নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনো সুস্থ নন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাতে গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) এখনও অত্যন্ত অসুস্থ। এতটাই অসুস্থ যে, হেঁটে খাবার টেবিল পর্যন্ত যেতেও তাঁর অনেক কষ্ট হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।'
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাসায় আছেন। মাঝে মাঝেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়। মঙ্গলবার রাতে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে যান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, 'দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনও অসুস্থতা নিয়েও আগের মতই দেশবাসীর কথা চিন্তা করছেন সব সময়। আজকেও তিনি দেশবাসীর অবস্থার কথা জানতে চেয়েছেন। বর্তমানে দেশের সামগ্রিক অবস্থার কথা জেনে তিনি উদ্বেগ জানিয়েছেন।'
সাক্ষাতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের জন্য দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া দেশবাসীর জন্যও দোয়া চেয়েছেন। দেশের মানুষ যেন ভাল থাকে, সুস্থ থাকে, তারা যেন গণতন্ত্রকে ফিরে পায়, অধিকার যেন ফিরে পায়, এই প্রার্থনা তিনিও করেছেন।'
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এবারের সাক্ষাৎ 'আনন্দময়' ছিল না জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'আমাদের এবারকার এই সাক্ষাত নিসন্দেহে খুব বেশি আনন্দময় ছিলো না। আনন্দময় যতটুকু ছিলো এজন্য যে, প্রায় বছর খানেক পর আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারলাম, তাঁর কথা শুনতে পারলাম এবং আমাদের যে শুভেচ্ছা, তিনি যেন সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এই প্রার্থনার কথা তাকে আমরা জানাতে পারলাম।সমস্ত দেশবাসী যে তাঁর জন্য প্রার্থনা করছে সেই কথাটাও আমরা জানাতে পারলাম।'
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কোনো বার্তা আছে কি-না এমন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি এক্ই কথা বলেছেন, দেশের জন্য ভালোবাসা, দেশকে তারা যেন মুক্ত করে।'
রাত ৮টার দিকে মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ঢোকেন। এক ঘন্টা তারা সেখানে ছিলেন। ‘শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে’ ফিরোজার দোতলায় দলীয় প্রধানের সাথে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সর্বশেষ গত বছরের ঈদুল আজহার দিনে খালেদা জিয়ার দেখা পেয়েছিলেন এই নেতারা। গত ঈদুল ফিতরে বিএনপি চেয়ারপারসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হয়নি।
দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্র্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় বিএনপি প্রধানকে।
এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৬ বয়সী খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক কেউই নেত্রীর সাক্ষাত পান না।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দরসহ নিকট স্বজনদের নিয়ে দুপুরে খালেদা জিয়া দুপুরের খাবার খান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনো সুস্থ নন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাতে গুলশানের বাসভবনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) এখনও অত্যন্ত অসুস্থ। এতটাই অসুস্থ যে, হেঁটে খাবার টেবিল পর্যন্ত যেতেও তাঁর অনেক কষ্ট হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।'
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাসায় আছেন। মাঝে মাঝেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়। মঙ্গলবার রাতে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে যান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, 'দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনও অসুস্থতা নিয়েও আগের মতই দেশবাসীর কথা চিন্তা করছেন সব সময়। আজকেও তিনি দেশবাসীর অবস্থার কথা জানতে চেয়েছেন। বর্তমানে দেশের সামগ্রিক অবস্থার কথা জেনে তিনি উদ্বেগ জানিয়েছেন।'
সাক্ষাতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের জন্য দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া দেশবাসীর জন্যও দোয়া চেয়েছেন। দেশের মানুষ যেন ভাল থাকে, সুস্থ থাকে, তারা যেন গণতন্ত্রকে ফিরে পায়, অধিকার যেন ফিরে পায়, এই প্রার্থনা তিনিও করেছেন।'
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এবারের সাক্ষাৎ 'আনন্দময়' ছিল না জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'আমাদের এবারকার এই সাক্ষাত নিসন্দেহে খুব বেশি আনন্দময় ছিলো না। আনন্দময় যতটুকু ছিলো এজন্য যে, প্রায় বছর খানেক পর আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারলাম, তাঁর কথা শুনতে পারলাম এবং আমাদের যে শুভেচ্ছা, তিনি যেন সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এই প্রার্থনার কথা তাকে আমরা জানাতে পারলাম।সমস্ত দেশবাসী যে তাঁর জন্য প্রার্থনা করছে সেই কথাটাও আমরা জানাতে পারলাম।'
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কোনো বার্তা আছে কি-না এমন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি এক্ই কথা বলেছেন, দেশের জন্য ভালোবাসা, দেশকে তারা যেন মুক্ত করে।'
রাত ৮টার দিকে মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ঢোকেন। এক ঘন্টা তারা সেখানে ছিলেন। ‘শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে’ ফিরোজার দোতলায় দলীয় প্রধানের সাথে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সর্বশেষ গত বছরের ঈদুল আজহার দিনে খালেদা জিয়ার দেখা পেয়েছিলেন এই নেতারা। গত ঈদুল ফিতরে বিএনপি চেয়ারপারসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হয়নি।
দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্র্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় বিএনপি প্রধানকে।
এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৬ বয়সী খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক কেউই নেত্রীর সাক্ষাত পান না।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দরসহ নিকট স্বজনদের নিয়ে দুপুরে খালেদা জিয়া দুপুরের খাবার খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি করে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তী ১৫ বছর তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। এই দেশ তারা সব দিক থেকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
৪ ঘণ্টা আগেশনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
৫ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
১ দিন আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
১ দিন আগে