
দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিদায়ের ঘোষণার চেয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক বিস্ফোরক দলিল, যেখানে উঠে এসেছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শচ্যুতি, সুবিধাবাদ ও রাজনৈতিক কৌশলের জটিল সমন্বয়। আর এসব অভিযোগের সারমর্মে উমামার দাবি, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বহু মানুষের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে’।
কেন এমন মারাত্মক ও বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদাতা সংগঠনটির সামনের সারির গুরুত্বপূর্ণ এই নেত্রী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে কীভাবে একটি ‘আদর্শবাদী প্ল্যাটফর্ম’ প্রায় ১১ মাসের ব্যবধানে অবিশ্বাস, বিভক্তি ও আদর্শের বিপরীতমুখী আচরণের শিকার হয়ে পড়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা যে আন্দোলন নজিরবিহীনভাবে সরকারপতনের আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল, সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ‘অভ্যুত্থান’ হলো। সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্য ও নিপীড়নহীন নতুন এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কর্তৃত্ববাদ, দখল, দুর্নীতি ও মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি ছিল সেই অভ্যুত্থানের নেতাদের। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের জেদ এবং স্বপ্নকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল এই প্ল্যাটফর্ম।
দেশের রাজনীতিতে ভিন্নধর্মী ধারার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছিল। দারিদ্র্য, বৈষম্য, শাসনব্যবস্থার অকার্যকারিতা ও রাজনৈতিক পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ‘জনতার পক্ষের রাজনীতি’ করার অঙ্গীকার ছিল তাদের। তরুণদের প্রত্যাশা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সংগঠনটি স্বল্প সময়ের মধ্যে জনমনে জায়গা করে নেয়।
তখন অনেকে মনে করেছিলেন, এটি বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির এক বিকল্প ভবিষ্যৎ। তবে এই আশাবাদের বাতাস খুব দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে। এক বছর পূর্তির আগেই সংগঠনটি এখন তীব্র বিতর্ক, নেতৃত্ব সংকট, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আদর্শচ্যুতির অভিযোগে জর্জরিত। একসময়ের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সংগঠন থেকে নিজের বিদায় ঘোষণা করে ফেসবুকে যেসব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন, তা সংগঠনের আদর্শিক পাটাতনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
১. নেতৃত্বে অনিয়ম ও দলীয় হস্তক্ষেপ
উমামা ফাতেমার বক্তব্য অনুযায়ী, সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন ছিল একপক্ষীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। ২০২৫ সালের জুনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ভোটার নাকি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট। অনেক যোগ্য কর্মী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি। এমনকি যাঁরা ভোটে অংশ নেননি, তাঁরাও পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়ে যান। এ ঘটনাকে উমামা আখ্যা দেন ‘ভাই-ব্রাদার কোরামের খেলা’।
২. মুখপাত্র হলেও মিডিয়া বা পেজ নিয়ন্ত্রণ ছিল না
একজন মুখপাত্র হিসেবে সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যবহারের অধিকার থাকা উচিত। অথচ উমামা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে এক্সেস দেওয়া হয়নি; বরং সেই পেজ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট করা হয়। অর্থাৎ, একদিকে তাঁকে সংগঠনের মুখ বলা হলেও অন্যদিকে তাঁকেই জনসমক্ষে বিব্রত করা হয়েছে—যা নেতৃত্বের দ্বিচারিতা ও প্রতিহিংসার ইঙ্গিত দেয়।
৩. অভ্যন্তরীণ ভাঙন ও কলঙ্কলেপন
উমামা দাবি করেন, একসময়ের সহযোদ্ধারাই জুনিয়রদের ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। তিনি লেখেন, ‘যে মানুষগুলোর সঙ্গে আমি মিছিল করেছি, তারাই পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে Smear campaign চালিয়েছে।’ এ থেকে বোঝা যায়, প্ল্যাটফর্মে সহমতের রাজনীতি নয়, বরং ব্যক্তিকেন্দ্রিক বলয়ের আধিপত্য ছিল।
৪. আদর্শচ্যুতি ও সুবিধাবাদ
উমামা ফাতেমার ভাষায়, ‘এই প্ল্যাটফর্ম এখন টিস্যু পেপারের মতো মানুষকে ব্যবহার করে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতার নিকটবর্তী হতেই অনেক নেতা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একসময় যারা ‘জুলাই অভ্যুত্থান’, ‘সংস্কার’, ‘শহীদ’ কিংবা ‘আহতদের’ নিয়ে কথা বলতেন, তাঁরাই পরে দলীয় হাই কমান্ডের প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন।
৫. দলীয় লেজুড়বৃত্তি না মানায় চাপ
উমামা লেখেন, ‘আমি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতাম, অনেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ত। তাই অনলাইন, অফলাইনে ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হয়।’ তার মানে, প্ল্যাটফর্মটিকে আদর্শিক নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য রাখতে চেয়েছে একাধিক শক্তি।
৬. ‘বদ্ধ জলাশয়’ ও ‘পোকার মতো’ তুলনার তাৎপর্য
মার্চ-এপ্রিল মাসে প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে উমামা বলেছেন, এটি ‘বদ্ধ জলাশয়’—যেখানে পচন ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি পরিবেশ, যেখানে ‘পোকার মতো সুবিধাবাদীরা’ সবকিছু খেয়ে ফেলছে।
এটি শুধুই রাজনৈতিক বাগ্মিতা; বরং হতাশাজনক বাস্তবতার খোলামেলা স্বীকারোক্তি। তাঁর মতে, গুডউইল বা সদিচ্ছা থাকা মানুষগুলো সৎভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি, তাঁরা সুবিধাবাদীদের কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
৭. ভাঙনের ইঙ্গিত: আত্মবিশ্বাসহীন ভবিষ্যৎ
উমামা ফাতেমা কেবল সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেননি, তিনি সেই কাউন্সিলের ভোটও প্রত্যাহার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর তাঁর কোনো আস্থা নেই।
তিনি বলেছেন, ‘যারা অভ্যুত্থানকে বাজারদরে কেনাবেচা করেছে, আমি তাদের কখনো ক্ষমা করব না।’ তাঁর কণ্ঠে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকলেও তা বৃহত্তর প্রজন্মের হতাশার প্রতিধ্বনি হয়ে উঠেছে।
ভেঙে পড়া স্বপ্নের দায় কার
উমামা ফাতেমার মতো নেত্রী যখন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে’, তখন সেটিকে কেবল ক্ষোভ নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যর্থতার দলিল হিসেবেই দেখতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কি আদর্শিকভাবে ভেঙে পড়ল? নাকি এটি এখনো আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের গন্তব্য পুনরুদ্ধার করতে পারে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সময় দেবে। তবে উমামার বক্তব্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—প্রতিটি আদর্শিক আন্দোলনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয় ক্ষমতা পাওয়া পর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই পরীক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উত্তীর্ণ হওয়ার মতো কোনো নিদর্শন এখনো দেখাতে পারেনি। বরং, তাদের এক বছরের কর্মকাণ্ডে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হয়ে আছে।

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিদায়ের ঘোষণার চেয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক বিস্ফোরক দলিল, যেখানে উঠে এসেছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শচ্যুতি, সুবিধাবাদ ও রাজনৈতিক কৌশলের জটিল সমন্বয়। আর এসব অভিযোগের সারমর্মে উমামার দাবি, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বহু মানুষের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে’।
কেন এমন মারাত্মক ও বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদাতা সংগঠনটির সামনের সারির গুরুত্বপূর্ণ এই নেত্রী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে কীভাবে একটি ‘আদর্শবাদী প্ল্যাটফর্ম’ প্রায় ১১ মাসের ব্যবধানে অবিশ্বাস, বিভক্তি ও আদর্শের বিপরীতমুখী আচরণের শিকার হয়ে পড়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা যে আন্দোলন নজিরবিহীনভাবে সরকারপতনের আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল, সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ‘অভ্যুত্থান’ হলো। সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্য ও নিপীড়নহীন নতুন এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কর্তৃত্ববাদ, দখল, দুর্নীতি ও মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি ছিল সেই অভ্যুত্থানের নেতাদের। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের জেদ এবং স্বপ্নকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল এই প্ল্যাটফর্ম।
দেশের রাজনীতিতে ভিন্নধর্মী ধারার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছিল। দারিদ্র্য, বৈষম্য, শাসনব্যবস্থার অকার্যকারিতা ও রাজনৈতিক পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ‘জনতার পক্ষের রাজনীতি’ করার অঙ্গীকার ছিল তাদের। তরুণদের প্রত্যাশা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সংগঠনটি স্বল্প সময়ের মধ্যে জনমনে জায়গা করে নেয়।
তখন অনেকে মনে করেছিলেন, এটি বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির এক বিকল্প ভবিষ্যৎ। তবে এই আশাবাদের বাতাস খুব দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে। এক বছর পূর্তির আগেই সংগঠনটি এখন তীব্র বিতর্ক, নেতৃত্ব সংকট, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আদর্শচ্যুতির অভিযোগে জর্জরিত। একসময়ের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সংগঠন থেকে নিজের বিদায় ঘোষণা করে ফেসবুকে যেসব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন, তা সংগঠনের আদর্শিক পাটাতনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
১. নেতৃত্বে অনিয়ম ও দলীয় হস্তক্ষেপ
উমামা ফাতেমার বক্তব্য অনুযায়ী, সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন ছিল একপক্ষীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। ২০২৫ সালের জুনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ভোটার নাকি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট। অনেক যোগ্য কর্মী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি। এমনকি যাঁরা ভোটে অংশ নেননি, তাঁরাও পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়ে যান। এ ঘটনাকে উমামা আখ্যা দেন ‘ভাই-ব্রাদার কোরামের খেলা’।
২. মুখপাত্র হলেও মিডিয়া বা পেজ নিয়ন্ত্রণ ছিল না
একজন মুখপাত্র হিসেবে সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যবহারের অধিকার থাকা উচিত। অথচ উমামা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে এক্সেস দেওয়া হয়নি; বরং সেই পেজ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট করা হয়। অর্থাৎ, একদিকে তাঁকে সংগঠনের মুখ বলা হলেও অন্যদিকে তাঁকেই জনসমক্ষে বিব্রত করা হয়েছে—যা নেতৃত্বের দ্বিচারিতা ও প্রতিহিংসার ইঙ্গিত দেয়।
৩. অভ্যন্তরীণ ভাঙন ও কলঙ্কলেপন
উমামা দাবি করেন, একসময়ের সহযোদ্ধারাই জুনিয়রদের ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। তিনি লেখেন, ‘যে মানুষগুলোর সঙ্গে আমি মিছিল করেছি, তারাই পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে Smear campaign চালিয়েছে।’ এ থেকে বোঝা যায়, প্ল্যাটফর্মে সহমতের রাজনীতি নয়, বরং ব্যক্তিকেন্দ্রিক বলয়ের আধিপত্য ছিল।
৪. আদর্শচ্যুতি ও সুবিধাবাদ
উমামা ফাতেমার ভাষায়, ‘এই প্ল্যাটফর্ম এখন টিস্যু পেপারের মতো মানুষকে ব্যবহার করে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতার নিকটবর্তী হতেই অনেক নেতা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একসময় যারা ‘জুলাই অভ্যুত্থান’, ‘সংস্কার’, ‘শহীদ’ কিংবা ‘আহতদের’ নিয়ে কথা বলতেন, তাঁরাই পরে দলীয় হাই কমান্ডের প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন।
৫. দলীয় লেজুড়বৃত্তি না মানায় চাপ
উমামা লেখেন, ‘আমি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতাম, অনেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ত। তাই অনলাইন, অফলাইনে ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হয়।’ তার মানে, প্ল্যাটফর্মটিকে আদর্শিক নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য রাখতে চেয়েছে একাধিক শক্তি।
৬. ‘বদ্ধ জলাশয়’ ও ‘পোকার মতো’ তুলনার তাৎপর্য
মার্চ-এপ্রিল মাসে প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে উমামা বলেছেন, এটি ‘বদ্ধ জলাশয়’—যেখানে পচন ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি পরিবেশ, যেখানে ‘পোকার মতো সুবিধাবাদীরা’ সবকিছু খেয়ে ফেলছে।
এটি শুধুই রাজনৈতিক বাগ্মিতা; বরং হতাশাজনক বাস্তবতার খোলামেলা স্বীকারোক্তি। তাঁর মতে, গুডউইল বা সদিচ্ছা থাকা মানুষগুলো সৎভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি, তাঁরা সুবিধাবাদীদের কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
৭. ভাঙনের ইঙ্গিত: আত্মবিশ্বাসহীন ভবিষ্যৎ
উমামা ফাতেমা কেবল সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেননি, তিনি সেই কাউন্সিলের ভোটও প্রত্যাহার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর তাঁর কোনো আস্থা নেই।
তিনি বলেছেন, ‘যারা অভ্যুত্থানকে বাজারদরে কেনাবেচা করেছে, আমি তাদের কখনো ক্ষমা করব না।’ তাঁর কণ্ঠে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকলেও তা বৃহত্তর প্রজন্মের হতাশার প্রতিধ্বনি হয়ে উঠেছে।
ভেঙে পড়া স্বপ্নের দায় কার
উমামা ফাতেমার মতো নেত্রী যখন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে’, তখন সেটিকে কেবল ক্ষোভ নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যর্থতার দলিল হিসেবেই দেখতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কি আদর্শিকভাবে ভেঙে পড়ল? নাকি এটি এখনো আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের গন্তব্য পুনরুদ্ধার করতে পারে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সময় দেবে। তবে উমামার বক্তব্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—প্রতিটি আদর্শিক আন্দোলনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয় ক্ষমতা পাওয়া পর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই পরীক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উত্তীর্ণ হওয়ার মতো কোনো নিদর্শন এখনো দেখাতে পারেনি। বরং, তাদের এক বছরের কর্মকাণ্ডে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হয়ে আছে।

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিদায়ের ঘোষণার চেয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক বিস্ফোরক দলিল, যেখানে উঠে এসেছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শচ্যুতি, সুবিধাবাদ ও রাজনৈতিক কৌশলের জটিল সমন্বয়। আর এসব অভিযোগের সারমর্মে উমামার দাবি, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বহু মানুষের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে’।
কেন এমন মারাত্মক ও বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদাতা সংগঠনটির সামনের সারির গুরুত্বপূর্ণ এই নেত্রী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে কীভাবে একটি ‘আদর্শবাদী প্ল্যাটফর্ম’ প্রায় ১১ মাসের ব্যবধানে অবিশ্বাস, বিভক্তি ও আদর্শের বিপরীতমুখী আচরণের শিকার হয়ে পড়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা যে আন্দোলন নজিরবিহীনভাবে সরকারপতনের আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল, সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ‘অভ্যুত্থান’ হলো। সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্য ও নিপীড়নহীন নতুন এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কর্তৃত্ববাদ, দখল, দুর্নীতি ও মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি ছিল সেই অভ্যুত্থানের নেতাদের। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের জেদ এবং স্বপ্নকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল এই প্ল্যাটফর্ম।
দেশের রাজনীতিতে ভিন্নধর্মী ধারার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছিল। দারিদ্র্য, বৈষম্য, শাসনব্যবস্থার অকার্যকারিতা ও রাজনৈতিক পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ‘জনতার পক্ষের রাজনীতি’ করার অঙ্গীকার ছিল তাদের। তরুণদের প্রত্যাশা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সংগঠনটি স্বল্প সময়ের মধ্যে জনমনে জায়গা করে নেয়।
তখন অনেকে মনে করেছিলেন, এটি বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির এক বিকল্প ভবিষ্যৎ। তবে এই আশাবাদের বাতাস খুব দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে। এক বছর পূর্তির আগেই সংগঠনটি এখন তীব্র বিতর্ক, নেতৃত্ব সংকট, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আদর্শচ্যুতির অভিযোগে জর্জরিত। একসময়ের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সংগঠন থেকে নিজের বিদায় ঘোষণা করে ফেসবুকে যেসব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন, তা সংগঠনের আদর্শিক পাটাতনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
১. নেতৃত্বে অনিয়ম ও দলীয় হস্তক্ষেপ
উমামা ফাতেমার বক্তব্য অনুযায়ী, সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন ছিল একপক্ষীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। ২০২৫ সালের জুনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ভোটার নাকি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট। অনেক যোগ্য কর্মী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি। এমনকি যাঁরা ভোটে অংশ নেননি, তাঁরাও পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়ে যান। এ ঘটনাকে উমামা আখ্যা দেন ‘ভাই-ব্রাদার কোরামের খেলা’।
২. মুখপাত্র হলেও মিডিয়া বা পেজ নিয়ন্ত্রণ ছিল না
একজন মুখপাত্র হিসেবে সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যবহারের অধিকার থাকা উচিত। অথচ উমামা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে এক্সেস দেওয়া হয়নি; বরং সেই পেজ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট করা হয়। অর্থাৎ, একদিকে তাঁকে সংগঠনের মুখ বলা হলেও অন্যদিকে তাঁকেই জনসমক্ষে বিব্রত করা হয়েছে—যা নেতৃত্বের দ্বিচারিতা ও প্রতিহিংসার ইঙ্গিত দেয়।
৩. অভ্যন্তরীণ ভাঙন ও কলঙ্কলেপন
উমামা দাবি করেন, একসময়ের সহযোদ্ধারাই জুনিয়রদের ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। তিনি লেখেন, ‘যে মানুষগুলোর সঙ্গে আমি মিছিল করেছি, তারাই পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে Smear campaign চালিয়েছে।’ এ থেকে বোঝা যায়, প্ল্যাটফর্মে সহমতের রাজনীতি নয়, বরং ব্যক্তিকেন্দ্রিক বলয়ের আধিপত্য ছিল।
৪. আদর্শচ্যুতি ও সুবিধাবাদ
উমামা ফাতেমার ভাষায়, ‘এই প্ল্যাটফর্ম এখন টিস্যু পেপারের মতো মানুষকে ব্যবহার করে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতার নিকটবর্তী হতেই অনেক নেতা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একসময় যারা ‘জুলাই অভ্যুত্থান’, ‘সংস্কার’, ‘শহীদ’ কিংবা ‘আহতদের’ নিয়ে কথা বলতেন, তাঁরাই পরে দলীয় হাই কমান্ডের প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন।
৫. দলীয় লেজুড়বৃত্তি না মানায় চাপ
উমামা লেখেন, ‘আমি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতাম, অনেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ত। তাই অনলাইন, অফলাইনে ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হয়।’ তার মানে, প্ল্যাটফর্মটিকে আদর্শিক নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য রাখতে চেয়েছে একাধিক শক্তি।
৬. ‘বদ্ধ জলাশয়’ ও ‘পোকার মতো’ তুলনার তাৎপর্য
মার্চ-এপ্রিল মাসে প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে উমামা বলেছেন, এটি ‘বদ্ধ জলাশয়’—যেখানে পচন ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি পরিবেশ, যেখানে ‘পোকার মতো সুবিধাবাদীরা’ সবকিছু খেয়ে ফেলছে।
এটি শুধুই রাজনৈতিক বাগ্মিতা; বরং হতাশাজনক বাস্তবতার খোলামেলা স্বীকারোক্তি। তাঁর মতে, গুডউইল বা সদিচ্ছা থাকা মানুষগুলো সৎভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি, তাঁরা সুবিধাবাদীদের কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
৭. ভাঙনের ইঙ্গিত: আত্মবিশ্বাসহীন ভবিষ্যৎ
উমামা ফাতেমা কেবল সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেননি, তিনি সেই কাউন্সিলের ভোটও প্রত্যাহার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর তাঁর কোনো আস্থা নেই।
তিনি বলেছেন, ‘যারা অভ্যুত্থানকে বাজারদরে কেনাবেচা করেছে, আমি তাদের কখনো ক্ষমা করব না।’ তাঁর কণ্ঠে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকলেও তা বৃহত্তর প্রজন্মের হতাশার প্রতিধ্বনি হয়ে উঠেছে।
ভেঙে পড়া স্বপ্নের দায় কার
উমামা ফাতেমার মতো নেত্রী যখন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে’, তখন সেটিকে কেবল ক্ষোভ নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যর্থতার দলিল হিসেবেই দেখতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কি আদর্শিকভাবে ভেঙে পড়ল? নাকি এটি এখনো আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের গন্তব্য পুনরুদ্ধার করতে পারে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সময় দেবে। তবে উমামার বক্তব্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—প্রতিটি আদর্শিক আন্দোলনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয় ক্ষমতা পাওয়া পর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই পরীক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উত্তীর্ণ হওয়ার মতো কোনো নিদর্শন এখনো দেখাতে পারেনি। বরং, তাদের এক বছরের কর্মকাণ্ডে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হয়ে আছে।

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিদায়ের ঘোষণার চেয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক বিস্ফোরক দলিল, যেখানে উঠে এসেছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শচ্যুতি, সুবিধাবাদ ও রাজনৈতিক কৌশলের জটিল সমন্বয়। আর এসব অভিযোগের সারমর্মে উমামার দাবি, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বহু মানুষের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে’।
কেন এমন মারাত্মক ও বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদাতা সংগঠনটির সামনের সারির গুরুত্বপূর্ণ এই নেত্রী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসে কীভাবে একটি ‘আদর্শবাদী প্ল্যাটফর্ম’ প্রায় ১১ মাসের ব্যবধানে অবিশ্বাস, বিভক্তি ও আদর্শের বিপরীতমুখী আচরণের শিকার হয়ে পড়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা যে আন্দোলন নজিরবিহীনভাবে সরকারপতনের আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল, সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ‘অভ্যুত্থান’ হলো। সেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্য ও নিপীড়নহীন নতুন এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কর্তৃত্ববাদ, দখল, দুর্নীতি ও মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি ছিল সেই অভ্যুত্থানের নেতাদের। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের জেদ এবং স্বপ্নকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল এই প্ল্যাটফর্ম।
দেশের রাজনীতিতে ভিন্নধর্মী ধারার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই প্ল্যাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছিল। দারিদ্র্য, বৈষম্য, শাসনব্যবস্থার অকার্যকারিতা ও রাজনৈতিক পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে ‘জনতার পক্ষের রাজনীতি’ করার অঙ্গীকার ছিল তাদের। তরুণদের প্রত্যাশা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে সংঘবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সংগঠনটি স্বল্প সময়ের মধ্যে জনমনে জায়গা করে নেয়।
তখন অনেকে মনে করেছিলেন, এটি বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির এক বিকল্প ভবিষ্যৎ। তবে এই আশাবাদের বাতাস খুব দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে। এক বছর পূর্তির আগেই সংগঠনটি এখন তীব্র বিতর্ক, নেতৃত্ব সংকট, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আদর্শচ্যুতির অভিযোগে জর্জরিত। একসময়ের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সংগঠন থেকে নিজের বিদায় ঘোষণা করে ফেসবুকে যেসব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন, তা সংগঠনের আদর্শিক পাটাতনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
১. নেতৃত্বে অনিয়ম ও দলীয় হস্তক্ষেপ
উমামা ফাতেমার বক্তব্য অনুযায়ী, সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন ছিল একপক্ষীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। ২০২৫ সালের জুনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ভোটার নাকি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট। অনেক যোগ্য কর্মী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি। এমনকি যাঁরা ভোটে অংশ নেননি, তাঁরাও পরে কাউন্সিলের সদস্য হয়ে যান। এ ঘটনাকে উমামা আখ্যা দেন ‘ভাই-ব্রাদার কোরামের খেলা’।
২. মুখপাত্র হলেও মিডিয়া বা পেজ নিয়ন্ত্রণ ছিল না
একজন মুখপাত্র হিসেবে সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ব্যবহারের অধিকার থাকা উচিত। অথচ উমামা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে এক্সেস দেওয়া হয়নি; বরং সেই পেজ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট করা হয়। অর্থাৎ, একদিকে তাঁকে সংগঠনের মুখ বলা হলেও অন্যদিকে তাঁকেই জনসমক্ষে বিব্রত করা হয়েছে—যা নেতৃত্বের দ্বিচারিতা ও প্রতিহিংসার ইঙ্গিত দেয়।
৩. অভ্যন্তরীণ ভাঙন ও কলঙ্কলেপন
উমামা দাবি করেন, একসময়ের সহযোদ্ধারাই জুনিয়রদের ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। তিনি লেখেন, ‘যে মানুষগুলোর সঙ্গে আমি মিছিল করেছি, তারাই পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে Smear campaign চালিয়েছে।’ এ থেকে বোঝা যায়, প্ল্যাটফর্মে সহমতের রাজনীতি নয়, বরং ব্যক্তিকেন্দ্রিক বলয়ের আধিপত্য ছিল।
৪. আদর্শচ্যুতি ও সুবিধাবাদ
উমামা ফাতেমার ভাষায়, ‘এই প্ল্যাটফর্ম এখন টিস্যু পেপারের মতো মানুষকে ব্যবহার করে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতার নিকটবর্তী হতেই অনেক নেতা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একসময় যারা ‘জুলাই অভ্যুত্থান’, ‘সংস্কার’, ‘শহীদ’ কিংবা ‘আহতদের’ নিয়ে কথা বলতেন, তাঁরাই পরে দলীয় হাই কমান্ডের প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন।
৫. দলীয় লেজুড়বৃত্তি না মানায় চাপ
উমামা লেখেন, ‘আমি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতাম, অনেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ত। তাই অনলাইন, অফলাইনে ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হয়।’ তার মানে, প্ল্যাটফর্মটিকে আদর্শিক নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য রাখতে চেয়েছে একাধিক শক্তি।
৬. ‘বদ্ধ জলাশয়’ ও ‘পোকার মতো’ তুলনার তাৎপর্য
মার্চ-এপ্রিল মাসে প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে উমামা বলেছেন, এটি ‘বদ্ধ জলাশয়’—যেখানে পচন ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি পরিবেশ, যেখানে ‘পোকার মতো সুবিধাবাদীরা’ সবকিছু খেয়ে ফেলছে।
এটি শুধুই রাজনৈতিক বাগ্মিতা; বরং হতাশাজনক বাস্তবতার খোলামেলা স্বীকারোক্তি। তাঁর মতে, গুডউইল বা সদিচ্ছা থাকা মানুষগুলো সৎভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি, তাঁরা সুবিধাবাদীদের কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
৭. ভাঙনের ইঙ্গিত: আত্মবিশ্বাসহীন ভবিষ্যৎ
উমামা ফাতেমা কেবল সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেননি, তিনি সেই কাউন্সিলের ভোটও প্রত্যাহার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর তাঁর কোনো আস্থা নেই।
তিনি বলেছেন, ‘যারা অভ্যুত্থানকে বাজারদরে কেনাবেচা করেছে, আমি তাদের কখনো ক্ষমা করব না।’ তাঁর কণ্ঠে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকলেও তা বৃহত্তর প্রজন্মের হতাশার প্রতিধ্বনি হয়ে উঠেছে।
ভেঙে পড়া স্বপ্নের দায় কার
উমামা ফাতেমার মতো নেত্রী যখন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে’, তখন সেটিকে কেবল ক্ষোভ নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যর্থতার দলিল হিসেবেই দেখতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কি আদর্শিকভাবে ভেঙে পড়ল? নাকি এটি এখনো আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের গন্তব্য পুনরুদ্ধার করতে পারে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সময় দেবে। তবে উমামার বক্তব্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—প্রতিটি আদর্শিক আন্দোলনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয় ক্ষমতা পাওয়া পর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই পরীক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উত্তীর্ণ হওয়ার মতো কোনো নিদর্শন এখনো দেখাতে পারেনি। বরং, তাদের এক বছরের কর্মকাণ্ডে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হয়ে আছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
৬ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়...
১১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
১৩ ঘণ্টা আগেবরগুনা প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী বিদ্যালয় মাঠে দলের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভেবেছিলাম, বৈষম্য দূর হবে, মানুষ শান্তি পাবে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, কেউই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারেনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকেও যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু দল বা নেতার পরিবর্তনে নয়, আদর্শের পরিবর্তনেই দেশে শান্তি আসতে পারে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘চোর যদি এমপি হয়, সে কী করবে? আওয়ামী লীগকে যে চাঁদাবাজি ও জুলুমের জন্য তাড়িয়েছে মানুষ, সেই চাঁদাবাজি কি এখন বন্ধ হয়েছে? যে ধর্ষণের কারণে মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, সেই ধর্ষণ কি এখন হচ্ছে না? যে দখলদারির কারণে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, এখন কি সেই দখলদারি বন্ধ হয়েছে?’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বামনা উপজেলা সভাপতি আলহাজ আব্দুস সোবহান খান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জিহাদী।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী বিদ্যালয় মাঠে দলের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভেবেছিলাম, বৈষম্য দূর হবে, মানুষ শান্তি পাবে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, কেউই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারেনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকেও যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু দল বা নেতার পরিবর্তনে নয়, আদর্শের পরিবর্তনেই দেশে শান্তি আসতে পারে।’
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘চোর যদি এমপি হয়, সে কী করবে? আওয়ামী লীগকে যে চাঁদাবাজি ও জুলুমের জন্য তাড়িয়েছে মানুষ, সেই চাঁদাবাজি কি এখন বন্ধ হয়েছে? যে ধর্ষণের কারণে মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, সেই ধর্ষণ কি এখন হচ্ছে না? যে দখলদারির কারণে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, এখন কি সেই দখলদারি বন্ধ হয়েছে?’
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বামনা উপজেলা সভাপতি আলহাজ আব্দুস সোবহান খান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জিহাদী।

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিদায়ের ঘোষণার চেয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক বিস্ফোরক দলিল, যেখানে উঠে এসেছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শচ্যুতি, সুবিধাবাদ ও রাজনৈতিক কৌশলের জটিল সমন্বয়।
২৮ জুন ২০২৫
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়...
১১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা ও ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ও বিস্তারিত নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি বা কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে।

সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা ও ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ও বিস্তারিত নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি বা কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে।

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিদায়ের ঘোষণার চেয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক বিস্ফোরক দলিল, যেখানে উঠে এসেছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শচ্যুতি, সুবিধাবাদ ও রাজনৈতিক কৌশলের জটিল সমন্বয়।
২৮ জুন ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
৬ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়...
১১ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতোই হবে। বিগত ৫৪ বছর যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে জাতি আর নির্বাচন চায় না। কারণ, সেই পদ্ধতিতে জনগণের সরকার গঠিত হয়নি, হবেও না।
নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতিকে সরকারকে স্বৈরাচার হিসেবে তৈরি করার পদ্ধতি বলে আখ্যা দেন জামায়াতের এ নেতা। তিনি বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবেও না। সব দলের প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ গঠিত হলে একক কোনো দল স্বৈরাচার হতে পারবে না।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান। আওয়ামী লীগ সেদিন সারা দেশে লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনকে তারা হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যেটি মানবসভ্যতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
তিনি আওয়ামী লীগ পরিচালিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের সেদিনই হত্যা করা। এ জন্য তারা সেদিন সারা দেশ রক্তাক্ত করে। ওই ঘটনায় তখন মামলা করা হলেও পরে অধিকতর তদন্তের নামে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দলের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতোই হবে। বিগত ৫৪ বছর যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে জাতি আর নির্বাচন চায় না। কারণ, সেই পদ্ধতিতে জনগণের সরকার গঠিত হয়নি, হবেও না।
নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতিকে সরকারকে স্বৈরাচার হিসেবে তৈরি করার পদ্ধতি বলে আখ্যা দেন জামায়াতের এ নেতা। তিনি বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবেও না। সব দলের প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ গঠিত হলে একক কোনো দল স্বৈরাচার হতে পারবে না।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান। আওয়ামী লীগ সেদিন সারা দেশে লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনকে তারা হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যেটি মানবসভ্যতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
তিনি আওয়ামী লীগ পরিচালিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের সেদিনই হত্যা করা। এ জন্য তারা সেদিন সারা দেশ রক্তাক্ত করে। ওই ঘটনায় তখন মামলা করা হলেও পরে অধিকতর তদন্তের নামে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দলের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিদায়ের ঘোষণার চেয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক বিস্ফোরক দলিল, যেখানে উঠে এসেছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শচ্যুতি, সুবিধাবাদ ও রাজনৈতিক কৌশলের জটিল সমন্বয়।
২৮ জুন ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
৬ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা যদি সুযোগ পাই, মায়েদের বাড়তি আরেকটু সম্মান করব, সেটা হবে তাদের প্রতি ইনসাফ। একজন মা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, লালন-পালন করছেন; আবার ক্ষেত্র বিশেষে তিনি একজন পেশাজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আমারও ৮ ঘণ্টা, তারও ৮ ঘণ্টা, এটা কি অবিচার নয়?’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে ইনশা আল্লাহ তাদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব। মা হিসেবে সন্তানের হক আদায় করার জন্য এবং মা হিসেবে তাকে সম্মান করার জন্য। আমরা যদি ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৫ ঘণ্টা করি, তাহলে মায়েরা এতই কমিটেড যে; তারা চিন্তা করবে সরকার যে সম্মান আমাদের দিয়েছে, আমাদের উচিত ৮ ঘণ্টার কাজ ৫ ঘণ্টায় সেরে ফেলা।’
বর্তমান সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান, ‘বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফেরাতে দৃশ্যমান কয়েকটি রায় দিতে হবে।’ জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বিচার অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাবেন না।’
শুধু রেমিট্যান্স নয়, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী মেধাবীদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে—প্রবাসীদের প্রতি এমন আহ্বানও জানান জামায়াত আমীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা বিভিন্ন দেশে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে। সে সমাজের উন্নয়নে তারা অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখছে। আমরা এ মানুষগুলোর থেকে একটা অংশ অন্তত বাংলাদেশে ফেরত চাই।’

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা যদি সুযোগ পাই, মায়েদের বাড়তি আরেকটু সম্মান করব, সেটা হবে তাদের প্রতি ইনসাফ। একজন মা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, লালন-পালন করছেন; আবার ক্ষেত্র বিশেষে তিনি একজন পেশাজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আমারও ৮ ঘণ্টা, তারও ৮ ঘণ্টা, এটা কি অবিচার নয়?’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে ইনশা আল্লাহ তাদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব। মা হিসেবে সন্তানের হক আদায় করার জন্য এবং মা হিসেবে তাকে সম্মান করার জন্য। আমরা যদি ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৫ ঘণ্টা করি, তাহলে মায়েরা এতই কমিটেড যে; তারা চিন্তা করবে সরকার যে সম্মান আমাদের দিয়েছে, আমাদের উচিত ৮ ঘণ্টার কাজ ৫ ঘণ্টায় সেরে ফেলা।’
বর্তমান সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান, ‘বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফেরাতে দৃশ্যমান কয়েকটি রায় দিতে হবে।’ জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বিচার অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাবেন না।’
শুধু রেমিট্যান্স নয়, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী মেধাবীদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে—প্রবাসীদের প্রতি এমন আহ্বানও জানান জামায়াত আমীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা বিভিন্ন দেশে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে। সে সমাজের উন্নয়নে তারা অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখছে। আমরা এ মানুষগুলোর থেকে একটা অংশ অন্তত বাংলাদেশে ফেরত চাই।’

দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নিজের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিদায়ের ঘোষণার চেয়ে এটি হয়ে উঠেছে এক বিস্ফোরক দলিল, যেখানে উঠে এসেছে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংকট, আদর্শচ্যুতি, সুবিধাবাদ ও রাজনৈতিক কৌশলের জটিল সমন্বয়।
২৮ জুন ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’
৬ ঘণ্টা আগে
সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়...
১১ ঘণ্টা আগে