Ajker Patrika

ভিসা নীতি নিয়ে অতি উৎসাহীরা মুখ থুবড়ে পড়বে: আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ৩৮
ভিসা নীতি নিয়ে অতি উৎসাহীরা মুখ থুবড়ে পড়বে: আওয়ামী লীগ

মিথ্যা তথ্যের কারণে কিছু পশ্চিমা দেশ ও নেতা বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তাঁরা বলছেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণায় যারা অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে, তারা শিগগিরই মুখ থুবড়ে পড়বে।’

আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা। বিএনপি দেশজুড়ে নৈরাজ্যের ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে তার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। 

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ।

শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ উপলক্ষে আজ বেলা ২টার আগ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে ৩টার আগ থেকে জিরো পয়েন্ট থেকে গুলিস্তানমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শান্তি সমাবেশে আগত নেতা-কর্মীদের অবস্থান বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে শুরু করে দক্ষিণে গুলিস্তান, মহানগর নাট্যমঞ্চ এলাকা এবং পশ্চিমে জিরো পয়েন্ট ফিরিয়ে সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছাড়িয়ে যায়।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আজকে একটাই কথা দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে আমরা শান্তি এবং উন্নয়ন, অগ্রগতি ও প্রগতির পথে নিয়ে যেতে চাই। এ জন্য বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার। আগামী দিনে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় এনে এই স্লোগানকে আমরা বাস্তবায়ন করব।’
 
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, যারা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ওই পাক বাহিনীকে যারা অস্ত্র দিয়েছিল, তাদের মোকাবিলা করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা পরাজিত হইনি। আজকেও বলতে চাই, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ, কিছু নেতা যাঁরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, নানা রকম কৌশল করছেন, তাঁদেরকে আমরা বলতে চাই—একাত্তরে আমরা পরাজিত হইনি, ওই নৌবহরের হুমকিতে আমরা পালিয়ে যাইনি। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে, অতীতেও আমরা ব্যর্থ হইনি, ভবিষ্যতেও হব না।’

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে। এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’

বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে মায়া বলেন, ‘কিসের ভয় দেখান। গত ১৫ বছর দেখেছি আপনাদের। আন্দোলন করবেন, শেখ হাসিনাকে হটাবেন। এক ইঞ্চিও নড়াতে পারেনি। আর আছে মাত্র তিন মাস। এই সময়ে আমরা রাজপথে পাহারা দেব। যদি কোনো সন্ত্রাস করেন, অগ্নিসংযোগ করেন, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেন, রাজপথে মোকাবিলা করব।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ষড়যন্ত্র চলছে। একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতক ও তাদের বিদেশি মদদদাতারা একাত্ম হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। নিষেধাজ্ঞার কথা বলে, ভিসা নীতির কথা বলে...তারা আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ক্ষমতার পরিবর্তন করতে চায়। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ বরদাশত করবে না।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। এ কারণে আমাদের সদা-সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজও আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় থাকেনি, ক্ষমতায় যায়নি। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। নির্বাচনই জনসমর্থনের ভিত্তি। জনমানুষের সমর্থন নিয়েই গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। যতই ষড়যন্ত্র করেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্মুখী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেই নির্বাচনী বৈতরণি পার হব।’

আবদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার আর কোনো রাস্তা নেই। আজ যে দলটি চোখ রাঙিয়ে আমাদের ভয় দেখাতে চায়, তারা কেন বোঝে না; যে দলকে হুমকি দেয়, সেই দলের নাম আওয়ামী লীগ, সেই দলের নেতা শেখ হাসিনা আর এই দলের জনক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘আজকে যারা মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে অতি উৎসাহী হয়েছে, তারা জানে না খুব শিগগিরই মুখ থুবড়ে পড়বে। তারা নতুন করে আবার হতাশায় নিমজ্জিত হবে।’

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় নতুন করে যড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শুক্রবার দেখলাম বিএনপি নেতৃত্ব ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আমেরিকা ভিসা নীতির পরে। তোমাদেরকে এ দেশের লোকজন চেনে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশকে ব্যর্থ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।’

হানিফ আরও বলেন, ‘আজ বিএনপি যে বড় বড় কথা বলে, বিএনপিকে তৃতীয় গ্রেডের সন্ত্রাসী দল ঘোষণা করেছিল আমেরিকার ফেডারেল কোর্ট। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করার জন্য আমেরিকা ভিসা নীতি করেছে। নির্বাচনকে বিএনপি-জামায়াত যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায় রাজপথে তাদের মোকাবিলা করা হবে।’

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াতসহ যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, লাশের রাজনীতি কায়েম করে সাম্রাজ্যবাদীদের তল্পিবাহক হিসেবে বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়, ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়, আমাদের জীবন থাকতে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে এটা করতে দেব না। নির্বাচনে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে: মুফতি ফয়জুল করীম

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার বামনা উপজেলায় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরগুনার বামনা উপজেলায় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন জরুরি। ভোটের মাধ্যমে চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে হবে। এ দেশ থেকে তাদের উৎখাত করতে হলে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’

আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী বিদ্যালয় মাঠে দলের এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়জুল করীম বলেন, ‘ভেবেছিলাম, বৈষম্য দূর হবে, মানুষ শান্তি পাবে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, কেউই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারেনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকেও যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু দল বা নেতার পরিবর্তনে নয়, আদর্শের পরিবর্তনেই দেশে শান্তি আসতে পারে।’

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘চোর যদি এমপি হয়, সে কী করবে? আওয়ামী লীগকে যে চাঁদাবাজি ও জুলুমের জন্য তাড়িয়েছে মানুষ, সেই চাঁদাবাজি কি এখন বন্ধ হয়েছে? যে ধর্ষণের কারণে মানুষ আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, সেই ধর্ষণ কি এখন হচ্ছে না? যে দখলদারির কারণে আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে, এখন কি সেই দখলদারি বন্ধ হয়েছে?’

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বামনা উপজেলা সভাপতি আলহাজ আব্দুস সোবহান খান। সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জিহাদী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর হোটেল সেরিনায় কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর হোটেল সেরিনায় কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল সেরিনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জিয়াউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা ও ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’-এর প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ও বিস্তারিত নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি বা কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যারা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নয়, তারাই গণভোটকে ভয় পায়: মুজিবুর রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যাঁরা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নন, তাঁরাই গণভোটকে ভয় পান। এ জন্য তাঁরা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছেন। আজ সোমবার জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণে কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতোই হবে। বিগত ৫৪ বছর যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে জাতি আর নির্বাচন চায় না। কারণ, সেই পদ্ধতিতে জনগণের সরকার গঠিত হয়নি, হবেও না।

নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতিকে সরকারকে স্বৈরাচার হিসেবে তৈরি করার পদ্ধতি বলে আখ্যা দেন জামায়াতের এ নেতা। তিনি বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবেও না। সব দলের প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদ গঠিত হলে একক কোনো দল স্বৈরাচার হতে পারবে না।

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান। আওয়ামী লীগ সেদিন সারা দেশে লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনকে তারা হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যেটি মানবসভ্যতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

তিনি আওয়ামী লীগ পরিচালিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের সেদিনই হত্যা করা। এ জন্য তারা সেদিন সারা দেশ রক্তাক্ত করে। ওই ঘটনায় তখন মামলা করা হলেও পরে অধিকতর তদন্তের নামে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

দলের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা হবে ৫: আমির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ০৪
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। পুরুষ বাইরে ৮ ঘণ্টা কাজ করলে, নারীদের জন্য তা ৫ ঘণ্টাই ইনসাফ।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা যদি সুযোগ পাই, মায়েদের বাড়তি আরেকটু সম্মান করব, সেটা হবে তাদের প্রতি ইনসাফ। একজন মা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, লালন-পালন করছেন; আবার ক্ষেত্র বিশেষে তিনি একজন পেশাজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আমারও ৮ ঘণ্টা, তারও ৮ ঘণ্টা, এটা কি অবিচার নয়?’

তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে ইনশা আল্লাহ তাদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেব। মা হিসেবে সন্তানের হক আদায় করার জন্য এবং মা হিসেবে তাকে সম্মান করার জন্য। আমরা যদি ৮ ঘণ্টার জায়গায় ৫ ঘণ্টা করি, তাহলে মায়েরা এতই কমিটেড যে; তারা চিন্তা করবে সরকার যে সম্মান আমাদের দিয়েছে, আমাদের উচিত ৮ ঘণ্টার কাজ ৫ ঘণ্টায় সেরে ফেলা।’

বর্তমান সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান, ‘বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা ফেরাতে দৃশ্যমান কয়েকটি রায় দিতে হবে।’ জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বিচার অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাবেন না।’

শুধু রেমিট্যান্স নয়, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী মেধাবীদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে—প্রবাসীদের প্রতি এমন আহ্বানও জানান জামায়াত আমীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা বিভিন্ন দেশে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করছে। সে সমাজের উন্নয়নে তারা অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখছে। আমরা এ মানুষগুলোর থেকে একটা অংশ অন্তত বাংলাদেশে ফেরত চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত