আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের রাজস্থানে জুরাসিক যুগের একটি বিরল প্রজাতির কুমিরসদৃশ প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। পশ্চিম রাজস্থানের জয়সালমের জেলার মেঘা গ্রামে পাওয়া জীবাশ্মটির বয়স ২০ কোটি বছরেরও বেশি বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
জীবাশ্মটি ‘ফাইটোসর’ জাতীয় প্রাণীর। এর দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় থেকে দুই মিটার। এটি নদী ও স্থল—দুই জায়গাতেই বসবাস করত বলে জানান ভূবিজ্ঞানী সিপি রাজেন্দ্রন। তাঁর মতে, এ ধরনের প্রাণী পরবর্তীকালে বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক কুমিরে রূপ নেয়।
জীবাশ্মটি আবিষ্কার করেন রাজ্যের পানিসম্পদ বিভাগের সিনিয়র হাইড্রোজিওলজিস্ট ড. নারায়ণদাস ইনখিয়া ও তাঁর গবেষক দল। ড. ইনখিয়া বিবিসিকে বলেন, ‘এই এলাকায় আরও অনেক জীবাশ্ম লুকিয়ে থাকতে পারে, যা বিবর্তনের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিতে পারে।’
তাঁর মতে, এই আবিষ্কার ‘ফসিল ট্যুরিজম’-এর জন্য এলাকাটিকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে গত সপ্তাহে গ্রামের কিছু বাসিন্দা একটি হ্রদ খননের সময় মাটির নিচে কঙ্কালের মতো কিছু গঠন দেখতে পান। তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে সেখানে খনন চালিয়ে গবেষকেরা ফাইটোসরের জীবাশ্মের পাশাপাশি একটি জীবাশ্ম অবস্থায় থাকা ডিমও খুঁজে পান। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ওই প্রাণীরই ডিম।
জ্যেষ্ঠ প্যালিয়ন্টোলজিস্ট ভি এস পারিহার বলেন, ‘জীবাশ্মটি একটি মাঝারি আকৃতির ফাইটোসরের, যা সম্ভবত এই অঞ্চলের নদীতীরে বাস করত এবং মাছ খেয়ে জীবন ধারণ করত।’
গবেষক সিপি রাজেন্দ্রন বলেন, এই ফাইটোসরের জীবাশ্মটি ‘সম্ভবত একটি বিরল নমুনা’, কারণ এ ধরনের জীবাশ্ম এখন পর্যন্ত পৃথিবীর অন্য কোনো স্থানে খুব কমই পাওয়া গেছে।
যদিও এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ, তবে গবেষকদের কাছে তা খুব একটা বিস্ময়ের নয়। কারণ, বিশ্বাস করা হয়—এই অঞ্চল একসময় এক পাশে নদী এবং অন্য পাশে সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
রাজস্থান রাজ্যের জয়সালমেরের এই এলাকা ‘লাথি ফরমেশন’ (Lathi Formaion) নামে পরিচিত একটি ভূ-গঠনের অংশ, যেখানে জুরাসিক যুগে ডাইনোসরের বসবাস ছিল বলে ধারণা করা হয়। এর আগেও এই এলাকায় উল্লেখযোগ্য জীবাশ্ম আবিষ্কার হয়েছে। ২০২৩ সালে ড. ইনখিয়া একটি ডাইনোসরের জীবাশ্মযুক্ত ডিম খুঁজে পেয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালে ভারতের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বিজ্ঞানীরা এখান থেকে ভারতের সবচেয়ে পুরোনো উদ্ভিদভোজী ডাইনোসরের জীবাশ্ম খুঁজে পান।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ভারতের রাজস্থানে জুরাসিক যুগের একটি বিরল প্রজাতির কুমিরসদৃশ প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। পশ্চিম রাজস্থানের জয়সালমের জেলার মেঘা গ্রামে পাওয়া জীবাশ্মটির বয়স ২০ কোটি বছরেরও বেশি বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
