Ajker Patrika

সমস্যা মনে হলে র‍্যাবকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দিন: যুক্তরাষ্ট্রকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‍্যাব) যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কীভাবে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় সেটি তারাই র‍্যাবকে শিখিয়েছে। এখন যদি সেটি সমস্যা মনে হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনীটি এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। 

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে র‍্যাবকে নিষিদ্ধ করার জন্য আবেদন বিষয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমাদের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান তাদের বিদেশে বন্ধু কিংবা তাদের লবিস্ট অনেক দিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেসব অপপ্রচারের কারণে ১২টি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান র‍্যাবকে নিষিদ্ধ করার জন্য গত নভেম্বর মাসে জাতিসংঘে একটি চিঠি দিয়েছে। জাতিসংঘ এটা নিয়ে কিছু করে নাই। চিঠি পেয়েছে, রেখে দিয়েছে। শিকার করেছে যে, তারা চিঠি পেয়েছে। আমরা দেখি এটা নিয়ে কী করা যায়।’ 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হলেই যে খুব ভালো প্রতিষ্ঠান, তা নয়। একটি প্রতিষ্ঠান বলেছে, বাংলাদেশে র‍্যাবে বহু লোক মেরে ফেলেছে, অমুক তমুক। তারা একসময় বলেছিল, ইরাকে নিষিদ্ধ অস্ত্র রয়েছে। এটা বলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করেছে, সত্যি সত্যি আছে…পরের ঘটনা আপনারা জানেন।’ 

আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বলব, তারা আগের কথা স্মরণ করুক। একটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে তাদের ভুল পথে নিয়েছে। যার কারণে তাদের সেক্রেটারি অব স্টেটকে সরি বলতে হয়েছে।’ 

র‍্যাবের দক্ষতা ও সততার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র‍্যাব অত্যন্ত পারদর্শীভাবে ও সততার সঙ্গে কাজ করছে। এ জন্য বাংলাদেশে সবার কাছে র‍্যাব গ্রহণযোগ্য। আমাদেরও কাজ করার আছে। যদি কোথাও আইনের ব্যত্যয় হয় অবশ্যই আমরা সেখানে অ্যাকশন নেব। এরই মধ্যে দু’একটা কেসে র‍্যাবকে অ্যাবিউজড করা হয়েছে, তাদের শাস্তি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা আপনারা জানেন। এরা কীভাবে অ্যাকশন নেবে এগুলো আমেরিকানরা শিখিয়েছে। তাদের এই রুলস অব এনগেজমেন্টে যদি অসুবিধে থাকে, আমরা আমেরিকানদের বলব, তোমরা এদের ফ্রেশ ট্রেইনিং দাও, যাতে কোনো ধরনের ব্যত্যয় না ঘটে।’ 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ যখন শান্তিরক্ষী নেয়, যাচাই-বাছাই করেই নেয়। সুতরাং এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত