ইউনূস-তারেক বৈঠক আজ
রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা
নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু লন্ডনের এই বৈঠক। রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা আলোচনা-সমঝোতায় সংকট নিরসনের দিশা মিলবে শীর্ষ এই বৈঠকে।
জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত সময়ে আজ শুক্রবার লন্ডনের হোটেল ডোরচেস্টারে বৈঠক করবেন মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি জানা না গেলেও এতে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার, জুলাই ঘোষণাপত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লন্ডন বৈঠক নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা (প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান) সবকিছু নিয়েই আলাপ-আলোচনা করবেন। কারণ একজন হচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান, আরেকজন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁদের দুজনের মধ্যে সবকিছু নিয়েই আলোচনা হবে।’
বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা দেননি। তবে আমাদের ধারণা, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে, যেখানে প্রধান ফোকাস থাকবে নির্বাচন। এর সঙ্গে সংস্কার, বিচারসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমার বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টা মোটাদাগে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সুরাহা করার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করেছেন।’ এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিরাজমান সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে প্রত্যাশা এই বিএনপি নেতার।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনের দিনক্ষণসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও আলোচনা হতে পারে লন্ডনের বৈঠকে। বিএনপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই নির্বাচন চায়, এ বিষয়টি জোরালোভাবে তাঁর কাছে উপস্থাপন করবেন তারেক রহমান। সরকারঘোষিত এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কী কী অসুবিধা, সে বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হবে এতে। একই সঙ্গে বিএনপি কেন ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, তার পক্ষেও যথাযথ যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। তবে ডিসেম্বরে রাজি না হলে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে (রমজান শুরুর আগে) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেওয়া হবে বিএনপির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে সংস্কার প্রসঙ্গে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, ড. ইউনূসকে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলবেন তারেক রহমান। তবে ঐকমত্য হলেও যেসব সংস্কারে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে—বিএনপির এই অবস্থানও তুলে ধরা হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতৈক্য সৃষ্টিতে উদ্যোগ নিতে সরকারপ্রধানকে আহ্বান জানাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। বিচারপ্রক্রিয়া যেন দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান হয়, সে ব্যাপারেও তাগিদ দেবেন তারেক রহমান।
লন্ডনের বৈঠক প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই বৈঠকের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অনেক। এই বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট কাটবে বলে আশাবাদী বিএনপি।’ দলের স্থায়ী কমিটি তারেক রহমানকে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।
এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে সামনে রেখে গত বুধবার লন্ডনে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সম্ভাব্য আলোচ্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এ নিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলোচনা করবেন তিনি। তবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বৈঠকে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।
বিরাজমান অচলাবস্থার মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের আলোচিত ওই বৈঠক নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাবে এবং এর মধ্য দিয়ে সংকট কেটে যাবে—এমন প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও।
বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই। আমরা আশাবাদী, বৈঠকের মাধ্যমে ভালো কিছু আসবে। এর মাধ্যমে আমরা সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান উভয়ের বিচক্ষণতা এখানে আশা করছি। তাঁরা দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে ভালো সমাধানে উপনীত হবেন, যার মধ্য দিয়ে দেশের চলমান সংকটের গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁরা বলছেন, বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। একই সঙ্গে নানা কারণে এত দিনে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও দূর হবে।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, যে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে তা কেটে যাবে। এর মাধ্যমে ঘাতকের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে দেশ পুনর্গঠনে ব্যয় করার পথ খুলবে।’
এ দিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বৈঠকটি আগামী নির্বাচন, সংস্কার এবং গণতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ কারণে বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু লন্ডনের এই বৈঠক। রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা আলোচনা-সমঝোতায় সংকট নিরসনের দিশা মিলবে শীর্ষ এই বৈঠকে।
জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত সময়ে আজ শুক্রবার লন্ডনের হোটেল ডোরচেস্টারে বৈঠক করবেন মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি জানা না গেলেও এতে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার, জুলাই ঘোষণাপত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লন্ডন বৈঠক নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা (প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান) সবকিছু নিয়েই আলাপ-আলোচনা করবেন। কারণ একজন হচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান, আরেকজন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁদের দুজনের মধ্যে সবকিছু নিয়েই আলোচনা হবে।’
বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা দেননি। তবে আমাদের ধারণা, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে, যেখানে প্রধান ফোকাস থাকবে নির্বাচন। এর সঙ্গে সংস্কার, বিচারসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমার বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টা মোটাদাগে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সুরাহা করার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করেছেন।’ এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিরাজমান সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে প্রত্যাশা এই বিএনপি নেতার।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনের দিনক্ষণসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও আলোচনা হতে পারে লন্ডনের বৈঠকে। বিএনপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই নির্বাচন চায়, এ বিষয়টি জোরালোভাবে তাঁর কাছে উপস্থাপন করবেন তারেক রহমান। সরকারঘোষিত এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কী কী অসুবিধা, সে বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হবে এতে। একই সঙ্গে বিএনপি কেন ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, তার পক্ষেও যথাযথ যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। তবে ডিসেম্বরে রাজি না হলে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে (রমজান শুরুর আগে) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেওয়া হবে বিএনপির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে সংস্কার প্রসঙ্গে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, ড. ইউনূসকে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলবেন তারেক রহমান। তবে ঐকমত্য হলেও যেসব সংস্কারে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে—বিএনপির এই অবস্থানও তুলে ধরা হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতৈক্য সৃষ্টিতে উদ্যোগ নিতে সরকারপ্রধানকে আহ্বান জানাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। বিচারপ্রক্রিয়া যেন দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান হয়, সে ব্যাপারেও তাগিদ দেবেন তারেক রহমান।
লন্ডনের বৈঠক প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই বৈঠকের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অনেক। এই বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট কাটবে বলে আশাবাদী বিএনপি।’ দলের স্থায়ী কমিটি তারেক রহমানকে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।
এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে সামনে রেখে গত বুধবার লন্ডনে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সম্ভাব্য আলোচ্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এ নিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলোচনা করবেন তিনি। তবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বৈঠকে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।
বিরাজমান অচলাবস্থার মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের আলোচিত ওই বৈঠক নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাবে এবং এর মধ্য দিয়ে সংকট কেটে যাবে—এমন প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও।
বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই। আমরা আশাবাদী, বৈঠকের মাধ্যমে ভালো কিছু আসবে। এর মাধ্যমে আমরা সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান উভয়ের বিচক্ষণতা এখানে আশা করছি। তাঁরা দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে ভালো সমাধানে উপনীত হবেন, যার মধ্য দিয়ে দেশের চলমান সংকটের গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁরা বলছেন, বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। একই সঙ্গে নানা কারণে এত দিনে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও দূর হবে।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, যে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে তা কেটে যাবে। এর মাধ্যমে ঘাতকের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে দেশ পুনর্গঠনে ব্যয় করার পথ খুলবে।’
এ দিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বৈঠকটি আগামী নির্বাচন, সংস্কার এবং গণতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ কারণে বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউনূস-তারেক বৈঠক আজ
রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা
নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু লন্ডনের এই বৈঠক। রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা আলোচনা-সমঝোতায় সংকট নিরসনের দিশা মিলবে শীর্ষ এই বৈঠকে।
জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত সময়ে আজ শুক্রবার লন্ডনের হোটেল ডোরচেস্টারে বৈঠক করবেন মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি জানা না গেলেও এতে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার, জুলাই ঘোষণাপত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লন্ডন বৈঠক নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা (প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান) সবকিছু নিয়েই আলাপ-আলোচনা করবেন। কারণ একজন হচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান, আরেকজন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁদের দুজনের মধ্যে সবকিছু নিয়েই আলোচনা হবে।’
বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা দেননি। তবে আমাদের ধারণা, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে, যেখানে প্রধান ফোকাস থাকবে নির্বাচন। এর সঙ্গে সংস্কার, বিচারসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমার বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টা মোটাদাগে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সুরাহা করার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করেছেন।’ এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিরাজমান সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে প্রত্যাশা এই বিএনপি নেতার।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনের দিনক্ষণসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও আলোচনা হতে পারে লন্ডনের বৈঠকে। বিএনপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই নির্বাচন চায়, এ বিষয়টি জোরালোভাবে তাঁর কাছে উপস্থাপন করবেন তারেক রহমান। সরকারঘোষিত এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কী কী অসুবিধা, সে বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হবে এতে। একই সঙ্গে বিএনপি কেন ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, তার পক্ষেও যথাযথ যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। তবে ডিসেম্বরে রাজি না হলে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে (রমজান শুরুর আগে) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেওয়া হবে বিএনপির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে সংস্কার প্রসঙ্গে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, ড. ইউনূসকে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলবেন তারেক রহমান। তবে ঐকমত্য হলেও যেসব সংস্কারে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে—বিএনপির এই অবস্থানও তুলে ধরা হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতৈক্য সৃষ্টিতে উদ্যোগ নিতে সরকারপ্রধানকে আহ্বান জানাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। বিচারপ্রক্রিয়া যেন দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান হয়, সে ব্যাপারেও তাগিদ দেবেন তারেক রহমান।
লন্ডনের বৈঠক প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই বৈঠকের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অনেক। এই বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট কাটবে বলে আশাবাদী বিএনপি।’ দলের স্থায়ী কমিটি তারেক রহমানকে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।
এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে সামনে রেখে গত বুধবার লন্ডনে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সম্ভাব্য আলোচ্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এ নিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলোচনা করবেন তিনি। তবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বৈঠকে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।
বিরাজমান অচলাবস্থার মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের আলোচিত ওই বৈঠক নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাবে এবং এর মধ্য দিয়ে সংকট কেটে যাবে—এমন প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও।
বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই। আমরা আশাবাদী, বৈঠকের মাধ্যমে ভালো কিছু আসবে। এর মাধ্যমে আমরা সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান উভয়ের বিচক্ষণতা এখানে আশা করছি। তাঁরা দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে ভালো সমাধানে উপনীত হবেন, যার মধ্য দিয়ে দেশের চলমান সংকটের গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁরা বলছেন, বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। একই সঙ্গে নানা কারণে এত দিনে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও দূর হবে।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, যে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে তা কেটে যাবে। এর মাধ্যমে ঘাতকের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে দেশ পুনর্গঠনে ব্যয় করার পথ খুলবে।’
এ দিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বৈঠকটি আগামী নির্বাচন, সংস্কার এবং গণতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ কারণে বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু লন্ডনের এই বৈঠক। রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা আলোচনা-সমঝোতায় সংকট নিরসনের দিশা মিলবে শীর্ষ এই বৈঠকে।
জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত সময়ে আজ শুক্রবার লন্ডনের হোটেল ডোরচেস্টারে বৈঠক করবেন মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি জানা না গেলেও এতে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার, জুলাই ঘোষণাপত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লন্ডন বৈঠক নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা (প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান) সবকিছু নিয়েই আলাপ-আলোচনা করবেন। কারণ একজন হচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান, আরেকজন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁদের দুজনের মধ্যে সবকিছু নিয়েই আলোচনা হবে।’
বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা দেননি। তবে আমাদের ধারণা, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে, যেখানে প্রধান ফোকাস থাকবে নির্বাচন। এর সঙ্গে সংস্কার, বিচারসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমার বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টা মোটাদাগে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সুরাহা করার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করেছেন।’ এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিরাজমান সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে প্রত্যাশা এই বিএনপি নেতার।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনের দিনক্ষণসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও আলোচনা হতে পারে লন্ডনের বৈঠকে। বিএনপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই নির্বাচন চায়, এ বিষয়টি জোরালোভাবে তাঁর কাছে উপস্থাপন করবেন তারেক রহমান। সরকারঘোষিত এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কী কী অসুবিধা, সে বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হবে এতে। একই সঙ্গে বিএনপি কেন ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, তার পক্ষেও যথাযথ যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। তবে ডিসেম্বরে রাজি না হলে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে (রমজান শুরুর আগে) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেওয়া হবে বিএনপির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে সংস্কার প্রসঙ্গে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, ড. ইউনূসকে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলবেন তারেক রহমান। তবে ঐকমত্য হলেও যেসব সংস্কারে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে—বিএনপির এই অবস্থানও তুলে ধরা হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতৈক্য সৃষ্টিতে উদ্যোগ নিতে সরকারপ্রধানকে আহ্বান জানাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। বিচারপ্রক্রিয়া যেন দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান হয়, সে ব্যাপারেও তাগিদ দেবেন তারেক রহমান।
লন্ডনের বৈঠক প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই বৈঠকের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অনেক। এই বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট কাটবে বলে আশাবাদী বিএনপি।’ দলের স্থায়ী কমিটি তারেক রহমানকে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।
এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে সামনে রেখে গত বুধবার লন্ডনে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সম্ভাব্য আলোচ্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এ নিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলোচনা করবেন তিনি। তবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বৈঠকে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।
বিরাজমান অচলাবস্থার মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের আলোচিত ওই বৈঠক নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাবে এবং এর মধ্য দিয়ে সংকট কেটে যাবে—এমন প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও।
বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই। আমরা আশাবাদী, বৈঠকের মাধ্যমে ভালো কিছু আসবে। এর মাধ্যমে আমরা সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান উভয়ের বিচক্ষণতা এখানে আশা করছি। তাঁরা দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে ভালো সমাধানে উপনীত হবেন, যার মধ্য দিয়ে দেশের চলমান সংকটের গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁরা বলছেন, বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। একই সঙ্গে নানা কারণে এত দিনে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও দূর হবে।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, যে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে তা কেটে যাবে। এর মাধ্যমে ঘাতকের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে দেশ পুনর্গঠনে ব্যয় করার পথ খুলবে।’
এ দিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বৈঠকটি আগামী নির্বাচন, সংস্কার এবং গণতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ কারণে বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আশরাফ মাহদী দেওবন্দ ঘরানার ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলামী ঐক্যজোট নেতা এবং লালবাগ মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি।
উল্লেখ্য, লালবাগ মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা ছিলেন মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনী। হাফেজ্জী হুজুরের ইন্তেকালের পর ১৯৮৭ সালে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শায়খুল হাদিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ওই মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ছিলেন।
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী দাবি করেছেন, মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ‘খুনোখুনির’ পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়ে আজ ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন আশরাফ মাহদী। একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘লালবাগ মাদরাসা থেকে আমাকে অব্যাহতির সংবাদ পেলাম। কারণ হিসেবে বলা হলো, এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। আজ দুপুরে লালবাগ মাদরাসার মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ সাহেব আমাকে ফোনকলে জানালেন, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) জরুরি মজলিসে শুরার বৈঠকে আমাকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনকলে এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আশরাফ মাহদী। মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনে মাহদীকে বলেন, ‘তুমি এনসিপি করো। এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। এটা করা জায়েজ নাই। মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক এনসিপি করতে পারে না।’
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী এই অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এনসিপিকে আলেম-ওলামাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সে (আশরাফ মাহদী)। লালবাগ জামিয়া থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে এনসিপির প্রসঙ্গ নেই। এ বিষয়ে রেজুলেশন (রেজল্যুশন) খাতা বিদ্যমান রয়েছে এবং আশা করা যায়, অচিরেই মজলিসে শুরা বিষয়টি জনসম্মুখে উপস্থাপন করবেন।’
মুফতি সাখাওয়াত আরও লেখেন, ‘মূলত ফ্যাসিস্টদের দোসর ফয়জুল্লাহ-আলতাফ গংদের সঙ্গে আঁতাত করে বড় কাটারা ও লালবাগ মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও খুনাখুনির পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ছাত্র-জনতা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। পরবর্তীতে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে মাদ্রাসার পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। অবশ্য আগে থেকেই ছাত্রদের পড়াশোনায় খেয়ানত অর্থাৎ ক্লাসে অনুপস্থিতিসহ মাদ্রাসার নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে জমা আছে।’
মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই সে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই প্রক্রিয়ায় সে কখনো এনসিপির নাম ব্যবহার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা এনসিপির নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আশরাফ মাহদী দেওবন্দ ঘরানার ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলামী ঐক্যজোট নেতা এবং লালবাগ মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি।
উল্লেখ্য, লালবাগ মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা ছিলেন মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনী। হাফেজ্জী হুজুরের ইন্তেকালের পর ১৯৮৭ সালে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শায়খুল হাদিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ওই মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ছিলেন।
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী দাবি করেছেন, মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ‘খুনোখুনির’ পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়ে আজ ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন আশরাফ মাহদী। একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘লালবাগ মাদরাসা থেকে আমাকে অব্যাহতির সংবাদ পেলাম। কারণ হিসেবে বলা হলো, এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। আজ দুপুরে লালবাগ মাদরাসার মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ সাহেব আমাকে ফোনকলে জানালেন, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) জরুরি মজলিসে শুরার বৈঠকে আমাকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনকলে এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আশরাফ মাহদী। মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনে মাহদীকে বলেন, ‘তুমি এনসিপি করো। এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। এটা করা জায়েজ নাই। মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক এনসিপি করতে পারে না।’
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী এই অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এনসিপিকে আলেম-ওলামাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সে (আশরাফ মাহদী)। লালবাগ জামিয়া থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে এনসিপির প্রসঙ্গ নেই। এ বিষয়ে রেজুলেশন (রেজল্যুশন) খাতা বিদ্যমান রয়েছে এবং আশা করা যায়, অচিরেই মজলিসে শুরা বিষয়টি জনসম্মুখে উপস্থাপন করবেন।’
মুফতি সাখাওয়াত আরও লেখেন, ‘মূলত ফ্যাসিস্টদের দোসর ফয়জুল্লাহ-আলতাফ গংদের সঙ্গে আঁতাত করে বড় কাটারা ও লালবাগ মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও খুনাখুনির পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ছাত্র-জনতা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। পরবর্তীতে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে মাদ্রাসার পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। অবশ্য আগে থেকেই ছাত্রদের পড়াশোনায় খেয়ানত অর্থাৎ ক্লাসে অনুপস্থিতিসহ মাদ্রাসার নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে জমা আছে।’
মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই সে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই প্রক্রিয়ায় সে কখনো এনসিপির নাম ব্যবহার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা এনসিপির নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন।’
নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
১৩ জুন ২০২৫ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির ধরনও।
এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। আদর্শিক সংগঠন থেকে এনসিপির সহযোগী ছাত্রসংগঠন হিসেবে কাজ করবে এটি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভা। এ সভায় নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সভায় সংগঠনের নতুন নাম, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কমিটি এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভার আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব মহির আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের সারা দেশের কমিটিগুলোর মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সাধারণ সভা হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠন নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে।’
সংগঠনের নতুন নামের বিষয়ে মহির আলম বলেন, নতুন নাম হিসেবে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি—এই দুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে জাতীয় ছাত্রশক্তির পক্ষে সমর্থন বেশি।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সমন্বয় সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্তত চারটি কমিটির ঘোষণা আসবে। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বোচ্চ ১০১ সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটকে ‘বিশেষ শাখা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।
কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে আরও থাকতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব মহির আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব সিয়াম, কেন্দ্রীয় সহমুখপাত্র ফারদিন হাসান, ঢাবির যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন আহসান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসির।
২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। জুলাই অভ্যুত্থানে এই সংগঠনের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে সংগঠনের কয়েকজন নেতা মিলে গঠন করা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। জুলাই অভ্যুত্থানের বড় শক্তি হলেও ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে এই সংগঠন-সমর্থিত নেতাদের ভরাডুবি হয়। তখনই সংগঠনটি পুনর্গঠনের দাবি ওঠে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির ধরনও।
এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। আদর্শিক সংগঠন থেকে এনসিপির সহযোগী ছাত্রসংগঠন হিসেবে কাজ করবে এটি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভা। এ সভায় নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সভায় সংগঠনের নতুন নাম, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কমিটি এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভার আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব মহির আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের সারা দেশের কমিটিগুলোর মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সাধারণ সভা হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠন নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে।’
সংগঠনের নতুন নামের বিষয়ে মহির আলম বলেন, নতুন নাম হিসেবে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি—এই দুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে জাতীয় ছাত্রশক্তির পক্ষে সমর্থন বেশি।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সমন্বয় সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্তত চারটি কমিটির ঘোষণা আসবে। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বোচ্চ ১০১ সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটকে ‘বিশেষ শাখা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।
কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে আরও থাকতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব মহির আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব সিয়াম, কেন্দ্রীয় সহমুখপাত্র ফারদিন হাসান, ঢাবির যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন আহসান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসির।
২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। জুলাই অভ্যুত্থানে এই সংগঠনের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে সংগঠনের কয়েকজন নেতা মিলে গঠন করা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। জুলাই অভ্যুত্থানের বড় শক্তি হলেও ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে এই সংগঠন-সমর্থিত নেতাদের ভরাডুবি হয়। তখনই সংগঠনটি পুনর্গঠনের দাবি ওঠে।
নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
১৩ জুন ২০২৫জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) এই আদেশটি দিবেন, প্রেসিডেন্ট দিবেন না। এটা আজকে আমরা মত দিয়েছি।’
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম ও রফিকুল ইসলাম খান।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তাহের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। সুতরাং, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। এখনই যদি বিষয়টি আলোচনা করি, তাহলে এটি ইমম্যাচিউরড হবে। আমরা মনে করি, ইন্টেরিম এখন ইন্টেরিমই থাকবে। যদি কোনো ব্যত্যয় না হয় সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে, তাহলে এই সরকারই কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে বলেছি, একটি আদেশের মাধ্যমে এটাকে (জুলাই সনদ) সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটা কনস্টিটিউশন নয়। এটা হচ্ছে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। যেটা কোনো সরকার এ রকম একটি পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। এই সনদের মাঝে যেগুলো আগামী নির্বাচন সম্পৃক্ত, সেগুলোকে আগেই পাস করিয়ে তার ভিত্তিতে নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে ইম্পর্ট্যান্ট।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছেন অধ্যাদেশ দেওয়ার জন্য, অধ্যাদেশ খুব দুর্বল। অধ্যাদেশে এগুলোর সাংবিধানিক মর্যাদায় যাওয়ার মতো স্টে অধ্যাদেশ নেই। কিন্তু আদেশ ইজ ইকুইভ্যালেন্ট টু সাংবিধানিক পরিবর্তন, পাওয়ার অব অথরিটি।’
গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না প্রথম দিকে। আমরা এটাতে জোর দিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি গণভোটে রাজি হয়েছে। তারপরেও তারা একটা জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে হতে হবে। দুইটা একেবারে আলাদা জিনিস।’
তাহের বলেন, ‘একটা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে দেশে কারা সরকার চালাবে, সেটার সিদ্ধান্ত। আর গণভোট হচ্ছে আমাদের কতগুলো রিফর্ম, সংস্কার; যেগুলো কীভাবে সরকার পরিচালনা হবে, কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবে—এসব মৌলিক বিষয়, এটার সঙ্গে এটার কোনো রিলেশন নেই। গণভোটের মাধ্যমে রিফর্মস আলাদাভাবে পাস করতে হবে। জনগণ যদি ‘‘হ্যাঁ’’ বলে, পাস হয়ে গেল। জনগণ যদি ‘‘না’’ বলে, পাস হবে না।’
তাহের আরও বলেন, ‘বিএনপি অজুহাত দেখাচ্ছে, গণভোটের সময় নেই। আমরা বলেছি, নভেম্বরের লাস্টে গণভোট করেন। প্রায় এক মাসের বেশি সময় আছে, তারপরে আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের। সুতরাং, এখানে সময়ের কোনো সমস্যা নাই। এই গণভোট হলেই জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, নয়তো আগের মতোই হবে।’
নির্বাচনের আগেই প্রশাসনে রদবদল ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ অফিসারই একটি দলের আনুগত্য। তাদের মাধ্যমে এটা হচ্ছে। আমরা গেলে তারা বলে যে প্রচণ্ড চাপ। পুলিশে একই অবস্থা আছে। আমাদের প্রসিকিউটর যারা হয় ওখানে, পিপিএ ৮০ শতাংশ হচ্ছে একটি বিশেষ দলের। এই যে ইমব্যালেন্সটা হয়ে আছে, আপনারা নিরপেক্ষ সরকার, আপনারা এটাকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করেন। সকলের জন্য সমতল ভূমি তৈরি করেন এবং নির্বাচনের আগে যেখানে যেখানে রদবদল করা দরকার, আপনারা তা করেন।’
প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে তাহের বলেন, ‘উনি আমাদের বলেছেন, উনি নিজে তত্ত্বাবধান করবেন এবং লটারি সিস্টেমে উনি পোস্টিং ঠিক করবেন। তো আমরা বলেছি, আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আপনি লটারি টানেন, দেন। তবে লটারির পেছনে যেন কোনো একটা ভূত দাঁড়াইয়া না থাকে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) এই আদেশটি দিবেন, প্রেসিডেন্ট দিবেন না। এটা আজকে আমরা মত দিয়েছি।’
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম ও রফিকুল ইসলাম খান।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে তাহের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। সুতরাং, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। এখনই যদি বিষয়টি আলোচনা করি, তাহলে এটি ইমম্যাচিউরড হবে। আমরা মনে করি, ইন্টেরিম এখন ইন্টেরিমই থাকবে। যদি কোনো ব্যত্যয় না হয় সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে, তাহলে এই সরকারই কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করবে।’
তাহের আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে বলেছি, একটি আদেশের মাধ্যমে এটাকে (জুলাই সনদ) সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটা কনস্টিটিউশন নয়। এটা হচ্ছে এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। যেটা কোনো সরকার এ রকম একটি পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে। এই সনদের মাঝে যেগুলো আগামী নির্বাচন সম্পৃক্ত, সেগুলোকে আগেই পাস করিয়ে তার ভিত্তিতে নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে ইম্পর্ট্যান্ট।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছেন অধ্যাদেশ দেওয়ার জন্য, অধ্যাদেশ খুব দুর্বল। অধ্যাদেশে এগুলোর সাংবিধানিক মর্যাদায় যাওয়ার মতো স্টে অধ্যাদেশ নেই। কিন্তু আদেশ ইজ ইকুইভ্যালেন্ট টু সাংবিধানিক পরিবর্তন, পাওয়ার অব অথরিটি।’
গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না প্রথম দিকে। আমরা এটাতে জোর দিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি গণভোটে রাজি হয়েছে। তারপরেও তারা একটা জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে হতে হবে। দুইটা একেবারে আলাদা জিনিস।’
তাহের বলেন, ‘একটা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে দেশে কারা সরকার চালাবে, সেটার সিদ্ধান্ত। আর গণভোট হচ্ছে আমাদের কতগুলো রিফর্ম, সংস্কার; যেগুলো কীভাবে সরকার পরিচালনা হবে, কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবে—এসব মৌলিক বিষয়, এটার সঙ্গে এটার কোনো রিলেশন নেই। গণভোটের মাধ্যমে রিফর্মস আলাদাভাবে পাস করতে হবে। জনগণ যদি ‘‘হ্যাঁ’’ বলে, পাস হয়ে গেল। জনগণ যদি ‘‘না’’ বলে, পাস হবে না।’
তাহের আরও বলেন, ‘বিএনপি অজুহাত দেখাচ্ছে, গণভোটের সময় নেই। আমরা বলেছি, নভেম্বরের লাস্টে গণভোট করেন। প্রায় এক মাসের বেশি সময় আছে, তারপরে আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের। সুতরাং, এখানে সময়ের কোনো সমস্যা নাই। এই গণভোট হলেই জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, নয়তো আগের মতোই হবে।’
নির্বাচনের আগেই প্রশাসনে রদবদল ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ অফিসারই একটি দলের আনুগত্য। তাদের মাধ্যমে এটা হচ্ছে। আমরা গেলে তারা বলে যে প্রচণ্ড চাপ। পুলিশে একই অবস্থা আছে। আমাদের প্রসিকিউটর যারা হয় ওখানে, পিপিএ ৮০ শতাংশ হচ্ছে একটি বিশেষ দলের। এই যে ইমব্যালেন্সটা হয়ে আছে, আপনারা নিরপেক্ষ সরকার, আপনারা এটাকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করেন। সকলের জন্য সমতল ভূমি তৈরি করেন এবং নির্বাচনের আগে যেখানে যেখানে রদবদল করা দরকার, আপনারা তা করেন।’
প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে তাহের বলেন, ‘উনি আমাদের বলেছেন, উনি নিজে তত্ত্বাবধান করবেন এবং লটারি সিস্টেমে উনি পোস্টিং ঠিক করবেন। তো আমরা বলেছি, আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আপনি লটারি টানেন, দেন। তবে লটারির পেছনে যেন কোনো একটা ভূত দাঁড়াইয়া না থাকে।’
নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
১৩ জুন ২০২৫জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনের গঠনপ্রক্রিয়া ও কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না। এটা স্বচ্ছ হচ্ছে না এবং নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেভাবে কার্যক্রম করার কথা ছিল, সেটা করছে না। কিছু কিছু দলের প্রতি পক্ষপাত দেখা যাচ্ছে এবং কোনো কোনো দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, বিগত সময়ে নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেভাবে হলে দায় সরকারের ওপর আসবে। আমরা সরকারকে বিষয়টি অবগত করেছি। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। উপদেষ্টা পরিষদের বিষয়েও বক্তব্য দিয়ে এসেছি। সরকারি কর্মকর্তাদের পদায়ন দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে কি না, বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি, প্রশাসনে বিভিন্ন ভাগ-বাঁটোয়ারা হচ্ছে। বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে এসপি-ডিসির জন্য তালিকা করে দিচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকে সেই দলগুলোকে সহায়তা করছে। ফলে এভাবে চললে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দলীয় পক্ষপাতের বিষয়টি যেন প্রধান উপদেষ্টা দেখেন, সে বিষয়েও আমরা জানিয়েছি।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে আমরা আমাদের বিষয়টা জানিয়েছি। সরকার বলেছে, এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না হয়, সে দায় সরকারের ওপরে আসবে। ফলে বিষয়টা তাঁরা গুরুত্বসহকারে দেখবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, তা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে। জুলাই সনদের বিষয়ে তাঁরা আমাদের সই করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হলে পরবর্তী সংসদের একটি গাঠনিক কাঠামো থাকবে। সেই কাঠামো একটি সংবিধান তৈরি করবে। এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেবে, তা নিয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা জুলাই সনদে সই করার বিষয়টি বিবেচনা করব। এটা সরকারের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি এবং এই দাবিগুলো যেন বিবেচনা করা হয়। আর সরকার যেন সেই পথে যৌক্তিকভাবে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আগায়, এ বিষয়ে জোর দাবি জানিয়েছি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শাপলা প্রতীক না থাকলে আমরা কী নিয়ে নির্বাচন করব। শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না।’
আজ বুধবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনের গঠনপ্রক্রিয়া ও কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না। এটা স্বচ্ছ হচ্ছে না এবং নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেভাবে কার্যক্রম করার কথা ছিল, সেটা করছে না। কিছু কিছু দলের প্রতি পক্ষপাত দেখা যাচ্ছে এবং কোনো কোনো দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি, বিগত সময়ে নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেভাবে হলে দায় সরকারের ওপর আসবে। আমরা সরকারকে বিষয়টি অবগত করেছি। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। উপদেষ্টা পরিষদের বিষয়েও বক্তব্য দিয়ে এসেছি। সরকারি কর্মকর্তাদের পদায়ন দেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে কি না, বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি, প্রশাসনে বিভিন্ন ভাগ-বাঁটোয়ারা হচ্ছে। বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে এসপি-ডিসির জন্য তালিকা করে দিচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকে সেই দলগুলোকে সহায়তা করছে। ফলে এভাবে চললে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দলীয় পক্ষপাতের বিষয়টি যেন প্রধান উপদেষ্টা দেখেন, সে বিষয়েও আমরা জানিয়েছি।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে আমরা আমাদের বিষয়টা জানিয়েছি। সরকার বলেছে, এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না হয়, সে দায় সরকারের ওপরে আসবে। ফলে বিষয়টা তাঁরা গুরুত্বসহকারে দেখবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়, তা সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে। জুলাই সনদের বিষয়ে তাঁরা আমাদের সই করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হলে পরবর্তী সংসদের একটি গাঠনিক কাঠামো থাকবে। সেই কাঠামো একটি সংবিধান তৈরি করবে। এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেবে, তা নিয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা জুলাই সনদে সই করার বিষয়টি বিবেচনা করব। এটা সরকারের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি এবং এই দাবিগুলো যেন বিবেচনা করা হয়। আর সরকার যেন সেই পথে যৌক্তিকভাবে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আগায়, এ বিষয়ে জোর দাবি জানিয়েছি।’
নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
১৩ জুন ২০২৫জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘এই যে রিফর্মস (জুলাই সনদ) হচ্ছে, এটার যে ডিক্লারেশনটা বা আদেশটা কে দিবে? এ নিয়ে একটা প্রশ্ন এখানে উঠেছে। আমরা বলে আসছি, যদি আইনে কাভার করে এবং আইনগতভাবে যদি কোনো ব্যত্যয় না ঘটে, তাহলে আমরা চাই, চিফ অ্যাডভাইজার
৬ ঘণ্টা আগে