নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির মামলা-গ্রেপ্তারের বিষয়টি যে পরিকল্পিত, তা কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এই প্রভাবশালী মন্ত্রী হাটে হাঁড়ি ভেঙে স্বীকার করলেন, দেশের আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, কোর্ট-কাছারি, বিচার-আচার—সবকিছুই আওয়ামী মাফিয়া সরকারের হাতে বন্দী। বিচারব্যবস্থা আর আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে গেছে। পৃথক কোনো সত্তা নেই, দেশে কোনো আইন নেই। সবকিছু শেখ হাসিনার ইশারায় চলছে।’
কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘গতকাল (রোববার) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সিট ভাগাভাগির নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন কণ্টকমুক্ত করার জন্যই বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তারা নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি এক রাতে সব নেতাকে জেল থেকে মুক্তির প্রস্তাবও তাদের দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়নি।’
রিজভী বলেন, ‘এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশি তাণ্ডব, হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে চলমান যত সহিংসতা, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, হুলিয়া, হত্যা, বিএনপিসহ বিরোধী দলের বাড়িঘরে হামলা, তল্লাশি, ভাঙচুর, গৃহছাড়া, আটক-বাণিজ্য—সবকিছু শেখ হাসিনার পূর্বপরিকল্পিত।’
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবর রোববার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সামনে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সমালোচনাও করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সাংবাদিক ও লেখক এম জে আকবর বাংলাদেশে এসে এক সেমিনার শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিশিরাতের ভোট ডাকাত, ১৫ বছর বন্দুকের নলের মুখে জনগণের ঘাড়ে দৈত্যের মতো চেপে বসা গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে স্তুতি আর প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন। এম জে আকবরের মতো একজন প্রাজ্ঞ সাংবাদিক ও রাজনীতিক কী করে সবকিছু জেনে-শুনেও একনায়কতন্ত্রের পক্ষে, ১৮ কোটি বাংলাদেশির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বললেন।’
এম জে আকবরের কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘জনসমর্থনহীন শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা আপনাদের কী স্বার্থ নিশ্চিত করে, এটা এ দেশের জনগণ জানতে চায়। আপনাদের সমর্থনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এ দেশে নিষ্ঠুর বর্বরতা চালাচ্ছেন বলে এ দেশের জনগণ বিশ্বাস করে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত কি তাহলে বাংলাদেশের জনগণকে উপেক্ষা করে শুধু আওয়ামী লীগকেই বন্ধুত্বের বন্ধনে আঁকড়ে রাখতে চায়? এম জে আকবরের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণকে অবজ্ঞা করার শামিল, এম জে আকবরের মন্তব্য কর্তৃত্বসুলভ ও বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছাকে অসম্মান করা।’
বিএনপির মামলা-গ্রেপ্তারের বিষয়টি যে পরিকল্পিত, তা কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এই প্রভাবশালী মন্ত্রী হাটে হাঁড়ি ভেঙে স্বীকার করলেন, দেশের আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, কোর্ট-কাছারি, বিচার-আচার—সবকিছুই আওয়ামী মাফিয়া সরকারের হাতে বন্দী। বিচারব্যবস্থা আর আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে গেছে। পৃথক কোনো সত্তা নেই, দেশে কোনো আইন নেই। সবকিছু শেখ হাসিনার ইশারায় চলছে।’
কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘গতকাল (রোববার) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সিট ভাগাভাগির নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন কণ্টকমুক্ত করার জন্যই বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। বিএনপিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তারা নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি এক রাতে সব নেতাকে জেল থেকে মুক্তির প্রস্তাবও তাদের দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়নি।’
রিজভী বলেন, ‘এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশি তাণ্ডব, হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে চলমান যত সহিংসতা, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, হুলিয়া, হত্যা, বিএনপিসহ বিরোধী দলের বাড়িঘরে হামলা, তল্লাশি, ভাঙচুর, গৃহছাড়া, আটক-বাণিজ্য—সবকিছু শেখ হাসিনার পূর্বপরিকল্পিত।’
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবর রোববার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সামনে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সমালোচনাও করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সাংবাদিক ও লেখক এম জে আকবর বাংলাদেশে এসে এক সেমিনার শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিশিরাতের ভোট ডাকাত, ১৫ বছর বন্দুকের নলের মুখে জনগণের ঘাড়ে দৈত্যের মতো চেপে বসা গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে স্তুতি আর প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন। এম জে আকবরের মতো একজন প্রাজ্ঞ সাংবাদিক ও রাজনীতিক কী করে সবকিছু জেনে-শুনেও একনায়কতন্ত্রের পক্ষে, ১৮ কোটি বাংলাদেশির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বললেন।’
এম জে আকবরের কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘জনসমর্থনহীন শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা আপনাদের কী স্বার্থ নিশ্চিত করে, এটা এ দেশের জনগণ জানতে চায়। আপনাদের সমর্থনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এ দেশে নিষ্ঠুর বর্বরতা চালাচ্ছেন বলে এ দেশের জনগণ বিশ্বাস করে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত কি তাহলে বাংলাদেশের জনগণকে উপেক্ষা করে শুধু আওয়ামী লীগকেই বন্ধুত্বের বন্ধনে আঁকড়ে রাখতে চায়? এম জে আকবরের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণকে অবজ্ঞা করার শামিল, এম জে আকবরের মন্তব্য কর্তৃত্বসুলভ ও বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছাকে অসম্মান করা।’
সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিরীক্ষক এবং ন্যায়পাল নিয়োগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত বিধান আলোচনায় বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ ওয়াকআউট করেন।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, জুলাই কেন ‘মানি মেকিং মেশিন’ হবে? তিনি বলেছেন, ‘আনফরচুনেটলি সেটা হয়েছে।’ গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান পুলিশের কর্মঘণ্টা অনুযায়ী বেতনকাঠামো পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডিসি, ইউএনও বা অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।
১৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন মনে করেন, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র সফলভাবে বাস্তবায়নের পরই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা উচিত। আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা
১৬ ঘণ্টা আগে