ঢাবি সংবাদদাতা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মীকে চিহ্নিত করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ হামলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী জড়িত থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে কমিটি।
সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপাচার্যের সভাকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের হাতে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিটি।
পাঁচ শতাধিক পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে শতাধিক ছাত্রলীগকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭০ জন শিক্ষকের বিপক্ষে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। বহিরাগত ছাত্রলীগ–যুবলীগ কর্মীদের হামলার অনেক প্রমাণ উঠে এসেছে। তবে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি। সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশের মতো হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে ১৫ জুলাইয়ের হামলা সুপরিকল্পিত ছিল বলে উঠে আসে। হামলার ব্যাপারে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই জানত বলে ধারণা করছেন কমিটির সদস্যরা।
তদন্তের ব্যাপারে অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণ জানান, তদন্তের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্দোষ কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। যাদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের নির্দোষ প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই।
মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জনসম্মুখে এভাবে হস্তান্তর এটিই প্রথম। এর আগে কোনো কমিটি এমনটি করতে পারেনি। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ৭৩টি খুন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি খুনের বিচার হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি ঠিকমতো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে তদন্ত কমিটিগুলোর সাফল্য না থাকায় শিক্ষার্থীরা তথ্য–উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে আশানুরূপ প্রমাণ হাতে আসেনি। এতে তুলনামূলক কমসংখ্যক হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। আনুমানিক হিসেবে ২৫ শতাংশ হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। তবে হামলায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই শনাক্ত হয়েছে।’
সত্যানুসন্ধান কমিটির এ আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘নারীদের ওপর হামলাকারী, আহতদের হামলাকারী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী—এ তিন ক্যাটাগরিতে হামলাকারীদের ভাগ করা হয়েছে। এ ছাড়া জড়িত যাদের ব্যাপারে সরাসরি হামলা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের এক ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। আবার যারা কেবল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল কিন্তু হামলা করেছে বলে প্রমাণ নেই তাদের এক ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।’
১৫ জুলাইয়ের হামলা সুপরিকল্পিত ছিল এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে আগেই অবগত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ হামলায় প্রশাসন কোনো বাধা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট দিয়ে হামলাকারীদের অনেকে প্রবেশ করেছে, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে বহিরাগত ছাত্রলীগের কর্মীরা গাড়ি পার্কিং করেছে। হল প্রশাসন এ সব জায়গায় বাধা দিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার সময়ে ক্যাম্পাসে নানা জায়গায় পুলিশও উপস্থিত ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমও নিষ্ক্রিয় ছিল।’
প্রতিবেদনে চিহ্নিত হামলাকারীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কমিটি সুপারিশ করেছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মাহফুজুল হক। এ পর্যন্ত হামলার ঘটনায় থানায় দুটি মামলায় অনেককে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এ মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত একটুও আগাতে পারেনি। আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী মামলা যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকেই হামলার দিন ক্যাম্পাসে ছিল না।’
তদন্ত কমিটির সদস্য উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইরের যারা তাদের চিহ্নিত করা হয়নি। তাদের ব্যাপারে সংগৃহীত তথ্য–উপাত্ত এবং প্রমাণগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছি। বহিরাগত এ হামলাকারীদের ব্যাপারে আমরা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের সুপারিশ করেছি। পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমাদের সংগৃহীত প্রমাণগুলো দেওয়া হবে। তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।’
তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘১৫ জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলা গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে কাজ করেছে। এ হামলার ধারাবাহিকতায় গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে আমরা যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছি। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তারা আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এ কাজ সম্পন্ন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কমিটির জমা দেওয়া এ প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার প্রেক্ষিতেই তদন্তে উঠে আসা সকল তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হবে।’
এর আগে গত বছরের গত ৮ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার সত্যানুসন্ধান করে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণকে প্রধান করে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়াকে সদস্য করা হয়। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) শেখ আইয়ুব আলীকে কমিটির সচিব পদে রাখা হয়।
সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা জানান, অনলাইন এবং অফলাইনে সহিংসতায় আক্রান্ত, আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ গ্রহণ করেছেন তাঁরা। অভিযোগের সমর্থনে ভিডিও, ছবি এবং প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টও সংগ্রহ করেছে। কমিটি বিভিন্ন দেশি–বিদেশি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া এ কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যও গ্রহণ করেছে। সবকিছুর সমন্বয়ে এ তদন্ত সম্পন্ন করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা করে। এতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়। অনেক নারী শিক্ষার্থীকেও আহত করা হয়। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও হামলা করা হয়। ১৬ ও ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ১৭ জুলাই বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মীকে চিহ্নিত করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ হামলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী জড়িত থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে কমিটি।
সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপাচার্যের সভাকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের হাতে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিটি।
পাঁচ শতাধিক পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে শতাধিক ছাত্রলীগকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭০ জন শিক্ষকের বিপক্ষে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। বহিরাগত ছাত্রলীগ–যুবলীগ কর্মীদের হামলার অনেক প্রমাণ উঠে এসেছে। তবে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি। সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশের মতো হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে ১৫ জুলাইয়ের হামলা সুপরিকল্পিত ছিল বলে উঠে আসে। হামলার ব্যাপারে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই জানত বলে ধারণা করছেন কমিটির সদস্যরা।
তদন্তের ব্যাপারে অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণ জানান, তদন্তের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্দোষ কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। যাদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের নির্দোষ প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই।
মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জনসম্মুখে এভাবে হস্তান্তর এটিই প্রথম। এর আগে কোনো কমিটি এমনটি করতে পারেনি। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ৭৩টি খুন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি খুনের বিচার হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি ঠিকমতো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে তদন্ত কমিটিগুলোর সাফল্য না থাকায় শিক্ষার্থীরা তথ্য–উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে আশানুরূপ প্রমাণ হাতে আসেনি। এতে তুলনামূলক কমসংখ্যক হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। আনুমানিক হিসেবে ২৫ শতাংশ হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। তবে হামলায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই শনাক্ত হয়েছে।’
সত্যানুসন্ধান কমিটির এ আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘নারীদের ওপর হামলাকারী, আহতদের হামলাকারী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী—এ তিন ক্যাটাগরিতে হামলাকারীদের ভাগ করা হয়েছে। এ ছাড়া জড়িত যাদের ব্যাপারে সরাসরি হামলা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের এক ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। আবার যারা কেবল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল কিন্তু হামলা করেছে বলে প্রমাণ নেই তাদের এক ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।’
১৫ জুলাইয়ের হামলা সুপরিকল্পিত ছিল এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে আগেই অবগত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ হামলায় প্রশাসন কোনো বাধা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট দিয়ে হামলাকারীদের অনেকে প্রবেশ করেছে, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে বহিরাগত ছাত্রলীগের কর্মীরা গাড়ি পার্কিং করেছে। হল প্রশাসন এ সব জায়গায় বাধা দিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার সময়ে ক্যাম্পাসে নানা জায়গায় পুলিশও উপস্থিত ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমও নিষ্ক্রিয় ছিল।’
প্রতিবেদনে চিহ্নিত হামলাকারীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কমিটি সুপারিশ করেছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মাহফুজুল হক। এ পর্যন্ত হামলার ঘটনায় থানায় দুটি মামলায় অনেককে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এ মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত একটুও আগাতে পারেনি। আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী মামলা যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকেই হামলার দিন ক্যাম্পাসে ছিল না।’
তদন্ত কমিটির সদস্য উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইরের যারা তাদের চিহ্নিত করা হয়নি। তাদের ব্যাপারে সংগৃহীত তথ্য–উপাত্ত এবং প্রমাণগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছি। বহিরাগত এ হামলাকারীদের ব্যাপারে আমরা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের সুপারিশ করেছি। পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমাদের সংগৃহীত প্রমাণগুলো দেওয়া হবে। তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।’
তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘১৫ জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলা গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে কাজ করেছে। এ হামলার ধারাবাহিকতায় গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে আমরা যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছি। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তারা আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এ কাজ সম্পন্ন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কমিটির জমা দেওয়া এ প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার প্রেক্ষিতেই তদন্তে উঠে আসা সকল তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হবে।’
এর আগে গত বছরের গত ৮ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার সত্যানুসন্ধান করে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণকে প্রধান করে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়াকে সদস্য করা হয়। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) শেখ আইয়ুব আলীকে কমিটির সচিব পদে রাখা হয়।
সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা জানান, অনলাইন এবং অফলাইনে সহিংসতায় আক্রান্ত, আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ গ্রহণ করেছেন তাঁরা। অভিযোগের সমর্থনে ভিডিও, ছবি এবং প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টও সংগ্রহ করেছে। কমিটি বিভিন্ন দেশি–বিদেশি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া এ কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যও গ্রহণ করেছে। সবকিছুর সমন্বয়ে এ তদন্ত সম্পন্ন করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা করে। এতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়। অনেক নারী শিক্ষার্থীকেও আহত করা হয়। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও হামলা করা হয়। ১৬ ও ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ১৭ জুলাই বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
ঢাবি সংবাদদাতা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মীকে চিহ্নিত করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ হামলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী জড়িত থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে কমিটি।
সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপাচার্যের সভাকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের হাতে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিটি।
পাঁচ শতাধিক পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে শতাধিক ছাত্রলীগকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭০ জন শিক্ষকের বিপক্ষে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। বহিরাগত ছাত্রলীগ–যুবলীগ কর্মীদের হামলার অনেক প্রমাণ উঠে এসেছে। তবে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি। সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশের মতো হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে ১৫ জুলাইয়ের হামলা সুপরিকল্পিত ছিল বলে উঠে আসে। হামলার ব্যাপারে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই জানত বলে ধারণা করছেন কমিটির সদস্যরা।
তদন্তের ব্যাপারে অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণ জানান, তদন্তের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্দোষ কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। যাদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের নির্দোষ প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই।
মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জনসম্মুখে এভাবে হস্তান্তর এটিই প্রথম। এর আগে কোনো কমিটি এমনটি করতে পারেনি। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ৭৩টি খুন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি খুনের বিচার হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি ঠিকমতো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে তদন্ত কমিটিগুলোর সাফল্য না থাকায় শিক্ষার্থীরা তথ্য–উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে আশানুরূপ প্রমাণ হাতে আসেনি। এতে তুলনামূলক কমসংখ্যক হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। আনুমানিক হিসেবে ২৫ শতাংশ হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। তবে হামলায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই শনাক্ত হয়েছে।’
সত্যানুসন্ধান কমিটির এ আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘নারীদের ওপর হামলাকারী, আহতদের হামলাকারী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী—এ তিন ক্যাটাগরিতে হামলাকারীদের ভাগ করা হয়েছে। এ ছাড়া জড়িত যাদের ব্যাপারে সরাসরি হামলা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের এক ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। আবার যারা কেবল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল কিন্তু হামলা করেছে বলে প্রমাণ নেই তাদের এক ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।’
১৫ জুলাইয়ের হামলা সুপরিকল্পিত ছিল এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে আগেই অবগত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ হামলায় প্রশাসন কোনো বাধা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট দিয়ে হামলাকারীদের অনেকে প্রবেশ করেছে, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে বহিরাগত ছাত্রলীগের কর্মীরা গাড়ি পার্কিং করেছে। হল প্রশাসন এ সব জায়গায় বাধা দিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার সময়ে ক্যাম্পাসে নানা জায়গায় পুলিশও উপস্থিত ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমও নিষ্ক্রিয় ছিল।’
প্রতিবেদনে চিহ্নিত হামলাকারীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কমিটি সুপারিশ করেছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মাহফুজুল হক। এ পর্যন্ত হামলার ঘটনায় থানায় দুটি মামলায় অনেককে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এ মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত একটুও আগাতে পারেনি। আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী মামলা যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকেই হামলার দিন ক্যাম্পাসে ছিল না।’
তদন্ত কমিটির সদস্য উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইরের যারা তাদের চিহ্নিত করা হয়নি। তাদের ব্যাপারে সংগৃহীত তথ্য–উপাত্ত এবং প্রমাণগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছি। বহিরাগত এ হামলাকারীদের ব্যাপারে আমরা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের সুপারিশ করেছি। পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমাদের সংগৃহীত প্রমাণগুলো দেওয়া হবে। তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।’
তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘১৫ জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলা গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে কাজ করেছে। এ হামলার ধারাবাহিকতায় গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে আমরা যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছি। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তারা আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এ কাজ সম্পন্ন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কমিটির জমা দেওয়া এ প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার প্রেক্ষিতেই তদন্তে উঠে আসা সকল তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হবে।’
এর আগে গত বছরের গত ৮ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার সত্যানুসন্ধান করে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণকে প্রধান করে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়াকে সদস্য করা হয়। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) শেখ আইয়ুব আলীকে কমিটির সচিব পদে রাখা হয়।
সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা জানান, অনলাইন এবং অফলাইনে সহিংসতায় আক্রান্ত, আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ গ্রহণ করেছেন তাঁরা। অভিযোগের সমর্থনে ভিডিও, ছবি এবং প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টও সংগ্রহ করেছে। কমিটি বিভিন্ন দেশি–বিদেশি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া এ কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যও গ্রহণ করেছে। সবকিছুর সমন্বয়ে এ তদন্ত সম্পন্ন করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা করে। এতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়। অনেক নারী শিক্ষার্থীকেও আহত করা হয়। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও হামলা করা হয়। ১৬ ও ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ১৭ জুলাই বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মীকে চিহ্নিত করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ হামলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী জড়িত থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানিয়েছে কমিটি।
সত্যানুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণ প্রতিবেদন হস্তান্তরের সময় এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপাচার্যের সভাকক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের হাতে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিটি।
পাঁচ শতাধিক পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে শতাধিক ছাত্রলীগকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭০ জন শিক্ষকের বিপক্ষে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। বহিরাগত ছাত্রলীগ–যুবলীগ কর্মীদের হামলার অনেক প্রমাণ উঠে এসেছে। তবে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি। সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশের মতো হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে ১৫ জুলাইয়ের হামলা সুপরিকল্পিত ছিল বলে উঠে আসে। হামলার ব্যাপারে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই জানত বলে ধারণা করছেন কমিটির সদস্যরা।
তদন্তের ব্যাপারে অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণ জানান, তদন্তের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্দোষ কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। যাদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের নির্দোষ প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই।
মাহফুজুল হক সুপণ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কোনো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জনসম্মুখে এভাবে হস্তান্তর এটিই প্রথম। এর আগে কোনো কমিটি এমনটি করতে পারেনি। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ৭৩টি খুন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি খুনের বিচার হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি ঠিকমতো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে তদন্ত কমিটিগুলোর সাফল্য না থাকায় শিক্ষার্থীরা তথ্য–উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে আশানুরূপ প্রমাণ হাতে আসেনি। এতে তুলনামূলক কমসংখ্যক হামলাকারীকে শনাক্ত করা গেছে। আনুমানিক হিসেবে ২৫ শতাংশ হামলাকারী চিহ্নিত হয়েছে। তবে হামলায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই শনাক্ত হয়েছে।’
সত্যানুসন্ধান কমিটির এ আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘নারীদের ওপর হামলাকারী, আহতদের হামলাকারী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী—এ তিন ক্যাটাগরিতে হামলাকারীদের ভাগ করা হয়েছে। এ ছাড়া জড়িত যাদের ব্যাপারে সরাসরি হামলা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের এক ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। আবার যারা কেবল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের সঙ্গে ছিল কিন্তু হামলা করেছে বলে প্রমাণ নেই তাদের এক ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।’
১৫ জুলাইয়ের হামলা সুপরিকল্পিত ছিল এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে আগেই অবগত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ হামলায় প্রশাসন কোনো বাধা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট দিয়ে হামলাকারীদের অনেকে প্রবেশ করেছে, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে বহিরাগত ছাত্রলীগের কর্মীরা গাড়ি পার্কিং করেছে। হল প্রশাসন এ সব জায়গায় বাধা দিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার সময়ে ক্যাম্পাসে নানা জায়গায় পুলিশও উপস্থিত ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমও নিষ্ক্রিয় ছিল।’
প্রতিবেদনে চিহ্নিত হামলাকারীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কমিটি সুপারিশ করেছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মাহফুজুল হক। এ পর্যন্ত হামলার ঘটনায় থানায় দুটি মামলায় অনেককে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পুলিশ এ মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত একটুও আগাতে পারেনি। আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী মামলা যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকেই হামলার দিন ক্যাম্পাসে ছিল না।’
তদন্ত কমিটির সদস্য উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাইরের যারা তাদের চিহ্নিত করা হয়নি। তাদের ব্যাপারে সংগৃহীত তথ্য–উপাত্ত এবং প্রমাণগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছি। বহিরাগত এ হামলাকারীদের ব্যাপারে আমরা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের সুপারিশ করেছি। পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমাদের সংগৃহীত প্রমাণগুলো দেওয়া হবে। তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিবে।’
তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘১৫ জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলা গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে কাজ করেছে। এ হামলার ধারাবাহিকতায় গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে আমরা যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছি। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তারা আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এ কাজ সম্পন্ন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কমিটির জমা দেওয়া এ প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার প্রেক্ষিতেই তদন্তে উঠে আসা সকল তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হবে।’
এর আগে গত বছরের গত ৮ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার সত্যানুসন্ধান করে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুল হক সুপণকে প্রধান করে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিয়া নেওয়াজ রিমি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়াকে সদস্য করা হয়। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) শেখ আইয়ুব আলীকে কমিটির সচিব পদে রাখা হয়।
সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্যরা জানান, অনলাইন এবং অফলাইনে সহিংসতায় আক্রান্ত, আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ গ্রহণ করেছেন তাঁরা। অভিযোগের সমর্থনে ভিডিও, ছবি এবং প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টও সংগ্রহ করেছে। কমিটি বিভিন্ন দেশি–বিদেশি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ছাড়া এ কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যও গ্রহণ করেছে। সবকিছুর সমন্বয়ে এ তদন্ত সম্পন্ন করেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা করে। এতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়। অনেক নারী শিক্ষার্থীকেও আহত করা হয়। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও হামলা করা হয়। ১৬ ও ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ১৭ জুলাই বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
২৬ মিনিট আগেঅধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৭ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি। আর ভোটের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হবে।
এ ছাড়া বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রক্রিয়ায় না রাখা এবং দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার কথাও কমিশনকে বলেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছে। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব জমা দেইনি। আলোচনার টকিং পয়েন্ট হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।’ যদিও বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লিখিতভাবে ৩৬ দফা প্রস্তাব সামনে রেখে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল।
সূত্র জানায়, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তফসিল ঘোষণার আগে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের এবারের ভোটের প্রক্রিয়ায় রাখা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
আর ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনাসহ দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান থেকে যেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া হয়।
ভোটে অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এখনই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে এই সরকারের ও ইসির দৃঢ় ভূমিকা চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ইসির কর্মকর্তাদের নিয়োগ; নির্বাচনকালীন সব প্রক্রিয়ায় জড়িত বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব কর্মকর্তার বদলি, পদায়ন, অবস্থান, দায়িত্ব ও তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ইসির এখতিয়ারে নেওয়া; নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনকে জনগণের কাছে দৃশ্যমান বিশ্বাসযোগ্য করতে বিচার বিভাগীয় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি ইসি কর্মকর্তাদেরও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া; ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষের কার্যক্রম ছাড়া ভোটকেন্দ্রের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ দৃশ্য বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ রাখতে সিসি ক্যামেরা রাখা; প্রতি জেলা, উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ নিরসন কেন্দ্র চালুর দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে বা যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করে অভিযোগকারীকে লিখিতভাবে জানানো; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠনের নির্দেশনা স্থগিত করা; গণ-অভ্যুত্থান ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে করা মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা তফসিল ঘোষণার আগেই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তফসিল ঘোষণার আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় দেওয়া সব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা দেওয়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
এ ছাড়া নির্বাচনে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়—এমন অপপ্রচার রোধ; ভোটারদের প্রভাবিত করে এমন ধর্মীয় প্রলোভন বা ধর্মীয় দণ্ড দেওয়ার ভীতি প্রদর্শন রোধ; যতদূর সম্ভব কমসংখ্যক ভোটার নিয়ে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ; নির্বাচনী আইন ও বিধি পালনে গাফিলতি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে বিএনপি।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচন হয়েছিল প্রহসনের নির্বাচন। কাদের দ্বারা হয়েছিল? যারা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেছিল, তাদের কারণে হয়েছিল।
১৫ বছর যাদের চরিত্র হনন করেছিল আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী, তারা ১৫ মাসে শোধিত হয়ে যাবে এতটা আশা করা বাস্তবতা নয়—এ মন্তব্য করে মঈন খান আরও বলেন, ‘কাজেই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে। বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধরা যেন আগামী নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কোনোভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে, কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে। এটা ছিল আমাদের আলোচনার একটি মূল বিষয়।’
বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তবে বিএনপির দাবির বিষয়গুলো নিয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হতে পারে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি। আর ভোটের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হবে।
এ ছাড়া বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের আগামী নির্বাচনে ভোটের প্রক্রিয়ায় না রাখা এবং দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার কথাও কমিশনকে বলেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছে। দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব জমা দেইনি। আলোচনার টকিং পয়েন্ট হিসেবে বেশ কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।’ যদিও বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লিখিতভাবে ৩৬ দফা প্রস্তাব সামনে রেখে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল।
সূত্র জানায়, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তফসিল ঘোষণার আগে স্বৈরাচারী সরকারের আমলে হওয়া মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত ব্যক্তিদের এবারের ভোটের প্রক্রিয়ায় রাখা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
আর ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনাসহ দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান থেকে যেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়া হয়।
ভোটে অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এখনই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে এই সরকারের ও ইসির দৃঢ় ভূমিকা চেয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ইসির কর্মকর্তাদের নিয়োগ; নির্বাচনকালীন সব প্রক্রিয়ায় জড়িত বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব কর্মকর্তার বদলি, পদায়ন, অবস্থান, দায়িত্ব ও তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ইসির এখতিয়ারে নেওয়া; নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনকে জনগণের কাছে দৃশ্যমান বিশ্বাসযোগ্য করতে বিচার বিভাগীয় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি ইসি কর্মকর্তাদেরও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া; ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষের কার্যক্রম ছাড়া ভোটকেন্দ্রের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ দৃশ্য বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ রাখতে সিসি ক্যামেরা রাখা; প্রতি জেলা, উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ নিরসন কেন্দ্র চালুর দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে বা যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করে অভিযোগকারীকে লিখিতভাবে জানানো; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি গঠনের নির্দেশনা স্থগিত করা; গণ-অভ্যুত্থান ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে করা মিথ্যা, বানোয়াট ও গায়েবি মামলা তফসিল ঘোষণার আগেই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তফসিল ঘোষণার আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় দেওয়া সব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা দেওয়া নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
এ ছাড়া নির্বাচনে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়—এমন অপপ্রচার রোধ; ভোটারদের প্রভাবিত করে এমন ধর্মীয় প্রলোভন বা ধর্মীয় দণ্ড দেওয়ার ভীতি প্রদর্শন রোধ; যতদূর সম্ভব কমসংখ্যক ভোটার নিয়ে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ; নির্বাচনী আইন ও বিধি পালনে গাফিলতি করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে বিএনপি।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচন হয়েছিল প্রহসনের নির্বাচন। কাদের দ্বারা হয়েছিল? যারা সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেছিল, তাদের কারণে হয়েছিল।
১৫ বছর যাদের চরিত্র হনন করেছিল আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী, তারা ১৫ মাসে শোধিত হয়ে যাবে এতটা আশা করা বাস্তবতা নয়—এ মন্তব্য করে মঈন খান আরও বলেন, ‘কাজেই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকতে হবে। বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধরা যেন আগামী নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কোনোভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে, কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে। এটা ছিল আমাদের আলোচনার একটি মূল বিষয়।’
বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তবে বিএনপির দাবির বিষয়গুলো নিয়ে কমিশন সভায় আলোচনা হতে পারে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা–কর্মীকে চিহ্নিত করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ হামলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী জড়িত থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের...
১৪ মার্চ ২০২৫অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৭ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা–কর্মীকে চিহ্নিত করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ হামলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী জড়িত থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের...
১৪ মার্চ ২০২৫আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
২৬ মিনিট আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৭ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা–কর্মীকে চিহ্নিত করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ হামলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী জড়িত থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের...
১৪ মার্চ ২০২৫আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
২৬ মিনিট আগেঅধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা–কর্মীকে চিহ্নিত করেছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’। চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে ১২২ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ হামলায় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী জড়িত থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের...
১৪ মার্চ ২০২৫আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার আগে-পরে করণীয় ৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ আমলে হওয়া ‘মিথ্যা ও গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহার এবং মাঠপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।
২৬ মিনিট আগেঅধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৭ ঘণ্টা আগে