হাসি মানুষের সহজাত এক অভিব্যক্তি। কখনো তা আনন্দের, কখনো সৌজন্যের, আবার কখনো নিছক সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করা একপ্রকার মুখোশ। আমরা প্রতিদিনই নানা ধরনের হাসিমাখা মুখ দেখি। তবে সব হাসিই আসল হাসি নয়। অনেক সময় মুখে হাসি থাকলেও চোখে থাকে না এক ফোঁটা উষ্ণতা। ঠিক তখনই আমাদের মন বলে ওঠে...
পৃথিবীর অভ্যন্তরে লুকিয়ে আছে বিপুল মূল্যবান ধাতু, যার মধ্যে সোনাও অন্যতম। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন প্রমাণ পেয়েছেন, যা ইঙ্গিত দেয়—পৃথিবীর কেন্দ্র ধীরে ধীরে সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ‘লিক’ করছে বা বের করে দিচ্ছে।
আধুনিক জীবনের অপরিহার্য একটি নির্মাণ উপাদান কংক্রিট। তবে এর দুর্বলতা একটিই—এতে খুব সহজেই ফাটল ধরে। কারণ খুব একটা টেনশন বা টান সইতে পারে না কংক্রিট। ফলে চাপে পড়লেই ফাটল দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধানে বহুদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা খুঁজছেন কার্যকর কোনো উপায়। তবে এবার হয়তো সেই বহু কাঙ্ক্ষিত সমাধানের পথ খুলে গেল।
আমাদের আকাশগঙ্গায় ১৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে রহস্যময় বস্তুর সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। বস্তুটি প্রতি ৪৪ মিনিটে একই সঙ্গে রেডিও তরঙ্গ ও এক্স-রশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে একবার করে জ্বলে ওঠে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
চীন তাদের মহাকাশ গবেষণার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু করেছে। দেশটি এবার মহাকাশে পাঠিয়েছে ‘তিয়ানওয়েন-২’ নামের একটি মহাকাশযান। এই মিশনে তারা দুটি এমন মহাজাগতিক বস্তু অনুসন্ধানে যাবে, যেখানে আগে কোনো মহাকাশযান পৌঁছায়নি।
ভবিষ্যতের কথা ভাবলেই কি তা সত্যি হয়ে যায়? এই প্রশ্ন অনেকের মনে এলেও উত্তরটা মোটেও জাদুবিদ্যার মতো নয়—বলেছেন নিউরোসায়েন্টিস্ট সাবিনা ব্রেনান। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর বই ‘দ্য নিউরোসায়েন্স অব ম্যানিফেস্টিং’-এ তিনি জানিয়েছেন, ‘ম্যানিফেস্টেশন’ বা মনে মনে ভবিষ্যতের ছবি কল্পনা করার অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কে
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাঁধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযানের প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ৪৩ হাজার বছর আগে এক নিয়ানডারথাল ব্যক্তি লাল রঞ্জকে আঙুল ডুবিয়ে পাথরটির ওপর একটি ‘নাক’ এঁকেছিলেন। পাথরটি স্পেনের সেগোভিয়া প্রদেশের সান লাসারো নামক একটি গুহায় খুঁজে পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স তাদের স্টারশিপ মেগা রকেটের নবম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করবে আগামীকাল (২৮ মে)। বাংলাদেশি সময় ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে রকেটটি উৎক্ষেপণ হবে দক্ষিণ টেক্সাসের বোকা চিকা এলাকায় স্পেসএক্সের স্টারবেস সাইট থেকে।
দুই হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো টিকে আছে রোমান সাম্রাজ্যের স্থাপত্যের কিছু নিদর্শন। রোমের প্যানথিয়ন, স্পেনের সেগোভিয়ার রোমান জলাশয় এবং ইংল্যান্ডের রোমান বাথসের মতো স্থাপনাগুলো আজও দাঁড়িয়ে আছে শক্তভাবে। এই স্থাপনাগুলোর দীর্ঘ স্থায়ীত্বের পেছনে রয়েছে এক বিস্ময়কর উপাদান—রোমান কংক্রিট। তবে এই কংক্রিটের
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হাবল টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এক ব্যতিক্রমী মহাজাগতিক দৃশ্য। একটি উপবৃত্তকার গ্যালাক্সির ছবি তোলার সময় হাবলের ফ্রেমে ধরা পড়ে লালচে আভাযুক্ত এক উজ্জ্বল, বক্ররেখা। প্রথম দর্শনে একে যান্ত্রিক ত্রুটি বলে ভুল হতে পারে। তবে বাস্তবে, এটি ১১ বিলিয়ন বছর আগের আরেকটি দূরবর্তী...
চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
১৯৮৩ সালের একটি বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনিতে একজন ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০৫০ সালের স্কুলগুলো কেমন দেখতে হবে। জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকার সেই জ্যোতির্পদার্থবিদ— যিনি এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করেছিলেন, যেখানে ভিনগ্রহের একজন বাসিন্দা স্ক্রিনের সামনে বসে স্কুলের বাচ্চাদের অনলাইনে ক্লাস
অন্ধকারে দেখার জন্য বিশেষ ধরনের কন্টাক্ট লেন্স তৈরি করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এই লেন্স পরলে ব্যবহারকারীর চোখ বন্ধ করলেও ইনফ্রারেড আলো দেখতে পারবেন। এই অভিনব লেন্সটি তৈরি করেছেন চীনের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকেরা। শুধু তাই নয়, এই লেন্স ভবিষ্যতে বর্ণান্ধদের রঙিন পৃথিবী দেখার...
মানুষের সংবেদনশীল দাঁতের উৎপত্তি হয়েছিল প্রাচীন বিলুপ্ত মাছের ‘দেহবর্ম’ বা বর্মা কৃতি আবরণ থেকে। প্রায় ৪৬ কোটি ৫০ লাখ বছর আগের সেই মাছদের শরীরে থাকা এক ধরনের সংবেদনশীল টিস্যুই পরবর্তীতে বিবর্তিত হয়ে দাঁতে রূপ নেয়। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১২৪ বছরের বেশি সময় ধরে জ্বলছে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব। অবিশ্বাস্য মনে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফায়ার স্টেশনের ছাদে ঝুলে থাকা এই সাধারণ বাল্ব যেন সময়ের সাক্ষী হয়ে আজও আলো ছড়াচ্ছে।
পরিমাপের একক হিসেবে ‘মিটার’ ব্যবহার আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুদির দোকান থেকে আলু কেনা বা গাড়িতে পেট্রল ভরার মতো সাধারণ কাজেও এটি ব্যবহার হয়। তবে এ সুবিধার পেছনে রয়েছে ১৫০ বছর আগের এক ঐতিহাসিক ‘মেট্রিক চুক্তি’ বা ‘মিটার কনভেনশন’।