েন্টি শেষে ১-১ সমতায় আছে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি তাই রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে রাতে মাঠে নামবে দুই দল। জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর পর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় প্রোটিয়ারা। আজ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও মাঠে নামবে বেশ কয়েকটি বড় দল। ম্যাচ আছে বুন্দেসলিগাতেও। সব মিলিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে আজকের দিনটি বেশ জমজমাট যাবে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের টিভি সূচি।

আজকের খেলা

ক্রিকেট

তৃতীয় ওয়ানডে

নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড

সকাল ৭টা, সরাসরি

টি স্পোর্টস, সনি টেন ১

তৃতীয় টি-টোয়েন্টি

পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা

রাত ৯টা, সরাসরি

টি স্পোর্টস, পিটিভি স্পোর্টস

ফুটবল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

বার্নলি-আর্সেনাল

রাত ৯টা, সরাসরি

স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

নটিংহাম-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

রাত ৯টা, সরাসরি

টটেনহাম-চেলসি

রাত ১১টা ৩০ মিনিট, সরাসরি

লিভারপুল-অ্যাস্টন ভিলা

রাত ২টা, সরাসরি

স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

বুন্দেসলিগা

লাইপজিগ-স্টুটগার্ট

রাত ৮টা ৩০ মিনিট, সরাসরি

বায়ার্ন-লেভারকুসেন

রাত ১১টা ৩০ মিনিট, সরাসরি

সনি টেন ২

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে খালি হাতে ফিরছে কিংস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বল দখলের জন্য ছুটছেন কিংসের ডিফেন্ডার তাজ উদ্দিন(বাঁয়ে)। ছবি: এএফসি
বল দখলের জন্য ছুটছেন কিংসের ডিফেন্ডার তাজ উদ্দিন(বাঁয়ে)। ছবি: এএফসি

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে হার দিয়েই এবারের অধ্যায় শেষ করল বসুন্ধরা কিংস। গতকাল কুয়েত এসসির কাছে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছে তারা। গতবারের মতো কোনো পয়েন্ট ছাড়া ফিরতে হচ্ছে তাদের।

কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ স্টেডিয়ামে খেলতে যাওয়ার পথে শুরুতে বিড়ম্বনায় পড়ে কিংস। রাস্তায় আকস্মিক বিস্ফোরণে টিম বাসের একটি চাকা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দলটি স্টেডিয়ামে দেরিতে পৌঁছায়।ম্যাচ কমিশনারকে খেলা ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে কিংস। কিন্তু নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় ম্যাচ।

তিনবারের এএফসি কাপ জয়ী কুয়েত এসসি খেলার শুরুটা করে দুর্দান্ত। প্রথম মিনিটেই সামি আল সানেয়ারের নিখুঁত ক্রসে ইউসেফ আল সুলাইমান হেডে বল জালে পাঠান। ১৭ মিনিটে ফয়সাল আল হারবির দূরপাল্লার শক্তিশালী শটে বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এ সময় তাহা খেনিসি ও মোহাম্মদ দাহামও সুযোগ পান, কিন্তু তাদের ফিনিশিংয়ে ঘাটতি ছিল।

প্রথমার্ধ জুড়ে কিংস পাত্তাই পায়নি। যোগ করার সময়ের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কুয়েত এসসি। দাহামে ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক ফ্লিকে কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করেন খেনিসি।

দ্বিতীয়ার্ধে কিংস আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। সেরা সুযোগটি আসে ৬৪ মিনিটে। সোহেল রানার ক্রসে রাকিব হোসেনের হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে চলে যায়। ৮০ মিনিটে বসুন্ধরার পক্ষে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে ইমানুয়েলও। কিন্তু দোরিয়েলতনের ক্রসে ছোঁয়া লাগাতে পারেননি। ফলে এই জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বি গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে কুয়েত এসসি। এর আগে প্রথম ম্যাচে আল সিবের কাছে ৪-৩ গোলে ও দ্বিতীয় ম্যাচে আল আনসারের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে কিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ধবলধোলাইয়ের পর শিশিরকে দুষলেন লিটন

ক্রীড়া ডেস্ক    
শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারার পর বোলারদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন লিটন দাস। প্রথম দুই ম্যাচে শামিম পাটোয়ারি, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলীদের বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনীর পর অধিনায়কের এমন কথা বেশ যৌক্তিক ছিল। কিন্তু শেষ টি-টোয়েন্টির পর লিটন যা বললেন, সেটার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল।

শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ধবলধোলাই হওয়ার পর পুরস্কতার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে আসেন লিটন। তাঁর দাবি, শিশির না থাকায় ব্যাটিংয়ের সময় বেশ কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। বিপরীতে শিশিরের সুবিধা নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে টস জেতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ। দুই ম্যাচেই আগে ব্যাট করেছে অতিথিরা। আজ টস জিতে একই সিদ্ধান্ত নেন লিটন। কিন্তু হারের পর নিজের সিদ্ধান্তকেই বিতর্কিত করলেন তিনি।

লিটন বলেন, ‘আমরা যখন ব্যাট করছিলাম তখন শিশির ছিল না। উইকেট ব্যাট করার জন্য স্পর্শকাতর ছিল। এদিক থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভাগ্যবান বলতে হয়। কারণ তারা পরে ব্যাট করেছে। তবে এসব আপনার হাতে নেই।’

আগে ব্যাট করে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে ৬২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ হাসান তামিম। স্বাভাবিকভাবেই এই ওপেনারের প্রশংসা করেছেন লিটন। একই সঙ্গে ক্যাচ মিস নিয়ে হতাশা শোনা গেল লিটনের কণ্ঠ। তিনি বলেন, ‘তামিম ভালো ব্যাট করেছে। আমার মনে হয়েছিল আমাদের স্কোর ভালো ছিল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়ে দিলে সেটা পরিস্থিতিকে কঠিন করে তোলে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চার বছর পর ঘরের মাঠে ধবলধোলাই বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৪২
শেষ ম্যাচেও জিততে পারল না বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচেও জিততে পারল না বাংলাদেশ।

১৫১ রানের পুঁজি নিয়ে শুরুতেই আলিক আথানজেকে ফেরায় বাংলাদেশ। প্রথমে স্বাগতিক শিবিরে জেগে ওঠা সেই আশা ফিকে হয়েছে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। শুরুর ধাক্কা সামলে রস্টন চেজ ও আকিম অগাস্তের ব্যাটে শেষ হাসি হেসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসের দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারী দল।

প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে আগেই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ। ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়ানোর জন্য শেষ ম্যাচে জিততেই হতো তাদের। কিন্তু শেষটাতেও সান্ত্বনা পেল না বাংলাদেশ। তাতেই চার বছর পর ঘরের মাঠে এই সংস্করণে ধবলধোলাই হলো তারা। এর আগে সবশেষ ২০২১ সালে পাকিস্তানের কাছে নিজেদের মাঠে এই লজ্জা পায় বাংলাদেশ।

চতুর্থ উইকেটে ৯১ রান তোলেন চেজ ও অগাস্তে। ২৯ বলে ৫০ রান করা চেজকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। একই ওভারে অগাস্তেকেও ফেরান এই লেগস্পিনার। এক ওভারে জোড়া ধাক্কার পরও ভীতি জাগেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেছে অতিথিরা।

তাদের হয়ে ২৩ বলে ৩৪ রান করেন আমির জাঙ্গু। দলীয় ৬ রানে আথানেজের বিদায়ের পর ব্রেন্ডন কিংকে নিয়ে বিপদ সামাল দেন এই ওপেনার। ৮ রান করা কিং ফিরে গেলেও আরও কিছুক্ষণ টিকে ছিলেন জাঙ্গু। দলীয় ৫২ রানে তাঁর বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর চেজ ও অগাস্তের ওই জুটি। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। ৪ ওভারে এই স্পিনারের খরচ ৪৩ রান। শেখ মেহেদি হাসান ও নাসুম আহমেদের শিকার একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জেতা বাংলাদেশের হয়ে তানজিদ হাসান তামিম ও সাইফ হাসান ছাড়া বাকিদের কেউই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। তাঁরা দুজনে মিলে করেন ১১২ রান। ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। এই ওপেনারের ৯ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো তাঁর ৬২ বলের ইনিংস। ২৩ রান করেন সাইফ। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার এদিন দশকের ঘরে পা রাখতে পারেননি। হ্যাটট্রিক করার পথে ৩৬ রান দেন শেফার্ড। দুটি করে উইকেট নেন হোল্ডার ও পিয়েরে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত