নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার বিকল্প কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এ জন্য দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যথায় অতীতের পতিত সরকারের মতোই এই সরকারের পরিণত হতে পারে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে এই হুঁশিয়ার দেন শামসুজ্জামান দুদু।
সরকারের উদ্দেশে দুদু বলেন, গণতন্ত্র না মানার কারণে আইয়ুব খান পালিয়েছে। একদলীয় বাকশাল কায়েম করার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ভয়ংকর পরিণতি হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর গণতন্ত্র হরণ করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য শেখ হাসিনাও পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাই গণতন্ত্র মেনে নিন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
সরকারের উদ্দেশে দুদু আরও বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণ যেন তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করুন। তাহলে দেখবেন রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এ সময় সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ৬৯–এ ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়েছে। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ দেশের ছাত্র ও জনগণ গণতন্ত্রের জন্য ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকেও বিদায় করেছে। এটা যদি এ সরকার বুঝতে না পারে, তাহলে তা খুবই দুঃখজনক।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরে এসেছেন। তাঁকে বরণ করার জন্য বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত জনতার ঢল নেমেছিল। এই জনতার ঢল হচ্ছে গণতন্ত্রের মাতাকে বরণ করে নেওয়ার, গণতন্ত্রকে বরণ করে নেওয়া এবং স্বাধীনতাকে বরণ করে নেওয়ার। এটা বর্তমান সরকার বুঝতে পারলে দেশের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।
দুদু বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি, ছাত্রদলসহ এর সহযোগী সংগঠনের ৫ হাজার নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন, খুনের শিকার হয়েছেন, নিখোঁজ হয়েছেন। এটা যদি বর্তমান সরকার বুঝতে না পারে, তাহলে তারা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল—এটা বলা যাবে না।
জাতীয় ঐক্য ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামের সংগঠন। সংগঠনটির সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন এতে সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিন প্রেসক্লাবের সামনে আরেকটি অনুষ্ঠানে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। ‘এখনই নির্বাচন প্রয়োজন’-মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৭৫ ভাগ মানুষ এখন নির্বাচন চায়। আর নির্বাচন বিলম্বিত নয়, এখনই নির্বাচনের প্রয়োজন।
এ সময় ‘মানবিক করিডর’ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে আপনি এখনো মানুষের মনে আছেন। কিন্তু কোথাও যে একটা দাবা খেলা হচ্ছে, কোথাও যেন নির্বাচন নিয়ে একটা চক্রান্ত হচ্ছে, কোথাও যেন আপনাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সে বিষয়ে আপনাকে অবহিত হতেই হবে। আপনার উপদেষ্টাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পরিষদের আয়োজনে প্রতীকী অবস্থানের এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদার। সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান তালুকদার এতে সঞ্চালনা করেন।
প্রতীকী অবস্থানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
দেশের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার বিকল্প কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এ জন্য দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যথায় অতীতের পতিত সরকারের মতোই এই সরকারের পরিণত হতে পারে—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে এই হুঁশিয়ার দেন শামসুজ্জামান দুদু।
সরকারের উদ্দেশে দুদু বলেন, গণতন্ত্র না মানার কারণে আইয়ুব খান পালিয়েছে। একদলীয় বাকশাল কায়েম করার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ভয়ংকর পরিণতি হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর গণতন্ত্র হরণ করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য শেখ হাসিনাও পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাই গণতন্ত্র মেনে নিন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
সরকারের উদ্দেশে দুদু আরও বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণ যেন তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করুন। তাহলে দেখবেন রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এ সময় সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ৬৯–এ ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়েছে। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ দেশের ছাত্র ও জনগণ গণতন্ত্রের জন্য ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকেও বিদায় করেছে। এটা যদি এ সরকার বুঝতে না পারে, তাহলে তা খুবই দুঃখজনক।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরে এসেছেন। তাঁকে বরণ করার জন্য বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত জনতার ঢল নেমেছিল। এই জনতার ঢল হচ্ছে গণতন্ত্রের মাতাকে বরণ করে নেওয়ার, গণতন্ত্রকে বরণ করে নেওয়া এবং স্বাধীনতাকে বরণ করে নেওয়ার। এটা বর্তমান সরকার বুঝতে পারলে দেশের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।
দুদু বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি, ছাত্রদলসহ এর সহযোগী সংগঠনের ৫ হাজার নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন, খুনের শিকার হয়েছেন, নিখোঁজ হয়েছেন। এটা যদি বর্তমান সরকার বুঝতে না পারে, তাহলে তারা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল—এটা বলা যাবে না।
জাতীয় ঐক্য ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামের সংগঠন। সংগঠনটির সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন এতে সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিন প্রেসক্লাবের সামনে আরেকটি অনুষ্ঠানে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। ‘এখনই নির্বাচন প্রয়োজন’-মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৭৫ ভাগ মানুষ এখন নির্বাচন চায়। আর নির্বাচন বিলম্বিত নয়, এখনই নির্বাচনের প্রয়োজন।
এ সময় ‘মানবিক করিডর’ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে আপনি এখনো মানুষের মনে আছেন। কিন্তু কোথাও যে একটা দাবা খেলা হচ্ছে, কোথাও যেন নির্বাচন নিয়ে একটা চক্রান্ত হচ্ছে, কোথাও যেন আপনাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সে বিষয়ে আপনাকে অবহিত হতেই হবে। আপনার উপদেষ্টাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পরিষদের আয়োজনে প্রতীকী অবস্থানের এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদার। সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান তালুকদার এতে সঞ্চালনা করেন।
প্রতীকী অবস্থানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে তরুণদের নীতি-প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে শুরু করেছে এক মাসব্যাপী কর্মসূচি।
১০ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়া পোস্টে সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ চার মাস যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে গতকাল মঙ্গলবার (৬ মে) দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এদিন সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এসে গুলশান-২-এ তাঁর বাসভবন পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কের দুই পাশে জড়ো হওয়া লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান।
১৭ ঘণ্টা আগেদ্বিকক্ষ সংসদের উচ্চকক্ষে ১০০ জনের মধ্যে ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটি এবং ৫০ শতাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে আসবে—এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে নাগরিক ঐক্য। দলটি বলছে, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরাও রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন, এতে সিভিল সোসাইটির নিরপেক্ষতা
১৭ ঘণ্টা আগে