নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু সহিষ্ণুতায় সক্ষম করে তোলা এবং তাঁদের সম্পৃক্ত করে দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
তাঁরা বলেন, গত আগস্টের বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সহায়তায় তরুণ শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনসাধারণ এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা ছিল অভাবনীয়। তবে বর্তমানে কুমিল্লা ও নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দূর করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি।
এই সমস্যাকে একটি দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে উপদেষ্টা জানান, বেকারত্বের হার ৫০ শতাংশের বেশি, এমন ৭৫টি উপজেলায় ৭৫ হাজার পরিবারকে ৩ বছর মেয়াদে মাসিক ১ হাজার টাকা খাদ্য সহায়তা এবং ২ হাজার টাকা জীবিকা সহায়তা দেওয়ার কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই খাতে খরচ হবে মোট ৮১৯ কোটি টাকা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত ‘বন্যা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় করণীয় বিষয়ক বহুপক্ষীয় আলোচনা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারী বৃষ্টিপাত এবং পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা অঞ্চল থেকে আসা উজানের পানি প্রবাহের কারণে আগস্ট মাসে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়। এই বন্যায় ১১টি জেলায় ৫৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ৭৮ হাজার ৩৬২ জন গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী নারী, ৭২ হাজার ৪৬৭ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, ২০ লাখ ৩৬ হাজার শিশু এবং ৪৭ হাজার বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন। মারা গেছেন ৭১ জন। এ ছাড়া বন্যায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৫টি বাড়ি, ১৫ হাজার ৫১১ কিলোমিটার রাস্তা, ৩ লাখ ২১ হাজার ৮৮৮টি পানির উৎস, ৫ লাখ ২৮ হাজার ১৩৯টি ল্যাট্রিন এবং ২ হাজার ৮১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক, ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে এসেছে, তার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি খাত, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা উল্লেখযোগ্য। এই বন্যায় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতির একটি অন্যতম কারণ। যেকোনো দুর্যোগে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাটি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। বন্যায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের এনজিওগুলো কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে, সেগুলোও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আমাদের এখন তিনটি বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, সমন্বয়—তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে যেন সবাই সহায়তা পায়। দ্বিতীয়ত, অর্থ বরাদ্দ—রাস্তা মেরামত ও পুনর্নির্মাণ, বাঁধ মেরামত এবং জলাবদ্ধতা দূর করতে আরও অর্থ প্রয়োজন। তৃতীয়ত, কৃষককে নগদ সহায়তা দিতে হবে এবং এই কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে যেন আসছে শীতে বোরো ধান ও সবজি চাষে কোনো সমস্যা না হয়।
এনজিও–বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, বন্যা মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনজিও ব্যুরোর পক্ষ থেকে সব ধরনের অনুমোদন দেওয়ার কাজগুলো করা হয়েছে। এমনকি তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় এনজিওর ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, যেসব জেলায় সরকারের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ জনবল দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব ছিল না, সেখানে এনজিওরা জনবল দিয়ে সহায়তা করেছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু সহিষ্ণুতায় সক্ষম করে তোলা এবং তাঁদের সম্পৃক্ত করে দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
তাঁরা বলেন, গত আগস্টের বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সহায়তায় তরুণ শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনসাধারণ এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা ছিল অভাবনীয়। তবে বর্তমানে কুমিল্লা ও নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দূর করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি।
এই সমস্যাকে একটি দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে উপদেষ্টা জানান, বেকারত্বের হার ৫০ শতাংশের বেশি, এমন ৭৫টি উপজেলায় ৭৫ হাজার পরিবারকে ৩ বছর মেয়াদে মাসিক ১ হাজার টাকা খাদ্য সহায়তা এবং ২ হাজার টাকা জীবিকা সহায়তা দেওয়ার কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই খাতে খরচ হবে মোট ৮১৯ কোটি টাকা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত ‘বন্যা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় করণীয় বিষয়ক বহুপক্ষীয় আলোচনা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারী বৃষ্টিপাত এবং পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা অঞ্চল থেকে আসা উজানের পানি প্রবাহের কারণে আগস্ট মাসে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়। এই বন্যায় ১১টি জেলায় ৫৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ৭৮ হাজার ৩৬২ জন গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী নারী, ৭২ হাজার ৪৬৭ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, ২০ লাখ ৩৬ হাজার শিশু এবং ৪৭ হাজার বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন। মারা গেছেন ৭১ জন। এ ছাড়া বন্যায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৫টি বাড়ি, ১৫ হাজার ৫১১ কিলোমিটার রাস্তা, ৩ লাখ ২১ হাজার ৮৮৮টি পানির উৎস, ৫ লাখ ২৮ হাজার ১৩৯টি ল্যাট্রিন এবং ২ হাজার ৮১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক, ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে এসেছে, তার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি খাত, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা উল্লেখযোগ্য। এই বন্যায় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতির একটি অন্যতম কারণ। যেকোনো দুর্যোগে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাটি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। বন্যায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের এনজিওগুলো কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে, সেগুলোও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আমাদের এখন তিনটি বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, সমন্বয়—তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে যেন সবাই সহায়তা পায়। দ্বিতীয়ত, অর্থ বরাদ্দ—রাস্তা মেরামত ও পুনর্নির্মাণ, বাঁধ মেরামত এবং জলাবদ্ধতা দূর করতে আরও অর্থ প্রয়োজন। তৃতীয়ত, কৃষককে নগদ সহায়তা দিতে হবে এবং এই কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে যেন আসছে শীতে বোরো ধান ও সবজি চাষে কোনো সমস্যা না হয়।
এনজিও–বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, বন্যা মোকাবিলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনজিও ব্যুরোর পক্ষ থেকে সব ধরনের অনুমোদন দেওয়ার কাজগুলো করা হয়েছে। এমনকি তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় এনজিওর ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, যেসব জেলায় সরকারের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ জনবল দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব ছিল না, সেখানে এনজিওরা জনবল দিয়ে সহায়তা করেছে।
মজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
২ ঘণ্টা আগেচাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পরপর দুই দিন সড়ক অবরোধ করেছেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত এসব পুলিশ সদস্যের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য ডিআইজি পদ
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাধারণ নারী কর্মীদের আপাতত মালয়েশিয়া না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানায়।
৩ ঘণ্টা আগেচলতি মাস (ফেব্রুয়ারি) জুড়ে আওয়ামী লীগ হরতাল-অবরোধসহ যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে শঙ্কার কোনো কারণ দেখছেন না ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ‘এটা বিশ্ব মিডিয়ার যুগ। এক মিনিটের ভেতরে এই ঢাকা শহরের খবর ব্রাজিল চলে যাচ্ছে। এমনকি যদি টাওয়ার থাকে, ব্রাজিলের আমাজন...
৩ ঘণ্টা আগে