জীবাশ্মটি ‘ফাইটোসর’ জাতীয় প্রাণীর। এর দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় থেকে দুই মিটার। এটি নদী ও স্থল—দুই জায়গাতেই বসবাস করত বলে জানান ভূবিজ্ঞানী সিপি রাজেন্দ্রন। তাঁর মতে, এ ধরনের প্রাণী পরবর্তীকালে বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক কুমিরে রূপ নেয়।
জীবাশ্মটি আবিষ্কার করেন রাজ্যের পানিসম্পদ বিভাগের সিনিয়র হাইড্রোজিওলজিস্ট ড. নারায়ণদাস ইনখিয়া ও তাঁর গবেষক দল। ড. ইনখিয়া বিবিসিকে বলেন, ‘এই এলাকায় আরও অনেক জীবাশ্ম লুকিয়ে থাকতে পারে, যা বিবর্তনের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিতে পারে।’
তাঁর মতে, এই আবিষ্কার ‘ফসিল ট্যুরিজম’-এর জন্য এলাকাটিকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে গত সপ্তাহে গ্রামের কিছু বাসিন্দা একটি হ্রদ খননের সময় মাটির নিচে কঙ্কালের মতো কিছু গঠন দেখতে পান। তাঁরা বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে সেখানে খনন চালিয়ে গবেষকেরা ফাইটোসরের জীবাশ্মের পাশাপাশি একটি জীবাশ্ম অবস্থায় থাকা ডিমও খুঁজে পান। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ওই প্রাণীরই ডিম।
জ্যেষ্ঠ প্যালিয়ন্টোলজিস্ট ভি এস পারিহার বলেন, ‘জীবাশ্মটি একটি মাঝারি আকৃতির ফাইটোসরের, যা সম্ভবত এই অঞ্চলের নদীতীরে বাস করত এবং মাছ খেয়ে জীবন ধারণ করত।’
গবেষক সিপি রাজেন্দ্রন বলেন, এই ফাইটোসরের জীবাশ্মটি ‘সম্ভবত একটি বিরল নমুনা’, কারণ এ ধরনের জীবাশ্ম এখন পর্যন্ত পৃথিবীর অন্য কোনো স্থানে খুব কমই পাওয়া গেছে।
যদিও এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ, তবে গবেষকদের কাছে তা খুব একটা বিস্ময়ের নয়। কারণ, বিশ্বাস করা হয়—এই অঞ্চল একসময় এক পাশে নদী এবং অন্য পাশে সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
রাজস্থান রাজ্যের জয়সালমেরের এই এলাকা ‘লাথি ফরমেশন’ (Lathi Formaion) নামে পরিচিত একটি ভূ-গঠনের অংশ, যেখানে জুরাসিক যুগে ডাইনোসরের বসবাস ছিল বলে ধারণা করা হয়। এর আগেও এই এলাকায় উল্লেখযোগ্য জীবাশ্ম আবিষ্কার হয়েছে। ২০২৩ সালে ড. ইনখিয়া একটি ডাইনোসরের জীবাশ্মযুক্ত ডিম খুঁজে পেয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালে ভারতের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বিজ্ঞানীরা এখান থেকে ভারতের সবচেয়ে পুরোনো উদ্ভিদভোজী ডাইনোসরের জীবাশ্ম খুঁজে পান।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
৬ দিন আগেআন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
১২ দিন আগেচলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
১২ দিন আগেপদার্থবিজ্ঞানের একটি অন্যতম প্রধান প্রশ্ন হলো—কত বড় ব্যবস্থার (system) মধ্যে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রভাব দৃশ্যমান করা সম্ভব? এ বছরের নোবেল বিজয়ীরা একটি বৈদ্যুতিক সার্কিট ব্যবহার করে এমন একটি ব্যবস্থায় কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং ও কোয়ান্টাইজড শক্তির স্তর প্রমাণ করেছেন—যেটির আকার রীতিমতো...
১৩ দিন আগে