Ajker Patrika

পাকিস্তানের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের নায়ক একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী

আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪, ১১: ০৬
পাকিস্তানের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের নায়ক একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী

কেউ হয়তো ভাবেনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তান হারবে। আসলে সেটাই তো হওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে শক্ত-সামর্থ্যে আর অভিজ্ঞতায় যে ঢের এগিয়ে পাকিস্তান। তবে গতকাল ডালাসে মাঠের পারফরম্যান্সে সবকিছুই উল্টো হয়েছে। 

বাস্তবে কাল পাকিস্তানকে শোকের সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা। সুপার ওভারে পাকিস্তানকে ৫ রানে হারিয়ে দিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন ঘটিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেওয়ার এই কাজ করেছেন একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সুপার ওভার করা সৌরভ নেত্রভালকার ক্রিকেটারের বাইরে একজন দক্ষ প্রকৌশলীও। মুম্বাইয়ে জন্ম হওয়া ৩২ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কম্পিউটার টেকনোলজি কোম্পানি ওরাকলের একজন প্রকৌশলী। 

 ২০১৩ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর সামাজিক মাধ্যমে একটা পোস্টে নিজের সুসংবাদটি এভাবে লিখেছিলেন নেত্রভালকার, ‘অবশেষে, কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক। এখন, ক্রিকেটে নিজেকে চেনানোর সময় হয়ে গেছে।’ 

যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে ২০১০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের হয়েও খেলেছেন নেত্রভালকার। সেবার পাকিস্তানের বিপক্ষেই কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের যুবাদের দৌড় থামে। নেত্রভালকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে সেদিন মাঠে বিজয়োল্লাস করেছিলেন বাবর আজম। গতকাল যেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পুরোনো হিসাব চুকে নিলেন।

নেত্রভালকার ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের হয়ে একমাত্র রঞ্জি ট্রফির ম্যাচটি খেলেছিলেন কর্ণাটকের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র দলে সুযোগ পাওয়ার পর দলটির অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পড়েছিলেন তিনি। এখন অধিনায়ক না হলেও ঠিকই ম্যাচ জেতাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।  

লাইন লেংথ সঠিক রেখে বোলিংটা যে দুর্দান্ত করতে পারেন, সেটার প্রমাণ ২০২২ সালে দিয়েছেন নেত্রভালকার। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ গ্লোবাল কোয়ালিফায়ারের এক ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নেন তিনি। আর এবার যখন বিশ্বমঞ্চে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব পেলেন, তখন দলের আস্থার প্রতিদানই দিলেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে নায়ক বনে গেলেন তিনি। 

গতকাল ডালাসে পাকিস্তানের ১৫৯ রানের বিপরীতে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৫৯ রান করে যুক্তরাষ্ট্রও। পরে সুপার ওভারে ম্যাচ গড়ালে প্রথমে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষকে ১৯ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকেরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নেত্রভালকারের ওভার থেকে ১৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। 

ম্যাচ জয়ের পর আনন্দ ধরে রাখতে পারছেন না নেত্রভালকার। তিনি বলেছেন, ‘এটি সত্যিই দুর্দান্ত এক অনুভূতি। জীবন আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছে যা করতে ভালোবাসি তা পূরণ করার জন্য। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই আমি সব সময় সেই আনন্দটা অনুভব করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত