স্কুইড গেম, যাঁরা অনলাইনে ধারাবাহিক দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে বেশ পরিচিত নাম। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যখন দক্ষিণ কোরিয়ার এই ডিসটোপিয়ান সারভাইবাল থ্রিলার টিভি সিরিজটি দর্শক প্রথম দেখে, তখন থেকেই একটা উন্মাদনা তৈরি হয়। সম্প্রতি এর দ্বিতীয় মৌসুম চলছে। যেখানে দেখা যায় মরণখেলায় অংশ নেওয়া খেলোয়াড়েরা...
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ৮ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সভায় বলেছেন, ‘মানুষ এরই মধ্যে বুঝেছে প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে ক্ষমতার কোনো লোভ নেই। আমি যতটুকু বুঝতে পারি ড. ইউনূস ভোটটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিয়ে চলে যেতে চান। কিন্তু কেউ কেউ দেখছি তাঁকে জোর করে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখতে...
প্রতিবছরের মতো এবারও ২ এপ্রিল পালিত হলো বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে গিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালনের যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল...
অনেক দিন ধরে আমি একটা বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি। আমার লেখায়, বিভিন্ন বক্তৃতায় এবং টক শোতে এই কথাটি বারবার বলেছি। পৃথিবীর অনেক দেশে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নেই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শিল্প-সাহিত্যের জন্য গড়ে ওঠা দলগুলোই করে থাকে। সরকার সেই দলগুলোকে আর্থিক সাহায্য দেয় মাত্র।
বাঙালি লোকসংস্কৃতির একটি অতিপরিচিত শব্দ হলো চড়ক। গ্রামবাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি লোক-উৎসব চড়ক পূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পালনীয় এই উৎসবটির নাম কীভাবে চড়ক হলো? আমরা কি জানি চড়ক শব্দের সাদৃশ্যে তৈরি হওয়া চড়কগাছ কি আসলে কোনো গাছ? আবার চড়কের বাদ্যি বলে আরেকটি শব্দ রয়েছে, এর অর্থ কী?
১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ নেয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, যেটি ইতিহাসে ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে শপথ...
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে প্রতিবছর পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণ-উৎসবের সূচনা করতেন। কিন্তু, মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের প্রতিবছরের অনুষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত থাকতেন। স্বাধীন বাংলাদেশের
ইসরায়েল যে অসংখ্য অপরাধের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছে, তার মধ্যে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা অন্যতম নৃশংস হিসেবে বিবেচিত। সময়ের পরিক্রমায় এই নিষ্পাপ শিশুদের হত্যার স্মৃতি মুছে যায়নি। এই তালিকায় রয়েছে ২০০০ সালে বাবার কোলে আশ্রয় নেওয়া ১২ বছর বয়সী মুহাম্মদ আল-দুররা এবং ২০২৪ সালে ৫ বছর বয়সী হিন্দ রজব
সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার যে নববর্ষের আগমন, তা রাঙিয়ে দিয়ে যাক প্রত্যেক মানুষের জীবন। বাংলা নববর্ষের উজ্জীবনী সুধায় স্নান করুক মানুষ। আশা ও আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নপূরণে সার্থক হোক পৃথিবী। গ্লানি, জ্বরা মুছে গিয়ে অগ্নিস্নানে ধরণিকে শুচি করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ...
বাংলা নববর্ষ বরণকে কেন্দ্র করে আমাদের নগরকেন্দ্রিক জীবনে উপচানো আবেগ-উচ্ছ্বাস উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই আবেগ-উচ্ছ্বাস জাতিগত পারস্পরিক সৌহার্দ্যের নয়, সমষ্টিগতও নয়, একান্তই আত্মকেন্দ্রিকতায় সীমাবদ্ধ।
আশেকা ইরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক চেয়ারপারসন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র জেন্ডার, ভূ-কৌশলগত ও আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে। ফিলিস্তিন পরিস্থিতিতে আরব বিশ্বের ভূমিকা...
রাজনীতি যদি মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক হয়, তবে তা শুধু ঢাকার পিচঢালা রাস্তায় নয়, প্রতিটি ইউনিয়নের মাটির পথে প্রতিফলিত হতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতি যেন একটি দূরবর্তী বিষয়—শুধু খবরের কাগজে থাকে, জীবনের ভেতরে তা প্রবেশ করে না।
গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাজাগানিয়া একটি খবর প্রচারিত হওয়ার পর দেশব্যাপী বেশ আলোচনা চলছে। ৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা...
সমগ্র বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন দেখছে। আমূল বদলে যাওয়ার স্বপ্ন। বাংলাদেশকে এই স্বপ্ন দেখাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে কেন্দ্র করেই স্বপ্নগুলো আবর্তিত হতে শুরু করেছে।
ভারতবর্ষে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সহাবস্থান করলেও ঔপনিবেশিক শাসন এবং ব্রিটিশদের বিভেদমূলক রাজনৈতিক কৌশলের কারণে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গভীর হয়ে ওঠে। তারই চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে ১৯৪৭ সালে, যখন উপমহাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান।
অনেক আগের একটা ঘটনা। সম্ভবত ১৯৮৪-৮৫ সালের দিকে হবে। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। গরিব পিতামাতার অনেক সন্তানের একজন আমি। আব্বা সংসার চালাতেই হিমশিম খেতেন, ছেলেকে নিয়মিত টাকা পাঠাবেন কী করে? তাই আমাকে টিউশনি করতে হতো। থাকতাম ফজলুল হক হলে। আর টিউশনি করতে হেঁটে হেঁটে যেতাম পুরান ঢাকায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই মনটা খারাপ। ইদানীং বেশি রকম ভালো থাকে না। কারণ বহুবিধ। সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণই উল্লেখযোগ্য। কাজের মূল্য চাইতে গেলে পুরোটা পাওয়া যায় না। বলা হয়, আর্থিক সংকট। অপেক্ষা করতে হবে। শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, গোটা দেশটাই অনেক দিন ধরে আর্থিক দৈন্যে দোল খাচ্ছে। এই দোলায় মাথা ধরে।