অনলাইন ডেস্ক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, যাঁরা গণতন্ত্র এবং বাস্তবতায় থাকতে চান, তাঁদের মহাসচিবের বক্তব্যকে অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল। কিন্তু তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে, তাঁর উদ্যোগ নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, এটা দুঃখজনক ঘটনা।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ধানের শীষ ঐক্যমঞ্চের (ঘাটাইল) আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন নির্বাচন নিয়ে নানান কথা হচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরে না আসলে অর্থাৎ ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার পরে জাতি গণতন্ত্রে ফিরবে, এটা তো বাস্তবসম্মত। গণতন্ত্রে ফেরার জন্য একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মধ্যে জাতিকে যদি না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসার দ্বিতীয় কোনো পথ আছে বলে মনে হয় না।
গণতন্ত্রের বিপক্ষের গোষ্ঠী নির্বাচনবিরোধী দাবি করে মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘যাঁরা গণতন্ত্রে ফিরতে চান, তাঁরা গণতন্ত্রের কথা বলছেন। আর যাঁরা নির্বাচনকে বিরোধিতা করতে চান, তাঁরা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। অর্থাৎ সকল দলের সঙ্গে এই সরকারের সমান অধিকার থাকতে হবে। কিন্তু, নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের যাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন, তাঁরা যদি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাহলে বিতর্ক সৃষ্টি হবে। মহাসচিব সত্য কথা বলেছেন।’
দেশে ‘জিয়াবাদ’ ও ‘মুজিববাদ’ আর চাই না বলে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বলব, ভাই আপনাকে কে দেখতে বলেছে? কে ঠিকাদারি দিয়েছে আপনাকে? চোখ নাই, মাথা নাই, বুদ্ধি নাই, বিবেচনা নাই? আপনারা মুজিবকে বিরোধিতা করেন, কিন্তু জিয়াকে বিরোধিতা করলে আপনাকে মুজিবের পক্ষের লোক হিসেবে অনেকে ধারণা করবে। বিভ্রান্ত সৃষ্টি করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দ্বিধান্বিত করবে। এটা ঠিক হবে না। সে জন্য আমার মনে হয়, বিএনপিকে সমালোচনা করতে গিয়ে আপনি যে পরোক্ষে গণতন্ত্রের সমালোচনা করছেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে চলে যাচ্ছেন, এটা কী আপনি খেয়াল করেছেন? আগামীর দিন হচ্ছে জাতীয়তাবাদীদের দিন। আগামী দিন হচ্ছে—যারা শহীদ জিয়ার কর্মী, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের কর্মী—তাঁদের দিন।’
আরাফাত রহমান কোকের স্মৃতিচারণা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো শুধু জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার আদরের পুত্র নন, তিনি একজন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকও ছিলেন। তিনি রাজনীতির সঙ্গে না থাকলেও, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের একজন আদরের সন্তান ছিলেন। এই ধরনের একটা পরিবারের মানুষকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে; এটা আমার কাছে মনে হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম টুটুলের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, লোটন খন্দকার, হাতেম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, যাঁরা গণতন্ত্র এবং বাস্তবতায় থাকতে চান, তাঁদের মহাসচিবের বক্তব্যকে অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল। কিন্তু তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে, তাঁর উদ্যোগ নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, এটা দুঃখজনক ঘটনা।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ধানের শীষ ঐক্যমঞ্চের (ঘাটাইল) আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন নির্বাচন নিয়ে নানান কথা হচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরে না আসলে অর্থাৎ ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার পরে জাতি গণতন্ত্রে ফিরবে, এটা তো বাস্তবসম্মত। গণতন্ত্রে ফেরার জন্য একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মধ্যে জাতিকে যদি না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসার দ্বিতীয় কোনো পথ আছে বলে মনে হয় না।
গণতন্ত্রের বিপক্ষের গোষ্ঠী নির্বাচনবিরোধী দাবি করে মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘যাঁরা গণতন্ত্রে ফিরতে চান, তাঁরা গণতন্ত্রের কথা বলছেন। আর যাঁরা নির্বাচনকে বিরোধিতা করতে চান, তাঁরা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেছেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। অর্থাৎ সকল দলের সঙ্গে এই সরকারের সমান অধিকার থাকতে হবে। কিন্তু, নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের যাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন, তাঁরা যদি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাহলে বিতর্ক সৃষ্টি হবে। মহাসচিব সত্য কথা বলেছেন।’
দেশে ‘জিয়াবাদ’ ও ‘মুজিববাদ’ আর চাই না বলে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বলব, ভাই আপনাকে কে দেখতে বলেছে? কে ঠিকাদারি দিয়েছে আপনাকে? চোখ নাই, মাথা নাই, বুদ্ধি নাই, বিবেচনা নাই? আপনারা মুজিবকে বিরোধিতা করেন, কিন্তু জিয়াকে বিরোধিতা করলে আপনাকে মুজিবের পক্ষের লোক হিসেবে অনেকে ধারণা করবে। বিভ্রান্ত সৃষ্টি করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দ্বিধান্বিত করবে। এটা ঠিক হবে না। সে জন্য আমার মনে হয়, বিএনপিকে সমালোচনা করতে গিয়ে আপনি যে পরোক্ষে গণতন্ত্রের সমালোচনা করছেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে চলে যাচ্ছেন, এটা কী আপনি খেয়াল করেছেন? আগামীর দিন হচ্ছে জাতীয়তাবাদীদের দিন। আগামী দিন হচ্ছে—যারা শহীদ জিয়ার কর্মী, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের কর্মী—তাঁদের দিন।’
আরাফাত রহমান কোকের স্মৃতিচারণা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো শুধু জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার আদরের পুত্র নন, তিনি একজন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকও ছিলেন। তিনি রাজনীতির সঙ্গে না থাকলেও, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের একজন আদরের সন্তান ছিলেন। এই ধরনের একটা পরিবারের মানুষকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে; এটা আমার কাছে মনে হয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম টুটুলের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক, লোটন খন্দকার, হাতেম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ বাস্তবায়ন হলে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনা শেষে তিনি এই কথা বল
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে নারীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ অবসানের পর মানবিক বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ সামনে এসেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শহীদদের কাঙ্ক্ষিত দেশ গঠনের জন্য আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে নারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ হওয়া দরকার, তেমন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সনদে শুধু কমিশন নয়, সব রাজনৈতিক দল সই করবে। এটি একটি জাতীয় ঐকমত্য। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়। এটি আইনের চেয়েও বড়। এটি একধরনের “লেজিটিমেট এক্সপেকটেশন অব দ্য পিপল”। জনগণের এই প্রত্যাশা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করার জন্য আমরা অঙ্গীকার করেছি। গণ-অভ্যুত্থান ও
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে দেশের স্বাধীনতা মেনে নিয়েই করতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শুধু ভুল-বোঝাবুঝির জন্য বাংলাদেশ আলাদা হয়েছে—এ ধরনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
৩ ঘণ্টা আগে