নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এমনই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক এই আদেশ দেন। আজ বুধবার আদালতের পেশকার মো. হারুন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। গত ৪ অক্টোবর জিয়াউল হক মৃধাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করার জন্য তিনি মামলা করেন জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনের ওপর শুনানি হয় গত ৩১ অক্টোবর।
মামলায় জিয়াউল হক উল্লেখ করেন, জিএম কাদের পার্টির কো-চেয়ারম্যান। তিনি নিজেকে নিজে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। পার্টি সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পরে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরশাদ অসুস্থ থাকার সুযোগে জিএম কাদের তাঁকে ভুল বুঝিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা শিরোনামে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিজে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং পরে চেয়ারম্যান বনে যান। এটা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। জিএম কাদেরের উক্ত কার্যকলাপে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে ও পার্টিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
জিয়াউল হক আরও উল্লেখ করেন, জি এম কাদের ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ও সম্মেলন আহ্বান করেন। ওই সম্মেলন বেআইনি ও স্থগিত ঘোষণার জন্য বাদী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট রোল জারি করার পরও সম্মেলন স্থগিত না করে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করেন জিএম কাদের। ওই সম্মেলনে একটি গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। যেহেতু হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন সেতু ওই গঠনতন্ত্র অবৈধ এবং বেআইনি। যেহেতু জিএম কাদের অবৈধভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করেন সেহেতু জিয়াউল হককে বহিষ্কারাদেশও বেআইনি।
জিয়াউল হক মামলায় আরও জানান, যেহেতু সম্মেলন বেআইনি সেতু ওই সম্মেলনে যে গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়েছে তাও বেআইনি। কাজেই ওই গঠনতন্ত্রের আলোকে জিএম কাদের যাতে কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানান তিনি।
আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের আলোকে জিএম কাদের যাতে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারেন এবং কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারেন তৎমর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হলো।
জিয়াউল হক মৃধার আইনজীবী মো. গোলাম মাসুদ করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের আদেশ বলে জিএম কাদের আপাতত কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। দলীয় কার্যক্রম থেকেও তিনি বিরত থাকবেন।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এমনই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক এই আদেশ দেন। আজ বুধবার আদালতের পেশকার মো. হারুন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। গত ৪ অক্টোবর জিয়াউল হক মৃধাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করার জন্য তিনি মামলা করেন জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনের ওপর শুনানি হয় গত ৩১ অক্টোবর।
মামলায় জিয়াউল হক উল্লেখ করেন, জিএম কাদের পার্টির কো-চেয়ারম্যান। তিনি নিজেকে নিজে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। পার্টি সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পরে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরশাদ অসুস্থ থাকার সুযোগে জিএম কাদের তাঁকে ভুল বুঝিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা শিরোনামে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে নিজে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং পরে চেয়ারম্যান বনে যান। এটা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। জিএম কাদেরের উক্ত কার্যকলাপে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে ও পার্টিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
জিয়াউল হক আরও উল্লেখ করেন, জি এম কাদের ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ও সম্মেলন আহ্বান করেন। ওই সম্মেলন বেআইনি ও স্থগিত ঘোষণার জন্য বাদী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট রোল জারি করার পরও সম্মেলন স্থগিত না করে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করেন জিএম কাদের। ওই সম্মেলনে একটি গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। যেহেতু হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন সেতু ওই গঠনতন্ত্র অবৈধ এবং বেআইনি। যেহেতু জিএম কাদের অবৈধভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করেন সেহেতু জিয়াউল হককে বহিষ্কারাদেশও বেআইনি।
জিয়াউল হক মামলায় আরও জানান, যেহেতু সম্মেলন বেআইনি সেতু ওই সম্মেলনে যে গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়েছে তাও বেআইনি। কাজেই ওই গঠনতন্ত্রের আলোকে জিএম কাদের যাতে কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানান তিনি।
আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের আলোকে জিএম কাদের যাতে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারেন এবং কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারেন তৎমর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হলো।
জিয়াউল হক মৃধার আইনজীবী মো. গোলাম মাসুদ করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের আদেশ বলে জিএম কাদের আপাতত কোনো দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। দলীয় কার্যক্রম থেকেও তিনি বিরত থাকবেন।’
ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কুটনীতিকদের নিয়ে ইফতার করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই ইফতার অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিজ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ, তুরস্কে
৭ মিনিট আগেবাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো জনগণের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারেনি। দেশ এখনো অস্থিতিশীল। তাই এ বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান কঠিন হবে।
৩১ মিনিট আগেআত্মপ্রকাশের পর সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি তুলেছে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির নেতারা বলছেন, দেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিরাজ করছে, তার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য নতুন সংবিধান বা পুনর্লিখন প্রয়োজন। একমাত্র গণপরিষদ নির্বাচনই সংবিধান পুনর্লি
১৬ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগবিহীন রাজনীতির মাঠে সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের কথা বলছে। তবে আগে জাতীয় সংসদ না স্থানীয় সরকারের নির্বাচন—এ নিয়ে
১৬ ঘণ্টা আগে