Ajker Patrika

ময়মনসিংহ বিভাগের ইউপিতে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৯
ময়মনসিংহ বিভাগের ইউপিতে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ময়মনসিংহ বিভাগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মুলতবি সভায় এ তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাসমূহের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন যারা;
জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউপিতে শেখ মাহবুবুর রহমান, শরিফপুরে আলম আলী, লক্ষীরচরে আফজাল হোসেন বিদ্যুৎ, লশীরচরে শহিদুল্লাহ, ইটাইলে হাফিজুর রহমান, নরুন্দিতে লুৎফর রহমান, ঘোড়াধাপে মোহাম্মদ ফজলুল হক, বাঁশচড়াতে আঃ জলিল, রানাগাছাতে আব্দুল জলিল, শ্রীপুরে আজিজুল হক, শাহবাজপুরে আয়ুব আলী খান, তিতপল্যাতে আজিজুর রহমান, মেষ্টাতে ছানোয়ার হোসেন, দিগপাইতে মিজানুর রহমান, রশিদপুরে আব্দুল্লাহ আল মামুন।

শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ইউপিতে হাবিবুর রহমান, চরশেরপুরে রফিকুল ইসলাম, বাজিতখিলাতে মুহাম্মদ আলী, গাজীরখামারে আওলাদুল ইসলাম, ধলাতে রহিজ উদ্দিন, পাকুড়িয়াতে হায়দার আলী, ভাতশালাতে নাজমুন নাহার, লছমনপুরে আঃ হাই, চরমোচারিয়াতে মিজানুর রহমান বাবুল, বলাইরচরে মনিরুল আলম, কামারিয়াতে সরোয়ার জাহান, রৌহাতে সাইফুজ্জামান সোহেল, বেতমারী ঘুঘুরাকান্দিতে আব্দুল মজিদ, চর পক্ষীমারীতে আকবর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ভুবনকুড়াতে সুরুজ মিয়া, জুগলীতে মোহাম্মদ ছামাদুল ইসলাম, গাজিরভিটাতে আবদুল মান্নান, বিলডোরাতে জাহাঙ্গীর হোসেন, শাকুয়াইতে সাহেদ আলী, নড়াইলে সাইফুল ইসলাম, ধারাতে তোফায়েল আহমদ, ধুরাইলে ওয়ারিছ উদ্দিন (সুমন), আমতৈলে আককাছ আলী, স্বদেশীতে খোরশেদ আলী।

ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউপিতে ফজলুল হক, গামারীতলাতে আতাউর রহমান, ধোবাউড়াতে নজরুল ইসলাম মুকুল, পোড়াকান্দুলিয়াতে বকুল মিয়া, গোয়াতলাতে আলমগীর হোসেন, ঘোষগাঁওতে শামছুল হক, বাঘবেড়তে মেহেদী হাসান।

ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁওতে আঃ রাজ্জাক, পুটিজানাতে ময়েজ উদ্দিন তরফদার, কুশমাইলে শামছুল হক, বালিয়ানে হাজেরা খাতুন, দেওখোলাতে তাজুল ইসলাম (বাবলু), ফুলবাড়ীয়াতে আতাহার আলী, বাক্তাতে নাজমুল হক (সোহেল), রাঙ্গামাটিয়াতে মির্জা মোঃ কামরুজ্জামান, এনায়েতপুরে বুলবুল হোসেন, কালাদহে ইমান আলী, রাধাকানাইতে গোলাম কিবরিয়া তরফদার, আছিমপাটুলীতে এস. এম. সাইফুজ্জামান, ভবানীপুরে জবান আলী সরকার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। 

নেত্রকোণা সদর উপজেলার মৌগাতি ইউপিতে মোস্তাফিজুর রহমান খান, মেদনীতে জিল্লুর রহমান খান নোমান, ঠাকুরাকোনাতে আব্দুর রাজ্জাক, সিংহের বাংলাতে আব্দুর রহিম, আমতলাতে আব্দুর রউফ সবুজ, লক্ষীগঞ্জে আব্দুর রব (রব্বানী), কাইলাটিতে মজিবুর রহমান, দক্ষিণ বিশিউড়াতে আবু বকর সিদ্দিক, চল্লিশাতে সৈয়দ মাহাবুবউল মজিদ, রৌহাতে আব্দুর রশিদ, কালিয়ারা গাবরাগাতিতে আমজাদ হোসেন খান, মদনপুরে মোস্তফা ই কাদের। 

বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউপিতে শামছুল হক, সাহতাতে পল্টন চন্দ্র সরকার, বারহাট্টাতে কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আসমাতে শফিকুল ইসলাম খান, চিরামে সাইদুর রহমান চৌধুরী, সিংধাতে শাহ মাহবুব মুর্শেদ কাঞ্চন, রায়পুরে আলী আকবর তালুকদার।

আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়াতে আব্দুস ছাত্তার, শুনইতে রোকন উজ্জামান, লুনেশ্বরে শাহজাহান কবীর, বানিয়াজানে ফেরদৌস মিয়া, তেলিগাতীতে অখিল চন্দ্র দাস, দুওজতে সাইদুল হক তালুকদার, সুখারীতে শাহজাহান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। 

এক ইউপির প্রার্থীর পরিবর্তন
নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম আনিসুল ইসলামকে নতুন করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখানে ৯ অক্টোবর পাঠানো তালিকা অনুযায়ী এই ইউপিতে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ইমরুল গাজী।

আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল চারটা পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা মূলতবি করা হয়েছে। বিকাল চারটা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের ইউপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকা চরম নিন্দনীয়: গণসংহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকা চরম নিন্দনীয়: গণসংহতি

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা চরম নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ‘চলতি বছর ২৫১ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করলেও সরকারের টনক নড়ছে না। কেবল সরকারি হিসাবেই ৬১ হাজারজনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যাদের সবাই হাসপাতাল পর্যন্ত আসতে পারেনি। এমনকি সরকারি হাসপাতালেও ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচ সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে। মানুষকে মৃত্যুর সম্ভাবনার মুখে রেখে সরকারের নির্বিকার আচরণ দেখে আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।’

নেতারা বলেন, ‘সারা বছর যেখানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পিত ভূমিকা থাকার কথা, সেখানে তারা এ বিষয়ে কোনো কাজই করেনি। ডেঙ্গুর প্রকোপে এত মানুষের মৃত্যুর পরেও সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল কোনো ভূমিকা আমরা দেখছি না। আমরা সরকারের এই ভূমিকার নিন্দা জানাই।’

নেতারা অবিলম্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩১
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ’ পুনরায় বিলুপ্ত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিল। তার সুফল দেশ এখনো পাচ্ছে। তবে ওই সব উদ্যোগকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়নি। ফলে পূর্ণ সুফল মেলেনি। দেশের সমস্যা সমাধানে প্রধান উদ্যোগের একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা। আমাদের সময়ে (বিএনপির আমলে) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় গেলে পুনরায় তা বিলুপ্ত করা হবে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপরিহার্য’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার সমাপনী বক্তব্য দেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ দিইনি। বাংলাদেশের ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নয়, সংস্থাটিকে স্বাধীনতা দিতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, অর্থনীতির সবকিছু অটোমেশন করে ফেলতে হবে। তাহলে দুর্নীতি কমে আসবে। ক্যাশলেস লেনদেনই হলো এখন ভবিষ্যৎ। সামনে সেদিকে যেতে হবে।

টাকা ছাপানোর সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘বিমান কেনার জন্য সরকার টাকা দেবে, এটা হতে পারে না। বিমান বন্ড ছেড়ে টাকা তুলতে পারে। সরকারের টাকা খরচ হওয়া উচিত সমাজের উন্নয়নে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে সরকার খরচ করতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতে হবে—প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৪১
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসেছিলাম আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে এই মুহূর্তে যেটা প্রয়োজন, অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় তাদের যেতে হবে। এ জন্য প্রথমেই যেটা প্রয়োজন হবে, প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ একটা ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করতে হবে।’

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে যমুনায় যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে সেখান থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসেন।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে এসেছি।’

এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কোনো উপদেষ্টার কথা বলা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে কিছু বলেননি ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিশেষ করে, সচিবালয়ে এখনো যাঁরা আছেন, যাঁরা চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট, তাঁদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। আমরা বলেছি, প্রশাসনেও, জেলা প্রশাসনে বিশেষ করে, সেখানেও একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

পুলিশে নিয়োগের বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কিছু কথা বলে এসেছি, যেগুলো আমরা মনে করেছি, তারা এখনো পুরোনো সরকারের স্বার্থ পূরণ করছে। তাদের অপসারণের কথা আমরা বলে এসেছি। আমরা সেই সঙ্গে পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যে সমস্ত নতুন করে আবার নিয়োগ দেওয়া হবে অথবা পদোন্নতি দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা বলেছি।’

বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলে এসেছি, বিচার বিভাগে বিশেষ করে উচ্চ আদালতে এখনো যে সমস্ত ফ্যাসিস্টের দোসর আছে, তাদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ বিচারকদের নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এটা বিচার বিভাগের বিষয়, এরপরেও প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু সবকিছুর দায়িত্বে আছেন, তাঁর কাছে আমাদের কথাটা জানিয়ে এসেছি।’

যমুনায় প্রবেশের আগে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী উনি আজকে সময় দিয়েছেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, প্রশাসনের কিছু বিষয়সহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেবে: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি সব সময় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিএনপি আপনাদের সঙ্গে অর্থাৎ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে এবং আপনাদের পাশে থাকবে, তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলবে। তাদের সমাজে ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আসুন, আমরা এক সঙ্গে দেশটাকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে কাজ করি।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাসের কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী উদ্যোক্তা সান্তানু স্নিতা নকরেক, স্বপ্ন আজিম প্রমুখ তাঁদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।

বিএনপি মহাসচিব তাঁদের সমস্যাসমূহ অবহিত হয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী উদ্যোক্তাদের সহজ ও স্বল্প শর্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সহযোগিতার ব্যবস্থা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত