Ajker Patrika

ঢাকায় সমাবেশে যাওয়ার পথে হামলা, বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আহত

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, ১৪: ৫৬
ঢাকায় সমাবেশে যাওয়ার পথে হামলা, বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আহত

ঢাকায় সমাবেশে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় দলের ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম মহব্বত, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শরীফ হোসেন, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক বিজয় সরকার, বানিয়াজান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অন্তর হাসান, যদুনাথপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক মামুন খান।

এ ছাড়া বলিভদ্র ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আজিজুর রহমানের ছেলে মির্জা হাবিব হাসান, মুশুদ্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি স্বাধীন, বীরতারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহান হাসান ও মাইক্রোবাসের চালকসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।

ধনবাড়ী হাসপাতালে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকাজানা গেছে, ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় সমাবেশে যোগদানের জন্য মঙ্গলবার রাতে একটি মাইক্রোবাসযোগে রওনা হন। রাত ২টার দিকে মাইক্রোবাসটি গোপালপুর উপজেলার শিমলা বাজারের কাছে পৌঁছালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা।

এ ঘটনায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও লাঠির আঘাতে ১২ জনকে আহত করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁরা বিষয়টি ফোনে স্বজনদের জানান। স্বজনেরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা গোপালপুর শিমলা বাজারে পৌঁছালে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা মাইক্রোবাস থামিয়ে হামলা চালান। এতে মাইক্রোবাসের ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কারা কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কারও অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত