টোল চুক্তিতে অনিয়ম
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের কার্যাদেশে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিদের মধ্যে আরও পাঁচজন সাবেক মন্ত্রী রয়েছেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ গতকাল রোববার এই মামলা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী (অর্থ ও পরিকল্পনা) এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল ও ইবনে আলম হাসান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আফতাব হোসেন খান ও মো. আব্দুস সালাম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেডের (সিএনএস লিমিটেড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী এবং পরিচালক ইকরাম ইকবাল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেডকে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়কারী হিসেবে নিয়োগ দিতে আগের দরপত্র ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল’ করে নিয়মবহির্ভূতভাবে একক উৎসভিত্তিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরে সিএনএস লিমিটেডের সঙ্গে ৫ বছরের জন্য টোল আদায়ের চুক্তি করা হয়। এতে সার্ভিস চার্জের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ ঠিক না করে হার বেঁধে দেওয়া হয়। এই হার ছিল আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ (ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত)।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় সিএনএস লিমিটেড মোট ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল নিয়েছে। অন্যদিকে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একই সেতুর টোল আদায়ের জন্য এমবিইএল-এটিটি যৌথভাবে মাত্র ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় কাজ করে। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় (ভ্যাট, আয়করসহ) কার্যাদেশ দেওয়া হয়, যা পাঁচ বছরে দাঁড়ায় প্রায় ১১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
দুদকের অনুসন্ধান সূত্র বলছে, সিএনএস লিমিটেড নতুন প্রযুক্তি স্থাপন ও অবকাঠামো ব্যয় বাবদ আরও ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দাবি করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যাদেশ দেওয়ায় সরকারের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯০ টাকা।
অভিযোগে বলা হয়, সিএনএস লিমিটেডের পরিচালক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা পরস্পর যোগসাজশে এ অনিয়ম করেছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের কার্যাদেশে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিদের মধ্যে আরও পাঁচজন সাবেক মন্ত্রী রয়েছেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ গতকাল রোববার এই মামলা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী (অর্থ ও পরিকল্পনা) এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল ও ইবনে আলম হাসান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আফতাব হোসেন খান ও মো. আব্দুস সালাম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেডের (সিএনএস লিমিটেড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী এবং পরিচালক ইকরাম ইকবাল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেডকে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়কারী হিসেবে নিয়োগ দিতে আগের দরপত্র ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল’ করে নিয়মবহির্ভূতভাবে একক উৎসভিত্তিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরে সিএনএস লিমিটেডের সঙ্গে ৫ বছরের জন্য টোল আদায়ের চুক্তি করা হয়। এতে সার্ভিস চার্জের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ ঠিক না করে হার বেঁধে দেওয়া হয়। এই হার ছিল আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ (ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত)।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় সিএনএস লিমিটেড মোট ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল নিয়েছে। অন্যদিকে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একই সেতুর টোল আদায়ের জন্য এমবিইএল-এটিটি যৌথভাবে মাত্র ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় কাজ করে। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে ৬৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় (ভ্যাট, আয়করসহ) কার্যাদেশ দেওয়া হয়, যা পাঁচ বছরে দাঁড়ায় প্রায় ১১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
দুদকের অনুসন্ধান সূত্র বলছে, সিএনএস লিমিটেড নতুন প্রযুক্তি স্থাপন ও অবকাঠামো ব্যয় বাবদ আরও ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা দাবি করে। ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যাদেশ দেওয়ায় সরকারের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০৯ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৯০ টাকা।
অভিযোগে বলা হয়, সিএনএস লিমিটেডের পরিচালক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা পরস্পর যোগসাজশে এ অনিয়ম করেছেন।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
১১ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
১১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
১১ ঘণ্টা আগে