মাগুরা প্রতিনিধি

শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উচ্চ মর্যাদাশীল দেশ। দেশের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নৌকাকে আবারও বিপুল ভোটে জয়ী করুন। মনে রাখবেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। ফলে তারা দেশের উন্নয়ন চায় না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শ্রীপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে উন্নয়ন জনসভায় এসব কথা বলেন এই প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন প্রত্যেক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের উন্নয়নে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।’
পরপর তিন মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সকাল সকাল ভোট দিয়ে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করে সরকার গঠন করতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভালো রাখতে আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আনতে হবে। প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে ধারণ করে নৌকাকে ভোট দিতে হবে।’
মাগুরার দুটি আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মাগুরার সেই উপনির্বাচনের কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি। আওয়ামী লীগ এরপর এককভাবে এ আসনে বিজয়ী হয়ে আসছে। এবারও আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হব।’
উন্নয়ন জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন মাগুরা ১-আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের বাবলু, সহসভাপতি মুন্সি রেজাউল ইসলাম ও সৈয়দ শরিফুল ইসলাম। উন্নয়ন জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উচ্চ মর্যাদাশীল দেশ। দেশের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নৌকাকে আবারও বিপুল ভোটে জয়ী করুন। মনে রাখবেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে না। ফলে তারা দেশের উন্নয়ন চায় না।’
আজ শুক্রবার বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শ্রীপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে উন্নয়ন জনসভায় এসব কথা বলেন এই প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন প্রত্যেক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের উন্নয়নে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।’
পরপর তিন মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সকাল সকাল ভোট দিয়ে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করে সরকার গঠন করতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভালো রাখতে আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আনতে হবে। প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে ধারণ করে নৌকাকে ভোট দিতে হবে।’
মাগুরার দুটি আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মাগুরার সেই উপনির্বাচনের কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি। আওয়ামী লীগ এরপর এককভাবে এ আসনে বিজয়ী হয়ে আসছে। এবারও আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হব।’
উন্নয়ন জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন মাগুরা ১-আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের বাবলু, সহসভাপতি মুন্সি রেজাউল ইসলাম ও সৈয়দ শরিফুল ইসলাম। উন্নয়ন জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসির এই সিদ্ধান্তে বিআরপির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয় বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’
৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর ২০ ধারায় সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। জোটবদ্ধ দলগুলোর নিজের ইচ্ছেমতো জোটের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ চায় দলটি। আজ রোববার এ মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের।
১৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আদালতের আদেশে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি)। দলীয় প্রতীক হিসেবে তারা পেয়েছে হাতি।
আজ রোববার বিআরপির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয়ের হাতে নিবন্ধন সনদ তুলে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ-সংক্রান্ত ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন ১১১২২/২০১৮-এর সূত্রে গত ২৩ জুলাই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান অনুযায়ী, প্রধান কার্যালয় ৮৮/১ শহীদ ফারুক রোড (৩য় তলা), দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪-এ অবস্থিত বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টিকে (বিআরপি) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইসি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। দলের জন্য হাতি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৫৭।
ইসির এই সিদ্ধান্তে বিআরপির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয় বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

আদালতের আদেশে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি)। দলীয় প্রতীক হিসেবে তারা পেয়েছে হাতি।
আজ রোববার বিআরপির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয়ের হাতে নিবন্ধন সনদ তুলে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ-সংক্রান্ত ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন ১১১২২/২০১৮-এর সূত্রে গত ২৩ জুলাই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধান অনুযায়ী, প্রধান কার্যালয় ৮৮/১ শহীদ ফারুক রোড (৩য় তলা), দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪-এ অবস্থিত বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টিকে (বিআরপি) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইসি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। দলের জন্য হাতি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৫৭।
ইসির এই সিদ্ধান্তে বিআরপির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয় বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উচ্চ মর্যাদাশীল দেশ। দেশের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নৌকাকে আবারও বিপুল ভোটে জয়ী করুন। মনে রাখবেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দেশে
১০ নভেম্বর ২০২৩
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর ২০ ধারায় সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। জোটবদ্ধ দলগুলোর নিজের ইচ্ছেমতো জোটের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ চায় দলটি। আজ রোববার এ মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের।
১৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর ২০ ধারায় সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। জোটবদ্ধ দলগুলোর নিজের ইচ্ছেমতো জোটের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ চায় দলটি। আজ রোববার এ মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
আজ আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকও করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিল। বৈঠকে প্রতিনিধি দলে ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইসমাইল জবিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন ইতিপূর্বে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের বিবেচনায় জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং নিজেদের দলের বা জোটের অন্য কোনো দলের নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, যা তাদের রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। এর আগে এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো জটিলতা বা কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি, সুন্দরভাবে নির্বাচন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এই প্রক্রিয়া পরিবর্তন বা সংশোধন করার জন্য কোনো দাবি ছিল না। বরং এই সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত চাওয়া হলে বিএনপি আরপিওর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে সংশোধন প্রস্তাবে মতপ্রকাশ করতে গিয়ে বলেছে— আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদ অর্থাৎ দল বা জোটের প্রতীক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিবর্তনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে না। যথাসময়ে তা ঐকমত্য কমিশন ও সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের উচ্চপর্যায়ে উপদেষ্টা লেভেলে বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে আলোচনাকালে আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না—এই মর্মে বিএনপিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পত্রিকায় বিপরীত সংবাদ অর্থাৎ জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজের দলীয় প্রতীকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই সংশোধনীর সঙ্গে একমত নয় এবং এই সংশোধনী বা পরিবর্তন বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
জোট গঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনে জয়ী হওয়া— এমন মন্তব্য করে ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ চাওয়ার অধিকার আছে। এবং এযাবৎ এ প্রক্রিয়াতেই জোটবদ্ধ দলগুলোর চাহিদা অনুসারে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং এতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না। এই বহুল প্রচলিত প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজনীয়তা কেন দেখা দিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য না। তা ছাড়া নির্বাচনে প্রধান স্টেকগুলো অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রাক পরামর্শ ছাড়াই এমন একটা মেজর সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনভিপ্রেত এবং আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে বিএনপি মনে করে। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করা আরপিওতে বৈধ এবং সেটাই দীর্ঘদিনের অনুসৃত রীতি বা পদ্ধতি। জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করার কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের অধিকার থাকলে জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ দল কিংবা জোটবদ্ধ যে কোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার অধিকার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকার ক্ষুণ্ন করার কোনো সুযোগ আছে বলে বিএনপি মনে করে না। তাই আমরা আরপিওতে ২০ অনুচ্ছেদের পূর্বের বিধান বহাল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন কমিশনতে অনুরোধ করেছি এবং আজকে এ ধরনের সিমিলার লেটার আমাদের উপদেষ্টা পর্যায়ে সরকারের আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমরা আশা করি, সরকারের গুড সেন্স উইল প্রিভেইল এবং আগের মতোই ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন হবে না এবং জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো হয় নিজের দল অথবা যেকোনো একটা দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্ট্যান্ডিং সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের একটা জেন্টেলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্টের কথা উনি বলেছেন। সেটা আমি আজকেও বলেছি। সেই মর্মে আজকেও আবার এই কথাটা ওনাকে জানিয়ে রিকোয়েস্ট করা হচ্ছে। তো যেটা অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে আমরা আশা করছি সেই জেন্টেল অ্যাগ্রিমেন্ট অনুসারে কাজ হবে। সে জন্য ওইটা নিয়ে আর নতুন করে কোনো কথা বলা প্রয়োজন ছিল না বলে আমরা মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দল বা নিজের দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু যখন জোটবদ্ধ হয়, তখন সে তার নিজের প্রতীক নিয়ে করবে না জোটের অন্য কোনো দলের প্রতীকে করবে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও তার। সেভাবেই নির্বাচন হয়েছে।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর ২০ ধারায় সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। জোটবদ্ধ দলগুলোর নিজের ইচ্ছেমতো জোটের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ চায় দলটি। আজ রোববার এ মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
আজ আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকও করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিল। বৈঠকে প্রতিনিধি দলে ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইসমাইল জবিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন ইতিপূর্বে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের বিবেচনায় জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং নিজেদের দলের বা জোটের অন্য কোনো দলের নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, যা তাদের রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। এর আগে এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো জটিলতা বা কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি, সুন্দরভাবে নির্বাচন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এই প্রক্রিয়া পরিবর্তন বা সংশোধন করার জন্য কোনো দাবি ছিল না। বরং এই সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত চাওয়া হলে বিএনপি আরপিওর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে সংশোধন প্রস্তাবে মতপ্রকাশ করতে গিয়ে বলেছে— আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদ অর্থাৎ দল বা জোটের প্রতীক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিবর্তনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে না। যথাসময়ে তা ঐকমত্য কমিশন ও সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের উচ্চপর্যায়ে উপদেষ্টা লেভেলে বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে আলোচনাকালে আরপিওর ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না—এই মর্মে বিএনপিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পত্রিকায় বিপরীত সংবাদ অর্থাৎ জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজের দলীয় প্রতীকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই সংশোধনীর সঙ্গে একমত নয় এবং এই সংশোধনী বা পরিবর্তন বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
জোট গঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনে জয়ী হওয়া— এমন মন্তব্য করে ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ চাওয়ার অধিকার আছে। এবং এযাবৎ এ প্রক্রিয়াতেই জোটবদ্ধ দলগুলোর চাহিদা অনুসারে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং এতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না। এই বহুল প্রচলিত প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজনীয়তা কেন দেখা দিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য না। তা ছাড়া নির্বাচনে প্রধান স্টেকগুলো অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রাক পরামর্শ ছাড়াই এমন একটা মেজর সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনভিপ্রেত এবং আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে বিএনপি মনে করে। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করা আরপিওতে বৈধ এবং সেটাই দীর্ঘদিনের অনুসৃত রীতি বা পদ্ধতি। জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করার কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের অধিকার থাকলে জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ দল কিংবা জোটবদ্ধ যে কোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার অধিকার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকার ক্ষুণ্ন করার কোনো সুযোগ আছে বলে বিএনপি মনে করে না। তাই আমরা আরপিওতে ২০ অনুচ্ছেদের পূর্বের বিধান বহাল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন কমিশনতে অনুরোধ করেছি এবং আজকে এ ধরনের সিমিলার লেটার আমাদের উপদেষ্টা পর্যায়ে সরকারের আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমরা আশা করি, সরকারের গুড সেন্স উইল প্রিভেইল এবং আগের মতোই ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন হবে না এবং জোটবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো হয় নিজের দল অথবা যেকোনো একটা দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্ট্যান্ডিং সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের একটা জেন্টেলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্টের কথা উনি বলেছেন। সেটা আমি আজকেও বলেছি। সেই মর্মে আজকেও আবার এই কথাটা ওনাকে জানিয়ে রিকোয়েস্ট করা হচ্ছে। তো যেটা অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে আমরা আশা করছি সেই জেন্টেল অ্যাগ্রিমেন্ট অনুসারে কাজ হবে। সে জন্য ওইটা নিয়ে আর নতুন করে কোনো কথা বলা প্রয়োজন ছিল না বলে আমরা মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দল বা নিজের দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু যখন জোটবদ্ধ হয়, তখন সে তার নিজের প্রতীক নিয়ে করবে না জোটের অন্য কোনো দলের প্রতীকে করবে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও তার। সেভাবেই নির্বাচন হয়েছে।’

শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উচ্চ মর্যাদাশীল দেশ। দেশের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নৌকাকে আবারও বিপুল ভোটে জয়ী করুন। মনে রাখবেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দেশে
১০ নভেম্বর ২০২৩
ইসির এই সিদ্ধান্তে বিআরপির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয় বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’
৪ মিনিট আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের।
১৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগেরেজা করিম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের। কিন্তু ওই দল থেকে জিতে আসার মতো প্রার্থী হাতে গোনা। আবার ভোটে প্রতীক ব্যবহারের নিয়মেও এসেছে বদল। এ অবস্থায় শরিক দল ও নিজেদের আসনের হিসাব মেলানো বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের জন্য।
ঘোষণা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। এর আগে চলতি মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে নিজেদের একক প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘এ মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। সে প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে।’
বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্র বলছে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে শরিক দলগুলোর আলোচনা চলমান রয়েছে। দলগুলো পৃথকভাবে তাদের প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা দিয়ে সে অনুযায়ী আসন ছাড় চেয়েছে। জমা পড়া তালিকা অনুযায়ী বিএনপির কাছে শরিকেরা দুই শতাধিক আসন ছাড় চেয়েছে। এসব তালিকা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ ৩০টির মতো ছাড়ের কথা ভাবছে বিএনপি। এরই মধ্যে শরিক দলগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ১৫ জনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনাও এখন প্রকাশ্যে। তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চলছে। এসব আলোচনা আসন ভাগাভাগি পর্যন্ত গড়িয়েছে। জোটবদ্ধ হলে এনসিপিকে ৫ থেকে ৭টি আসন ছাড় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে এনসিপির চাওয়া আরও বেশি।
যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে কী হবে না—তা এখনই বলা যায় না।
এদিকে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইপর্বে আছি। আমাদের লক্ষ্য সরকার গঠন করা। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা উঠে আসতে চাই এবং সে ক্ষেত্রে যেকোনো দলের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা হতেই পারে। কিন্তু আমরা নিজেদের সক্ষমতাটা আগে তৈরি করছি।’
বিএনপির সূত্র বলছে, বিগত দিনে তাদের সঙ্গে রাজপথে যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু যে সংখ্যক আসন ছাড়ের দাবি দলগুলোর পক্ষ থেকে এসেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। আবার যাকে আসন ছাড়া হবে, তিনি বিজয়ী হতে পারবেন কি না, তাও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। আসন ছাড় দিয়ে বিজয়ী হতে পারলেন না, প্রতিদ্বন্দ্বীরা জয়ী হলো, হয়তো সেই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী জয়ী হতো—এমনটি হলে সবদিক থেকেই ক্ষতির কারণ হবে।
এর মধ্যে প্রতীক ব্যবহারের নিয়ম বদলের কারণে শরিকদের নিয়ে নতুন ভাবনায় পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, এখন থেকে জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। জোটের প্রধান দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এ বাস্তবতায় শরিকদের জন্য ৩০টির বেশি আসন ছাড়ের সম্ভাবনা দেখছেন না বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এমন এক নেতা বলেন, শরিক দলের প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান দুর্বল। বিএনপির মাঠ জরিপে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। এখন তাদের মধ্য থেকে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে। তবে যেহেতু প্রতিশ্রুতি রয়েছে শরিকদের জন্য, তাই ভালো একটা উপায় খোঁজার চেষ্টা চলছে। প্রতীক বদলের বিষয়টি সংশোধনের জন্য এরই মধ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করছে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
শরিক দলের নেতারাও এ বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক দল আগে জমা দেওয়া তালিকা ছোট করার কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা যে তালিকা করেছিলাম, তার একটা শর্টলিস্ট করছি। আগামী দু-এক দিনে মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এ নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে বসব।’
আর বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, প্রতীক ব্যবহারের নতুন নিয়ম বলবৎ থাকলে নিবন্ধিত ছোট দলগুলো সমস্যায় পড়বে। অচেনা প্রতীক নিয়ে তাদের জয়ী হতে বেগ পেতে হবে। তবে যেসব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের জন্য সমস্যা নেই।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, ‘বিএনপি আমাদের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। শিগগিরই শরিকদের বিষয়টি নিয়ে বসবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।’
আরপিও সংশোধন ও প্রতীক নিয়ে এই নেতা বলেন, গ্রামের মানুষ ছোট দলের প্রতীক চেনে না। এত কম সময়ে নতুন কোনো প্রতীককে পরিচিত করে তোলাও কঠিন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও বিষয়টি জটিলতার সৃষ্টি করেছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের। কিন্তু ওই দল থেকে জিতে আসার মতো প্রার্থী হাতে গোনা। আবার ভোটে প্রতীক ব্যবহারের নিয়মেও এসেছে বদল। এ অবস্থায় শরিক দল ও নিজেদের আসনের হিসাব মেলানো বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের জন্য।
ঘোষণা অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। এর আগে চলতি মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে নিজেদের একক প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘এ মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো আমরা গ্রিন সিগন্যাল দেব। সে প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে।’
বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সূত্র বলছে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে শরিক দলগুলোর আলোচনা চলমান রয়েছে। দলগুলো পৃথকভাবে তাদের প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা দিয়ে সে অনুযায়ী আসন ছাড় চেয়েছে। জমা পড়া তালিকা অনুযায়ী বিএনপির কাছে শরিকেরা দুই শতাধিক আসন ছাড় চেয়েছে। এসব তালিকা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ ৩০টির মতো ছাড়ের কথা ভাবছে বিএনপি। এরই মধ্যে শরিক দলগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ১৫ জনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনাও এখন প্রকাশ্যে। তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চলছে। এসব আলোচনা আসন ভাগাভাগি পর্যন্ত গড়িয়েছে। জোটবদ্ধ হলে এনসিপিকে ৫ থেকে ৭টি আসন ছাড় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে এনসিপির চাওয়া আরও বেশি।
যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, এনসিপির সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে দল দুটি জোটবদ্ধ হবে কী হবে না—তা এখনই বলা যায় না।
এদিকে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইপর্বে আছি। আমাদের লক্ষ্য সরকার গঠন করা। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা উঠে আসতে চাই এবং সে ক্ষেত্রে যেকোনো দলের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা হতেই পারে। কিন্তু আমরা নিজেদের সক্ষমতাটা আগে তৈরি করছি।’
বিএনপির সূত্র বলছে, বিগত দিনে তাদের সঙ্গে রাজপথে যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু যে সংখ্যক আসন ছাড়ের দাবি দলগুলোর পক্ষ থেকে এসেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। আবার যাকে আসন ছাড়া হবে, তিনি বিজয়ী হতে পারবেন কি না, তাও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। আসন ছাড় দিয়ে বিজয়ী হতে পারলেন না, প্রতিদ্বন্দ্বীরা জয়ী হলো, হয়তো সেই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী জয়ী হতো—এমনটি হলে সবদিক থেকেই ক্ষতির কারণ হবে।
এর মধ্যে প্রতীক ব্যবহারের নিয়ম বদলের কারণে শরিকদের নিয়ে নতুন ভাবনায় পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, এখন থেকে জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। জোটের প্রধান দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এ বাস্তবতায় শরিকদের জন্য ৩০টির বেশি আসন ছাড়ের সম্ভাবনা দেখছেন না বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এমন এক নেতা বলেন, শরিক দলের প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান দুর্বল। বিএনপির মাঠ জরিপে এ বাস্তবতা উঠে এসেছে। এখন তাদের মধ্য থেকে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী খুঁজে পাওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে। তবে যেহেতু প্রতিশ্রুতি রয়েছে শরিকদের জন্য, তাই ভালো একটা উপায় খোঁজার চেষ্টা চলছে। প্রতীক বদলের বিষয়টি সংশোধনের জন্য এরই মধ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করছে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
শরিক দলের নেতারাও এ বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক দল আগে জমা দেওয়া তালিকা ছোট করার কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা যে তালিকা করেছিলাম, তার একটা শর্টলিস্ট করছি। আগামী দু-এক দিনে মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে এ নিয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে বসব।’
আর বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, প্রতীক ব্যবহারের নতুন নিয়ম বলবৎ থাকলে নিবন্ধিত ছোট দলগুলো সমস্যায় পড়বে। অচেনা প্রতীক নিয়ে তাদের জয়ী হতে বেগ পেতে হবে। তবে যেসব দলের নিবন্ধন নেই, তাদের জন্য সমস্যা নেই।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে, ‘বিএনপি আমাদের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। শিগগিরই শরিকদের বিষয়টি নিয়ে বসবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।’
আরপিও সংশোধন ও প্রতীক নিয়ে এই নেতা বলেন, গ্রামের মানুষ ছোট দলের প্রতীক চেনে না। এত কম সময়ে নতুন কোনো প্রতীককে পরিচিত করে তোলাও কঠিন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও বিষয়টি জটিলতার সৃষ্টি করেছে।

শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উচ্চ মর্যাদাশীল দেশ। দেশের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নৌকাকে আবারও বিপুল ভোটে জয়ী করুন। মনে রাখবেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দেশে
১০ নভেম্বর ২০২৩
ইসির এই সিদ্ধান্তে বিআরপির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয় বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’
৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর ২০ ধারায় সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। জোটবদ্ধ দলগুলোর নিজের ইচ্ছেমতো জোটের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ চায় দলটি। আজ রোববার এ মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলগুলোর যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন— ‘ছোট দল’ বলে কাউকে অসম্মান করছিন না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট–বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তারা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এবিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, ছোটখাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ পার্লামেন্টে এলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়। এভাবে যুক্ত ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। সেটা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ আমরা একটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটা সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদ দেখতে চাই, যেখানে সকল মতের, আদর্শের ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির কল্যাণে তাঁদের অবদান রাখবেন এবং সেটা হলেই জাতির গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি আসে জাতি উপকৃত হয়।’
বিএনপির সঙ্গে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটায় (বাধ্যতামূলক দলীয় প্রতীক) তাদেরও সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত চেয়েছিল, আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যে সমস্ত সংশোধনী এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত। কিন্তু এই বিষয়টা, প্রতীকের বিষয়টা—জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না—এ বিষয়ে আমরা কখনো সম্মত হইনি।’
এটি একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ও আরপিও নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং অধিকাংশ সংশোধনের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই প্রতীকের বিষয়টি সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে ও নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেব। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ছোট দলের অংশগ্রহণ সংসদকে সমৃদ্ধ করে। এভাবে তাদের সুযোগ সংকুচিত করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-এনসিপির জোট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপিন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
এনসিপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না—অথবা তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে এসব আগে থেকে বলা যায় না।’
তবে এনসিপির দিক থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত মিলেনি। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপির অবস্থানে এনসিপির উদ্বেগ
এদিকে সংশোধিত আরপিও নিয়ে বিএনপির আপত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। সংশোধিত আরপিও থেকে সরকার সরে এলে তা ‘লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ হিসেবে দেখা হবে বলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। কিন্তু বিএনপি এখন বলছে, তারা সংশোধনী বাতিলের আবেদন করবে আইন মন্ত্রণালয়ে। অথচ আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন। এটি রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর সংকেত দিচ্ছে। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী ঠেকানোর মানসিকতা থেকে মনে হচ্ছে, কিছু দল হয়তো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিতে চাইছে। এটা গণতান্ত্রিকভাবে অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।’
সরকারকে সতর্ক করে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘যদি কোনো দলের চাপে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে সেটা প্রমাণ করবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে এগোচ্ছে। এটা জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া নয়।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলগুলোর যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন— ‘ছোট দল’ বলে কাউকে অসম্মান করছিন না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট–বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তারা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এবিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, ছোটখাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ পার্লামেন্টে এলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়। এভাবে যুক্ত ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। সেটা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ আমরা একটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটা সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদ দেখতে চাই, যেখানে সকল মতের, আদর্শের ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির কল্যাণে তাঁদের অবদান রাখবেন এবং সেটা হলেই জাতির গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি আসে জাতি উপকৃত হয়।’
বিএনপির সঙ্গে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটায় (বাধ্যতামূলক দলীয় প্রতীক) তাদেরও সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত চেয়েছিল, আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যে সমস্ত সংশোধনী এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত। কিন্তু এই বিষয়টা, প্রতীকের বিষয়টা—জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না—এ বিষয়ে আমরা কখনো সম্মত হইনি।’
এটি একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ও আরপিও নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং অধিকাংশ সংশোধনের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই প্রতীকের বিষয়টি সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে ও নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেব। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ছোট দলের অংশগ্রহণ সংসদকে সমৃদ্ধ করে। এভাবে তাদের সুযোগ সংকুচিত করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-এনসিপির জোট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপিন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
এনসিপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না—অথবা তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে এসব আগে থেকে বলা যায় না।’
তবে এনসিপির দিক থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত মিলেনি। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপির অবস্থানে এনসিপির উদ্বেগ
এদিকে সংশোধিত আরপিও নিয়ে বিএনপির আপত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। সংশোধিত আরপিও থেকে সরকার সরে এলে তা ‘লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ হিসেবে দেখা হবে বলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। কিন্তু বিএনপি এখন বলছে, তারা সংশোধনী বাতিলের আবেদন করবে আইন মন্ত্রণালয়ে। অথচ আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন। এটি রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর সংকেত দিচ্ছে। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী ঠেকানোর মানসিকতা থেকে মনে হচ্ছে, কিছু দল হয়তো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিতে চাইছে। এটা গণতান্ত্রিকভাবে অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।’
সরকারকে সতর্ক করে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘যদি কোনো দলের চাপে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে সেটা প্রমাণ করবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে এগোচ্ছে। এটা জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া নয়।’

শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উচ্চ মর্যাদাশীল দেশ। দেশের গ্রামগুলো এখন শহরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নৌকাকে আবারও বিপুল ভোটে জয়ী করুন। মনে রাখবেন ৭১-এর পরাজিত শক্তি নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দেশে
১০ নভেম্বর ২০২৩
ইসির এই সিদ্ধান্তে বিআরপির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয় বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’
৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ (আরপিও)-এর ২০ ধারায় সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। জোটবদ্ধ দলগুলোর নিজের ইচ্ছেমতো জোটের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ চায় দলটি। আজ রোববার এ মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাইন এখন অনেক লম্বা। প্রার্থী বাছাই করতে তাই নাজেহাল অবস্থা দলটির। এর ওপর যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছাড়তে হবে আসন। খুঁজতে হচ্ছে নতুন শরিক দলও। হিসাব মিলে গেলেও আসনের ভাগ দিতে হবে তাদের।
১৩ ঘণ্টা আগে