আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এর সংস্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন দেয় তাহলে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে’ জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারের দুঃশাসনের জন্য আজকে তাদের যে কঠিন পরিণতি হয়েছে, এই পরিণতির জন্য আমরা তাদের শাস্তি দেয়নি, তাদের শাস্তি আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে, গজব পরেছে তাদের ওপর। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হলো দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়া দল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে।
তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক জগতে সুবাতাস বইবে। এটাই বিএনপিকে আগামী দিনে প্রমাণ করতে চায়। তবে যার সূচনা হচ্ছে-এই ধরনের ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে দেশের প্রত্যকটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনও থেকে মুক্ত ছিল না। শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে চলে গেছে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের দায়িত্বে ছিলেন, তখন কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কোনো দলীয় ও রাজনীতিকরণ ছিল না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন প্রমুখ।

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এর সংস্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন দেয় তাহলে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে’ জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারের দুঃশাসনের জন্য আজকে তাদের যে কঠিন পরিণতি হয়েছে, এই পরিণতির জন্য আমরা তাদের শাস্তি দেয়নি, তাদের শাস্তি আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে, গজব পরেছে তাদের ওপর। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হলো দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়া দল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে।
তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক জগতে সুবাতাস বইবে। এটাই বিএনপিকে আগামী দিনে প্রমাণ করতে চায়। তবে যার সূচনা হচ্ছে-এই ধরনের ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে দেশের প্রত্যকটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনও থেকে মুক্ত ছিল না। শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে চলে গেছে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের দায়িত্বে ছিলেন, তখন কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কোনো দলীয় ও রাজনীতিকরণ ছিল না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন প্রমুখ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এর সংস্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন দেয় তাহলে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে’ জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারের দুঃশাসনের জন্য আজকে তাদের যে কঠিন পরিণতি হয়েছে, এই পরিণতির জন্য আমরা তাদের শাস্তি দেয়নি, তাদের শাস্তি আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে, গজব পরেছে তাদের ওপর। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হলো দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়া দল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে।
তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক জগতে সুবাতাস বইবে। এটাই বিএনপিকে আগামী দিনে প্রমাণ করতে চায়। তবে যার সূচনা হচ্ছে-এই ধরনের ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে দেশের প্রত্যকটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনও থেকে মুক্ত ছিল না। শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে চলে গেছে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের দায়িত্বে ছিলেন, তখন কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কোনো দলীয় ও রাজনীতিকরণ ছিল না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন প্রমুখ।

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এর সংস্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন দেয় তাহলে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে’ জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’ উপলক্ষে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারের দুঃশাসনের জন্য আজকে তাদের যে কঠিন পরিণতি হয়েছে, এই পরিণতির জন্য আমরা তাদের শাস্তি দেয়নি, তাদের শাস্তি আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে, গজব পরেছে তাদের ওপর। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হলো দুর্নীতিগ্রস্ত লুটেরা মাফিয়া দল যাতে বাংলাদেশে আর ফেরত না আসতে পারে।
তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক জগতে সুবাতাস বইবে। এটাই বিএনপিকে আগামী দিনে প্রমাণ করতে চায়। তবে যার সূচনা হচ্ছে-এই ধরনের ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে দেশের প্রত্যকটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনও থেকে মুক্ত ছিল না। শতভাগ দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে চলে গেছে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের দায়িত্বে ছিলেন, তখন কিন্তু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কোনো দলীয় ও রাজনীতিকরণ ছিল না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, সাবেক ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন প্রমুখ।

২৭০ পঞ্জিকা দিবস পর গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে— এটি অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হাস্যকর। সংসদে পাস বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হয়। সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই এবং তা গণতান্ত্রিক রীতি ও সংসদীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারি-বেসরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানান
৪ ঘণ্টা আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে আট মাস ধরে আলাপ-আলোচনা চলল, এরপরে সংস্কার এখন কোথায় আছে? আমি যদি বলি—এটা যে লাউ, সেই কদু—কোনো পরিবর্তন হয়নি; যে ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে, সেই ঐকমত্যের কিছুই হয়নি।’
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেমন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমেরিকার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা ও ভূরাজনীতি
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদে নতুন করে ‘মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব’ চাপিয়ে দেওয়া হলে তা জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া জানান।
দীর্ঘ লিখিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল জুলাই সনদের অনেক অংশে ঐকমত্য পোষণ করেছে। কিন্তু যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছিল, তা উপেক্ষা করে এবং নতুন ‘অপ্রাসঙ্গিক বিষয়’ সংযোজন করে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত যে সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আইন, বিধিবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করা দরকার, সরকার তা অধ্যাদেশ জারি ও বিধিবিধান/সংশোধন করে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং যে সকল সিদ্ধান্ত নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করতে পারে। এই প্রস্তাবের সঙ্গে আমরাসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছি। এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য আমরা গণভোটেও সম্মত হয়েছি।’
‘কিন্তু যে সকল বিষয়ে ভিন্নমত/নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে এবং যেসব প্রসঙ্গ দীর্ঘ আলোচনায় আসেনি, তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্য সকল সুপারিশ ‘‘অগ্রহণযোগ্য’’ বিধায় আমরা একমত হতে পারছি না। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার সূচনা হয়।
রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপি এর আগেই ২০২৩ সালে ৩১ দফা, ২০২২ সালে ২৭ দফা এবং ২০১৭ সালে ভিশন–২০৩০ ঘোষণা করেছিল বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অতএব, রাষ্ট্রকাঠামোর প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংস্কার বিএনপির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোকে বিএনপি স্বাগত জানায় এবং সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দেয়। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বিএনপির ধারাবাহিক আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের সময় চূড়ান্ত কপি রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। পরে মুদ্রিত কপিতে দেখা যায়, ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া কয়েকটি দফা অগোচরে পরিবর্তন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অফিসে টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির বিষয়ে প্রায় সব দল সম্মত হয়েছিল, কিন্তু তা বাদ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ ও সংশ্লিষ্ট তফসিলসমূহ বিলুপ্তির বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তাতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’ জারি করার প্রস্তাব রয়েছে। সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। সংবিধান অনুযায়ী ‘আদেশ’ আইনের মর্যাদাপ্রাপ্ত, তাই তা জারি করার ক্ষমতা কেবল রাষ্ট্রপতির।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা গণভোটে তোলা হবে। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এভাবে একপেশে প্রস্তাব জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে তা হবে জবরদস্তিমূলক, যা দীর্ঘ আলোচনাকে অর্থহীন প্রমাণ করবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি, কিন্তু বর্তমান প্রস্তাবে নির্বাচনের আগে গণভোটের কথা বলা হয়েছে। ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন সময়সাপেক্ষ, অযৌক্তিক ও ব্যয়সাপেক্ষ। একই আয়োজনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠনের প্রস্তাবকেও ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের দায়িত্ব তার নয়। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাতেও বিষয়টি ছিল না।
ফখরুল আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ না করলে প্রস্তাবিত বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে, তা ‘হাস্যকর ও অগণতান্ত্রিক’। সংসদের অনুমোদন ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোনো বিল আইনে পরিণত হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কারে বিএনপি সব সময় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এবারও দলটি সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সব আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি অতীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভিশন–২০৩০ এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে সংস্কারের আন্তরিকতা প্রমাণ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, জাতির প্রত্যাশা পূরণে এবং দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদের রক্তের অঙ্গীকার অনুযায়ী এবং যারা দীর্ঘ এই সংগ্রামে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে পারব; প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা আমাদের সকলের কাম্য এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে জাতির অভিপ্রায় অনুযায়ী সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য হবে—সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং উক্ত জাতীয় সংসদকে প্রকৃত অর্থে জাতীয় জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে পরিণত করা।’
ফখরুল বলেন, ‘গত প্রায় এক বছর ধরে আমাদের দল ও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণ অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন এবং অতপর ঐকমত্য কমিশনের সকল সভা, আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমাদের দলের পক্ষ থেকে অনেক বিষয়েই ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবেই চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার সাফল্য কামনা করি। কিন্তু একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের অবস্থান গ্রহণ ও প্রকাশে আমরা দায়বদ্ধ।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদে নতুন করে ‘মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব’ চাপিয়ে দেওয়া হলে তা জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রতিক্রিয়া জানান।
দীর্ঘ লিখিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল জুলাই সনদের অনেক অংশে ঐকমত্য পোষণ করেছে। কিন্তু যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছিল, তা উপেক্ষা করে এবং নতুন ‘অপ্রাসঙ্গিক বিষয়’ সংযোজন করে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত যে সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আইন, বিধিবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করা দরকার, সরকার তা অধ্যাদেশ জারি ও বিধিবিধান/সংশোধন করে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং যে সকল সিদ্ধান্ত নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করতে পারে। এই প্রস্তাবের সঙ্গে আমরাসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছি। এ ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য আমরা গণভোটেও সম্মত হয়েছি।’
‘কিন্তু যে সকল বিষয়ে ভিন্নমত/নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে এবং যেসব প্রসঙ্গ দীর্ঘ আলোচনায় আসেনি, তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্য সকল সুপারিশ ‘‘অগ্রহণযোগ্য’’ বিধায় আমরা একমত হতে পারছি না। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার সূচনা হয়।
রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপি এর আগেই ২০২৩ সালে ৩১ দফা, ২০২২ সালে ২৭ দফা এবং ২০১৭ সালে ভিশন–২০৩০ ঘোষণা করেছিল বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অতএব, রাষ্ট্রকাঠামোর প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংস্কার বিএনপির অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোকে বিএনপি স্বাগত জানায় এবং সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন বিষয়ে বিস্তারিত মতামত দেয়। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বিএনপির ধারাবাহিক আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের সময় চূড়ান্ত কপি রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। পরে মুদ্রিত কপিতে দেখা যায়, ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া কয়েকটি দফা অগোচরে পরিবর্তন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অফিসে টাঙানোর বিধান বিলুপ্তির বিষয়ে প্রায় সব দল সম্মত হয়েছিল, কিন্তু তা বাদ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ ও সংশ্লিষ্ট তফসিলসমূহ বিলুপ্তির বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তাতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’ জারি করার প্রস্তাব রয়েছে। সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। সংবিধান অনুযায়ী ‘আদেশ’ আইনের মর্যাদাপ্রাপ্ত, তাই তা জারি করার ক্ষমতা কেবল রাষ্ট্রপতির।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি দফা গণভোটে তোলা হবে। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এভাবে একপেশে প্রস্তাব জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে তা হবে জবরদস্তিমূলক, যা দীর্ঘ আলোচনাকে অর্থহীন প্রমাণ করবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি, কিন্তু বর্তমান প্রস্তাবে নির্বাচনের আগে গণভোটের কথা বলা হয়েছে। ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন সময়সাপেক্ষ, অযৌক্তিক ও ব্যয়সাপেক্ষ। একই আয়োজনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠনের প্রস্তাবকেও ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের দায়িত্ব তার নয়। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাতেও বিষয়টি ছিল না।
ফখরুল আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ না করলে প্রস্তাবিত বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে, তা ‘হাস্যকর ও অগণতান্ত্রিক’। সংসদের অনুমোদন ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোনো বিল আইনে পরিণত হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কারে বিএনপি সব সময় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এবারও দলটি সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সব আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি অতীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভিশন–২০৩০ এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে সংস্কারের আন্তরিকতা প্রমাণ করেছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, জাতির প্রত্যাশা পূরণে এবং দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদের রক্তের অঙ্গীকার অনুযায়ী এবং যারা দীর্ঘ এই সংগ্রামে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে পারব; প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা আমাদের সকলের কাম্য এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে জাতির অভিপ্রায় অনুযায়ী সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য হবে—সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং উক্ত জাতীয় সংসদকে প্রকৃত অর্থে জাতীয় জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে পরিণত করা।’
ফখরুল বলেন, ‘গত প্রায় এক বছর ধরে আমাদের দল ও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণ অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশন এবং অতপর ঐকমত্য কমিশনের সকল সভা, আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমাদের দলের পক্ষ থেকে অনেক বিষয়েই ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবেই চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়ার সাফল্য কামনা করি। কিন্তু একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের অবস্থান গ্রহণ ও প্রকাশে আমরা দায়বদ্ধ।’

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এর সংস্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন...
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সরকারি-বেসরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানান
৪ ঘণ্টা আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে আট মাস ধরে আলাপ-আলোচনা চলল, এরপরে সংস্কার এখন কোথায় আছে? আমি যদি বলি—এটা যে লাউ, সেই কদু—কোনো পরিবর্তন হয়নি; যে ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে, সেই ঐকমত্যের কিছুই হয়নি।’
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেমন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমেরিকার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা ও ভূরাজনীতি
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি-বেসরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রিন্টেড পুস্তক হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদের কপি হাতে পাওয়ার পর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্মত কয়েকটি দফা আমাদের অগোচরে পুনরায় সংশোধন করা হয়েছে।’
‘যেমন—
ক. মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি অফিসে টাঙানো সংক্রান্ত বিধান [অনুচ্ছেদ ৪ (ক)] বিলুপ্ত করার বিষয়টি সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে সম্মতিপত্র দিয়েছে।
খ. সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ (পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম তফসিল) পুরোপুরি বিলুপ্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দল সম্মতি প্রকাশ করলেও অগোচরে সেটি চূড়ান্ত সনদে সংশোধনী আনা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ ধারাবাহিক আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্টসহ (ভিন্নমত) জুলাই সনদ গ্রহণের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। গৃহীত সনদে নোট অব ডিসেন্টের অংশে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, ‘ভিন্নমত/নোট অব ডিসেন্ট প্রদানকারী কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সেমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে’।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সকল অনুষ্ঠান বিটিভিসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সম্প্রচারিত হয়েছে, যা সমস্ত জাতি দেখেছে। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘আলোচনার মাধ্যমে প্রণীত’ সনদের অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্ত উক্ত দিনে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত কপি সামনে উপস্থাপন করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি-বেসরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রিন্টেড পুস্তক হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদের কপি হাতে পাওয়ার পর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্মত কয়েকটি দফা আমাদের অগোচরে পুনরায় সংশোধন করা হয়েছে।’
‘যেমন—
ক. মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি অফিসে টাঙানো সংক্রান্ত বিধান [অনুচ্ছেদ ৪ (ক)] বিলুপ্ত করার বিষয়টি সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে সম্মতিপত্র দিয়েছে।
খ. সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ (পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম তফসিল) পুরোপুরি বিলুপ্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দল সম্মতি প্রকাশ করলেও অগোচরে সেটি চূড়ান্ত সনদে সংশোধনী আনা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ ধারাবাহিক আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্টসহ (ভিন্নমত) জুলাই সনদ গ্রহণের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। গৃহীত সনদে নোট অব ডিসেন্টের অংশে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, ‘ভিন্নমত/নোট অব ডিসেন্ট প্রদানকারী কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সেমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে’।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সকল অনুষ্ঠান বিটিভিসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সম্প্রচারিত হয়েছে, যা সমস্ত জাতি দেখেছে। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘আলোচনার মাধ্যমে প্রণীত’ সনদের অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্ত উক্ত দিনে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত কপি সামনে উপস্থাপন করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এর সংস্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন...
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
২৭০ পঞ্জিকা দিবস পর গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে— এটি অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হাস্যকর। সংসদে পাস বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হয়। সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই এবং তা গণতান্ত্রিক রীতি ও সংসদীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
৩ ঘণ্টা আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে আট মাস ধরে আলাপ-আলোচনা চলল, এরপরে সংস্কার এখন কোথায় আছে? আমি যদি বলি—এটা যে লাউ, সেই কদু—কোনো পরিবর্তন হয়নি; যে ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে, সেই ঐকমত্যের কিছুই হয়নি।’
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেমন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমেরিকার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা ও ভূরাজনীতি
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘ড. ইউনূস দুনিয়াব্যাপী পরিচিত। তিনি ভালো একজন পারফরমার। কিন্তু বাংলাদেশে এসে দেখা গেল, তিনি কিছুই করতে পারলেন না। পুরো দেশ এখন জটিলতার মধ্যে গেছে। মনে হচ্ছে, একটা অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে। কয়েক দিন আগে বিএনপি বলেছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। আবার এনসিপিও বলেছে, সরকার নাকি তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। একটা প্রতারণার (জন্য বিচারের) কাঠগড়ায় এই সরকার দাঁড়িয়ে গেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য এই সভার আয়োজন করে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে আট মাস ধরে আলাপ-আলোচনা চলল, এরপরে সংস্কার এখন কোথায় আছে? আমি যদি বলি—এটা যে লাউ, সেই কদ—কোনো পরিবর্তন হয়নি; যে ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে, সেই ঐকমত্যের কিছুই হয়নি।’
সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমি আশা করব, সরকার কোনো একটি বিশেষ দলের দিকে ঝুঁকে পড়বে না। গতকাল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে গেলে অসুবিধা নেই। তাদের গণভোট আগে হতেই হবে। কিন্তু গণভোট আগে হওয়া আর গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়ার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্যগত পার্থক্য নেই। আমরা গণভোটের মধ্যে যা কিছু অর্জন করতে চাচ্ছি, সেটা আগে হলে যা অর্জন করব, জাতীয় নির্বাচনের দিনে হলেও একই জিনিস অর্জন করব।’
তিনি বলেন, ‘“কেবল আমার রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হলো, আমরা যা বললাম তা-ই হলো”—এ রকম একটি অবস্থান থেকে গণভোটের বিষয় নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, এটা করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। এটা যাঁরা করছেন, বোঝা যাচ্ছে, মূল বিষয়টা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে—হয় নির্বাচন পেছাতে হবে অথবা এখানে পরিস্থিতির মধ্যে যে জটিলতা, সেটাকে আরও গভীর করতে হবে। অথবা বার্গেনিং করতে হবে।’
সভায় বিএনপি প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপির জন্ম হয়েছিল “হ্যাঁ” ভোটের মাধ্যমে। এবার “না” ভোটে স্ট্রিক্ট থাকলে দলটির মৃত্যু হবে “না” ভোটের মধ্য দিয়ে। তবে বিএনপি একটি বড় দল। তাই আমরা বলব, “না” ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেদের কবর রচনা করবেন না।’
আলোচনা সভায় এক বছর ধরে তরুণদের ‘ছোট করে দেখার প্রবণতা চলছে’ বলে অভিযোগ করেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ ২৫ বছরের নিচে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে আমরা যদি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে না পারি, সেটা আমাদের ব্যর্থতা হবে। আমাদের সামনে খুব সুন্দর একটা সুযোগ এসেছে—যেখানে তরুণরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তাঁরা চিন্তা করছেন—দেশের জন্য কীভাবে তাঁরা অবদান রাখবেন, কীভাবে তাঁরা দেশের হয়ে কাজ করবেন।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘ড. ইউনূস দুনিয়াব্যাপী পরিচিত। তিনি ভালো একজন পারফরমার। কিন্তু বাংলাদেশে এসে দেখা গেল, তিনি কিছুই করতে পারলেন না। পুরো দেশ এখন জটিলতার মধ্যে গেছে। মনে হচ্ছে, একটা অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে। কয়েক দিন আগে বিএনপি বলেছে, ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে। আবার এনসিপিও বলেছে, সরকার নাকি তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। একটা প্রতারণার (জন্য বিচারের) কাঠগড়ায় এই সরকার দাঁড়িয়ে গেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য এই সভার আয়োজন করে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে আট মাস ধরে আলাপ-আলোচনা চলল, এরপরে সংস্কার এখন কোথায় আছে? আমি যদি বলি—এটা যে লাউ, সেই কদ—কোনো পরিবর্তন হয়নি; যে ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে, সেই ঐকমত্যের কিছুই হয়নি।’
সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমি আশা করব, সরকার কোনো একটি বিশেষ দলের দিকে ঝুঁকে পড়বে না। গতকাল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে গেলে অসুবিধা নেই। তাদের গণভোট আগে হতেই হবে। কিন্তু গণভোট আগে হওয়া আর গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়ার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্যগত পার্থক্য নেই। আমরা গণভোটের মধ্যে যা কিছু অর্জন করতে চাচ্ছি, সেটা আগে হলে যা অর্জন করব, জাতীয় নির্বাচনের দিনে হলেও একই জিনিস অর্জন করব।’
তিনি বলেন, ‘“কেবল আমার রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হলো, আমরা যা বললাম তা-ই হলো”—এ রকম একটি অবস্থান থেকে গণভোটের বিষয় নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হচ্ছে, এটা করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। এটা যাঁরা করছেন, বোঝা যাচ্ছে, মূল বিষয়টা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে—হয় নির্বাচন পেছাতে হবে অথবা এখানে পরিস্থিতির মধ্যে যে জটিলতা, সেটাকে আরও গভীর করতে হবে। অথবা বার্গেনিং করতে হবে।’
সভায় বিএনপি প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপির জন্ম হয়েছিল “হ্যাঁ” ভোটের মাধ্যমে। এবার “না” ভোটে স্ট্রিক্ট থাকলে দলটির মৃত্যু হবে “না” ভোটের মধ্য দিয়ে। তবে বিএনপি একটি বড় দল। তাই আমরা বলব, “না” ভোটের মধ্য দিয়ে নিজেদের কবর রচনা করবেন না।’
আলোচনা সভায় এক বছর ধরে তরুণদের ‘ছোট করে দেখার প্রবণতা চলছে’ বলে অভিযোগ করেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ ২৫ বছরের নিচে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে আমরা যদি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে না পারি, সেটা আমাদের ব্যর্থতা হবে। আমাদের সামনে খুব সুন্দর একটা সুযোগ এসেছে—যেখানে তরুণরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তাঁরা চিন্তা করছেন—দেশের জন্য কীভাবে তাঁরা অবদান রাখবেন, কীভাবে তাঁরা দেশের হয়ে কাজ করবেন।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এর সংস্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন...
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
২৭০ পঞ্জিকা দিবস পর গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে— এটি অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হাস্যকর। সংসদে পাস বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হয়। সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই এবং তা গণতান্ত্রিক রীতি ও সংসদীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারি-বেসরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানান
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেমন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমেরিকার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা ও ভূরাজনীতি
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেমন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমেরিকার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা ও ভূরাজনীতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগে ‘লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ’ ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তামজিদ হায়দার। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এ প্রতিবাদের আয়োজন করে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসের সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। তিনি মার্কিন দালালি করছেন এবং আমেরিকার কথায় দেশ চালাতে চান। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো সরকারই বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারেনি, আপনি পারবেন না। জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক দিনও আপস করব না।’
তামজিদ হায়দার বলেন, ‘দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করে বাংলাদেশেরই জনবলের মাধ্যমে এই বন্দরকে পরিচালনা ও উন্নত করতে হবে। জনগণনির্ভর অর্থনীতি তৈরির জন্য জাতীয় পুঁজির বিকাশ ঘটাতে হবে। অথচ ড. ইউনূস এমন একটা আবহাওয়া তৈরি করতে চাইছেন; যেখানে বলা হচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব খাতে যুক্ত হবে, যা ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছুই নয়।’
ইউনূসের সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে তামজিদ হায়দার বলেন, ‘এই সরকার দেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, মব থামাতে পারেনি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীকে মদদ দিয়েছে। এমন ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার এর আগে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না।’ এ সময় দেশকে বিশৃঙ্খলা থেকে রেহাই দিতে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সরে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক অন্তু অরিন্দম বলেন, বিদেশিদের হাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে ইজারা মূলত কাগজপত্রে থাকে, কিন্তু মূল বিষয় থাকে দাসত্ব। সাম্রাজ্যবাদ নীতিতে শ্রম ও মেধা বিক্রির পাঁয়তারা করছে এই সরকার।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অর্নি আঞ্জুম, ঢাকা মহানগর নেতা তিলোত্তমা ইতি প্রমুখ।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেমন চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমেরিকার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা ও ভূরাজনীতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগে ‘লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ’ ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তামজিদ হায়দার। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এ প্রতিবাদের আয়োজন করে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসের সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। তিনি মার্কিন দালালি করছেন এবং আমেরিকার কথায় দেশ চালাতে চান। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো সরকারই বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারেনি, আপনি পারবেন না। জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এক দিনও আপস করব না।’
তামজিদ হায়দার বলেন, ‘দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করে বাংলাদেশেরই জনবলের মাধ্যমে এই বন্দরকে পরিচালনা ও উন্নত করতে হবে। জনগণনির্ভর অর্থনীতি তৈরির জন্য জাতীয় পুঁজির বিকাশ ঘটাতে হবে। অথচ ড. ইউনূস এমন একটা আবহাওয়া তৈরি করতে চাইছেন; যেখানে বলা হচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব খাতে যুক্ত হবে, যা ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছুই নয়।’
ইউনূসের সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে তামজিদ হায়দার বলেন, ‘এই সরকার দেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, মব থামাতে পারেনি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীকে মদদ দিয়েছে। এমন ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার এর আগে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল না।’ এ সময় দেশকে বিশৃঙ্খলা থেকে রেহাই দিতে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সরে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক অন্তু অরিন্দম বলেন, বিদেশিদের হাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে ইজারা মূলত কাগজপত্রে থাকে, কিন্তু মূল বিষয় থাকে দাসত্ব। সাম্রাজ্যবাদ নীতিতে শ্রম ও মেধা বিক্রির পাঁয়তারা করছে এই সরকার।
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অর্নি আঞ্জুম, ঢাকা মহানগর নেতা তিলোত্তমা ইতি প্রমুখ।

জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপিকেই সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, এর সংস্কার করা প্রকৃত পক্ষে একটি কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি যদি জনগণ সমর্থন...
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
২৭০ পঞ্জিকা দিবস পর গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে— এটি অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হাস্যকর। সংসদে পাস বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হয়। সংবিধানে স্বয়ংক্রিয় অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই এবং তা গণতান্ত্রিক রীতি ও সংসদীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারি-বেসরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানান
৪ ঘণ্টা আগে
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে যে আট মাস ধরে আলাপ-আলোচনা চলল, এরপরে সংস্কার এখন কোথায় আছে? আমি যদি বলি—এটা যে লাউ, সেই কদু—কোনো পরিবর্তন হয়নি; যে ঐকমত্যের কথা বলা হয়েছে, সেই ঐকমত্যের কিছুই হয়নি।’
৫ ঘণ্টা আগে