রংপুর প্রতিনিধি
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট দল তৈরি করেছে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে তারা নিজস্ব একটি দল তৈরি করেছে। সেই দল এখন পর্যন্ত কোনো রেজিস্ট্রেশন পায়নি, কিন্তু সর্বক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল হিসেবে সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধভাবে কাঠামো করে যাচ্ছে। তারা করে যাচ্ছে, করুক, তার জন্য আপত্তি নাই। কিন্তু নিজস্ব দল তৈরি করে একই সঙ্গে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কখনোই হওয়া সম্ভব নয়। এটা অনেকবার অনেকভাবে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রংপুর নগরীর সেনপাড়ার স্কাইভিউ বাসভবনে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অধিকার থেকে আমাদের (জাতীয় পার্টি) বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হয় না। আমাদের বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমরা কাউন্সিল করতে যাব, সেখানে হল ভাড়া করতে গেলে আমরা পারি না। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের মানুষকে অযথা ধরে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখা হচ্ছে। বিনা বিচারে মাসের পর মাস তাদের জেলে আটকে রাখা হচ্ছে।’
রাজনৈতিকভাবে জাতীয় পার্টিকে প্রধান উপদেষ্টা বাদ দিয়েছেন উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘দেশ আমাদের সবার। সবাই মিলে আমরা দেশকে নিয়ে এগিয়ে যাব। আজকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বিদেশে বলেছেন, একটি মাত্র দল ডিসেম্বরের নির্বাচন চায়। কোন দল উনি মিন করেছেন, জানি সেটা বিএনপি। আমরা যে চাচ্ছি, সে কথা তাঁর মনে নাই। কেননা, উনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের বাদ দিয়ে রেখেছেন। হিসাবে আমরা নাই। রাজনীতি করার অধিকার উনার হিসাবে এখন আমাদের নাই।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনগতভাবে আমরা সম্পূর্ণভাবে একটি নিবন্ধিত দল। ইলেকশন কমিশনে আমাদের রেজিস্ট্রেশন আছে, সমস্ত ফরমালিটি পূরণ করা আছে। আমাদের কোনো আইনকানুনে ঘাটতি নাই। তথাপি উনারা আমাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমাদের সবক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছেন।’
দেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘দেশকে একটা সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছেন। এই সংঘাতময় পরিস্থিতি সামলানোর মতো প্রশাসনের ক্ষমতা আছে বলে আমি মনে করি না।’
পুলিশ প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে অভিযোগ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, পুলিশ প্রশাসন, তারা ডিমোরালাইজড। তাদের মনোবল শূন্য। তাদের বিভিন্নভাবে এখন দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনেও একই ব্যাপার, তারা ডিমোরালাইজড। তারা আজকে আছে, কালকে জেলে যাবে, পরশু চাকরি চলে যাবে। তারা জানে না এই পজিশন।
বিচার বিভাগকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, ‘বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে বিচার বিভাগেও সঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সমস্ত সংগঠন যখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন তারা দেশ শাসন করবে কীভাবে? তারা নির্বাচন সঠিকভাবে দেবে কীভাবে? আমরা জানি না?’
নির্বাচন প্রসঙ্গে জাপাপ্রধান বলেন, ‘সরকার থাকলে সরকারি দল কোনো নির্বাচন করতে পারবে না। সরকারি দল যদি নির্বাচন করতে চায়, সেই সরকার ছেড়ে দিতে হবে। কাজেই আমরা মনে করি, এই সরকারের একটা উপযুক্ত নির্বাচন দেওয়া দরকার; কিন্তু উপযুক্ত নির্বাচন এই সরকার দিতে পারবে না। আমরা বিশ্বাস করি, এই সরকারের ক্ষমতাও নাই, তাদের ইচ্ছাও নাই।’
অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে জি এম কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। বেকার সমস্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। সাড়ে তিন লাখ নতুন বেকার হয়েছে। দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ লাখের বেশি। এই ৮-৯ মাসে দেশকে উনারা খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
সার্বিকভাবে সমস্ত বিজনেস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আমরা বিজনেস করতে পারছি না, আমাদের কোনো পরিবেশ নেই। বিভিন্নভাবে আমরা কোনোখানে কোনো সহায়তা পাচ্ছি না।’ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছেন।
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির আহ্বায়ক আজমল হোসেন লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিমসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা থেকে চার দিনের সফরে আজ বিকেলে রংপুরে যান জি এম কাদের। দলীয় ও ব্যক্তিগত কাজ শেষে আগামী রোববার ঢাকায় ফিরবেন।
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট দল তৈরি করেছে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে তারা নিজস্ব একটি দল তৈরি করেছে। সেই দল এখন পর্যন্ত কোনো রেজিস্ট্রেশন পায়নি, কিন্তু সর্বক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল হিসেবে সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধভাবে কাঠামো করে যাচ্ছে। তারা করে যাচ্ছে, করুক, তার জন্য আপত্তি নাই। কিন্তু নিজস্ব দল তৈরি করে একই সঙ্গে নির্বাচন করলে সেই নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কখনোই হওয়া সম্ভব নয়। এটা অনেকবার অনেকভাবে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রংপুর নগরীর সেনপাড়ার স্কাইভিউ বাসভবনে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অধিকার থেকে আমাদের (জাতীয় পার্টি) বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হয় না। আমাদের বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমরা কাউন্সিল করতে যাব, সেখানে হল ভাড়া করতে গেলে আমরা পারি না। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের মানুষকে অযথা ধরে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখা হচ্ছে। বিনা বিচারে মাসের পর মাস তাদের জেলে আটকে রাখা হচ্ছে।’
রাজনৈতিকভাবে জাতীয় পার্টিকে প্রধান উপদেষ্টা বাদ দিয়েছেন উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘দেশ আমাদের সবার। সবাই মিলে আমরা দেশকে নিয়ে এগিয়ে যাব। আজকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বিদেশে বলেছেন, একটি মাত্র দল ডিসেম্বরের নির্বাচন চায়। কোন দল উনি মিন করেছেন, জানি সেটা বিএনপি। আমরা যে চাচ্ছি, সে কথা তাঁর মনে নাই। কেননা, উনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের বাদ দিয়ে রেখেছেন। হিসাবে আমরা নাই। রাজনীতি করার অধিকার উনার হিসাবে এখন আমাদের নাই।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনগতভাবে আমরা সম্পূর্ণভাবে একটি নিবন্ধিত দল। ইলেকশন কমিশনে আমাদের রেজিস্ট্রেশন আছে, সমস্ত ফরমালিটি পূরণ করা আছে। আমাদের কোনো আইনকানুনে ঘাটতি নাই। তথাপি উনারা আমাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছেন না। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমাদের সবক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছেন।’
দেশকে সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘দেশকে একটা সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছেন। এই সংঘাতময় পরিস্থিতি সামলানোর মতো প্রশাসনের ক্ষমতা আছে বলে আমি মনে করি না।’
পুলিশ প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে অভিযোগ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, পুলিশ প্রশাসন, তারা ডিমোরালাইজড। তাদের মনোবল শূন্য। তাদের বিভিন্নভাবে এখন দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনেও একই ব্যাপার, তারা ডিমোরালাইজড। তারা আজকে আছে, কালকে জেলে যাবে, পরশু চাকরি চলে যাবে। তারা জানে না এই পজিশন।
বিচার বিভাগকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, ‘বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে বিচার বিভাগেও সঠিকভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সমস্ত সংগঠন যখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন তারা দেশ শাসন করবে কীভাবে? তারা নির্বাচন সঠিকভাবে দেবে কীভাবে? আমরা জানি না?’
নির্বাচন প্রসঙ্গে জাপাপ্রধান বলেন, ‘সরকার থাকলে সরকারি দল কোনো নির্বাচন করতে পারবে না। সরকারি দল যদি নির্বাচন করতে চায়, সেই সরকার ছেড়ে দিতে হবে। কাজেই আমরা মনে করি, এই সরকারের একটা উপযুক্ত নির্বাচন দেওয়া দরকার; কিন্তু উপযুক্ত নির্বাচন এই সরকার দিতে পারবে না। আমরা বিশ্বাস করি, এই সরকারের ক্ষমতাও নাই, তাদের ইচ্ছাও নাই।’
অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে জি এম কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। বেকার সমস্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। সাড়ে তিন লাখ নতুন বেকার হয়েছে। দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ লাখের বেশি। এই ৮-৯ মাসে দেশকে উনারা খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
সার্বিকভাবে সমস্ত বিজনেস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আমরা বিজনেস করতে পারছি না, আমাদের কোনো পরিবেশ নেই। বিভিন্নভাবে আমরা কোনোখানে কোনো সহায়তা পাচ্ছি না।’ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছেন।
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির আহ্বায়ক আজমল হোসেন লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিমসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা থেকে চার দিনের সফরে আজ বিকেলে রংপুরে যান জি এম কাদের। দলীয় ও ব্যক্তিগত কাজ শেষে আগামী রোববার ঢাকায় ফিরবেন।
সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্যঘোষিত সমন্বয় কমিটি থেকে চারজন পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পৃথক স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগে‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে চাঁদাবাজি আর দুর্নীতি আবারও চেপে বসেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রে। আমরা বলেছিলাম, এই চাঁদাবাজ আর মাফিয়াদের যে সিস্টেম, সেই সিস্টেমের পতন চাই। কিন্তু দেখেছি, সেই সিস্টেমকে টিকিয়ে রেখেছে একটি দল। চাঁদাবাজি আর দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে একটি দল।’
৮ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যারা আজকে তারেক সাহেবের বিরুদ্ধে বলে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু; যারা দেশের বিরুদ্ধে বলে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু; তারা এই দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে।’
৯ ঘণ্টা আগেবিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং শিক্ষাবিদ ড. এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এনসিপি নেতা ইমামুর রশিদের সাত লাখ টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটি পোস্ট করার পরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে