নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘একটিমাত্র রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, এ বক্তব্যের বিষয়ে উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
মান্না বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগে একটিমাত্র দল নির্বাচন চায়। এমন একটা ভুল করা কি প্রফেসর ইউনূসের জন্য সংগত? এটা কি মানায় তাঁর কাছে? উনি জানতেনই না যে প্রায় ২৯টা দল ইতিমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। এই ভুল তো তাঁর হওয়ার কথা নয়। উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।’ তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চার-পাঁচবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বললে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
সভায় সংস্কার, নির্বাচন এবং জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, বিচার স্বাধীনভাবে চলবে। এই সরকারের পরে যারা সরকারে আসবে, তাদের সেটা টেনে নিয়ে যেতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেগুলোর বিচার করতে গেলে অনেক সময় লাগবে এবং সেই সময়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক সরাসরি আছে, সেটা বলা ঠিক হবে না। আর বিচারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া অবিচারের শামিল। কারণ, বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া আমরা সবাই জানি এবং সুবিচার করতে হলে সময় দিতে হয়।’
এ দেশে কেউ অপরাধ করে পার পাবেন না মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে এবং বিদেশে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা সৃষ্টির অনেক চেষ্টা হয়েছে। অস্থির পরিস্থিতি বন্ধের উপায় হলো, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠিত করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচনই জনগণকে ক্ষমতায়িত করার একমাত্র পথ। নির্বাচনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আর বাকি সব সংস্কার, সেটা সময়ের ব্যাপার। নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলি নাই, আপনি বলেছেন। আমরা বলেছি, আপনার সেই ওয়াদা আপনি রাখেন। আমাদের মুখ থেকে ডিসেম্বরের কথা আসে নাই।’
পার্থ বলেন, ‘সরকারের ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু সংসদ নাই, আপনার ক্ষমতার উৎস আমরা রাজনীতিবিদেরা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীরা। আজকে আপনি যে সংস্কারের কথা বলছেন, সাধারণ মানুষের কি সংস্কারের একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছে? আজকে বাংলাদেশে দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, তার সংস্কার নিয়ে তো কোনো কথা বলে নাই। আজকে ব্যবসায়ীরা হাহাকার, এনবিআর দিয়ে এবং বিভিন্ন সংস্কার দিয়ে তাদের শেষ করে ফেলাচ্ছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদের কথা বলার কোনো জায়গা নাই।’
পার্থ আরও বলেন, ‘আজকে কেন আর্মির এভাবে কথা বলতে হয়। আর্মির সঙ্গে দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? আজকে করিডরের কথা শুনে কনফিউশন কেন, আমরা তো কনফিউশন করি নাই। কনফিউশন আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) নিয়ে আসছেন। ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয় নাই। আপনি মানুষের ক্ষমতাটা মানুষের হাতে দিয়ে দেন, মানুষ আপনাকে সব সময় স্মরণ রাখবে। আমরাও আপনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখব। আমি আগেও বলেছি, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক না। পলিটিকসে দুই আর দুই ২২ হয়, ইকোনমিকসে দুই আর দুই ৪ হয়।’
সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি করে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কিছু দল নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে শুধু তাদের দলকে সুসংগঠিত করতে এবং দলীয় লোকজনকে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় বসাতে। কোনো ব্যক্তি কিংবা দলের স্বার্থের জন্য আমরা দেশকে একটা সংকটের দিকে যেতে দিতে পারি না।’
গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, খেলাফত মজলিসের অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, জাগপার ইকবাল হাসান, এনডিএমের মহাসচিব মমিনুল আমিন প্রমুখ।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘একটিমাত্র রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, এ বক্তব্যের বিষয়ে উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
মান্না বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগে একটিমাত্র দল নির্বাচন চায়। এমন একটা ভুল করা কি প্রফেসর ইউনূসের জন্য সংগত? এটা কি মানায় তাঁর কাছে? উনি জানতেনই না যে প্রায় ২৯টা দল ইতিমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়েছে। এই ভুল তো তাঁর হওয়ার কথা নয়। উনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।’ তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চার-পাঁচবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বললে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র কিংবা নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
সভায় সংস্কার, নির্বাচন এবং জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়, বিচার স্বাধীনভাবে চলবে। এই সরকারের পরে যারা সরকারে আসবে, তাদের সেটা টেনে নিয়ে যেতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেগুলোর বিচার করতে গেলে অনেক সময় লাগবে এবং সেই সময়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে বিচারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক সরাসরি আছে, সেটা বলা ঠিক হবে না। আর বিচারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া অবিচারের শামিল। কারণ, বিচারের দীর্ঘ প্রক্রিয়া আমরা সবাই জানি এবং সুবিচার করতে হলে সময় দিতে হয়।’
এ দেশে কেউ অপরাধ করে পার পাবেন না মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে এবং বিদেশে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা সৃষ্টির অনেক চেষ্টা হয়েছে। অস্থির পরিস্থিতি বন্ধের উপায় হলো, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠিত করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, নির্বাচন দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচনই জনগণকে ক্ষমতায়িত করার একমাত্র পথ। নির্বাচনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার। আর বাকি সব সংস্কার, সেটা সময়ের ব্যাপার। নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা আমরা বলি নাই, আপনি বলেছেন। আমরা বলেছি, আপনার সেই ওয়াদা আপনি রাখেন। আমাদের মুখ থেকে ডিসেম্বরের কথা আসে নাই।’
পার্থ বলেন, ‘সরকারের ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু সংসদ নাই, আপনার ক্ষমতার উৎস আমরা রাজনীতিবিদেরা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীরা। আজকে আপনি যে সংস্কারের কথা বলছেন, সাধারণ মানুষের কি সংস্কারের একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছে? আজকে বাংলাদেশে দুই লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, তার সংস্কার নিয়ে তো কোনো কথা বলে নাই। আজকে ব্যবসায়ীরা হাহাকার, এনবিআর দিয়ে এবং বিভিন্ন সংস্কার দিয়ে তাদের শেষ করে ফেলাচ্ছে, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদের কথা বলার কোনো জায়গা নাই।’
পার্থ আরও বলেন, ‘আজকে কেন আর্মির এভাবে কথা বলতে হয়। আর্মির সঙ্গে দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দূরত্ব কে সৃষ্টি করেছে? আজকে করিডরের কথা শুনে কনফিউশন কেন, আমরা তো কনফিউশন করি নাই। কনফিউশন আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) নিয়ে আসছেন। ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয় নাই। আপনি মানুষের ক্ষমতাটা মানুষের হাতে দিয়ে দেন, মানুষ আপনাকে সব সময় স্মরণ রাখবে। আমরাও আপনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখব। আমি আগেও বলেছি, পলিটিকস আর ইকোনমিকস এক না। পলিটিকসে দুই আর দুই ২২ হয়, ইকোনমিকসে দুই আর দুই ৪ হয়।’
সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি করে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কিছু দল নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে শুধু তাদের দলকে সুসংগঠিত করতে এবং দলীয় লোকজনকে সরকারের বিভিন্ন জায়গায় বসাতে। কোনো ব্যক্তি কিংবা দলের স্বার্থের জন্য আমরা দেশকে একটা সংকটের দিকে যেতে দিতে পারি না।’
গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, খেলাফত মজলিসের অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, জাগপার ইকবাল হাসান, এনডিএমের মহাসচিব মমিনুল আমিন প্রমুখ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেনি বিএনপি। তবে মনোনয়নের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ আসনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের অন্য নেতাদের সমর্থকেরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করছেন, সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমসহ দলটির তিন নেতা। আজ বুধবার বিকেলে তাঁরা বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের পর চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন তাঁরা।
১১ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেনি বিএনপি। তবে মনোনয়নের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ আসনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের অন্য নেতাদের সমর্থকেরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করছেন, সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছেও অনেকে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির মতো একটি বড় দলে মনোনয়ন নিয়ে এমন পরিস্থিতিকে অবশ্য ‘অস্বাভাবিক’ মনে করছেন না দলটির নীতিনির্ধারকেরা। পরিস্থিতি সামলাতে তাঁরা তৎপর আছেন, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করছেন। এরই অংশ হিসেবে অন্তত ৩০ আসনে প্রার্থী পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কাজ চলছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা নিরসনে তাঁরা কাজ করছেন। আশা করছি, সময়মতো এর ভালো একটা সুরাহা হবে।’
গত ৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। এর আগে দলের শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিভেদ বা অসন্তোষ যেন না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিভিন্ন বক্তৃতায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের পর মনোনয়ন নিয়ে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষকে ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রাণঘাতী সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষের চিত্র
২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন বা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকেরা। সারা দেশ থেকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের দেওয়া হিসাব মতে, অন্তত ৭০টি আসনে এসব ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সব বিভাগেই অসন্তোষ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ ১৪টি আসনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা গেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ১১টি করে ২২টি আসনে এবং ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ১০টি করে আসন, বরিশালের ৩টি এবং সিলেট বিভাগের ১টি আসনে অসন্তোষের খবর পাওয়া গেছে।
মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তিদের অভিযোগ, ঘোষিত অনেক আসনে নব্য, হাইব্রিড, বিগত দিনের সুবিধাভোগী, আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় ছাড়াও প্রবাসের অনেককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ওই তালিকায় ত্যাগী, যোগ্য আর জনপ্রিয় নেতাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এই তালিকা চূড়ান্ত নয় এবং তা পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে; দলের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হলেও মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তিদের ক্ষোভ কমছে না।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এম ইকবাল হোসেইনকে পরিবর্তনের দাবিতে ওই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তায়েবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে আসছেন শুরু থেকে। দাবি আদায়ে তাঁরা সমাবেশ কর্মসূচিও পালন করেছেন। মনোনয়নকে ঘিরে সৃষ্ট কোন্দলের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে বিপরীত পক্ষ অভিযোগ করেছে, নব্বই বছরের ঊর্ধ্বের একজন বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া ঠিক হয়নি। বিগত সরকারের লোকজনের সঙ্গে তাঁর আঁতাতের অভিযোগও উঠছে। তাঁর প্রার্থিতা বাতিলে প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ হচ্ছে এই আসনে।
একই ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়া-৪ আসনে। আশি বছরের বেশি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমিকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এই আসনে মনোনয়ন চাওয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বয়ক শেখ সাদী। তরুণ প্রজন্ম আর নারী ভোটারদের কাছে টানতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূচি পালন করে আসছেন তিনি। এখানে মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে অঘটন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।
রাজধানীর মনোনয়ন নিয়েও বিতর্ক আছে। ঢাকা-৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে নবীউল্লাহ নবীকে। তাঁকে নিয়ে একদিকে যেমন বিতর্ক রয়েছে, তেমনি বয়সের হিসাবও ভাবাচ্ছে দলকে। ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সানজিদা ইসলাম তুলি। প্রার্থিতা পুনর্বিবেচনার দাবি তুলছেন এস এ সিদ্দিক সাজুর সমর্থকেরা।
সাজুর মনোনয়ন দাবিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১২৬ জন পদধারী নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন। এ দাবিতে নিয়মিত কর্মসূচিও পালন করছে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ। দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিক সাজুকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১২ আসনে ৫ আগস্টের পর এস আলম গ্রুপের গাড়িকাণ্ডে দল থেকে বহিষ্কৃত ও বিতর্কিত নেতা এনামুল হককে মনোনয়ন দিয়েছে দল। যদিও বহিষ্কারের কয়েক মাসের মধ্যে তাঁর শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ করেন, এনামুল হক আওয়ামী লীগ আমলে চাল ব্যবসায়ী হিসেবে আঁতাত করে ব্যবসা ও রাজনীতি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে যখন সাধারণ কর্মীরা নির্যাতিত হয়েছেন, তখন এনাম ছিলেন সুবিধাভোগী।
গাইবান্ধা-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এক-এগারোর সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ শামীম কায়সার লিঙ্কনকে। এটা মানতে পারছেন না তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। এই আসনে দলের আরেক জনপ্রিয় নেতা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদকে মনোনয়ন না দিলে এই আসন হাতছাড়া হবে বলে আশঙ্কা করছেন নেতা-কর্মীরা।
নৈতিক চরিত্রের অধঃপতনের একাধিক ভিডিও চিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ায় নেত্রকোনা সংসদীয় আসন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা উপজেলা) বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রাথমিক সম্ভাব্য ঘোষিত প্রার্থী আবু তাহের তালুকদারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে নেতা-কর্মীদের।
নরসিংদী-৪ আসনে বিএনপির সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। সাবেক এই এমপি এক-এগারোর সময়ে সংস্কারপন্থী ছিলেন। জিয়া পরিবারকে নিয়ে কটূক্তি করা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে বিগত বছরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর সখ্য নিয়েও নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে বিএনপির প্রয়াত নেতা ফজলুর রহমান পটলের ছোট মেয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুলকে প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছে দল। কিন্তু তাঁর আপন বড় ভাই ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইয়াসির আরশাদ রাজন বোনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
পরিস্থিতি সামলাতে তৎপর দল
গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মনোনয়ন নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষের বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে বিতর্কিত ও সমালোচিত প্রার্থীদের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। বৈঠক সূত্র বলছে, সিলেট-৬, নেত্রকোনা-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, জামালপুর-২, কুষ্টিয়া-৪, সিরাজগঞ্জ-৩, চট্টগ্রাম-১২ ও ১৩ ছাড়াও অন্তত ৩০ আসনে প্রার্থী বদলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব আসনে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত ক্ষোভ-অসন্তোষ ও দাবিকে যুক্তিযুক্ত মনে করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন, এমন একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনোনয়নসংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে বিএনপির একটি দল কাজ করছে। তারা অভিযোগের বিপরীতে সত্যটা জানার চেষ্টা করছে। তাদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রার্থীর তালিকা সংশোধন করা হবে।
সূত্র বলছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিরোধপূর্ণ প্রতিটি আসনের সব পক্ষকে ঢাকায় ডেকে কথা বলছেন। ইতিমধ্যে গুলশান কার্যালয়ে একাধিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এর বাইরেও সুবিধাজনক স্থানে মনোনয়নবঞ্চিতদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করছেন তাঁরা। মনোনয়ন নিয়ে বড় কোনো ক্ষোভ-অসন্তোষকে সঙ্গী করে ভোটের লড়াইয়ে যেতে চান না তারেক রহমান। এ জন্য তিনি নিজেও মনোনয়ন না পাওয়া ক্ষুব্ধ অনেক নেতার সঙ্গে আলাপ করছেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেনি বিএনপি। তবে মনোনয়নের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ আসনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের অন্য নেতাদের সমর্থকেরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করছেন, সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছেও অনেকে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির মতো একটি বড় দলে মনোনয়ন নিয়ে এমন পরিস্থিতিকে অবশ্য ‘অস্বাভাবিক’ মনে করছেন না দলটির নীতিনির্ধারকেরা। পরিস্থিতি সামলাতে তাঁরা তৎপর আছেন, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করছেন। এরই অংশ হিসেবে অন্তত ৩০ আসনে প্রার্থী পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কাজ চলছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা নিরসনে তাঁরা কাজ করছেন। আশা করছি, সময়মতো এর ভালো একটা সুরাহা হবে।’
গত ৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। এর আগে দলের শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিভেদ বা অসন্তোষ যেন না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিভিন্ন বক্তৃতায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের পর মনোনয়ন নিয়ে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষকে ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রাণঘাতী সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষের চিত্র
২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন বা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকেরা। সারা দেশ থেকে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের দেওয়া হিসাব মতে, অন্তত ৭০টি আসনে এসব ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সব বিভাগেই অসন্তোষ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ ১৪টি আসনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা গেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ১১টি করে ২২টি আসনে এবং ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ১০টি করে আসন, বরিশালের ৩টি এবং সিলেট বিভাগের ১টি আসনে অসন্তোষের খবর পাওয়া গেছে।
মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তিদের অভিযোগ, ঘোষিত অনেক আসনে নব্য, হাইব্রিড, বিগত দিনের সুবিধাভোগী, আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় ছাড়াও প্রবাসের অনেককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ওই তালিকায় ত্যাগী, যোগ্য আর জনপ্রিয় নেতাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এই তালিকা চূড়ান্ত নয় এবং তা পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে; দলের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হলেও মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তিদের ক্ষোভ কমছে না।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এম ইকবাল হোসেইনকে পরিবর্তনের দাবিতে ওই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তায়েবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে আসছেন শুরু থেকে। দাবি আদায়ে তাঁরা সমাবেশ কর্মসূচিও পালন করেছেন। মনোনয়নকে ঘিরে সৃষ্ট কোন্দলের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে বিপরীত পক্ষ অভিযোগ করেছে, নব্বই বছরের ঊর্ধ্বের একজন বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া ঠিক হয়নি। বিগত সরকারের লোকজনের সঙ্গে তাঁর আঁতাতের অভিযোগও উঠছে। তাঁর প্রার্থিতা বাতিলে প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ হচ্ছে এই আসনে।
একই ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়া-৪ আসনে। আশি বছরের বেশি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমিকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এই আসনে মনোনয়ন চাওয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বয়ক শেখ সাদী। তরুণ প্রজন্ম আর নারী ভোটারদের কাছে টানতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূচি পালন করে আসছেন তিনি। এখানে মনোনয়ন পরিবর্তন না হলে অঘটন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।
রাজধানীর মনোনয়ন নিয়েও বিতর্ক আছে। ঢাকা-৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে নবীউল্লাহ নবীকে। তাঁকে নিয়ে একদিকে যেমন বিতর্ক রয়েছে, তেমনি বয়সের হিসাবও ভাবাচ্ছে দলকে। ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন সানজিদা ইসলাম তুলি। প্রার্থিতা পুনর্বিবেচনার দাবি তুলছেন এস এ সিদ্দিক সাজুর সমর্থকেরা।
সাজুর মনোনয়ন দাবিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১২৬ জন পদধারী নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন। এ দাবিতে নিয়মিত কর্মসূচিও পালন করছে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ। দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিক সাজুকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১২ আসনে ৫ আগস্টের পর এস আলম গ্রুপের গাড়িকাণ্ডে দল থেকে বহিষ্কৃত ও বিতর্কিত নেতা এনামুল হককে মনোনয়ন দিয়েছে দল। যদিও বহিষ্কারের কয়েক মাসের মধ্যে তাঁর শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ করেন, এনামুল হক আওয়ামী লীগ আমলে চাল ব্যবসায়ী হিসেবে আঁতাত করে ব্যবসা ও রাজনীতি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে যখন সাধারণ কর্মীরা নির্যাতিত হয়েছেন, তখন এনাম ছিলেন সুবিধাভোগী।
গাইবান্ধা-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এক-এগারোর সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ শামীম কায়সার লিঙ্কনকে। এটা মানতে পারছেন না তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। এই আসনে দলের আরেক জনপ্রিয় নেতা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদকে মনোনয়ন না দিলে এই আসন হাতছাড়া হবে বলে আশঙ্কা করছেন নেতা-কর্মীরা।
নৈতিক চরিত্রের অধঃপতনের একাধিক ভিডিও চিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ায় নেত্রকোনা সংসদীয় আসন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা উপজেলা) বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রাথমিক সম্ভাব্য ঘোষিত প্রার্থী আবু তাহের তালুকদারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে নেতা-কর্মীদের।
নরসিংদী-৪ আসনে বিএনপির সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। সাবেক এই এমপি এক-এগারোর সময়ে সংস্কারপন্থী ছিলেন। জিয়া পরিবারকে নিয়ে কটূক্তি করা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে বিগত বছরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর সখ্য নিয়েও নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে বিএনপির প্রয়াত নেতা ফজলুর রহমান পটলের ছোট মেয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুলকে প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছে দল। কিন্তু তাঁর আপন বড় ভাই ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইয়াসির আরশাদ রাজন বোনের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
পরিস্থিতি সামলাতে তৎপর দল
গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মনোনয়ন নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষের বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে বিতর্কিত ও সমালোচিত প্রার্থীদের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। বৈঠক সূত্র বলছে, সিলেট-৬, নেত্রকোনা-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, জামালপুর-২, কুষ্টিয়া-৪, সিরাজগঞ্জ-৩, চট্টগ্রাম-১২ ও ১৩ ছাড়াও অন্তত ৩০ আসনে প্রার্থী বদলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব আসনে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত ক্ষোভ-অসন্তোষ ও দাবিকে যুক্তিযুক্ত মনে করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন, এমন একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনোনয়নসংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে বিএনপির একটি দল কাজ করছে। তারা অভিযোগের বিপরীতে সত্যটা জানার চেষ্টা করছে। তাদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রার্থীর তালিকা সংশোধন করা হবে।
সূত্র বলছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিরোধপূর্ণ প্রতিটি আসনের সব পক্ষকে ঢাকায় ডেকে কথা বলছেন। ইতিমধ্যে গুলশান কার্যালয়ে একাধিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এর বাইরেও সুবিধাজনক স্থানে মনোনয়নবঞ্চিতদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করছেন তাঁরা। মনোনয়ন নিয়ে বড় কোনো ক্ষোভ-অসন্তোষকে সঙ্গী করে ভোটের লড়াইয়ে যেতে চান না তারেক রহমান। এ জন্য তিনি নিজেও মনোনয়ন না পাওয়া ক্ষুব্ধ অনেক নেতার সঙ্গে আলাপ করছেন।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
০৩ জুন ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমসহ দলটির তিন নেতা। আজ বুধবার বিকেলে তাঁরা বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের পর চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন তাঁরা।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভিন্নধর্মের মানুষকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। হিন্দু-অধ্যুষিত খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে দলটির প্রার্থী হচ্ছেন কৃষ্ণ নন্দী। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি। এই আসনে মাওলানা আবু ইউসুফকে আগে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নন্দীকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এবার সেটা সত্যি হলো।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) খুলনায় আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে এসে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এ সিদ্ধান্ত দেন। এরপর আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এরপর কৃষ্ণ নন্দীকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে—কে তিনি!
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত’ একটি আসনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে প্রার্থী করার বিষয়ে আলোচনা ছিল। সেখার থেকেই ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীর নাম চর্চায় আসে। কৃষ্ণ নন্দীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি খুলনার ডুমুরিয়া, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা—এই তিন উপজেলায় রাজনৈতিক মহল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কৃষ্ণ নন্দী ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার নেতা হন এবং সেখানে দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে দেখা গেছে।
সম্প্রতি ডুমুরিয়ায় এক সভায় কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘আমি ২০০৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ সময়ে সদস্যদের দুঃখ-কষ্টে পাশে থেকেছি। গেল আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের সময়ে নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলাম। দেড় বছর আগে ডুমুরিয়ায় দলের হিন্দু শাখার সভাপতির দায়িত্ব পাই।’
দাকোপ-বটিয়াঘাটা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও কৃষ্ণ নন্দীর বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলায়। কিন্তু ডুমুরিয়া-ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলের মনোনয়ন পেতে হলে প্রার্থীকে ন্যূনতম ‘রুকন’ হতে হয়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইসলাম ধর্মের বাইরেও প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলার সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান মিজান সম্প্রতি গণমাধ্যমে বলেছেন, কিছু এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও উপজাতি প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরে দল প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারবে।
কৃষ্ণ নন্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে জামায়াতের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর আমিরে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন এবং বুধবার স্থানীয় বোর্ডে চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগির প্রচারণা শুরু করব।’
আগে ঘোষিত প্রার্থীর বিষয়ে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘১ ডিসেম্বর আমিরে জামায়াত আমাদের দুজনকে বুকে বুক মিলিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি নিজেই আমার জন্য প্রচারণায় নেমেছেন। তা ছাড়া জামায়াতের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
আগের প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা-১ আসনের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। তাঁর পক্ষে আমি প্রচারণা শুরু করেছি। যেহেতু আমাকেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক করা হয়েছে, সেহেতু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি যথাসম্ভব কাজ করব, ইনশা আল্লাহ।’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার ছয়টি আসনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। এর মধ্যে বাকি পাঁচটি আসনের প্রার্থী ঠিক থাকলেও শুধু খুলনা-১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাউকে প্রার্থী করা হলো প্রায় ১০ মাসের ব্যবধানে।
হিন্দু-অধ্যুষিত এই আসনে ১৯৯৬ সালে নির্বাচন করেন জামায়াত নেতা আবু ইউসুফ। পরের পাঁচটি নির্বাচনে জামায়াত আর প্রার্থী দেয়নি। তিন দশক পর আবার সেখানে জামায়াত নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে।
দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, প্রথম দফায় খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে প্রাথমিকভাবে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অন্য তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। এর মধ্যে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে শেখ আবু ইউসুফের নাম ঘোষণা করা হয়।
ডুমুরিয়া-ফুলতলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনও হিন্দু-অধ্যুষিত। এক বছর ধরে ডুমুরিয়া ও ফুলতলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে কৃষ্ণ নন্দীকে দেখা গেছে। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিটি সমাবেশেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষদের সরব উপস্থিতি ছিল।
দাকোপ দেশের একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজেলা। এখানে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাসিন্দাই হিন্দু। এ ছাড়া খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী আছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। অন্য ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাসিন্দা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর বটিয়াঘাটা উপজেলার ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাসিন্দা হিন্দু ধর্মের।
এই আসনে ১৯৯১ সাল থেকে টানা জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থীও এখানে কখনো সুবিধা করতে পারেননি। জামায়াতের প্রার্থী শেখ আবু ইউসুফ ১৯৯৬ সালে এই আসনে পেয়েছিলেন ২ হাজার ৩০৮ ভোট, যা মোট ভোটের মাত্র ২ শতাংশ।
জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা ধারণা দেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ। এ কারণে দলটির ঘাঁটিতে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে হিন্দু ধর্মের একজনকে প্রার্থী ঘোষণা করতে চায় জামায়াত।
খুলনা-১ আসনে ১৯৯১ সালের পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন ছাড়া বিএনপি কখনো জেতেনি। এখানে সব সময় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রার্থী জিতেছেন। একসময় বামপন্থী দলের প্রভাব থাকলেও জামায়াতের অবস্থান সব সময় দুর্বল ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা বেড়েছে।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এখানে দলীয় প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান (পাপুল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা পার্থ দেব মণ্ডল গণসংযোগ করছেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়ও আলোচনায় রয়েছেন।
১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনকার খুলনা-১ আসনটি খুলনা-৫ নামে ছিল। স্বাধীনতার পর এখানে প্রথম সংসদ সদস্য হন কুবের চন্দ্র বিশ্বাস। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পান প্রফুল্ল কুমার শীল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন প্রফুল্ল কুমার মণ্ডল।
১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে জয়ী হন শেখ হাসিনা। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শেখ হারুনুর রশিদ। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে আবার জয়ী হন পঞ্চানন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবার সংসদ সদস্য হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০২৪ সালে জয়ী হন ননী গোপাল মণ্ডল।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভিন্নধর্মের মানুষকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। হিন্দু-অধ্যুষিত খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে দলটির প্রার্থী হচ্ছেন কৃষ্ণ নন্দী। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি। এই আসনে মাওলানা আবু ইউসুফকে আগে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নন্দীকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এবার সেটা সত্যি হলো।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) খুলনায় আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে এসে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এ সিদ্ধান্ত দেন। এরপর আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এরপর কৃষ্ণ নন্দীকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে—কে তিনি!
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত’ একটি আসনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে প্রার্থী করার বিষয়ে আলোচনা ছিল। সেখার থেকেই ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীর নাম চর্চায় আসে। কৃষ্ণ নন্দীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি খুলনার ডুমুরিয়া, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা—এই তিন উপজেলায় রাজনৈতিক মহল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কৃষ্ণ নন্দী ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার নেতা হন এবং সেখানে দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে দেখা গেছে।
সম্প্রতি ডুমুরিয়ায় এক সভায় কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘আমি ২০০৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ সময়ে সদস্যদের দুঃখ-কষ্টে পাশে থেকেছি। গেল আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের সময়ে নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলাম। দেড় বছর আগে ডুমুরিয়ায় দলের হিন্দু শাখার সভাপতির দায়িত্ব পাই।’
দাকোপ-বটিয়াঘাটা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও কৃষ্ণ নন্দীর বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলায়। কিন্তু ডুমুরিয়া-ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলের মনোনয়ন পেতে হলে প্রার্থীকে ন্যূনতম ‘রুকন’ হতে হয়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইসলাম ধর্মের বাইরেও প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলার সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান মিজান সম্প্রতি গণমাধ্যমে বলেছেন, কিছু এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও উপজাতি প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরে দল প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারবে।
কৃষ্ণ নন্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে জামায়াতের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর আমিরে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন এবং বুধবার স্থানীয় বোর্ডে চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগির প্রচারণা শুরু করব।’
আগে ঘোষিত প্রার্থীর বিষয়ে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘১ ডিসেম্বর আমিরে জামায়াত আমাদের দুজনকে বুকে বুক মিলিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি নিজেই আমার জন্য প্রচারণায় নেমেছেন। তা ছাড়া জামায়াতের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
আগের প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা-১ আসনের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। তাঁর পক্ষে আমি প্রচারণা শুরু করেছি। যেহেতু আমাকেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক করা হয়েছে, সেহেতু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি যথাসম্ভব কাজ করব, ইনশা আল্লাহ।’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার ছয়টি আসনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। এর মধ্যে বাকি পাঁচটি আসনের প্রার্থী ঠিক থাকলেও শুধু খুলনা-১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাউকে প্রার্থী করা হলো প্রায় ১০ মাসের ব্যবধানে।
হিন্দু-অধ্যুষিত এই আসনে ১৯৯৬ সালে নির্বাচন করেন জামায়াত নেতা আবু ইউসুফ। পরের পাঁচটি নির্বাচনে জামায়াত আর প্রার্থী দেয়নি। তিন দশক পর আবার সেখানে জামায়াত নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে।
দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, প্রথম দফায় খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে প্রাথমিকভাবে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অন্য তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। এর মধ্যে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে শেখ আবু ইউসুফের নাম ঘোষণা করা হয়।
ডুমুরিয়া-ফুলতলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনও হিন্দু-অধ্যুষিত। এক বছর ধরে ডুমুরিয়া ও ফুলতলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে কৃষ্ণ নন্দীকে দেখা গেছে। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিটি সমাবেশেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষদের সরব উপস্থিতি ছিল।
দাকোপ দেশের একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজেলা। এখানে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাসিন্দাই হিন্দু। এ ছাড়া খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী আছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। অন্য ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাসিন্দা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর বটিয়াঘাটা উপজেলার ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাসিন্দা হিন্দু ধর্মের।
এই আসনে ১৯৯১ সাল থেকে টানা জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থীও এখানে কখনো সুবিধা করতে পারেননি। জামায়াতের প্রার্থী শেখ আবু ইউসুফ ১৯৯৬ সালে এই আসনে পেয়েছিলেন ২ হাজার ৩০৮ ভোট, যা মোট ভোটের মাত্র ২ শতাংশ।
জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা ধারণা দেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ। এ কারণে দলটির ঘাঁটিতে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে হিন্দু ধর্মের একজনকে প্রার্থী ঘোষণা করতে চায় জামায়াত।
খুলনা-১ আসনে ১৯৯১ সালের পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন ছাড়া বিএনপি কখনো জেতেনি। এখানে সব সময় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রার্থী জিতেছেন। একসময় বামপন্থী দলের প্রভাব থাকলেও জামায়াতের অবস্থান সব সময় দুর্বল ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা বেড়েছে।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এখানে দলীয় প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান (পাপুল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা পার্থ দেব মণ্ডল গণসংযোগ করছেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়ও আলোচনায় রয়েছেন।
১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনকার খুলনা-১ আসনটি খুলনা-৫ নামে ছিল। স্বাধীনতার পর এখানে প্রথম সংসদ সদস্য হন কুবের চন্দ্র বিশ্বাস। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পান প্রফুল্ল কুমার শীল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন প্রফুল্ল কুমার মণ্ডল।
১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে জয়ী হন শেখ হাসিনা। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শেখ হারুনুর রশিদ। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে আবার জয়ী হন পঞ্চানন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবার সংসদ সদস্য হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০২৪ সালে জয়ী হন ননী গোপাল মণ্ডল।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
০৩ জুন ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেনি বিএনপি। তবে মনোনয়নের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ আসনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের অন্য নেতাদের সমর্থকেরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করছেন, সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমসহ দলটির তিন নেতা। আজ বুধবার বিকেলে তাঁরা বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের পর চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন তাঁরা।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমসহ দলটির তিন নেতা। আজ বুধবার বিকেলে তাঁরা বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
সৈয়দ ফয়জুল করীম সেখানে উপস্থিত বিএনপির নেতা ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। তিনি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও নেক হায়াত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন।
ফয়জুল করীম বিএনপির নেতা-কর্মী ও খালেদা জিয়ার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমসহ দলটির তিন নেতা। আজ বুধবার বিকেলে তাঁরা বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
সৈয়দ ফয়জুল করীম সেখানে উপস্থিত বিএনপির নেতা ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। তিনি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও নেক হায়াত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন।
ফয়জুল করীম বিএনপির নেতা-কর্মী ও খালেদা জিয়ার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
০৩ জুন ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেনি বিএনপি। তবে মনোনয়নের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ আসনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের অন্য নেতাদের সমর্থকেরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করছেন, সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের পর চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন তাঁরা।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের পর চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন তাঁরা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাসপাতালে তাঁদের স্বাগত জানিয়েছেন।
এর আগে চীনের চিকিৎসক দল ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে সাবেক সচিব আব্দুল খালেক ও ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদুত ইয়াও ওয়েন স্বাগত জানান।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের পর চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন তাঁরা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাসপাতালে তাঁদের স্বাগত জানিয়েছেন।
এর আগে চীনের চিকিৎসক দল ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে সাবেক সচিব আব্দুল খালেক ও ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদুত ইয়াও ওয়েন স্বাগত জানান।

ড. ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস কোনো জবাবদিহি করেন না। সামনাসামনি প্রশ্ন করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন অথবা কোনো কথাই বলেন না।’
০৩ জুন ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেনি বিএনপি। তবে মনোনয়নের জন্য ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ আসনে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের অন্য নেতাদের সমর্থকেরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ করছেন, সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমসহ দলটির তিন নেতা। আজ বুধবার বিকেলে তাঁরা বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
১০ ঘণ্টা আগে