Ajker Patrika

রেল ট্রানজিটের নামে ভারতকে একতরফা করিডর দিলে সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হবে: এবি পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৪, ২০: ২৪
রেল ট্রানজিটের নামে ভারতকে একতরফা করিডর দিলে সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হবে: এবি পার্টি

রেল ট্রানজিটের নামে ভারতকে একতরফা করিডর দিলে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হবে বলে মনে করে এবি পার্টি। দলটির নেতারা বলছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করা ও বৈষম্যমূলক কোটা পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে পাকিস্তানি বৈষম্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে যাবে। 

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরের বিজয়-৭১ চত্বরে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। ট্রানজিটের একতরফা রেল করিডর, কোটা পুনঃপ্রবর্তন বাতিল ও ডামি সরকারের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

দলটির কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, কেন্দ্রীয় নেতা কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম প্রমুখ। 
 
সভাপতির বক্তব্যে মেজর (অব.) মিনার বলেন, এই সরকার দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একতরফাভাবে ভারতকে রেল করিডর দিয়েছে। এই ডামি সরকার মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আবার নতুন করে কোটা প্রথা চালু করতে চাইছে। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ভারতকে করিডর দিয়ে, জনগণের সম্পদ লুটপাটকারীদের সুবিধা দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়। তিনি বলেন, ডামি সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গণতন্ত্র উদ্ধার করে দেশকে এই ফ্যাসিবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। 

এ সময় রেল ট্রানজিটের নামে কৌশলে ভারতকে একতরফা করিডর প্রদান করে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এবি পার্টির নেতারা। বৈষম্যমূলক কোটা পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে ’৭১ পূর্ব পাকিস্তানি বৈষম্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তাঁরা। 

এ সময় তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ৫৪টি নদীর উজানে ভারত যে বাঁধ দিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে তিস্তা নদীসহ ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার চুক্তি কই? সরকার এত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশি জনগণকে নির্বিচার হত্যা বন্ধের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে না কেন? 

পরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে সড়কে নামেন নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত