Ajker Patrika

বিএনপির অভ্যাস খেলায় হেরে রেফারিকে দোষারোপ করা: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির অভ্যাস খেলায় হেরে রেফারিকে দোষারোপ করা: কাদের

খেলায় কোনো দল খারাপ খেললে অনেক ক্ষেত্রে তারা রেফারিকে দোষারোপ করে, বিএনপির অবস্থাও অনেকটা সে রকম বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক বিবৃতিতে আজ শনিবার তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন শুধু একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের জন্য রেগুলেটরি বডি বা রেফারির মতো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা ও বিচার হওয়া উচিত বলে বিএনপি মহাসচিবের যে মন্তব্য, তা দেশের গণতন্ত্রের রীতিনীতি ও মূল্যবোধ পরিপন্থী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইআরআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫৩
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বিএনপি মিডিয়া সেল
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বিএনপি মিডিয়া সেল

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এই বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক অংশ নেন।

আইআরআই প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিয়েছেন বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির (সিএনএএস) ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন কারিগরি বিশেষজ্ঞ (আইআরআই) জেসিকা কিগান, আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর (আইআরআই) স্টিভ সিমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৭ বিষয়ে পরিবর্তন না হলে জুলাই সনদে সই করবে না ৪ বাম দল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জুলাই জাতীয় সনদে রাখা, সনদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রাখা, রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাদ না দেওয়া, জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত না করাসহ সাতটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী চারটি দল। এসব বিষয়ে নিষ্পত্তি না হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে না।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে কমিশনের সভাপতি বরাবর দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এমনটা বলা হয়েছে। স্মারকলিপি দেওয়া দলগুলো হলো সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।

সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানার পৌঁছে দেওয়া স্মারকলিপিতে সংস্কার কমিশন গঠন, সংলাপের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। সব দলের একমত হওয়া বিষয়গুলো সনদে স্থান দেওয়ার কথা বলা হলেও চূড়ান্ত অনুলিপিতে নোট অব ডিসেন্ট বা ভিন্নমতের বিষয়গুলোও রাখা এবং চার দলের দেওয়া নোট অব ডিসেন্টগুলোর কারণ যথাযথভাবে উল্লেখ না করার কথা বলা হয়েছে এতে।

আপত্তি থাকা সনদের ৭ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—সব দলের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো রেখে ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত (অ্যানেক্স) প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা; সনদের পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপন; অঙ্গীকারনামার প্রথম দফায় সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও ভিন্নমত থাকা; দ্বিতীয় দফায় সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করার কথা বলা হলেও নোট অব ডিসেন্ট থাকা; তৃতীয় দফায় সনদ নিয়ে কেউ আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবে না, এটা নাগরিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী হওয়া; সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স ও প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স বাদ দিয়ে জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করা এবং পটভূমিতে আগের খসড়ায় উল্লেখ থাকলেও চূড়ান্ত সনদে ১০৬ অনুচ্ছেদের কথা বাদ দেওয়া।

এসব বিষয়ের নিষ্পত্তি না হওয়ায় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বিশেষ করে সংবিধানে বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি—গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ এবং ১৫০(২) অনুচ্ছেদের ক্রান্তিকালীন বিধানের তফসিল পরিবর্তনে সম্মতি প্রদান ও আদালতে প্রশ্ন করা যাবে না, এমন বিষয়ে অঙ্গীকার করতে হয় এবং ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা অনুল্লেখ থাকা এমন কোনো সনদে ভিন্নমত দিয়ে আমরা স্বাক্ষর করতে পারি না।’

সনদের যেসব বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে স্মরিকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের কনসার্নের বিষয়সমূহ যুক্ত করে এই সনদ পরিবর্তন না হলে আমরা তাতে স্বাক্ষর করতে পারব না।’

জানতে চাইলে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতি যেহেতু আমাদের জাতি গঠনের ইতিহাস। সেটাকে রক্ষা করেই অন্য বিষয়কে যুক্ত করতে হবে। কমিশন আমাদের জানিয়েছে, তারা উল্লেখ করার কথা বলেছে, বাতিল করার কথা বলেনি। কিন্তু তারা যদি বিদ্যমান মূলনীতির সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলত, তাহলে সমস্যা হতো না। তাদের ব্যাখ্যা আমাদের মনঃপূত হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিআর নিয়ে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিতে হবে: নায়েবে আমির মুজিবুর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ফাইল ছবি
নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ফাইল ছবি

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ‘যাঁরা পিআরের বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকলে আজকে গণভোটের মুখোমুখি হন। দেখা যাবে আপনাদের পক্ষে জনগণ না, পিআরের পক্ষে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে—পিআরের পক্ষে দেশের জনগণ আছে।’

আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিলটি মগবাজার গিয়ে শেষ হয়। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আল্লাহ তাদের বিদেশে পালাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু এখানে সেখানে আগুন-সন্ত্রাস করে বিভিন্নভাবে আবার ফিরে আসার চেষ্টা করছে তারা। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা জালেমকে বিতাড়িত করেছে, ওই জালেমকে আবার সুযোগ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত যান সংগঠনের নেতারা।

সমাবেশে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে ওয়াদা করেছেন, এই সরকারের কাজ হবে সব গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। কিন্তু সরকার তার প্রতিশ্রুতির কোনোটিই এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। একটি দলের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে সরকার কেবল নির্বাচনের কথাই বলছে।

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের সুযোগ নেই উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় কোনো দল সংঘর্ষে জড়ালে কিংবা ভোট কারচুপি হলে গণভোটও বিতর্কিত হবে। তাই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।

একই দাবিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব পাশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে আগের পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের জনতা প্রতিহত করবে। জুলাইয়ের এত রক্ত ও জীবনের পরে কোনো অবস্থাতেই আর কোনো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে।’

পাঁচ দাবিতে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো। এরপর ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জানুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৩৯
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের মুখপাত্র হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় গণঅধিকার পরিষদ। আমরা শুরু থেকে এই সরকারকে একনিষ্ঠভাবে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সরকার সেই আশার প্রতিফলন দেখাতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকার এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। আমরা দেশে আর কোনো বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।’ তাই আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কেটে গেছে। এখন অতি দ্রুত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিয়ে আপনারা ওয়াদা বাস্তবায়ন করেন। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, চক্রান্তের পরিমাণ তত বাড়বে। আগামী জানুয়ারি মাসে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন।’

রাশেদ খান আরও বলেন, সরকার যদি দলগুলোর প্রস্তাবে যতটুকু মিল ছিল, সেগুলো নিয়ে সংস্কার শুরু করত, তাহলে এত আলোচনা হতো না। নির্বাচন চলে এসেছে, অথচ সংস্কারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর সংস্কার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘যে এনএসআই, এসবি ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে নির্বাচন করেছে, হাসিনাকে তুষ্ট করা সেই গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা এখনো বহাল আছে। এই অবস্থায় কি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব? এনএসআই ও ডিজিএফআইকে যদি সংস্কার করা না হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের আগে তিনটা গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার করতে হবে। যারা গত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিচার করতে হবে, চাকরিচ্যুত করতে হবে। তাঁদের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচন করা যাবে না।’

রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদে অধিকাংশ দল স্বাক্ষর করেছে। যারা করেনি, আমরা আশা করি, তারা হঠকারী না হয়ে স্বাক্ষর করবে।’

রাশেদ খান আরও বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে দেখছি বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, হাসিনার দোসরেরা নির্বাচন বানচাল করতে উদ্‌গ্রীব হয়ে উঠবে। বিমানবন্দরে যা ঘটেছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ। স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, আওয়ামী লীগের গুপ্ত হত্যা শুরু হবে।’

আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দল অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে ডামি, স্বতন্ত্র কোনো নামেই আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী অংশ নিতে পারবে না। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে আর আমরা কি ললিপপ খাব?’

সংবাদ সম্মেলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রাশেদ খান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আজহার, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রিদওয়ান উল্লাহ খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত