নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।
তবে দাবি আদায়ে শক্ত কোনো কর্মসূচি দিলে তাতে যেন হিতে বিপরীত না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে বিএনপির। সরকার চাপে থাকবে কিন্তু তা কোনো ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচির কথাই ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে কৌশল নির্ধারণে নিজেদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে তারা। এ জন্য আজ শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। এর পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্র বলছে, সংস্কার কার্যক্রম ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায়ে সরকারকে চাপে রাখা হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও দেওয়া হবে। বৈঠকে দলের নেতারা বলেন, দাবি আদায়ে শক্ত কর্মসূচি দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাজে ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচি নির্ধারণে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন নেতারা।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ চেয়ে আসছে বিএনপি। এই দাবির সঙ্গে এককাট্টা রয়েছে বিএনপির সমমনা দলগুলোও। সময় গড়ানোর সঙ্গে বিএনপি ও সমমনাদের দাবি জোরালো হলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি সরকার। উপরন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কোনো কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিসহ অনেকের বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে বিএনপিতে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অনেকবার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নানাজনের নানা বক্তব্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার হতেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। ওই সাক্ষাতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। বিপরীতে সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে আবারও চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে হতাশার কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ না দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা এই বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’
বিএনপির দাবি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাওয়ার শঙ্কার কথাও বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি হবে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে এবং সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।’
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন মানে, ইচ্ছা করে দেরি করে বা জুন মাসে নির্বাচন করা হবে, সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করার চেষ্টা থাকবে। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরে, জানুয়ারিতে সম্ভব হলে জানুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে বিএনপিকে বোঝানো হয়েছে।
বিএনপির সূত্রও বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সবশেষ বৈঠকের পর নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আশঙ্কার মেঘ অনেকটা কেটে গেছে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যা বলেছেন, তাতে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা আশ্বস্ত হয়েছেন। এখন নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সময় যতটা এগিয়ে নিয়ে আসা যায়, সে নিয়ে সরকারকে চাপ দেবেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপি আশ্বস্ত হলেও এখনো বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচন বিলম্বে হলে অনেকের সুবিধা হবে। তারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাদের দিক থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করতে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপও আছে। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে অনেকবার কথা বলেছেন নীতিনির্ধারকেরা। এই অবস্থায় সরকারের ওপর দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে চাপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরকে শেষ সময় ধরেছে বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা সরকারের ওপর ভরসা রাখতে চাই। দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রত্যাশিত সেই নির্বাচন বিলম্ব হলে দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।
তবে দাবি আদায়ে শক্ত কোনো কর্মসূচি দিলে তাতে যেন হিতে বিপরীত না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে বিএনপির। সরকার চাপে থাকবে কিন্তু তা কোনো ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচির কথাই ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে কৌশল নির্ধারণে নিজেদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে তারা। এ জন্য আজ শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। এর পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্র বলছে, সংস্কার কার্যক্রম ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায়ে সরকারকে চাপে রাখা হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও দেওয়া হবে। বৈঠকে দলের নেতারা বলেন, দাবি আদায়ে শক্ত কর্মসূচি দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাজে ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচি নির্ধারণে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন নেতারা।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ চেয়ে আসছে বিএনপি। এই দাবির সঙ্গে এককাট্টা রয়েছে বিএনপির সমমনা দলগুলোও। সময় গড়ানোর সঙ্গে বিএনপি ও সমমনাদের দাবি জোরালো হলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি সরকার। উপরন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কোনো কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিসহ অনেকের বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে বিএনপিতে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অনেকবার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নানাজনের নানা বক্তব্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার হতেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। ওই সাক্ষাতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। বিপরীতে সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে আবারও চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে হতাশার কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ না দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা এই বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’
বিএনপির দাবি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাওয়ার শঙ্কার কথাও বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি হবে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে এবং সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।’
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন মানে, ইচ্ছা করে দেরি করে বা জুন মাসে নির্বাচন করা হবে, সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করার চেষ্টা থাকবে। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরে, জানুয়ারিতে সম্ভব হলে জানুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে বিএনপিকে বোঝানো হয়েছে।
বিএনপির সূত্রও বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সবশেষ বৈঠকের পর নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আশঙ্কার মেঘ অনেকটা কেটে গেছে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যা বলেছেন, তাতে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা আশ্বস্ত হয়েছেন। এখন নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সময় যতটা এগিয়ে নিয়ে আসা যায়, সে নিয়ে সরকারকে চাপ দেবেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপি আশ্বস্ত হলেও এখনো বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচন বিলম্বে হলে অনেকের সুবিধা হবে। তারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাদের দিক থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করতে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপও আছে। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে অনেকবার কথা বলেছেন নীতিনির্ধারকেরা। এই অবস্থায় সরকারের ওপর দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে চাপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরকে শেষ সময় ধরেছে বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা সরকারের ওপর ভরসা রাখতে চাই। দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রত্যাশিত সেই নির্বাচন বিলম্ব হলে দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।
তবে দাবি আদায়ে শক্ত কোনো কর্মসূচি দিলে তাতে যেন হিতে বিপরীত না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে বিএনপির। সরকার চাপে থাকবে কিন্তু তা কোনো ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচির কথাই ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে কৌশল নির্ধারণে নিজেদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে তারা। এ জন্য আজ শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। এর পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্র বলছে, সংস্কার কার্যক্রম ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায়ে সরকারকে চাপে রাখা হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও দেওয়া হবে। বৈঠকে দলের নেতারা বলেন, দাবি আদায়ে শক্ত কর্মসূচি দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাজে ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচি নির্ধারণে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন নেতারা।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ চেয়ে আসছে বিএনপি। এই দাবির সঙ্গে এককাট্টা রয়েছে বিএনপির সমমনা দলগুলোও। সময় গড়ানোর সঙ্গে বিএনপি ও সমমনাদের দাবি জোরালো হলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি সরকার। উপরন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কোনো কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিসহ অনেকের বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে বিএনপিতে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অনেকবার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নানাজনের নানা বক্তব্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার হতেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। ওই সাক্ষাতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। বিপরীতে সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে আবারও চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে হতাশার কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ না দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা এই বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’
বিএনপির দাবি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাওয়ার শঙ্কার কথাও বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি হবে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে এবং সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।’
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন মানে, ইচ্ছা করে দেরি করে বা জুন মাসে নির্বাচন করা হবে, সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করার চেষ্টা থাকবে। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরে, জানুয়ারিতে সম্ভব হলে জানুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে বিএনপিকে বোঝানো হয়েছে।
বিএনপির সূত্রও বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সবশেষ বৈঠকের পর নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আশঙ্কার মেঘ অনেকটা কেটে গেছে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যা বলেছেন, তাতে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা আশ্বস্ত হয়েছেন। এখন নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সময় যতটা এগিয়ে নিয়ে আসা যায়, সে নিয়ে সরকারকে চাপ দেবেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপি আশ্বস্ত হলেও এখনো বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচন বিলম্বে হলে অনেকের সুবিধা হবে। তারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাদের দিক থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করতে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপও আছে। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে অনেকবার কথা বলেছেন নীতিনির্ধারকেরা। এই অবস্থায় সরকারের ওপর দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে চাপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরকে শেষ সময় ধরেছে বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা সরকারের ওপর ভরসা রাখতে চাই। দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রত্যাশিত সেই নির্বাচন বিলম্ব হলে দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।
তবে দাবি আদায়ে শক্ত কোনো কর্মসূচি দিলে তাতে যেন হিতে বিপরীত না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে বিএনপির। সরকার চাপে থাকবে কিন্তু তা কোনো ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচির কথাই ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে কৌশল নির্ধারণে নিজেদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে তারা। এ জন্য আজ শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। এর পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্র বলছে, সংস্কার কার্যক্রম ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায়ে সরকারকে চাপে রাখা হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও দেওয়া হবে। বৈঠকে দলের নেতারা বলেন, দাবি আদায়ে শক্ত কর্মসূচি দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাজে ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচি নির্ধারণে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন নেতারা।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ চেয়ে আসছে বিএনপি। এই দাবির সঙ্গে এককাট্টা রয়েছে বিএনপির সমমনা দলগুলোও। সময় গড়ানোর সঙ্গে বিএনপি ও সমমনাদের দাবি জোরালো হলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি সরকার। উপরন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কোনো কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিসহ অনেকের বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে বিএনপিতে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অনেকবার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।
এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নানাজনের নানা বক্তব্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার হতেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। ওই সাক্ষাতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। বিপরীতে সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে আবারও চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে হতাশার কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ না দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা এই বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’
বিএনপির দাবি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাওয়ার শঙ্কার কথাও বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি হবে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে এবং সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।’
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন মানে, ইচ্ছা করে দেরি করে বা জুন মাসে নির্বাচন করা হবে, সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করার চেষ্টা থাকবে। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরে, জানুয়ারিতে সম্ভব হলে জানুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে বিএনপিকে বোঝানো হয়েছে।
বিএনপির সূত্রও বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সবশেষ বৈঠকের পর নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আশঙ্কার মেঘ অনেকটা কেটে গেছে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যা বলেছেন, তাতে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা আশ্বস্ত হয়েছেন। এখন নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সময় যতটা এগিয়ে নিয়ে আসা যায়, সে নিয়ে সরকারকে চাপ দেবেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপি আশ্বস্ত হলেও এখনো বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচন বিলম্বে হলে অনেকের সুবিধা হবে। তারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাদের দিক থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করতে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপও আছে। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে অনেকবার কথা বলেছেন নীতিনির্ধারকেরা। এই অবস্থায় সরকারের ওপর দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে চাপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরকে শেষ সময় ধরেছে বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা সরকারের ওপর ভরসা রাখতে চাই। দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রত্যাশিত সেই নির্বাচন বিলম্ব হলে দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
৩১ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘“১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” এবং ১৬ ডিসেম্বর “মহান বিজয় দিবস”। আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি দিন। জাতির ইতিহাসে দিবস দুটি আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের চিরন্তন স্মারক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা নিজেদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন—সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যাঁরা দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা গভীর সম্মান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি সকল শহীদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আজ এমন একসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদী সরকারের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুনের নিষ্ঠুর অভিশাপ থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং শান্তি, স্বস্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে দেশ ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিপরীত পক্ষে ফ্যাসিবাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো থেমে নেই মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ ১২ ডিসেম্বর শরিফ ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। এই প্রেক্ষাপটে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই দুটি দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। তারা জানায়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর, রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে যুব ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘“১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” এবং ১৬ ডিসেম্বর “মহান বিজয় দিবস”। আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি দিন। জাতির ইতিহাসে দিবস দুটি আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের চিরন্তন স্মারক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা নিজেদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন—সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যাঁরা দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা গভীর সম্মান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি সকল শহীদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আজ এমন একসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদী সরকারের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুনের নিষ্ঠুর অভিশাপ থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং শান্তি, স্বস্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে দেশ ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিপরীত পক্ষে ফ্যাসিবাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো থেমে নেই মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ ১২ ডিসেম্বর শরিফ ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। এই প্রেক্ষাপটে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই দুটি দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। তারা জানায়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর, রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে যুব ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়...
১৯ এপ্রিল ২০২৫
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের করা ভবিষ্যদ্বাণী ‘সত্য হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগে বলেছিলাম–নির্বাচন অত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা–এই সবকিছু নিয়েই প্রমাণিত হচ্ছে, আমি যা বলেছিলাম তা সত্যি হচ্ছে আস্তে আস্তে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মতভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছেন।’
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, এই ষড়যন্ত্রগুলো আরও খারাপও হতে পারে। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। মানুষকে সাহস দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব, তত সামনে এগিয়ে যাব। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করব, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনা সম্পর্কে তারেক বলেন, চট্টগ্রামে একটা ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (শুক্রবার) একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফায়দা লোটার অবশ্যই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, তথ্যপ্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দূষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপি প্রণীত পরিকল্পনা এবং এসবের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিত তুলে ধরেন তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি কী পেলাম–এটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে, আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন, তাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতিপুতিরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন, আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।’
এর জন্য যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের করা ভবিষ্যদ্বাণী ‘সত্য হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগে বলেছিলাম–নির্বাচন অত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা–এই সবকিছু নিয়েই প্রমাণিত হচ্ছে, আমি যা বলেছিলাম তা সত্যি হচ্ছে আস্তে আস্তে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মতভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছেন।’
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, এই ষড়যন্ত্রগুলো আরও খারাপও হতে পারে। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। মানুষকে সাহস দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব, তত সামনে এগিয়ে যাব। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করব, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনা সম্পর্কে তারেক বলেন, চট্টগ্রামে একটা ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (শুক্রবার) একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফায়দা লোটার অবশ্যই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, তথ্যপ্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দূষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপি প্রণীত পরিকল্পনা এবং এসবের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিত তুলে ধরেন তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি কী পেলাম–এটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে, আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন, তাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতিপুতিরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন, আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।’
এর জন্য যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়...
১৯ এপ্রিল ২০২৫
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
৩১ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াত জানায়, আলোচনায় গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও অন্যতম জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপিত হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করা হয় বলেও জানিয়েছে জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
বৈঠকে শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ঘটনায় গোটা জাতি স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। এই হামলা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর নয়; এটি গোটা জাতি ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।
জামায়াতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াত জানায়, আলোচনায় গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও অন্যতম জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপিত হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে আয়োজনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করা হয় বলেও জানিয়েছে জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
বৈঠকে শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ঘটনায় গোটা জাতি স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। এই হামলা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর নয়; এটি গোটা জাতি ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।
জামায়াতের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়...
১৯ এপ্রিল ২০২৫
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
৩১ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ভুয়া ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুকে সাদিক কায়েম লেখেন, ‘আওয়ামী প্রোপাগাণ্ডা সেল কর্তৃক প্রচারিত এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীর সাথে আমাকে জড়িয়ে যে অপতথ্য ছড়িয়েছেন, তা বিএনপির মতো সংগঠনের সিনিয়র নেতার কাছ থেকে কোনোভাবে প্রত্যাশিত দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’
ভিপি সাদিক কায়েম লেখেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আশ্বাস নিয়ে জনতার কাছে যাচ্ছেন, তারা যখন যেকোনো সংকটে সত্য জানার চেষ্টা না করে আওয়ামী নির্ভর অপতথ্যকে ফ্যাক্ট হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন আগামীর দেশ বিনির্মাণে তাদের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়।’
ফেসবুকে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে, আজ বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ভুয়া ছবিকে সত্য ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখমাত্র হাদির হত্যাকারীর সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে রিভজী অপতথ্য ছড়িয়েছেন। সেজন্য রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুকে সাদিক কায়েম লেখেন, ‘আওয়ামী প্রোপাগাণ্ডা সেল কর্তৃক প্রচারিত এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীর সাথে আমাকে জড়িয়ে যে অপতথ্য ছড়িয়েছেন, তা বিএনপির মতো সংগঠনের সিনিয়র নেতার কাছ থেকে কোনোভাবে প্রত্যাশিত দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’
ভিপি সাদিক কায়েম লেখেন, ‘যারা আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আশ্বাস নিয়ে জনতার কাছে যাচ্ছেন, তারা যখন যেকোনো সংকটে সত্য জানার চেষ্টা না করে আওয়ামী নির্ভর অপতথ্যকে ফ্যাক্ট হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন আগামীর দেশ বিনির্মাণে তাদের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়।’
ফেসবুকে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে, আজ বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়...
১৯ এপ্রিল ২০২৫
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
৩১ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানানো হয়। জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে