নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়। এমন পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার লন্ডনে একান্ত বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকেরা এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। কেউ কেউ বলছেন, এই বৈঠক থেকে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে। নির্বাচনের সময় নিয়ে মতভিন্নতা দূর হতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, দুই পক্ষ কোনো বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে দূরত্ব আরও বাড়তে পারে। তাই সবার নজর এখন শুক্রবারের ওই বৈঠকের দিকে।
বিএনপি আশা করছে, বৈঠকটি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার এমন আশাবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অবস্থানে এই বৈঠক একটি বড় ঘটনা। এটি একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
সংকট নিরসনে আশা জাগানো ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকটি হবে সেন্ট্রাল লন্ডনের দ্য ডরচেস্টার হোটেলে। শুক্রবার লন্ডন সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকে জরুরি সংস্কার শেষে ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করছে। তবে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কিছু দল রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। নির্বাচনের সময় ও সংস্কারের ব্যাপ্তি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতপার্থক্য প্রকাশ্য এবং নেপথ্যের নানামুখী তৎপরতায় দূর হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার লন্ডনে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. ইউনূসের সরকারি সফরে লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সেখানে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে নেপথ্যে যোগাযোগ শুরু হয়।
উভয় পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকটি যাতে ভালোভাবে শেষ হয়, যেন ইতিবাচক কিছু পাওয়া যায়—এগুলো সামনে রেখে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার ও প্রয়োজনীয় দর-কষাকষির কাজটি গত প্রায় দুই সপ্তাহে এগিয়ে রেখেছেন দুই নেতার ঘনিষ্ঠ কয়েক ব্যক্তি।
এ বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। বৈঠকটি হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন মাত্রা সৃষ্টি হতে পারে। তবে তিনি বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান কীভাবে সেই সম্ভাবনার দিকে বৈঠকটিকে নিয়ে যাবেন, তা এখন তাঁদের ওপর নির্ভর করবে।
বৈঠকটির পূর্বনির্ধারিত কোনো আলোচ্যসূচি নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ হবে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির গত সোমবারের সভায় মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে উঠতে পারে, এমন বিভিন্ন ইস্যুতে দলের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
জাতির উদ্দেশে ৬ জুন দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে বিএনপি পরদিন ডিসেম্বরে ভোটের দাবিতে অনড় থাকার কথা বলেছে।
বিএনপির ভেতরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ভোট হলে কী কী অসুবিধা, আর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হলে কী কী সুবিধা, তা লন্ডনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। অন্য সব বিষয়ে বড় মতভেদ না থাকলে সময়ের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে আগামী রমজান মাসের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠানে দলটি রাজি হতে পারে।
এদিকে মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের কয়েকটি প্রস্তাবে তারেক রহমানের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে ভারসাম্য আনা, দুবারের বেশি একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা যায় কি না—এসব বিষয় আলোচনায় আনতে পারেন তিনি।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, দলটি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কাটছাঁটে রাজি থাকলেও সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না করার বিষয়ে অনড় থাকবে। এর বাইরে বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক পক্ষপাত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রভাবের দিকগুলো দলের পক্ষ থেকে তোলা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও এনসিপির কয়েকজন নেতা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগ্রহ জানান।
আগামী শুক্রবারের বৈঠকের ঠিক দুই মাস আগে ১৩ এপ্রিল তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর লন্ডনের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এ বৈঠকের বিষয়ে জামায়াতের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে ভবিষ্যতে কী অবস্থান নেয়, তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ও অন্যান্য পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করবে। জামায়াত এ কারণে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক পন্থায় এগোতে চায়।
জামায়াত আগামী রমজানের আগে নির্বাচনের কথা বলেছে। দলের আমির গত রোববার মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক সমাবেশে বলেন, একান্ত কোনো কারণে নির্বাচন পেছালে, সেটি অবশ্যই এপ্রিল অতিক্রম করা উচিত নয়।
ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের লন্ডনের বৈঠকের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির টানাপোড়েন চলছে। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও তারেক রহমান দলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। তাঁর সম্মতি ছাড়া সমাধান আসবে না। এ কারণে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বৈঠকটি কেমন হয়, দুই নেতা সেখানে কী ভূমিকা নেন, তার ওপর এর সাফল্য নির্ভর করবে।
অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ আরও বলেন, ‘শুধু মুখ দেখাদেখি হলে, আর কথাবার্তা একজন বললেন অন্যজন শুনলেন, এমন হলে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদি তাঁরা খোলামনে মতবিনিময় ও ভাববিনিময় করতে পারেন, তাহলে বৈঠকটি ফলপ্রসূ হওয়ার সুযোগ আছে।’ তিনি বলেন, দুই নেতা বিভিন্ন ইস্যুতে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব আরও বাড়তে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়। এমন পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার লন্ডনে একান্ত বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকেরা এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। কেউ কেউ বলছেন, এই বৈঠক থেকে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে। নির্বাচনের সময় নিয়ে মতভিন্নতা দূর হতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, দুই পক্ষ কোনো বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে দূরত্ব আরও বাড়তে পারে। তাই সবার নজর এখন শুক্রবারের ওই বৈঠকের দিকে।
বিএনপি আশা করছে, বৈঠকটি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার এমন আশাবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অবস্থানে এই বৈঠক একটি বড় ঘটনা। এটি একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
সংকট নিরসনে আশা জাগানো ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকটি হবে সেন্ট্রাল লন্ডনের দ্য ডরচেস্টার হোটেলে। শুক্রবার লন্ডন সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকে জরুরি সংস্কার শেষে ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করছে। তবে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কিছু দল রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। নির্বাচনের সময় ও সংস্কারের ব্যাপ্তি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতপার্থক্য প্রকাশ্য এবং নেপথ্যের নানামুখী তৎপরতায় দূর হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার লন্ডনে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. ইউনূসের সরকারি সফরে লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সেখানে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে নেপথ্যে যোগাযোগ শুরু হয়।
উভয় পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকটি যাতে ভালোভাবে শেষ হয়, যেন ইতিবাচক কিছু পাওয়া যায়—এগুলো সামনে রেখে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার ও প্রয়োজনীয় দর-কষাকষির কাজটি গত প্রায় দুই সপ্তাহে এগিয়ে রেখেছেন দুই নেতার ঘনিষ্ঠ কয়েক ব্যক্তি।
এ বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। বৈঠকটি হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন মাত্রা সৃষ্টি হতে পারে। তবে তিনি বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান কীভাবে সেই সম্ভাবনার দিকে বৈঠকটিকে নিয়ে যাবেন, তা এখন তাঁদের ওপর নির্ভর করবে।
বৈঠকটির পূর্বনির্ধারিত কোনো আলোচ্যসূচি নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ হবে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির গত সোমবারের সভায় মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে উঠতে পারে, এমন বিভিন্ন ইস্যুতে দলের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
জাতির উদ্দেশে ৬ জুন দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে বিএনপি পরদিন ডিসেম্বরে ভোটের দাবিতে অনড় থাকার কথা বলেছে।
বিএনপির ভেতরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ভোট হলে কী কী অসুবিধা, আর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হলে কী কী সুবিধা, তা লন্ডনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। অন্য সব বিষয়ে বড় মতভেদ না থাকলে সময়ের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে আগামী রমজান মাসের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠানে দলটি রাজি হতে পারে।
এদিকে মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের কয়েকটি প্রস্তাবে তারেক রহমানের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে ভারসাম্য আনা, দুবারের বেশি একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা যায় কি না—এসব বিষয় আলোচনায় আনতে পারেন তিনি।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, দলটি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কাটছাঁটে রাজি থাকলেও সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না করার বিষয়ে অনড় থাকবে। এর বাইরে বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক পক্ষপাত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রভাবের দিকগুলো দলের পক্ষ থেকে তোলা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও এনসিপির কয়েকজন নেতা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগ্রহ জানান।
আগামী শুক্রবারের বৈঠকের ঠিক দুই মাস আগে ১৩ এপ্রিল তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর লন্ডনের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এ বৈঠকের বিষয়ে জামায়াতের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে ভবিষ্যতে কী অবস্থান নেয়, তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ও অন্যান্য পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করবে। জামায়াত এ কারণে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক পন্থায় এগোতে চায়।
জামায়াত আগামী রমজানের আগে নির্বাচনের কথা বলেছে। দলের আমির গত রোববার মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক সমাবেশে বলেন, একান্ত কোনো কারণে নির্বাচন পেছালে, সেটি অবশ্যই এপ্রিল অতিক্রম করা উচিত নয়।
ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের লন্ডনের বৈঠকের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির টানাপোড়েন চলছে। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও তারেক রহমান দলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। তাঁর সম্মতি ছাড়া সমাধান আসবে না। এ কারণে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বৈঠকটি কেমন হয়, দুই নেতা সেখানে কী ভূমিকা নেন, তার ওপর এর সাফল্য নির্ভর করবে।
অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ আরও বলেন, ‘শুধু মুখ দেখাদেখি হলে, আর কথাবার্তা একজন বললেন অন্যজন শুনলেন, এমন হলে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদি তাঁরা খোলামনে মতবিনিময় ও ভাববিনিময় করতে পারেন, তাহলে বৈঠকটি ফলপ্রসূ হওয়ার সুযোগ আছে।’ তিনি বলেন, দুই নেতা বিভিন্ন ইস্যুতে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব আরও বাড়তে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়। এমন পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার লন্ডনে একান্ত বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকেরা এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। কেউ কেউ বলছেন, এই বৈঠক থেকে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে। নির্বাচনের সময় নিয়ে মতভিন্নতা দূর হতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, দুই পক্ষ কোনো বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে দূরত্ব আরও বাড়তে পারে। তাই সবার নজর এখন শুক্রবারের ওই বৈঠকের দিকে।
বিএনপি আশা করছে, বৈঠকটি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার এমন আশাবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অবস্থানে এই বৈঠক একটি বড় ঘটনা। এটি একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
সংকট নিরসনে আশা জাগানো ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকটি হবে সেন্ট্রাল লন্ডনের দ্য ডরচেস্টার হোটেলে। শুক্রবার লন্ডন সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকে জরুরি সংস্কার শেষে ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করছে। তবে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কিছু দল রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। নির্বাচনের সময় ও সংস্কারের ব্যাপ্তি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতপার্থক্য প্রকাশ্য এবং নেপথ্যের নানামুখী তৎপরতায় দূর হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার লন্ডনে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. ইউনূসের সরকারি সফরে লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সেখানে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে নেপথ্যে যোগাযোগ শুরু হয়।
উভয় পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকটি যাতে ভালোভাবে শেষ হয়, যেন ইতিবাচক কিছু পাওয়া যায়—এগুলো সামনে রেখে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার ও প্রয়োজনীয় দর-কষাকষির কাজটি গত প্রায় দুই সপ্তাহে এগিয়ে রেখেছেন দুই নেতার ঘনিষ্ঠ কয়েক ব্যক্তি।
এ বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। বৈঠকটি হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন মাত্রা সৃষ্টি হতে পারে। তবে তিনি বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান কীভাবে সেই সম্ভাবনার দিকে বৈঠকটিকে নিয়ে যাবেন, তা এখন তাঁদের ওপর নির্ভর করবে।
বৈঠকটির পূর্বনির্ধারিত কোনো আলোচ্যসূচি নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ হবে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির গত সোমবারের সভায় মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে উঠতে পারে, এমন বিভিন্ন ইস্যুতে দলের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
জাতির উদ্দেশে ৬ জুন দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে বিএনপি পরদিন ডিসেম্বরে ভোটের দাবিতে অনড় থাকার কথা বলেছে।
বিএনপির ভেতরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ভোট হলে কী কী অসুবিধা, আর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হলে কী কী সুবিধা, তা লন্ডনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। অন্য সব বিষয়ে বড় মতভেদ না থাকলে সময়ের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে আগামী রমজান মাসের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠানে দলটি রাজি হতে পারে।
এদিকে মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের কয়েকটি প্রস্তাবে তারেক রহমানের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে ভারসাম্য আনা, দুবারের বেশি একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা যায় কি না—এসব বিষয় আলোচনায় আনতে পারেন তিনি।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, দলটি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কাটছাঁটে রাজি থাকলেও সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না করার বিষয়ে অনড় থাকবে। এর বাইরে বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক পক্ষপাত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রভাবের দিকগুলো দলের পক্ষ থেকে তোলা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও এনসিপির কয়েকজন নেতা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগ্রহ জানান।
আগামী শুক্রবারের বৈঠকের ঠিক দুই মাস আগে ১৩ এপ্রিল তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর লন্ডনের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এ বৈঠকের বিষয়ে জামায়াতের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে ভবিষ্যতে কী অবস্থান নেয়, তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ও অন্যান্য পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করবে। জামায়াত এ কারণে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক পন্থায় এগোতে চায়।
জামায়াত আগামী রমজানের আগে নির্বাচনের কথা বলেছে। দলের আমির গত রোববার মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক সমাবেশে বলেন, একান্ত কোনো কারণে নির্বাচন পেছালে, সেটি অবশ্যই এপ্রিল অতিক্রম করা উচিত নয়।
ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের লন্ডনের বৈঠকের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির টানাপোড়েন চলছে। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও তারেক রহমান দলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। তাঁর সম্মতি ছাড়া সমাধান আসবে না। এ কারণে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বৈঠকটি কেমন হয়, দুই নেতা সেখানে কী ভূমিকা নেন, তার ওপর এর সাফল্য নির্ভর করবে।
অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ আরও বলেন, ‘শুধু মুখ দেখাদেখি হলে, আর কথাবার্তা একজন বললেন অন্যজন শুনলেন, এমন হলে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদি তাঁরা খোলামনে মতবিনিময় ও ভাববিনিময় করতে পারেন, তাহলে বৈঠকটি ফলপ্রসূ হওয়ার সুযোগ আছে।’ তিনি বলেন, দুই নেতা বিভিন্ন ইস্যুতে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব আরও বাড়তে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়। এমন পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার লন্ডনে একান্ত বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকেরা এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। কেউ কেউ বলছেন, এই বৈঠক থেকে দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে। নির্বাচনের সময় নিয়ে মতভিন্নতা দূর হতে পারে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, দুই পক্ষ কোনো বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে দূরত্ব আরও বাড়তে পারে। তাই সবার নজর এখন শুক্রবারের ওই বৈঠকের দিকে।
বিএনপি আশা করছে, বৈঠকটি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার এমন আশাবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অবস্থানে এই বৈঠক একটি বড় ঘটনা। এটি একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
সংকট নিরসনে আশা জাগানো ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকটি হবে সেন্ট্রাল লন্ডনের দ্য ডরচেস্টার হোটেলে। শুক্রবার লন্ডন সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকে জরুরি সংস্কার শেষে ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করছে। তবে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কিছু দল রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। নির্বাচনের সময় ও সংস্কারের ব্যাপ্তি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও মতপার্থক্য প্রকাশ্য এবং নেপথ্যের নানামুখী তৎপরতায় দূর হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার লন্ডনে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. ইউনূসের সরকারি সফরে লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সেখানে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে নেপথ্যে যোগাযোগ শুরু হয়।
উভয় পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকটি যাতে ভালোভাবে শেষ হয়, যেন ইতিবাচক কিছু পাওয়া যায়—এগুলো সামনে রেখে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য কমিয়ে আনার ও প্রয়োজনীয় দর-কষাকষির কাজটি গত প্রায় দুই সপ্তাহে এগিয়ে রেখেছেন দুই নেতার ঘনিষ্ঠ কয়েক ব্যক্তি।
এ বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। বৈঠকটি হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন মাত্রা সৃষ্টি হতে পারে। তবে তিনি বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান কীভাবে সেই সম্ভাবনার দিকে বৈঠকটিকে নিয়ে যাবেন, তা এখন তাঁদের ওপর নির্ভর করবে।
বৈঠকটির পূর্বনির্ধারিত কোনো আলোচ্যসূচি নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ হবে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির গত সোমবারের সভায় মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে উঠতে পারে, এমন বিভিন্ন ইস্যুতে দলের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
জাতির উদ্দেশে ৬ জুন দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে বিএনপি পরদিন ডিসেম্বরে ভোটের দাবিতে অনড় থাকার কথা বলেছে।
বিএনপির ভেতরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে ভোট হলে কী কী অসুবিধা, আর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হলে কী কী সুবিধা, তা লন্ডনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। অন্য সব বিষয়ে বড় মতভেদ না থাকলে সময়ের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে আগামী রমজান মাসের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠানে দলটি রাজি হতে পারে।
এদিকে মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের কয়েকটি প্রস্তাবে তারেক রহমানের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে ভারসাম্য আনা, দুবারের বেশি একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা যায় কি না—এসব বিষয় আলোচনায় আনতে পারেন তিনি।
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, দলটি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কাটছাঁটে রাজি থাকলেও সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না করার বিষয়ে অনড় থাকবে। এর বাইরে বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক পক্ষপাত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রভাবের দিকগুলো দলের পক্ষ থেকে তোলা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের শুরুতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও এনসিপির কয়েকজন নেতা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগ্রহ জানান।
আগামী শুক্রবারের বৈঠকের ঠিক দুই মাস আগে ১৩ এপ্রিল তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর লন্ডনের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এ বৈঠকের বিষয়ে জামায়াতের একজন ঊর্ধ্বতন নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে ভবিষ্যতে কী অবস্থান নেয়, তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ও অন্যান্য পরিস্থিতি অনেকটা নির্ভর করবে। জামায়াত এ কারণে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক পন্থায় এগোতে চায়।
জামায়াত আগামী রমজানের আগে নির্বাচনের কথা বলেছে। দলের আমির গত রোববার মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক সমাবেশে বলেন, একান্ত কোনো কারণে নির্বাচন পেছালে, সেটি অবশ্যই এপ্রিল অতিক্রম করা উচিত নয়।
ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের লন্ডনের বৈঠকের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বলেন, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির টানাপোড়েন চলছে। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও তারেক রহমান দলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। তাঁর সম্মতি ছাড়া সমাধান আসবে না। এ কারণে বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বৈঠকটি কেমন হয়, দুই নেতা সেখানে কী ভূমিকা নেন, তার ওপর এর সাফল্য নির্ভর করবে।
অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ আরও বলেন, ‘শুধু মুখ দেখাদেখি হলে, আর কথাবার্তা একজন বললেন অন্যজন শুনলেন, এমন হলে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদি তাঁরা খোলামনে মতবিনিময় ও ভাববিনিময় করতে পারেন, তাহলে বৈঠকটি ফলপ্রসূ হওয়ার সুযোগ আছে।’ তিনি বলেন, দুই নেতা বিভিন্ন ইস্যুতে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব আরও বাড়তে পারে।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়...
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
৩ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
৩ ঘণ্টা আগে
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতোই হবে। বিগত ৫৪ বছর যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে জাতি আর নির্বাচন চায় না। কারণ, সেই পদ্ধতিতে জনগণের সরকার গঠিত হয়নি, হবেও না।
নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতিকে সরকারকে স্বৈরাচার হিসেবে তৈরি করার পদ্ধতি বলে আখ্যা দেন জামায়াতের এ নেতা। তিনি বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবেও না। সব দলের প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ গঠিত হলে একক কোনো দল স্বৈরাচার হতে পারবে না।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান। আওয়ামী লীগ সেদিন সারা দেশে লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনকে তারা হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যেটি মানবসভ্যতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
তিনি আওয়ামী লীগ পরিচালিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের সেদিনই হত্যা করা। এ জন্য তারা সেদিন সারা দেশ রক্তাক্ত করে। ওই ঘটনায় তখন মামলা করা হলেও পরে অধিকতর তদন্তের নামে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দলের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতোই হবে। বিগত ৫৪ বছর যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে জাতি আর নির্বাচন চায় না। কারণ, সেই পদ্ধতিতে জনগণের সরকার গঠিত হয়নি, হবেও না।
নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতিকে সরকারকে স্বৈরাচার হিসেবে তৈরি করার পদ্ধতি বলে আখ্যা দেন জামায়াতের এ নেতা। তিনি বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবেও না। সব দলের প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ গঠিত হলে একক কোনো দল স্বৈরাচার হতে পারবে না।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান। আওয়ামী লীগ সেদিন সারা দেশে লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনকে তারা হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যেটি মানবসভ্যতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
তিনি আওয়ামী লীগ পরিচালিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের সেদিনই হত্যা করা। এ জন্য তারা সেদিন সারা দেশ রক্তাক্ত করে। ওই ঘটনায় তখন মামলা করা হলেও পরে অধিকতর তদন্তের নামে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দলের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়।
১১ জুন ২০২৫
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
৩ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
৩ ঘণ্টা আগে
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা যদি সুযোগ পাই, মায়েদের বাড়তি আরেকটু সম্মান করব, সেটা হবে তাদের প্রতি ইনসাফ। একজন মা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, লালন-পালন করছেন; আবার ক্ষেত্র বিশেষে তিনি একজন পেশাজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আমারও ৮ ঘণ্টা, তারও ৮ ঘণ্টা, এটা কি অবিচার নয়?’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে ইনশা আল্লাহ তাদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব। মা হিসেবে সন্তানের হক আদায় করার জন্য এবং মা হিসেবে তাকে সম্মান করার জন্য। আমরা যদি ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৫ ঘণ্টা করি, তাহলে মায়েরা এতই কমিটেড যে; তারা চিন্তা করবে সরকার যে সম্মান আমাদের দিয়েছে, আমাদের উচিত ৮ ঘণ্টার কাজ ৫ ঘণ্টায় সেরে ফেলা।’
বর্তমান সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান, ‘বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফেরাতে দৃশ্যমান কয়েকটি রায় দিতে হবে।’ জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বিচার অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাবেন না।’
শুধু রেমিট্যান্স নয়, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী মেধাবীদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে—প্রবাসীদের প্রতি এমন আহ্বানও জানান জামায়াত আমীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা বিভিন্ন দেশে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে। সে সমাজের উন্নয়নে তারা অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখছে। আমরা এ মানুষগুলোর থেকে একটা অংশ অন্তত বাংলাদেশে ফেরত চাই।’

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা যদি সুযোগ পাই, মায়েদের বাড়তি আরেকটু সম্মান করব, সেটা হবে তাদের প্রতি ইনসাফ। একজন মা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, লালন-পালন করছেন; আবার ক্ষেত্র বিশেষে তিনি একজন পেশাজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আমারও ৮ ঘণ্টা, তারও ৮ ঘণ্টা, এটা কি অবিচার নয়?’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে ইনশা আল্লাহ তাদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব। মা হিসেবে সন্তানের হক আদায় করার জন্য এবং মা হিসেবে তাকে সম্মান করার জন্য। আমরা যদি ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৫ ঘণ্টা করি, তাহলে মায়েরা এতই কমিটেড যে; তারা চিন্তা করবে সরকার যে সম্মান আমাদের দিয়েছে, আমাদের উচিত ৮ ঘণ্টার কাজ ৫ ঘণ্টায় সেরে ফেলা।’
বর্তমান সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান, ‘বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফেরাতে দৃশ্যমান কয়েকটি রায় দিতে হবে।’ জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বিচার অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাবেন না।’
শুধু রেমিট্যান্স নয়, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী মেধাবীদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে—প্রবাসীদের প্রতি এমন আহ্বানও জানান জামায়াত আমীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা বিভিন্ন দেশে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে। সে সমাজের উন্নয়নে তারা অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখছে। আমরা এ মানুষগুলোর থেকে একটা অংশ অন্তত বাংলাদেশে ফেরত চাই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়।
১১ জুন ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়...
১ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
৩ ঘণ্টা আগে
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ সোমবার যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমগ্র বাংলাদেশে আসনভিত্তিক একাধিক যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এই কৌশলটি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ের মতোই। ওই নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনা ঘটলে আসন যেন বিএনপিশূন্য না হয়ে পড়ে, সে জন্যই এক আসনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও একই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
জানা গেছে, জোটের কারণে কিছু আসন ছাড় দিতে হতে পারে, তা বিবেচনা করেও দুই শতাধিক আসনে ‘ধানের শীষ’-এর প্রার্থী তালিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, এক আসনে একাধিক প্রার্থী বাছাই করে রাখলেও দল ঐক্যের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটিই মেসেজ দিতে চাই, যাতে আমাদের দলের ভেতরে ঐক্য থাকে, জাতির ভেতরে ঐক্য থাকে। জাতির মধ্যে ঐক্যটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই ঐক্য বজায় রাখার জন্য কেউ যাতে বিভেদের পথে না যায়, সেই মেসেজটা আমরা দিতে চাই।’
এ ছাড়া, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করা হবে বলেও ঘোষণা করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে গঠন করা হবে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট।’
দেশের যুব সমাজকে জাতি বিনির্মাণে কাজে লাগানোর বিষয়ে বিএনপির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যুবকদের, তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনাকে আহরণ করার জন্য আমরা সমগ্র বাংলাদেশে সফর করেছি। আমরা তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা গ্রহণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কীভাবে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করছি। আশা করি, এই দেশ একটি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ হবে।’
এ সময় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ সোমবার যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমগ্র বাংলাদেশে আসনভিত্তিক একাধিক যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এই কৌশলটি ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ের মতোই। ওই নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো ঘটনা ঘটলে আসন যেন বিএনপিশূন্য না হয়ে পড়ে, সে জন্যই এক আসনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও একই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
জানা গেছে, জোটের কারণে কিছু আসন ছাড় দিতে হতে পারে, তা বিবেচনা করেও দুই শতাধিক আসনে ‘ধানের শীষ’-এর প্রার্থী তালিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, এক আসনে একাধিক প্রার্থী বাছাই করে রাখলেও দল ঐক্যের বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটিই মেসেজ দিতে চাই, যাতে আমাদের দলের ভেতরে ঐক্য থাকে, জাতির ভেতরে ঐক্য থাকে। জাতির মধ্যে ঐক্যটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই ঐক্য বজায় রাখার জন্য কেউ যাতে বিভেদের পথে না যায়, সেই মেসেজটা আমরা দিতে চাই।’
এ ছাড়া, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠন করা হবে বলেও ঘোষণা করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে গঠন করা হবে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট।’
দেশের যুব সমাজকে জাতি বিনির্মাণে কাজে লাগানোর বিষয়ে বিএনপির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যুবকদের, তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনাকে আহরণ করার জন্য আমরা সমগ্র বাংলাদেশে সফর করেছি। আমরা তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা গ্রহণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কীভাবে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা কর্মসূচি প্রণয়ন করছি। আশা করি, এই দেশ একটি তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ হবে।’
এ সময় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়।
১১ জুন ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়...
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
৩ ঘণ্টা আগে
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় জাতীয় পার্টির একাংশ। তবে অংশ নেওয়ার প্রক্রিয়া বা কৌশল আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরবে তারা। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভার এই প্রস্তাব রাখা হয়।
আজ সোমবার দলের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কৌশল নির্ধারণে করণীয় ও সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
প্রেসিডিয়াম সভায় বলা হয়, বিগত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখার জন্য জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করতে চায়। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন কৌশলে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে, সেটি আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
বিজ্ঞাপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘জাতীয় পার্টি প্রত্যাশা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় যাতে সকল রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায়, সে ধরনের একটি ভয়ভীতি ও আতঙ্কহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করতে চায় জাতীয় পার্টি।’
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এই সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম নাসরিন জাহান রতনা, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জিয়া উল হক মৃধা, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন, সরদার শাহজাহান, মোবারক হোসেন আজাদ, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক।
আরও খবর পড়ুন:

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় জাতীয় পার্টির একাংশ। তবে অংশ নেওয়ার প্রক্রিয়া বা কৌশল আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরবে তারা। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভার এই প্রস্তাব রাখা হয়।
আজ সোমবার দলের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কৌশল নির্ধারণে করণীয় ও সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
প্রেসিডিয়াম সভায় বলা হয়, বিগত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখার জন্য জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করতে চায়। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন কৌশলে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে, সেটি আরও কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
বিজ্ঞাপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘জাতীয় পার্টি প্রত্যাশা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় যাতে সকল রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায়, সে ধরনের একটি ভয়ভীতি ও আতঙ্কহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করতে চায় জাতীয় পার্টি।’
সভায় প্রশাসনে দলীয় সমর্থক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া, নির্বাচন কমিশনসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়, যাতে বাংলাদেশের সব মানুষ ভয়-ডরহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা এই সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম নাসরিন জাহান রতনা, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জিয়া উল হক মৃধা, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন, সরদার শাহজাহান, মোবারক হোসেন আজাদ, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক।
আরও খবর পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড়।
১১ জুন ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়...
১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
৩ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ গুছিয়ে আনছে বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থীকে প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
৩ ঘণ্টা আগে