অনলাইন ডেস্ক
অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে গতকাল বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান দল এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
গতবছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট মাস পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পদ্ধতিগতভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এসব ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রাথমিক ধারণা। আহত হয় হাজার হাজার মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশ নির্বিচার গুলির শিকার হয়। নিহতদের ১২ শতাংশের মতো ছিল শিশু। এই সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় ১১ হাজার ৭০২ জনকে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটায়। পুলিশ, র্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এতে জড়িয়ে পড়ে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থার সদর দপ্তর ও অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে ১১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
এতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা, র্যাব বিলুপ্ত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের বেশ আগেই আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর গত শুক্রবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
তবে প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, তাতে প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ফেরার পথ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং বিপুলসংখ্যক ভোটার কার্যত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে জাতিসংঘের সুপারিশ
মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেছে জাতিসংঘ। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক দলের প্রভাবে ভারসাম্য রক্ষার জন্য তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার উপর জোর দিয়েছে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নাগরিক ও অধিকারভোগীরা যাতে আরও সক্রিয়ভাবে ও সরাসরি অংশ নিতে পারেন, সেজন্য নাগরিকদের নেতৃত্বে অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকারকে আরও সুসংহত করা প্রয়োজন।
জাতিসংঘ বলেছে, দলের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপক সংলাপের প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার।
প্রয়োজন অনুসারে ও যথাযথ ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণসহ রাজনৈতিক ও জনজীবনে পুরুষ ও নারীর মধ্যে বাস্তবসম্মত সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকরভাবে আইন ও বিধি বাস্তবায়নের ওপরও জোর দিয়েছে জাতিসংঘ।
অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে গতকাল বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান দল এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
গতবছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট মাস পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পদ্ধতিগতভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এসব ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রাথমিক ধারণা। আহত হয় হাজার হাজার মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশ নির্বিচার গুলির শিকার হয়। নিহতদের ১২ শতাংশের মতো ছিল শিশু। এই সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় ১১ হাজার ৭০২ জনকে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটায়। পুলিশ, র্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এতে জড়িয়ে পড়ে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থার সদর দপ্তর ও অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে ১১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
এতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা, র্যাব বিলুপ্ত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের বেশ আগেই আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর গত শুক্রবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
তবে প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, তাতে প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ফেরার পথ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং বিপুলসংখ্যক ভোটার কার্যত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে জাতিসংঘের সুপারিশ
মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেছে জাতিসংঘ। এজন্য বিশেষ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক দলের প্রভাবে ভারসাম্য রক্ষার জন্য তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার উপর জোর দিয়েছে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নাগরিক ও অধিকারভোগীরা যাতে আরও সক্রিয়ভাবে ও সরাসরি অংশ নিতে পারেন, সেজন্য নাগরিকদের নেতৃত্বে অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকারকে আরও সুসংহত করা প্রয়োজন।
জাতিসংঘ বলেছে, দলের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপক সংলাপের প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার।
প্রয়োজন অনুসারে ও যথাযথ ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণসহ রাজনৈতিক ও জনজীবনে পুরুষ ও নারীর মধ্যে বাস্তবসম্মত সমতা নিশ্চিত করতে কার্যকরভাবে আইন ও বিধি বাস্তবায়নের ওপরও জোর দিয়েছে জাতিসংঘ।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো দল নিষিদ্ধ না করার পরামর্শের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব এমনটি জানিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে নেতা-কর্মী, সমর্থক, আন্দোলনকারী ও অন্যদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে ৮৪টি মামলার এজাহারসহ ৮৪৮ জনকে হত্যার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই অনুমতি দেন...
১২ ঘণ্টা আগেসংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন করা যাবে না। নির্বাচন করার জন্য যে সংস্কার লাগে, সেটুকুর জন্য জামায়াতে ইসলামী সময় দিতে প্রস্তুত। তবে আমরা পুরো সংস্কারের কথা বলছি না। সেটি করতে অনেক সময় লাগবে এবং সেটি নির্বাচিত সরকারের কাজ। তবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের পক্ষে জাম
১৩ ঘণ্টা আগে