আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত দুই মাসে এমন অন্তত ৩০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু এবং নির্বাচনের পরে জামায়াতের ভূমিকা কী হবে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর অন্যতম বড় রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠা জামায়াতের নেতারা দাবি করছেন, এসব বৈঠকের মধ্য দিয়ে দলটি সম্পর্কে বিদেশিদের নেতিবাচক ধারণা ভেঙে যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনের পর সরকার বা বিরোধী দল —যে অবস্থানেই জামায়াত থাকুক না কেন, দেশকে তারা কোন দিকে নিতে চায়, তা বোঝার চেষ্টা করছেন বিদেশিরা।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকেরা মনে করেন, ভবিষ্যতে জামায়াতকে রাষ্ট্র পরিচালনারও দায়িত্ব দিতে পারে এ দেশের জনগণ। কাজেই জামায়াত কী চায়, কীভাবে চায় এবং ভবিষ্যতে কী হবে —এগুলো তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছেন।’
সর্বশেষ গতকাল বুধবার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের বসুন্ধরার কার্যালয়ে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সাইদানি।
জামায়াত জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আগামী সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও টেকসইকরণ, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, গত দুই মাসে অন্তত ৩০টি বিদেশি মিশন-সংস্থার কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসব বৈঠকের ছবি ও আলোচনার বিষয়বস্তু সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াও দলটির ফেসবুক পেজে তুলে ধরা হয়েছে।
জামায়াতের প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ বাড়ার কারণ কী জানতে চাইলে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকদের আগ্রহের প্রধান কারণ, এই দলের প্রতি জনগণের আগ্রহ। তাঁরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, জামায়াতের জনসমর্থন অনেক। আলোচনায় তাঁদের যেমন স্বার্থ আছে, আমাদেরও আছে। আমাদের স্বার্থ হলো, আমরা চাই এই দেশগুলোর সঙ্গে যেন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে এবং তাঁরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করেন।’
শুধু জামায়াত নয়, বিদেশি কূটনীতিকেরা দেশের আরেক বড় দল বিএনপি এবং তরুণদের নতুন দল এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনীতির মাঠে লক্ষণীয়ভাবে সক্রিয় জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কূটনীতিকদের সঙ্গে যেকোনো রাজনৈতিক দলের বৈঠককে খুব সাধারণ ঘটনা হিসেবেই দেখছেন বিএনপির নেতারা। তবে এসব বৈঠকের মধ্য দিয়ে আগ্রহ-অনাগ্রহের মানদণ্ড মানতে নারাজ তাঁরা। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন নির্বাচন হবে, তখন বোঝা যাবে যে আগ্রহের জায়গা বেড়েছে নাকি বাড়ে নাই।’ একই প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘এটাকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকেরা আলোচনা করছেন। আমাদের সঙ্গেও কূটনীতিকেরা বসছেন।’
জামায়াতের আমির এবং দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে গত ৪ সেপ্টেম্বর ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ১০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইল, ১১ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি. খোজিন, ১৬ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ও চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ১৭ সেপ্টেম্বর চায়নিজ পিপলস ফরেন অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো পিংজিয়ানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল, ২৮ সেপ্টেম্বর ইইউ ইলেকশন অবজারভেশন মিশনের প্রতিনিধিদল ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু সাক্ষাৎ করেন।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি, তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস একিঞ্চি, যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যদূত ব্যারোনস রোজি উইন্টারটন এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস জামায়াত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এর বাইরে গত মাসে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোহ ইউ-সে, ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কারমা হামু দর্জি, আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসাসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বিদেশিরা জামায়াত নেতাদের কাছে কী জানতে চাইলে দলটির নেতারা জানান, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের রাজনৈতিক চালচিত্রের সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং ইসলামপন্থী রাজনীতির ভবিষ্যৎ চিত্র জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এসব বৈঠকের মধ্য দিয়ে সে বিষয়ে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করছে দেশগুলো।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার নিজেই বলেছেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁদের আমিরের সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদল জানতে চেয়েছিল, ক্ষমতায় গেলে জামায়াতের নীতি কী হবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের বিজয় জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে কি না, তা-ও বোঝার চেষ্টা করছেন দেশগুলোর কূটনীতিকেরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণাও এ থেকে খুব আলাদা কিছু নয়। তাঁরা বলছেন, জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন নিয়ে দলটির অবস্থান এবং ভোটের পরে তাদের ভূমিকা কী হবে, কূটনীতিকেরা সে বিষয়ে ধারণা নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াত যেহেতু একটি ইসলামি দল, সে জন্য বিদেশিরা বুঝতে চাইছে, তারা ক্ষমতায় এলে কী করবে এবং কীভাবে তা করতে চায়। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কটা কোন দিকে যাবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুল আলীম বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের পরে জামায়াতকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হয়তো বোঝার চেষ্টা করছে, নির্বাচনের পরে জামায়াতের অবস্থানটা কেমন হবে—সেটি বিরোধী দল কিংবা সরকারি দল, যেদিকেই হোক।
আরও খবর পড়ুন:

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত দুই মাসে এমন অন্তত ৩০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু এবং নির্বাচনের পরে জামায়াতের ভূমিকা কী হবে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর অন্যতম বড় রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠা জামায়াতের নেতারা দাবি করছেন, এসব বৈঠকের মধ্য দিয়ে দলটি সম্পর্কে বিদেশিদের নেতিবাচক ধারণা ভেঙে যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনের পর সরকার বা বিরোধী দল —যে অবস্থানেই জামায়াত থাকুক না কেন, দেশকে তারা কোন দিকে নিতে চায়, তা বোঝার চেষ্টা করছেন বিদেশিরা।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকেরা মনে করেন, ভবিষ্যতে জামায়াতকে রাষ্ট্র পরিচালনারও দায়িত্ব দিতে পারে এ দেশের জনগণ। কাজেই জামায়াত কী চায়, কীভাবে চায় এবং ভবিষ্যতে কী হবে —এগুলো তাঁরা বোঝার চেষ্টা করছেন।’
সর্বশেষ গতকাল বুধবার জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের বসুন্ধরার কার্যালয়ে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সাইদানি।
জামায়াত জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আগামী সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও টেকসইকরণ, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, গত দুই মাসে অন্তত ৩০টি বিদেশি মিশন-সংস্থার কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসব বৈঠকের ছবি ও আলোচনার বিষয়বস্তু সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াও দলটির ফেসবুক পেজে তুলে ধরা হয়েছে।
জামায়াতের প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ বাড়ার কারণ কী জানতে চাইলে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকদের আগ্রহের প্রধান কারণ, এই দলের প্রতি জনগণের আগ্রহ। তাঁরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, জামায়াতের জনসমর্থন অনেক। আলোচনায় তাঁদের যেমন স্বার্থ আছে, আমাদেরও আছে। আমাদের স্বার্থ হলো, আমরা চাই এই দেশগুলোর সঙ্গে যেন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে এবং তাঁরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করেন।’
শুধু জামায়াত নয়, বিদেশি কূটনীতিকেরা দেশের আরেক বড় দল বিএনপি এবং তরুণদের নতুন দল এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনীতির মাঠে লক্ষণীয়ভাবে সক্রিয় জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কূটনীতিকদের সঙ্গে যেকোনো রাজনৈতিক দলের বৈঠককে খুব সাধারণ ঘটনা হিসেবেই দেখছেন বিএনপির নেতারা। তবে এসব বৈঠকের মধ্য দিয়ে আগ্রহ-অনাগ্রহের মানদণ্ড মানতে নারাজ তাঁরা। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন নির্বাচন হবে, তখন বোঝা যাবে যে আগ্রহের জায়গা বেড়েছে নাকি বাড়ে নাই।’ একই প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘এটাকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকেরা আলোচনা করছেন। আমাদের সঙ্গেও কূটনীতিকেরা বসছেন।’
জামায়াতের আমির এবং দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে গত ৪ সেপ্টেম্বর ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ১০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সুসান রাইল, ১১ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি. খোজিন, ১৬ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ও চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ১৭ সেপ্টেম্বর চায়নিজ পিপলস ফরেন অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো পিংজিয়ানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল, ২৮ সেপ্টেম্বর ইইউ ইলেকশন অবজারভেশন মিশনের প্রতিনিধিদল ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু সাক্ষাৎ করেন।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি, তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস একিঞ্চি, যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যদূত ব্যারোনস রোজি উইন্টারটন এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস জামায়াত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এর বাইরে গত মাসে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোহ ইউ-সে, ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কারমা হামু দর্জি, আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসাসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বিদেশিরা জামায়াত নেতাদের কাছে কী জানতে চাইলে দলটির নেতারা জানান, বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের রাজনৈতিক চালচিত্রের সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং ইসলামপন্থী রাজনীতির ভবিষ্যৎ চিত্র জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এসব বৈঠকের মধ্য দিয়ে সে বিষয়ে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করছে দেশগুলো।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার নিজেই বলেছেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁদের আমিরের সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদল জানতে চেয়েছিল, ক্ষমতায় গেলে জামায়াতের নীতি কী হবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের বিজয় জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে কি না, তা-ও বোঝার চেষ্টা করছেন দেশগুলোর কূটনীতিকেরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণাও এ থেকে খুব আলাদা কিছু নয়। তাঁরা বলছেন, জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন নিয়ে দলটির অবস্থান এবং ভোটের পরে তাদের ভূমিকা কী হবে, কূটনীতিকেরা সে বিষয়ে ধারণা নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামায়াত যেহেতু একটি ইসলামি দল, সে জন্য বিদেশিরা বুঝতে চাইছে, তারা ক্ষমতায় এলে কী করবে এবং কীভাবে তা করতে চায়। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কটা কোন দিকে যাবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুল আলীম বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের পরে জামায়াতকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হয়তো বোঝার চেষ্টা করছে, নির্বাচনের পরে জামায়াতের অবস্থানটা কেমন হবে—সেটি বিরোধী দল কিংবা সরকারি দল, যেদিকেই হোক।
আরও খবর পড়ুন:

বরিশালে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হাতে হেনস্তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিএনপির একটি ক্ষুদ্রাংশের ‘অভদ্র আচরণে একদিনেই সারা দেশে বিএনপির কমপক্ষে ১০ লাখ ভোট কমে
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন দলটির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন সেলিম।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে দেশে যে রাজনৈতিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরেও সেটির কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে আমরা যা দেখেছি, দুঃখজনক হলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে কেন...
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বরিশালে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হাতে হেনস্তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিএনপির একটি ক্ষুদ্রাংশের ‘অভদ্র আচরণে একদিনেই সারা দেশে বিএনপির কমপক্ষে ১০ লাখ ভোট কমে গেছে’। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিএনপির জন্য ‘রাজনৈতিক ক্ষতি’ ডেকে আনতে পারে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ফুয়াদ বলেন, ‘আপনাদের একাংশ— খুবই সংক্ষিপ্ত একটা ফ্যাকশন— যে আচরণটা করছে, তাতে প্রত্যেকদিন আপনাদের হাজার হাজার ভোট কমছে। শুধু গতকালকের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনারা যা দেখেছেন তাতে বাংলাদেশে নূন্যতম একদিনে ১০ লাখ ভোট কমে গেছে সারা বাংলাদেশে। আপনারা যদি আপনাদের এই অভদ্র একাংশ— খুবই ছোট অল্প কয়টা মানুষকে— নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু আগামী নির্বাচনে আপনারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ এই ক্রিমিনালদেরকে নিয়ে কিন্তু আপনাদের ভোট চাইতে যাইতে হবে।’
গতকাল রোববার বরিশালের বাবুগঞ্জে মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনে গিয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন ব্যারিস্টার ফুয়াদ। ঠিকাদারের কাছে বিএনপির নেতা–কর্মীরা চাঁদা দাবি করছেন, অভিযোগ তোলার পর বাগ্বিতণ্ডা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। একপর্যায়ে ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে ধাওয়া দিলে ফুয়াদ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফুয়াদ বলেন, ‘আমাদের নেতাদেরকে বলছে যে, এখন পর্যন্ত ঢুকতে দিতেছি, নির্বাচনের আগের দিন আর এলাকায় আসবেন না। যেটা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে আমরা দেখেছি এবং বিএনপির একাংশের আচরণ ঠিক একই রকমভাবে নব্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মত মনে হচ্ছে।’
ভিডিও ফুটেজের কথা তুলে তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ আছে— কারা উসকানি দিয়েছে সবাইকে চিনি। বিএনপিকে বলছি, তদন্ত করুন, দায়ীদের দলীয় শৃঙ্খলায় আনুন। যা যা করা দরকার এর দায় আপনাদের।’
ঘটনার সময় পুলিশ কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন এবি পার্টির ফুয়াদ বলেন, ‘গতকালকে আমার সাথে যেটা হয়েছে, পুলিশ তো কোনো কিছু করে নাই। তাহলে ভোটকেন্দ্রের সময় আমাকে–আমার লোকদের সময় তাড়িয়ে দিবে না নির্বাচনের দিন, তার কি গ্যারান্টি আছে? যারা দায়িত্ব পালন গতকালকে করল না, তাঁরা তো নির্বাচনের দিনও এই দায়িত্বটা পালন করবেন না। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, আমার ক্যারিয়ারের কি হবে? আমার পোস্টিং এর কি হবে? আমাকে তো বান্দরবনে পোস্টিং করে দিবে। তাহলে একই ভয় যদি আপনার এই মাসে থাকে, একই ভয় তো নির্বাচনের দিনও থাকবে। তাহলে আপনি ভালো নির্বাচন কীভাবে করবেন? অতএব সেই জায়গাতে আমাদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ব্যাপারটা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’
গত দুই মাস ধরে দলের কর্মীদের ওপর নিয়মিত হামলা–হেনস্তা চলছে অভিযোগ যুয়াদ বলেন, ‘আমাকে বলতেছে, আমাদের নেতাদেরকে বলছে যে, এখন পর্যন্ত ঢুকতে দিতেছি, নির্বাচনের আগের দিন আর এলাকায় আসবেন না। কোন দোকানে কয়টা রামদার অর্ডার দেওয়া হয়েছে— এগুলো পর্যন্ত বলতেছে আমাদেরকে।’
তিনি বলেন, ‘নপির একাংশের আচরণ ঠিক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মত মনে হচ্ছে। এক মাসে কিন্তু শীত যাবে না। আজকে আমার দল ছোট। আজকে হয়তো আপনি মনে করছেন আমার হাজার হাজার লোক ওয়ার্ডে ইউনিয়নে নাই। আপনারাও কিন্তু ছোট দল ছিলেন। আপনারা বড় দল হয়েও কিন্তু গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগরে ফালাইতে পারেন নাই।’
‘আপনারা গতকালকে যেটা দেখেছেন, আমি গত দুই মাস থেকে রেগুলার বেসিসে এই অভিজ্ঞতা শিকার হচ্ছি। আমার নেতাকর্মীদের ক্যাম্পেইনে মারধর করতেছে, হাসপাতালে ভর্তি হইতেছে, থানায় যাচ্ছে, মামলা নিচ্ছে না। এক্সাক্টলি আমরা আওয়ামী লীগের আমলে যেগুলো দেখেছি। প্রশাসন ধরে নিয়েছে, এটাই হচ্ছে রুলস অফ দ্য গেম যে যখন আওয়ামী লীগ থাকবে তখন আমরা সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে যাব, যখন বিএনপি আসবে অথবা থাকবে তখন আমরা বিএনপি হয়ে যাব। একটা রাষ্ট্র তো এইভাবে হতে পারে না।’

বরিশালে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হাতে হেনস্তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিএনপির একটি ক্ষুদ্রাংশের ‘অভদ্র আচরণে একদিনেই সারা দেশে বিএনপির কমপক্ষে ১০ লাখ ভোট কমে গেছে’। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিএনপির জন্য ‘রাজনৈতিক ক্ষতি’ ডেকে আনতে পারে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ফুয়াদ বলেন, ‘আপনাদের একাংশ— খুবই সংক্ষিপ্ত একটা ফ্যাকশন— যে আচরণটা করছে, তাতে প্রত্যেকদিন আপনাদের হাজার হাজার ভোট কমছে। শুধু গতকালকের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনারা যা দেখেছেন তাতে বাংলাদেশে নূন্যতম একদিনে ১০ লাখ ভোট কমে গেছে সারা বাংলাদেশে। আপনারা যদি আপনাদের এই অভদ্র একাংশ— খুবই ছোট অল্প কয়টা মানুষকে— নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু আগামী নির্বাচনে আপনারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ এই ক্রিমিনালদেরকে নিয়ে কিন্তু আপনাদের ভোট চাইতে যাইতে হবে।’
গতকাল রোববার বরিশালের বাবুগঞ্জে মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনে গিয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন ব্যারিস্টার ফুয়াদ। ঠিকাদারের কাছে বিএনপির নেতা–কর্মীরা চাঁদা দাবি করছেন, অভিযোগ তোলার পর বাগ্বিতণ্ডা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। একপর্যায়ে ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে ধাওয়া দিলে ফুয়াদ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফুয়াদ বলেন, ‘আমাদের নেতাদেরকে বলছে যে, এখন পর্যন্ত ঢুকতে দিতেছি, নির্বাচনের আগের দিন আর এলাকায় আসবেন না। যেটা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে আমরা দেখেছি এবং বিএনপির একাংশের আচরণ ঠিক একই রকমভাবে নব্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মত মনে হচ্ছে।’
ভিডিও ফুটেজের কথা তুলে তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ আছে— কারা উসকানি দিয়েছে সবাইকে চিনি। বিএনপিকে বলছি, তদন্ত করুন, দায়ীদের দলীয় শৃঙ্খলায় আনুন। যা যা করা দরকার এর দায় আপনাদের।’
ঘটনার সময় পুলিশ কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন এবি পার্টির ফুয়াদ বলেন, ‘গতকালকে আমার সাথে যেটা হয়েছে, পুলিশ তো কোনো কিছু করে নাই। তাহলে ভোটকেন্দ্রের সময় আমাকে–আমার লোকদের সময় তাড়িয়ে দিবে না নির্বাচনের দিন, তার কি গ্যারান্টি আছে? যারা দায়িত্ব পালন গতকালকে করল না, তাঁরা তো নির্বাচনের দিনও এই দায়িত্বটা পালন করবেন না। কারণ বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, আমার ক্যারিয়ারের কি হবে? আমার পোস্টিং এর কি হবে? আমাকে তো বান্দরবনে পোস্টিং করে দিবে। তাহলে একই ভয় যদি আপনার এই মাসে থাকে, একই ভয় তো নির্বাচনের দিনও থাকবে। তাহলে আপনি ভালো নির্বাচন কীভাবে করবেন? অতএব সেই জায়গাতে আমাদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ব্যাপারটা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’
গত দুই মাস ধরে দলের কর্মীদের ওপর নিয়মিত হামলা–হেনস্তা চলছে অভিযোগ যুয়াদ বলেন, ‘আমাকে বলতেছে, আমাদের নেতাদেরকে বলছে যে, এখন পর্যন্ত ঢুকতে দিতেছি, নির্বাচনের আগের দিন আর এলাকায় আসবেন না। কোন দোকানে কয়টা রামদার অর্ডার দেওয়া হয়েছে— এগুলো পর্যন্ত বলতেছে আমাদেরকে।’
তিনি বলেন, ‘নপির একাংশের আচরণ ঠিক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মত মনে হচ্ছে। এক মাসে কিন্তু শীত যাবে না। আজকে আমার দল ছোট। আজকে হয়তো আপনি মনে করছেন আমার হাজার হাজার লোক ওয়ার্ডে ইউনিয়নে নাই। আপনারাও কিন্তু ছোট দল ছিলেন। আপনারা বড় দল হয়েও কিন্তু গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগরে ফালাইতে পারেন নাই।’
‘আপনারা গতকালকে যেটা দেখেছেন, আমি গত দুই মাস থেকে রেগুলার বেসিসে এই অভিজ্ঞতা শিকার হচ্ছি। আমার নেতাকর্মীদের ক্যাম্পেইনে মারধর করতেছে, হাসপাতালে ভর্তি হইতেছে, থানায় যাচ্ছে, মামলা নিচ্ছে না। এক্সাক্টলি আমরা আওয়ামী লীগের আমলে যেগুলো দেখেছি। প্রশাসন ধরে নিয়েছে, এটাই হচ্ছে রুলস অফ দ্য গেম যে যখন আওয়ামী লীগ থাকবে তখন আমরা সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে যাব, যখন বিএনপি আসবে অথবা থাকবে তখন আমরা বিএনপি হয়ে যাব। একটা রাষ্ট্র তো এইভাবে হতে পারে না।’

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত দুই মাসে এমন অন্তত ৩০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু এবং নির্বাচনের পরে জামায়াতের ভূমিক
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন দলটির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন সেলিম।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে দেশে যে রাজনৈতিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরেও সেটির কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে আমরা যা দেখেছি, দুঃখজনক হলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে কেন...
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন দলটির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন সেলিম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি। তিনি লক্ষ্মীপুর–১ আসন থেকে প্রচার চালিয়ে আসছেন।
বিএনপিতে যোগ দিয়ে শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, ছাত্রদল থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় ছিলেন। চট্টগ্রাম ও রামগঞ্জে দলের নির্দেশে কাজ করেছেন। যদিও পরিস্থিতির কারণে একসময় বিএনপি থেকে তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল। তবে হৃদয়ে সব সময় বিএনপিকেই ধারণ করেছেন তিনি।
এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদানকে ‘ঘরে ফেরা’র সঙ্গে তুলনা করেন সেলিম। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এলডিপি থেকে যেসব নেতা–কর্মী বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের যেন যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়।
যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান একটি বড় ও সাহসী সিদ্ধান্ত। বক্তব্যের শেষে তিনি ঘোষণা দেন, শাহাদাত হোসেন সেলিমের অবদান বিবেচনা করে তাঁকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, এলডিপি বিলুপ্ত করে শাহাদাত হোসেন সেলিম ও তাঁর সহযোদ্ধাদের বিএনপিতে যোগদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। আন্দোলন-সংগ্রামে সেলিমের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপির শক্তি বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন দলটির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন সেলিম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি। তিনি লক্ষ্মীপুর–১ আসন থেকে প্রচার চালিয়ে আসছেন।
বিএনপিতে যোগ দিয়ে শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, ছাত্রদল থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় ছিলেন। চট্টগ্রাম ও রামগঞ্জে দলের নির্দেশে কাজ করেছেন। যদিও পরিস্থিতির কারণে একসময় বিএনপি থেকে তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল। তবে হৃদয়ে সব সময় বিএনপিকেই ধারণ করেছেন তিনি।
এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদানকে ‘ঘরে ফেরা’র সঙ্গে তুলনা করেন সেলিম। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এলডিপি থেকে যেসব নেতা–কর্মী বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের যেন যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়।
যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান একটি বড় ও সাহসী সিদ্ধান্ত। বক্তব্যের শেষে তিনি ঘোষণা দেন, শাহাদাত হোসেন সেলিমের অবদান বিবেচনা করে তাঁকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, এলডিপি বিলুপ্ত করে শাহাদাত হোসেন সেলিম ও তাঁর সহযোদ্ধাদের বিএনপিতে যোগদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। আন্দোলন-সংগ্রামে সেলিমের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপির শক্তি বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত দুই মাসে এমন অন্তত ৩০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু এবং নির্বাচনের পরে জামায়াতের ভূমিক
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বরিশালে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হাতে হেনস্তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিএনপির একটি ক্ষুদ্রাংশের ‘অভদ্র আচরণে একদিনেই সারা দেশে বিএনপির কমপক্ষে ১০ লাখ ভোট কমে
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে দেশে যে রাজনৈতিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরেও সেটির কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে আমরা যা দেখেছি, দুঃখজনক হলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে কেন...
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে দেশে যে রাজনৈতিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরেও সেটির কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে আমরা যা দেখেছি, দুঃখজনক হলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে কেন জানি মনে হচ্ছে, সেটির বোধ হয় পরিবর্তন হয়নি। এটির পরিবর্তন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
আজ সোমবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বাচনকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন তারেক রহমান। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ব্যক্তিগত প্রার্থীর চেয়ে দলের প্রতীকই আসল। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভাইরে তুমি তো প্রার্থীর জন্য কাজ করছ না, তুমি তো তোমার ধানের শীষের জন্য কাজ করছ। এখানে প্রার্থী মুখ্য নয়, এখানে মুখ্য হচ্ছে তোমার দল বিএনপি, এখানে মুখ্য হচ্ছে ধানের শীষ, এখানে মুখ্য হচ্ছে দেশ।’
তারেক রহমান স্বীকার করেন, কোনো কোনো এলাকায় পছন্দের প্রার্থী হয়তো মনোনয়ন পাননি বা প্রার্থীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কম থাকতে পারে। তবুও তিনি নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত পছন্দ ভুলে দলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
তারেক রহমান গণতন্ত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘বিগত যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি, কেন করেছি? কারণ, সেখানে কোনো জবাবদিহি ছিল না। মানুষ বেঁচে আছে কি মরে যাচ্ছে, তার কোনো জবাবদিহি ছিল না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মতে, একমাত্র গণতন্ত্র সমাজে, দেশে ও রাষ্ট্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে। সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে একমাত্র নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার।
তারেক রহমান গত বছরের ৫ আগস্টের আন্দোলনের মূল কারিগর হিসেবে দেশের সাধারণ মানুষকে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড দেশের মানুষ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, একজন গৃহবধূ; মুদিদোকানি; রিকশা, ভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশাচালক; বাসের হেলপার; জনতা; মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের ছাত্র—সবাই ছিলেন ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। তিনি বলেন, ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড শিশুরাও।
তরুণসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তোমাদের ওপর নির্ভর করছে। তোমরা যদি এগিয়ে আসো, তোমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হও, তাহলে এ দেশের সামনে একটি ভবিষ্যৎ আছে। তা না হলে একটি ভয়াবহ কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। তারেক রহমান খাল খনন, পরিবেশ উন্নয়ন, বর্জ্য অপসারণ, ক্রীড়ার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বেকারত্ব দূরীকরণ, ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, স্বাস্থ্য কার্ডসহ বিএনপির বিভিন্ন পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে দেশে যে রাজনৈতিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরেও সেটির কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে আমরা যা দেখেছি, দুঃখজনক হলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে কেন জানি মনে হচ্ছে, সেটির বোধ হয় পরিবর্তন হয়নি। এটির পরিবর্তন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
আজ সোমবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বাচনকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন তারেক রহমান। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ব্যক্তিগত প্রার্থীর চেয়ে দলের প্রতীকই আসল। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভাইরে তুমি তো প্রার্থীর জন্য কাজ করছ না, তুমি তো তোমার ধানের শীষের জন্য কাজ করছ। এখানে প্রার্থী মুখ্য নয়, এখানে মুখ্য হচ্ছে তোমার দল বিএনপি, এখানে মুখ্য হচ্ছে ধানের শীষ, এখানে মুখ্য হচ্ছে দেশ।’
তারেক রহমান স্বীকার করেন, কোনো কোনো এলাকায় পছন্দের প্রার্থী হয়তো মনোনয়ন পাননি বা প্রার্থীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কম থাকতে পারে। তবুও তিনি নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত পছন্দ ভুলে দলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
তারেক রহমান গণতন্ত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘বিগত যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি, কেন করেছি? কারণ, সেখানে কোনো জবাবদিহি ছিল না। মানুষ বেঁচে আছে কি মরে যাচ্ছে, তার কোনো জবাবদিহি ছিল না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মতে, একমাত্র গণতন্ত্র সমাজে, দেশে ও রাষ্ট্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে। সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে একমাত্র নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার।
তারেক রহমান গত বছরের ৫ আগস্টের আন্দোলনের মূল কারিগর হিসেবে দেশের সাধারণ মানুষকে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, চব্বিশের আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড দেশের মানুষ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, একজন গৃহবধূ; মুদিদোকানি; রিকশা, ভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশাচালক; বাসের হেলপার; জনতা; মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের ছাত্র—সবাই ছিলেন ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। তিনি বলেন, ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড শিশুরাও।
তরুণসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তোমাদের ওপর নির্ভর করছে। তোমরা যদি এগিয়ে আসো, তোমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হও, তাহলে এ দেশের সামনে একটি ভবিষ্যৎ আছে। তা না হলে একটি ভয়াবহ কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। তারেক রহমান খাল খনন, পরিবেশ উন্নয়ন, বর্জ্য অপসারণ, ক্রীড়ার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বেকারত্ব দূরীকরণ, ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, স্বাস্থ্য কার্ডসহ বিএনপির বিভিন্ন পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত দুই মাসে এমন অন্তত ৩০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু এবং নির্বাচনের পরে জামায়াতের ভূমিক
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বরিশালে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হাতে হেনস্তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিএনপির একটি ক্ষুদ্রাংশের ‘অভদ্র আচরণে একদিনেই সারা দেশে বিএনপির কমপক্ষে ১০ লাখ ভোট কমে
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন দলটির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন সেলিম।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আগামী পাঁচটা বছর দেশের স্থিতিশীলতা, ইকোনমি ফিরিয়ে আনা, আইনের শাসন সমাজে কায়েম করা এবং সমাজ থেকে দুর্নীতিকে নির্মূল করা বা বিদায় দেওয়া—এর জন্য প্রয়োজন আমাদের একটি জাতীয় সরকারের। আমরা নির্বাচিত হলে সেই সরকারটাই গঠন করব। আমরা যদি ২০০ আসনেও বিজয়ী হয়ে যাই, তারপরেও আমরা এটি করব।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে, ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি কী রকম আছে। একই দিনে সাধারণ নির্বাচন এবং গণভোট যদি একই দিনে হয় সেখানে কোনো সমস্যা হবে কিনা? আমরা বলেছি যে, আমাদের দেশের মানুষ ততটা এখনো কনশাস না। এজন্য একই দিনে দুটো নির্বাচন হলে দুটো নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমরা বলেছিলাম, দুটো নির্বাচন আলাদা আলাদা হওয়া উচিত। সে দাবি এখনো আমাদের আছে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আমাদের ম্যানিফেস্টোতে কিছু জিনিস দেখতে চান। আমরা বলেছি, অলরেডি এগুলো আমরা ইনক্লুড করে নিয়েছি। তারা বাংলাদেশকে একটা ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ দেখতে চান। আমরা তাদের বলেছি, আল্লাহ তা আলার ইচ্ছা এবং জনগণের ভালোবাসায় আমরা নির্বাচিত হলে সেই ইনক্লুসিভ বাংলাদেশই আমরা গড়ব। আমরা কোনো দলকেই বাদ দেব না।’
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ধর্মকে কখনো ব্যবহার করিনি, করব না। ধর্ম আমাদের চিন্তার, কলিজার অংশ। আমরা ধর্ম নিয়েই কাজ করি, ধর্মকে ব্যবহার করি না।’
জামায়াত আমির যোগ করেন, ‘ধর্ম ব্যবহার কে করে সেটা আপনারা ভালো বোঝেন। নির্বাচনের সময় নতুন করে যাঁরা বেশি বেশি নামাজ শুরু করেন, যাঁরা টুপি পরেন, তসবিহ হাতে নিয়ে ঘোরান, ধর্মকে তাঁরাই বোধ হয় ব্যবহার করেন। আমরা কিন্তু সারা বছর তসবিহ হাতে নিয়ে ঘুরাই না। আমরা তসবিহ বুকে নিয়ে ঘুরাই। আমরা আমাদের কাজগুলো আমাদের বিশ্বাসের আওতায় করতে চাই।’

আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনে জয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় সরকার গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আগামী পাঁচটা বছর দেশের স্থিতিশীলতা, ইকোনমি ফিরিয়ে আনা, আইনের শাসন সমাজে কায়েম করা এবং সমাজ থেকে দুর্নীতিকে নির্মূল করা বা বিদায় দেওয়া—এর জন্য প্রয়োজন আমাদের একটি জাতীয় সরকারের। আমরা নির্বাচিত হলে সেই সরকারটাই গঠন করব। আমরা যদি ২০০ আসনেও বিজয়ী হয়ে যাই, তারপরেও আমরা এটি করব।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে, ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি কী রকম আছে। একই দিনে সাধারণ নির্বাচন এবং গণভোট যদি একই দিনে হয় সেখানে কোনো সমস্যা হবে কিনা? আমরা বলেছি যে, আমাদের দেশের মানুষ ততটা এখনো কনশাস না। এজন্য একই দিনে দুটো নির্বাচন হলে দুটো নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমরা বলেছিলাম, দুটো নির্বাচন আলাদা আলাদা হওয়া উচিত। সে দাবি এখনো আমাদের আছে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আমাদের ম্যানিফেস্টোতে কিছু জিনিস দেখতে চান। আমরা বলেছি, অলরেডি এগুলো আমরা ইনক্লুড করে নিয়েছি। তারা বাংলাদেশকে একটা ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ দেখতে চান। আমরা তাদের বলেছি, আল্লাহ তা আলার ইচ্ছা এবং জনগণের ভালোবাসায় আমরা নির্বাচিত হলে সেই ইনক্লুসিভ বাংলাদেশই আমরা গড়ব। আমরা কোনো দলকেই বাদ দেব না।’
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ধর্মকে কখনো ব্যবহার করিনি, করব না। ধর্ম আমাদের চিন্তার, কলিজার অংশ। আমরা ধর্ম নিয়েই কাজ করি, ধর্মকে ব্যবহার করি না।’
জামায়াত আমির যোগ করেন, ‘ধর্ম ব্যবহার কে করে সেটা আপনারা ভালো বোঝেন। নির্বাচনের সময় নতুন করে যাঁরা বেশি বেশি নামাজ শুরু করেন, যাঁরা টুপি পরেন, তসবিহ হাতে নিয়ে ঘোরান, ধর্মকে তাঁরাই বোধ হয় ব্যবহার করেন। আমরা কিন্তু সারা বছর তসবিহ হাতে নিয়ে ঘুরাই না। আমরা তসবিহ বুকে নিয়ে ঘুরাই। আমরা আমাদের কাজগুলো আমাদের বিশ্বাসের আওতায় করতে চাই।’

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত দুই মাসে এমন অন্তত ৩০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু এবং নির্বাচনের পরে জামায়াতের ভূমিক
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বরিশালে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হাতে হেনস্তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আজ সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বিএনপির একটি ক্ষুদ্রাংশের ‘অভদ্র আচরণে একদিনেই সারা দেশে বিএনপির কমপক্ষে ১০ লাখ ভোট কমে
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ এলডিপি বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন দলটির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন সেলিম।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে দেশে যে রাজনৈতিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরেও সেটির কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে আমরা যা দেখেছি, দুঃখজনক হলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে কেন...
৩ ঘণ্টা আগে