
২০১০ সালে গ্রেপ্তারের পর আর কখনোই ছাড়া পাননি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এক যুগের বেশি সময় কারাগারে থেকে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায়
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। পরে একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২০১১ সালের ১৪ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দেড় বছর পর সাঈদীর বিরুদ্ধেই প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।
মানবতাবিরোধী ২০ অভিযোগ
ট্রাইব্যুনালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের জোর করে ধর্মান্তর করাসহ সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব অপরাধের বেশির ভাগই ১৯৭১ সালে পিরোজপুর এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর তদন্ত সংস্থা ২০১১ সালের জুলাই মাসে সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৫টি খণ্ডে ৪০৭৪ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রথমে ফাঁসির রায়
এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর জনাকীর্ণ আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ অন্তত ২০টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে দুটি হত্যার অভিযোগে আদালত সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে পিরোজপুরে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা এবং বিসা বালি হত্যা। এ ছাড়া অধিকাংশ অভিযোগই সাক্ষীর অভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রায়ের দিন এজলাসে আনার পর থেকেই সাঈদীকে বেশ নির্লিপ্ত এবং বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। রায়ের পুরো সময়টিতে তিনি কিছু বলেননি। তবে রায় শেষ হওয়ার পরপরই উঠে দাঁড়িয়ে তিনি আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা নিজেদের শপথের ওপর দায়বদ্ধ থেকে বিচার করতে পারেননি।’ এ সময় তিনি দাবি করেন, আদালত শাহবাগের আন্দোলনকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রায় দিয়েছেন।
সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর ব্যাপক সহিংসতায় দেশে বহু মানুষ প্রাণ হারায়।
সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড
ফাঁসির আদেশ হলেও সাঈদীর আইনজীবীরা এই রায়ের বিরুদ্ধ আপিল করেন। এই আপিলের ভিত্তিতে পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
আপিলের রায়ে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে হত্যা, নিপীড়ন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ধর্মান্তরে বাধ্য করায় সাঈদীকে ‘যাবজ্জীবন’ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে সময় যাবজ্জীবন বলতে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত’ কারাবাস বোঝাবে বলে ব্যাখ্যা দেন প্রধান বিচারপতি।
একাত্তরে ভূমিকার কারণে এই জামায়াত নেতার সাজা কমানোর রায়ে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের বাইরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুর ‘ডাক’
আমৃত্যু কারাদণ্ডের পর দীর্ঘ বছর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারেই ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। গত রোববার (১৩ আগস্ট) কারাগারের ভেতর বুকে ব্যথা অনুভব করায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা গণমাধ্যমকে জানান, ইসিজিসহ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সুগার অনেক বেশি, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ছাড়া তিনি হৃদ্রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হয়েছেন। এই কারণেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়।
আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে হাসপাতালেই সাঈদীর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী গ্রামে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইউসুফ সাঈদী একজন আলেম ছিলেন। বাবার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন সাঈদী। পরে তিনি খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় কিছুদিন এবং পরে ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেন।
জামায়েতে ইসলামীর হয়ে ১৯৯৬ সালে ১২ জুন থেকে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১০ সালে গ্রেপ্তারের পর আর কখনোই ছাড়া পাননি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এক যুগের বেশি সময় কারাগারে থেকে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায়
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। পরে একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২০১১ সালের ১৪ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দেড় বছর পর সাঈদীর বিরুদ্ধেই প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।
মানবতাবিরোধী ২০ অভিযোগ
ট্রাইব্যুনালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের জোর করে ধর্মান্তর করাসহ সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব অপরাধের বেশির ভাগই ১৯৭১ সালে পিরোজপুর এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর তদন্ত সংস্থা ২০১১ সালের জুলাই মাসে সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৫টি খণ্ডে ৪০৭৪ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রথমে ফাঁসির রায়
এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর জনাকীর্ণ আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ অন্তত ২০টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে দুটি হত্যার অভিযোগে আদালত সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে পিরোজপুরে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা এবং বিসা বালি হত্যা। এ ছাড়া অধিকাংশ অভিযোগই সাক্ষীর অভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রায়ের দিন এজলাসে আনার পর থেকেই সাঈদীকে বেশ নির্লিপ্ত এবং বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। রায়ের পুরো সময়টিতে তিনি কিছু বলেননি। তবে রায় শেষ হওয়ার পরপরই উঠে দাঁড়িয়ে তিনি আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা নিজেদের শপথের ওপর দায়বদ্ধ থেকে বিচার করতে পারেননি।’ এ সময় তিনি দাবি করেন, আদালত শাহবাগের আন্দোলনকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রায় দিয়েছেন।
সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর ব্যাপক সহিংসতায় দেশে বহু মানুষ প্রাণ হারায়।
সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড
ফাঁসির আদেশ হলেও সাঈদীর আইনজীবীরা এই রায়ের বিরুদ্ধ আপিল করেন। এই আপিলের ভিত্তিতে পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
আপিলের রায়ে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে হত্যা, নিপীড়ন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ধর্মান্তরে বাধ্য করায় সাঈদীকে ‘যাবজ্জীবন’ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে সময় যাবজ্জীবন বলতে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত’ কারাবাস বোঝাবে বলে ব্যাখ্যা দেন প্রধান বিচারপতি।
একাত্তরে ভূমিকার কারণে এই জামায়াত নেতার সাজা কমানোর রায়ে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের বাইরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুর ‘ডাক’
আমৃত্যু কারাদণ্ডের পর দীর্ঘ বছর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারেই ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। গত রোববার (১৩ আগস্ট) কারাগারের ভেতর বুকে ব্যথা অনুভব করায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা গণমাধ্যমকে জানান, ইসিজিসহ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সুগার অনেক বেশি, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ছাড়া তিনি হৃদ্রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হয়েছেন। এই কারণেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়।
আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে হাসপাতালেই সাঈদীর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী গ্রামে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইউসুফ সাঈদী একজন আলেম ছিলেন। বাবার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন সাঈদী। পরে তিনি খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় কিছুদিন এবং পরে ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেন।
জামায়েতে ইসলামীর হয়ে ১৯৯৬ সালে ১২ জুন থেকে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১০ সালে গ্রেপ্তারের পর আর কখনোই ছাড়া পাননি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এক যুগের বেশি সময় কারাগারে থেকে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায়
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। পরে একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২০১১ সালের ১৪ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দেড় বছর পর সাঈদীর বিরুদ্ধেই প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।
মানবতাবিরোধী ২০ অভিযোগ
ট্রাইব্যুনালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের জোর করে ধর্মান্তর করাসহ সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব অপরাধের বেশির ভাগই ১৯৭১ সালে পিরোজপুর এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর তদন্ত সংস্থা ২০১১ সালের জুলাই মাসে সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৫টি খণ্ডে ৪০৭৪ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রথমে ফাঁসির রায়
এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর জনাকীর্ণ আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ অন্তত ২০টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে দুটি হত্যার অভিযোগে আদালত সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে পিরোজপুরে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা এবং বিসা বালি হত্যা। এ ছাড়া অধিকাংশ অভিযোগই সাক্ষীর অভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রায়ের দিন এজলাসে আনার পর থেকেই সাঈদীকে বেশ নির্লিপ্ত এবং বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। রায়ের পুরো সময়টিতে তিনি কিছু বলেননি। তবে রায় শেষ হওয়ার পরপরই উঠে দাঁড়িয়ে তিনি আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা নিজেদের শপথের ওপর দায়বদ্ধ থেকে বিচার করতে পারেননি।’ এ সময় তিনি দাবি করেন, আদালত শাহবাগের আন্দোলনকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রায় দিয়েছেন।
সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর ব্যাপক সহিংসতায় দেশে বহু মানুষ প্রাণ হারায়।
সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড
ফাঁসির আদেশ হলেও সাঈদীর আইনজীবীরা এই রায়ের বিরুদ্ধ আপিল করেন। এই আপিলের ভিত্তিতে পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
আপিলের রায়ে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে হত্যা, নিপীড়ন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ধর্মান্তরে বাধ্য করায় সাঈদীকে ‘যাবজ্জীবন’ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে সময় যাবজ্জীবন বলতে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত’ কারাবাস বোঝাবে বলে ব্যাখ্যা দেন প্রধান বিচারপতি।
একাত্তরে ভূমিকার কারণে এই জামায়াত নেতার সাজা কমানোর রায়ে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের বাইরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুর ‘ডাক’
আমৃত্যু কারাদণ্ডের পর দীর্ঘ বছর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারেই ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। গত রোববার (১৩ আগস্ট) কারাগারের ভেতর বুকে ব্যথা অনুভব করায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা গণমাধ্যমকে জানান, ইসিজিসহ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সুগার অনেক বেশি, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ছাড়া তিনি হৃদ্রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হয়েছেন। এই কারণেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়।
আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে হাসপাতালেই সাঈদীর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী গ্রামে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইউসুফ সাঈদী একজন আলেম ছিলেন। বাবার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন সাঈদী। পরে তিনি খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় কিছুদিন এবং পরে ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেন।
জামায়েতে ইসলামীর হয়ে ১৯৯৬ সালে ১২ জুন থেকে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১০ সালে গ্রেপ্তারের পর আর কখনোই ছাড়া পাননি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এক যুগের বেশি সময় কারাগারে থেকে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায়
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। পরে একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ২০১১ সালের ১৪ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দেড় বছর পর সাঈদীর বিরুদ্ধেই প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।
মানবতাবিরোধী ২০ অভিযোগ
ট্রাইব্যুনালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের জোর করে ধর্মান্তর করাসহ সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এসব অপরাধের বেশির ভাগই ১৯৭১ সালে পিরোজপুর এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর তদন্ত সংস্থা ২০১১ সালের জুলাই মাসে সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৫টি খণ্ডে ৪০৭৪ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রথমে ফাঁসির রায়
এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর জনাকীর্ণ আদালতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ অন্তত ২০টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে দুটি হত্যার অভিযোগে আদালত সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে পিরোজপুরে ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা এবং বিসা বালি হত্যা। এ ছাড়া অধিকাংশ অভিযোগই সাক্ষীর অভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রায়ের দিন এজলাসে আনার পর থেকেই সাঈদীকে বেশ নির্লিপ্ত এবং বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। রায়ের পুরো সময়টিতে তিনি কিছু বলেননি। তবে রায় শেষ হওয়ার পরপরই উঠে দাঁড়িয়ে তিনি আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা নিজেদের শপথের ওপর দায়বদ্ধ থেকে বিচার করতে পারেননি।’ এ সময় তিনি দাবি করেন, আদালত শাহবাগের আন্দোলনকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রায় দিয়েছেন।
সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর ব্যাপক সহিংসতায় দেশে বহু মানুষ প্রাণ হারায়।
সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড
ফাঁসির আদেশ হলেও সাঈদীর আইনজীবীরা এই রায়ের বিরুদ্ধ আপিল করেন। এই আপিলের ভিত্তিতে পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
আপিলের রায়ে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে হত্যা, নিপীড়ন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ধর্মান্তরে বাধ্য করায় সাঈদীকে ‘যাবজ্জীবন’ কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে সময় যাবজ্জীবন বলতে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত’ কারাবাস বোঝাবে বলে ব্যাখ্যা দেন প্রধান বিচারপতি।
একাত্তরে ভূমিকার কারণে এই জামায়াত নেতার সাজা কমানোর রায়ে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের বাইরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুর ‘ডাক’
আমৃত্যু কারাদণ্ডের পর দীর্ঘ বছর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারেই ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। গত রোববার (১৩ আগস্ট) কারাগারের ভেতর বুকে ব্যথা অনুভব করায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা গণমাধ্যমকে জানান, ইসিজিসহ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সুগার অনেক বেশি, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ছাড়া তিনি হৃদ্রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হয়েছেন। এই কারণেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়।
আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে হাসপাতালেই সাঈদীর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী গ্রামে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইউসুফ সাঈদী একজন আলেম ছিলেন। বাবার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন সাঈদী। পরে তিনি খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় কিছুদিন এবং পরে ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেন।
জামায়েতে ইসলামীর হয়ে ১৯৯৬ সালে ১২ জুন থেকে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অবশেষে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে এসে তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে এখানে...
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচনী যুদ্ধ কিন্তু আট-দশটা নির্বাচনী যুদ্ধের মতো না। এবার কিন্তু আমরা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছি। যে ছায়া আমাদের কর্তৃক প্রতিপালিত হয়ে আমাদের চেয়ে...
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার কোনো এক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে কোন আসন থেকে ভোটে দাঁড়াবেন এবং সরকারি পদ কবে ছাড়বেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
অনশনরত তারেক রহমানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমজনতার দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অবশেষে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে এসে তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে এখানে অনশনে বসেন তারেক রহমান।
এ সময় তারেককে আগামীকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি বিএনপির এই নেতা এ সময়ের মধ্যে তারেক রহমানের যেসব অফিস আছে, সেসব সংস্কার করতেও বলেন তিনি। এরপর তারেককে অ্যাম্বুলেন্সে করে নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের দিকে নিয়ে যান তাঁর সমর্থকেরা।
সালাহউদ্দিন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্দেশে বলেন, ‘নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছুটা সহনশীল হওয়া উচিত।’
এর আগে, আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে ইসি সচিব আখতার আহমেদ তারেককে অনশন ভেঙে নিবন্ধন আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ইসি সচিব বরাবর আপিল করতে হবে। ঘাটতি যেগুলো আছে সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ নভেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এই তিন দলকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এসব দলের বিরুদ্ধে দাবি-আপত্তি জানানো যাবে। এরপর সেগুলো নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। নিবন্ধনের তালিকায় নিজের দলের নাম না দেখে বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেন তারেক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অবশেষে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে এসে তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে এখানে অনশনে বসেন তারেক রহমান।
এ সময় তারেককে আগামীকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি বিএনপির এই নেতা এ সময়ের মধ্যে তারেক রহমানের যেসব অফিস আছে, সেসব সংস্কার করতেও বলেন তিনি। এরপর তারেককে অ্যাম্বুলেন্সে করে নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের দিকে নিয়ে যান তাঁর সমর্থকেরা।
সালাহউদ্দিন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্দেশে বলেন, ‘নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছুটা সহনশীল হওয়া উচিত।’
এর আগে, আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে ইসি সচিব আখতার আহমেদ তারেককে অনশন ভেঙে নিবন্ধন আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ইসি সচিব বরাবর আপিল করতে হবে। ঘাটতি যেগুলো আছে সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৪ নভেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) এই তিন দলকে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এসব দলের বিরুদ্ধে দাবি-আপত্তি জানানো যাবে। এরপর সেগুলো নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। নিবন্ধনের তালিকায় নিজের দলের নাম না দেখে বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেন তারেক।

২০১০ সালে গ্রেপ্তারের পর আর কখনোই ছাড়া পাননি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এক যুগের বেশি সময় কারাগারে থেকে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
১৪ আগস্ট ২০২৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচনী যুদ্ধ কিন্তু আট-দশটা নির্বাচনী যুদ্ধের মতো না। এবার কিন্তু আমরা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছি। যে ছায়া আমাদের কর্তৃক প্রতিপালিত হয়ে আমাদের চেয়ে...
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার কোনো এক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে কোন আসন থেকে ভোটে দাঁড়াবেন এবং সরকারি পদ কবে ছাড়বেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
অনশনরত তারেক রহমানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমজনতার দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জানান, বিএনপি এবার ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়াই করবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে তাঁদের।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘এই নির্বাচনী যুদ্ধ কিন্তু আট-দশটা নির্বাচনী যুদ্ধের মতো না। এবার কিন্তু আমরা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছি। যে ছায়া আমাদের কর্তৃক প্রতিপালিত হয়ে আমাদের চেয়ে বড় হয়ে এখন আমাদেরই রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে।’
ছায়া শক্তির বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের হাতে যে রক্ত লেগেছিল, সে রক্তের দাগ কিন্তু এখনো শুকায়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে মা-বোনদের ইজ্জতহানি হয়েছিল, সেটাও কিন্তু এখনো মুছে যায়নি। সুতরাং, আপনারা যাঁরা জাতীয়তাবাদী, আগামী নির্বাচন সম্বন্ধে হুঁশিয়ার থাকবেন।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে টুকু বলেন, ‘আমরা কিন্তু এবার ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়াই করব। সেই প্রস্তুতিটা নেবেন। তাহলেই এই যে ৭ নভেম্বরের জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস এবং জিয়াউর রহমান সাহেবের রেখে যাওয়া যে আদর্শ, সেইটা বেঁচে থাকবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আমরা বিএনপি পরিবারের সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন, উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মন্নুর আহমেদ প্রমুখ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জানান, বিএনপি এবার ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়াই করবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে তাঁদের।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘এই নির্বাচনী যুদ্ধ কিন্তু আট-দশটা নির্বাচনী যুদ্ধের মতো না। এবার কিন্তু আমরা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছি। যে ছায়া আমাদের কর্তৃক প্রতিপালিত হয়ে আমাদের চেয়ে বড় হয়ে এখন আমাদেরই রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে।’
ছায়া শক্তির বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের হাতে যে রক্ত লেগেছিল, সে রক্তের দাগ কিন্তু এখনো শুকায়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে মা-বোনদের ইজ্জতহানি হয়েছিল, সেটাও কিন্তু এখনো মুছে যায়নি। সুতরাং, আপনারা যাঁরা জাতীয়তাবাদী, আগামী নির্বাচন সম্বন্ধে হুঁশিয়ার থাকবেন।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে টুকু বলেন, ‘আমরা কিন্তু এবার ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়াই করব। সেই প্রস্তুতিটা নেবেন। তাহলেই এই যে ৭ নভেম্বরের জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস এবং জিয়াউর রহমান সাহেবের রেখে যাওয়া যে আদর্শ, সেইটা বেঁচে থাকবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আমরা বিএনপি পরিবারের সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন, উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মন্নুর আহমেদ প্রমুখ।

২০১০ সালে গ্রেপ্তারের পর আর কখনোই ছাড়া পাননি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এক যুগের বেশি সময় কারাগারে থেকে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
১৪ আগস্ট ২০২৩
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অবশেষে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে এসে তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে এখানে...
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার কোনো এক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে কোন আসন থেকে ভোটে দাঁড়াবেন এবং সরকারি পদ কবে ছাড়বেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
অনশনরত তারেক রহমানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমজনতার দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার কোনো এক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে কোন আসন থেকে ভোটে দাঁড়াবেন এবং সরকারি পদ কবে ছাড়বেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে ঢাকা-১০ আসনভুক্ত ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভোটার হওয়ার আবেদন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আসিফ জানান, তিনি ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের ভোটার হওয়ার আবেদন করেছেন। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। ঢাকা থেকে যে নির্বাচন করবেন, সেটাও মোটামুটি নিশ্চিত। তবে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ওপর নির্ভর করছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘যেহেতু ঢাকা থেকে নির্বাচন করব—এটা মোটামুটি নিশ্চিত, সেই জায়গা থেকে নিজের ভোটটাও ঢাকায় নিয়ে আসা। কারণ, ভোটটা যাতে অপচয় না হয়। আমার সরকার থেকে পদত্যাগ করার পর ঢাকায় থাকার প্ল্যান আছে। ধানমন্ডি এলাকায় থাকব। তো সেই জায়গা থেকে যেখানে থাকব, সেখানেই ভোটার হওয়া। আপনারা তো জানেন যে, নির্বাচন করার জন্য আপনি কোথায় ভোটার হইলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, আপনি দেশের নাগরিক বা ভোটার হলেই যথেষ্ট।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমি যদিও ভোটার হয়েছি আগে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি নাই। দুইটা নির্বাচন আমি ভোটার হওয়ার পরে হয়েছে, ২০১৮ সালে ও ২০২৪ সালে এবং আপনারা জানেন যে, এই সময়ে কেউই ভোট দিতে পারেনি। এই নির্বাচনে যাতে ভোট দিতে পারি, সেটা নিশ্চিত করলাম। নির্বাচন কোথায় (কোন আসন) থেকে করব, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা স্বতন্ত্র নির্বাচন করারই। তারপরে দেখা যাক।’
উপদেষ্টা পরিষদ থেকে কবে পদত্যাগ করবেন—জানতে চাইলে তরুণ এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবেই এখন বলছি যে, আমি নির্বাচন করব। কবে নাগাদ পদত্যাগ করব? এটা আপনারা জানেন যে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে। আলোচনা করে সেই বিষয়ে দ্রুতই আপনাদের জানাব।’
প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলাপ–আলোচনার বিষয়ে আসিফ বলেন, ‘আমার কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয় নাই। কেউ কোনো আসন, কোনো রাজনৈতিক দল ফাঁকা রাখল কি রাখল না, সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমি আমার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে এককভাবেই নিব।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করার জন্য সময় দিয়েছে এবং সরকার রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বলা যাবে, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার কোনো এক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে কোন আসন থেকে ভোটে দাঁড়াবেন এবং সরকারি পদ কবে ছাড়বেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে ঢাকা-১০ আসনভুক্ত ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভোটার হওয়ার আবেদন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আসিফ জানান, তিনি ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের ভোটার হওয়ার আবেদন করেছেন। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। ঢাকা থেকে যে নির্বাচন করবেন, সেটাও মোটামুটি নিশ্চিত। তবে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ওপর নির্ভর করছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘যেহেতু ঢাকা থেকে নির্বাচন করব—এটা মোটামুটি নিশ্চিত, সেই জায়গা থেকে নিজের ভোটটাও ঢাকায় নিয়ে আসা। কারণ, ভোটটা যাতে অপচয় না হয়। আমার সরকার থেকে পদত্যাগ করার পর ঢাকায় থাকার প্ল্যান আছে। ধানমন্ডি এলাকায় থাকব। তো সেই জায়গা থেকে যেখানে থাকব, সেখানেই ভোটার হওয়া। আপনারা তো জানেন যে, নির্বাচন করার জন্য আপনি কোথায় ভোটার হইলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, আপনি দেশের নাগরিক বা ভোটার হলেই যথেষ্ট।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমি যদিও ভোটার হয়েছি আগে, কিন্তু কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি নাই। দুইটা নির্বাচন আমি ভোটার হওয়ার পরে হয়েছে, ২০১৮ সালে ও ২০২৪ সালে এবং আপনারা জানেন যে, এই সময়ে কেউই ভোট দিতে পারেনি। এই নির্বাচনে যাতে ভোট দিতে পারি, সেটা নিশ্চিত করলাম। নির্বাচন কোথায় (কোন আসন) থেকে করব, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা স্বতন্ত্র নির্বাচন করারই। তারপরে দেখা যাক।’
উপদেষ্টা পরিষদ থেকে কবে পদত্যাগ করবেন—জানতে চাইলে তরুণ এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবেই এখন বলছি যে, আমি নির্বাচন করব। কবে নাগাদ পদত্যাগ করব? এটা আপনারা জানেন যে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে। আলোচনা করে সেই বিষয়ে দ্রুতই আপনাদের জানাব।’
প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলাপ–আলোচনার বিষয়ে আসিফ বলেন, ‘আমার কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয় নাই। কেউ কোনো আসন, কোনো রাজনৈতিক দল ফাঁকা রাখল কি রাখল না, সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমি আমার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে এককভাবেই নিব।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা করার জন্য সময় দিয়েছে এবং সরকার রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বলা যাবে, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’

২০১০ সালে গ্রেপ্তারের পর আর কখনোই ছাড়া পাননি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এক যুগের বেশি সময় কারাগারে থেকে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
১৪ আগস্ট ২০২৩
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অবশেষে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে এসে তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে এখানে...
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচনী যুদ্ধ কিন্তু আট-দশটা নির্বাচনী যুদ্ধের মতো না। এবার কিন্তু আমরা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছি। যে ছায়া আমাদের কর্তৃক প্রতিপালিত হয়ে আমাদের চেয়ে...
৩ ঘণ্টা আগে
অনশনরত তারেক রহমানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমজনতার দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিবন্ধনের দাবিতে ১২০ ঘণ্টা ধরে অনশন করা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন’ বলে জানিয়েছে দলটি।
আজ রোববার বিকেলে আমজনতার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। দলটির নিবন্ধনসংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে অনশনরত তারেক রহমানের জীবন রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
নিবন্ধন না পাওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশনে আছেন তারেক রহমান। এর মধ্যে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর প্রতি সংহতি জানিয়েছে।
অনশনরত তারেক রহমানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমজনতার দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
তারেক রহমান দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ‘সংগ্রামী ও সাহসী তরুণ নেতার প্রতীক’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৮-এর কোটা আন্দোলনসহ রাষ্ট্রের নানা সংকটময় মুহূর্তে তিনি সব সময় সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই নেতার সঙ্গে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।
এরই মধ্যে অনশনের ১২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের টনক এখন পর্যন্ত নড়েনি। গণদাবি ও নিবন্ধনের ন্যায্য প্রশ্নে নীরব এই কমিশনের উদাসীনতা জনমনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

নিবন্ধনের দাবিতে ১২০ ঘণ্টা ধরে অনশন করা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন’ বলে জানিয়েছে দলটি।
আজ রোববার বিকেলে আমজনতার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। দলটির নিবন্ধনসংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে অনশনরত তারেক রহমানের জীবন রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
নিবন্ধন না পাওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশনে আছেন তারেক রহমান। এর মধ্যে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর প্রতি সংহতি জানিয়েছে।
অনশনরত তারেক রহমানের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমজনতার দলের বিবৃতিতে বলা হয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারেক রহমান। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
তারেক রহমান দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসে এক ‘সংগ্রামী ও সাহসী তরুণ নেতার প্রতীক’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৮-এর কোটা আন্দোলনসহ রাষ্ট্রের নানা সংকটময় মুহূর্তে তিনি সব সময় সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই নেতার সঙ্গে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।
এরই মধ্যে অনশনের ১২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের টনক এখন পর্যন্ত নড়েনি। গণদাবি ও নিবন্ধনের ন্যায্য প্রশ্নে নীরব এই কমিশনের উদাসীনতা জনমনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

২০১০ সালে গ্রেপ্তারের পর আর কখনোই ছাড়া পাননি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এক যুগের বেশি সময় কারাগারে থেকে আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁর বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল।
১৪ আগস্ট ২০২৩
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অবশেষে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মূল ফটকের সামনে এসে তারেককে অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে এখানে...
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে ছায়া শক্তির সঙ্গে লড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচনী যুদ্ধ কিন্তু আট-দশটা নির্বাচনী যুদ্ধের মতো না। এবার কিন্তু আমরা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছি। যে ছায়া আমাদের কর্তৃক প্রতিপালিত হয়ে আমাদের চেয়ে...
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার কোনো এক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে কোন আসন থেকে ভোটে দাঁড়াবেন এবং সরকারি পদ কবে ছাড়বেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে