
বারহাট্টা (নেত্রকোনা): বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণের আজ ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালে ২১ জুন (৭ আষাঢ়) তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা এবং বর্তমান নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে জন্ম তাঁর। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারী, প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা— এ তিন বিষয় নিয়েই মূলত নির্মলেন্দু গুণের কবিতা। আবেগী ভাষা, সহজ গাঁথুনি ও পরিচিত শব্দগুলোর নান্দনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে তাঁর কবিতা সব শ্রেণির পাঠকের কাছে সমাদৃত।
তিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে সবার কাছে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী। তাঁর বাবা সুখেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী ও মা বীণাপাণি। কবি মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারান। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলে নতুন মা চারুবালার কাছেই লেখাপড়ায় হাতেখড়ি হয় তাঁর। তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম বারহাট্টা স্কুলে ভর্তি হন। বর্তমান বারহাট্টা সিকেপি সরকারি পাইলট হাই স্কুল (তখন সিকেপি পাইলট হাই স্কুল ছিল) অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় কবি প্রতিভার বিকাশ শুরু হয়।
১৯৬২ সালে দুই বিষয়ে লেটারসহ মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পান তিনি। তখন বাবা তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, ‘কৃষ্ণ কৃপাহি কেবলম’। এরপর কবি আইএসসি পড়তে চলে আসেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে। পরে বাবার অনুরোধে ভর্তি হন নেত্রকোনা কলেজে। ১৯৬৪ সালে আইএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ১১৯ জন প্রথম বিভাগ অর্জনকারীর মধ্যে নেত্রকোনা কলেজের একমাত্র তিনিই ছিলেন। পরে তিনি চান্স পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে। কিন্তু ভর্তির প্রস্তুতিকালে হঠাৎ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা শুরু হলে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। পরে ঢাকার অবস্থার উন্নতি হলেও তিনি ফিরে এসে আর ভর্তি হতে পারেননি। আবারও ফিরে আসেন গ্রামে।
১৯৬৯ সালে প্রাইভেটে বিএ পাস করেন নির্মলেন্দু গুণ। ১৯৬৫ সালে বুয়েটে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভর্তি হওয়া হয়নি। কবির প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় মেট্রিক পরীক্ষার আগে। নেত্রকোনা থেকে প্রকাশিত ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কবিতা ‘নতুন কাণ্ডারী’। ১৯৬৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ‘সাপ্তাহিক জনতা’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কোন এক সংগ্রামীর দৃষ্টিতে’। নিজের সম্পাদনায় বের করেন ‘সূর্য ফসল’ সংকলন। কাজ করেন আব্দুল্লাহ্ আবু সায়ীদের ‘কণ্ঠস্বর’ পত্রিকায়। ৬ দফা আন্দোলন শুরু হলে কবি বঙ্গবন্ধুকে একটি কবিতা উৎসর্গ করেন। পরে সেটি ‘সংবাদ’ পত্রিকায় ছাপা হয়। পরে কবি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সহপাঠী হিসেবে পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে। ১৯৬৭ সালে কবি শামসুর রাহমান, কবি আল মাহমুদ, কবি সিকান্দার আবু জাফর প্রমুখ বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবিদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৬৮ সালের ২৯ জুলাই হোটেল পূর্বাণীতে তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে সুযোগ পান তিনি। পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার পায় এ কবিতা পাঠের আসর। এ সুযোগ তাঁকে পাঠক ও কবি মহলে পরিচিতি এনে দেয়। ঊনসত্তুরের প্রথম দিকে রেডিওতে কবিতা পাঠের আসরে ডাক পড়ে নির্মলেন্দু গুণের। এ সময় ঢাকায় তাঁর প্রচুর কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
১৯৭০ সালের ২১ জুলাই কবির ‘ফসল বিনাসী হাওয়া’ কলাম প্রকাশিত হয়। তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে পাঠ করেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘হুলিয়া’। ‘হুলিয়া’ তাঁকে কবি খ্যাতি এনে দেয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’। কবি নির্মলেন্দু গুণ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত কণ্ঠস্বর, আহমদ রফিক সম্পাদিত নাগরিক, পরিক্রম ও জোনাকি ইংরেজি পত্রিকা পিপলস, গণকণ্ঠ, সংবাদ ও দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাবাজার ও দৈনিক আজকের আওয়াজ পত্রিকায় কাজ করেছেন।
তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আপন দলের মানুষ, ছড়ার বই সোনার কুঠার, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ আমার ছেলেবেলা, আমার কণ্ঠস্বর ও আত্মকথা ১৯৭১, অনুবাদ করেছেন রক্ত আর ফুলগুলি। তার অন্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, না প্রেমিক না বিপ্লবী, কবিতা, অমীমাংসিত রমণী, দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী, চৈত্রের ভালোবাসা, ও বন্ধু আমার, বাংলার মাটি বাংলার জল, চাষাভুষার কাব্য, প্রথম দিনের সূর্য, দুঃখ করো না, বাঁচো, আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি, ও মুঠোফোনের কাব্যসহ আরও অনেক। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি লাভ করেছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবি আহসান হাবীব সাহিত্য পুরস্কার প্রভৃতি।
কবি নির্মলেন্দু গুণ তাঁর নিজ গ্রাম কাশতলায় ‘কাশবন বিদ্যা নিকেতন’ নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের সঙ্গে মানুষের নিত্য বিরোধ, তাই তিনি স্ববিরোধী কবিতায় বলেন, আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়ে ছিলাম, এখন মৃত্যুর জন্য বড় হচ্ছি। ৭৭ তম জন্মদিনে ভালো থাকুন প্রিয় ভালোবাসার কবি নির্মলেন্দু গুণ।

বারহাট্টা (নেত্রকোনা): বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণের আজ ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালে ২১ জুন (৭ আষাঢ়) তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা এবং বর্তমান নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে জন্ম তাঁর। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারী, প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা— এ তিন বিষয় নিয়েই মূলত নির্মলেন্দু গুণের কবিতা। আবেগী ভাষা, সহজ গাঁথুনি ও পরিচিত শব্দগুলোর নান্দনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে তাঁর কবিতা সব শ্রেণির পাঠকের কাছে সমাদৃত।
তিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে সবার কাছে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী। তাঁর বাবা সুখেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী ও মা বীণাপাণি। কবি মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারান। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলে নতুন মা চারুবালার কাছেই লেখাপড়ায় হাতেখড়ি হয় তাঁর। তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম বারহাট্টা স্কুলে ভর্তি হন। বর্তমান বারহাট্টা সিকেপি সরকারি পাইলট হাই স্কুল (তখন সিকেপি পাইলট হাই স্কুল ছিল) অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় কবি প্রতিভার বিকাশ শুরু হয়।
১৯৬২ সালে দুই বিষয়ে লেটারসহ মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পান তিনি। তখন বাবা তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, ‘কৃষ্ণ কৃপাহি কেবলম’। এরপর কবি আইএসসি পড়তে চলে আসেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে। পরে বাবার অনুরোধে ভর্তি হন নেত্রকোনা কলেজে। ১৯৬৪ সালে আইএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ১১৯ জন প্রথম বিভাগ অর্জনকারীর মধ্যে নেত্রকোনা কলেজের একমাত্র তিনিই ছিলেন। পরে তিনি চান্স পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে। কিন্তু ভর্তির প্রস্তুতিকালে হঠাৎ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা শুরু হলে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। পরে ঢাকার অবস্থার উন্নতি হলেও তিনি ফিরে এসে আর ভর্তি হতে পারেননি। আবারও ফিরে আসেন গ্রামে।
১৯৬৯ সালে প্রাইভেটে বিএ পাস করেন নির্মলেন্দু গুণ। ১৯৬৫ সালে বুয়েটে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভর্তি হওয়া হয়নি। কবির প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় মেট্রিক পরীক্ষার আগে। নেত্রকোনা থেকে প্রকাশিত ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কবিতা ‘নতুন কাণ্ডারী’। ১৯৬৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ‘সাপ্তাহিক জনতা’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কোন এক সংগ্রামীর দৃষ্টিতে’। নিজের সম্পাদনায় বের করেন ‘সূর্য ফসল’ সংকলন। কাজ করেন আব্দুল্লাহ্ আবু সায়ীদের ‘কণ্ঠস্বর’ পত্রিকায়। ৬ দফা আন্দোলন শুরু হলে কবি বঙ্গবন্ধুকে একটি কবিতা উৎসর্গ করেন। পরে সেটি ‘সংবাদ’ পত্রিকায় ছাপা হয়। পরে কবি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সহপাঠী হিসেবে পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে। ১৯৬৭ সালে কবি শামসুর রাহমান, কবি আল মাহমুদ, কবি সিকান্দার আবু জাফর প্রমুখ বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবিদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৬৮ সালের ২৯ জুলাই হোটেল পূর্বাণীতে তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে সুযোগ পান তিনি। পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার পায় এ কবিতা পাঠের আসর। এ সুযোগ তাঁকে পাঠক ও কবি মহলে পরিচিতি এনে দেয়। ঊনসত্তুরের প্রথম দিকে রেডিওতে কবিতা পাঠের আসরে ডাক পড়ে নির্মলেন্দু গুণের। এ সময় ঢাকায় তাঁর প্রচুর কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
১৯৭০ সালের ২১ জুলাই কবির ‘ফসল বিনাসী হাওয়া’ কলাম প্রকাশিত হয়। তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে পাঠ করেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘হুলিয়া’। ‘হুলিয়া’ তাঁকে কবি খ্যাতি এনে দেয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’। কবি নির্মলেন্দু গুণ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত কণ্ঠস্বর, আহমদ রফিক সম্পাদিত নাগরিক, পরিক্রম ও জোনাকি ইংরেজি পত্রিকা পিপলস, গণকণ্ঠ, সংবাদ ও দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাবাজার ও দৈনিক আজকের আওয়াজ পত্রিকায় কাজ করেছেন।
তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আপন দলের মানুষ, ছড়ার বই সোনার কুঠার, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ আমার ছেলেবেলা, আমার কণ্ঠস্বর ও আত্মকথা ১৯৭১, অনুবাদ করেছেন রক্ত আর ফুলগুলি। তার অন্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, না প্রেমিক না বিপ্লবী, কবিতা, অমীমাংসিত রমণী, দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী, চৈত্রের ভালোবাসা, ও বন্ধু আমার, বাংলার মাটি বাংলার জল, চাষাভুষার কাব্য, প্রথম দিনের সূর্য, দুঃখ করো না, বাঁচো, আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি, ও মুঠোফোনের কাব্যসহ আরও অনেক। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি লাভ করেছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবি আহসান হাবীব সাহিত্য পুরস্কার প্রভৃতি।
কবি নির্মলেন্দু গুণ তাঁর নিজ গ্রাম কাশতলায় ‘কাশবন বিদ্যা নিকেতন’ নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের সঙ্গে মানুষের নিত্য বিরোধ, তাই তিনি স্ববিরোধী কবিতায় বলেন, আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়ে ছিলাম, এখন মৃত্যুর জন্য বড় হচ্ছি। ৭৭ তম জন্মদিনে ভালো থাকুন প্রিয় ভালোবাসার কবি নির্মলেন্দু গুণ।

বারহাট্টা (নেত্রকোনা): বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণের আজ ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালে ২১ জুন (৭ আষাঢ়) তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা এবং বর্তমান নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে জন্ম তাঁর। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারী, প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা— এ তিন বিষয় নিয়েই মূলত নির্মলেন্দু গুণের কবিতা। আবেগী ভাষা, সহজ গাঁথুনি ও পরিচিত শব্দগুলোর নান্দনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে তাঁর কবিতা সব শ্রেণির পাঠকের কাছে সমাদৃত।
তিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে সবার কাছে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী। তাঁর বাবা সুখেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী ও মা বীণাপাণি। কবি মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারান। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলে নতুন মা চারুবালার কাছেই লেখাপড়ায় হাতেখড়ি হয় তাঁর। তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম বারহাট্টা স্কুলে ভর্তি হন। বর্তমান বারহাট্টা সিকেপি সরকারি পাইলট হাই স্কুল (তখন সিকেপি পাইলট হাই স্কুল ছিল) অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় কবি প্রতিভার বিকাশ শুরু হয়।
১৯৬২ সালে দুই বিষয়ে লেটারসহ মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পান তিনি। তখন বাবা তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, ‘কৃষ্ণ কৃপাহি কেবলম’। এরপর কবি আইএসসি পড়তে চলে আসেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে। পরে বাবার অনুরোধে ভর্তি হন নেত্রকোনা কলেজে। ১৯৬৪ সালে আইএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ১১৯ জন প্রথম বিভাগ অর্জনকারীর মধ্যে নেত্রকোনা কলেজের একমাত্র তিনিই ছিলেন। পরে তিনি চান্স পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে। কিন্তু ভর্তির প্রস্তুতিকালে হঠাৎ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা শুরু হলে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। পরে ঢাকার অবস্থার উন্নতি হলেও তিনি ফিরে এসে আর ভর্তি হতে পারেননি। আবারও ফিরে আসেন গ্রামে।
১৯৬৯ সালে প্রাইভেটে বিএ পাস করেন নির্মলেন্দু গুণ। ১৯৬৫ সালে বুয়েটে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভর্তি হওয়া হয়নি। কবির প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় মেট্রিক পরীক্ষার আগে। নেত্রকোনা থেকে প্রকাশিত ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কবিতা ‘নতুন কাণ্ডারী’। ১৯৬৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ‘সাপ্তাহিক জনতা’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কোন এক সংগ্রামীর দৃষ্টিতে’। নিজের সম্পাদনায় বের করেন ‘সূর্য ফসল’ সংকলন। কাজ করেন আব্দুল্লাহ্ আবু সায়ীদের ‘কণ্ঠস্বর’ পত্রিকায়। ৬ দফা আন্দোলন শুরু হলে কবি বঙ্গবন্ধুকে একটি কবিতা উৎসর্গ করেন। পরে সেটি ‘সংবাদ’ পত্রিকায় ছাপা হয়। পরে কবি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সহপাঠী হিসেবে পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে। ১৯৬৭ সালে কবি শামসুর রাহমান, কবি আল মাহমুদ, কবি সিকান্দার আবু জাফর প্রমুখ বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবিদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৬৮ সালের ২৯ জুলাই হোটেল পূর্বাণীতে তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে সুযোগ পান তিনি। পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার পায় এ কবিতা পাঠের আসর। এ সুযোগ তাঁকে পাঠক ও কবি মহলে পরিচিতি এনে দেয়। ঊনসত্তুরের প্রথম দিকে রেডিওতে কবিতা পাঠের আসরে ডাক পড়ে নির্মলেন্দু গুণের। এ সময় ঢাকায় তাঁর প্রচুর কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
১৯৭০ সালের ২১ জুলাই কবির ‘ফসল বিনাসী হাওয়া’ কলাম প্রকাশিত হয়। তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে পাঠ করেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘হুলিয়া’। ‘হুলিয়া’ তাঁকে কবি খ্যাতি এনে দেয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’। কবি নির্মলেন্দু গুণ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত কণ্ঠস্বর, আহমদ রফিক সম্পাদিত নাগরিক, পরিক্রম ও জোনাকি ইংরেজি পত্রিকা পিপলস, গণকণ্ঠ, সংবাদ ও দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাবাজার ও দৈনিক আজকের আওয়াজ পত্রিকায় কাজ করেছেন।
তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আপন দলের মানুষ, ছড়ার বই সোনার কুঠার, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ আমার ছেলেবেলা, আমার কণ্ঠস্বর ও আত্মকথা ১৯৭১, অনুবাদ করেছেন রক্ত আর ফুলগুলি। তার অন্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, না প্রেমিক না বিপ্লবী, কবিতা, অমীমাংসিত রমণী, দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী, চৈত্রের ভালোবাসা, ও বন্ধু আমার, বাংলার মাটি বাংলার জল, চাষাভুষার কাব্য, প্রথম দিনের সূর্য, দুঃখ করো না, বাঁচো, আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি, ও মুঠোফোনের কাব্যসহ আরও অনেক। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি লাভ করেছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবি আহসান হাবীব সাহিত্য পুরস্কার প্রভৃতি।
কবি নির্মলেন্দু গুণ তাঁর নিজ গ্রাম কাশতলায় ‘কাশবন বিদ্যা নিকেতন’ নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের সঙ্গে মানুষের নিত্য বিরোধ, তাই তিনি স্ববিরোধী কবিতায় বলেন, আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়ে ছিলাম, এখন মৃত্যুর জন্য বড় হচ্ছি। ৭৭ তম জন্মদিনে ভালো থাকুন প্রিয় ভালোবাসার কবি নির্মলেন্দু গুণ।

বারহাট্টা (নেত্রকোনা): বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণের আজ ৭৭তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালে ২১ জুন (৭ আষাঢ়) তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা এবং বর্তমান নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে জন্ম তাঁর। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারী, প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা— এ তিন বিষয় নিয়েই মূলত নির্মলেন্দু গুণের কবিতা। আবেগী ভাষা, সহজ গাঁথুনি ও পরিচিত শব্দগুলোর নান্দনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে তাঁর কবিতা সব শ্রেণির পাঠকের কাছে সমাদৃত।
তিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে সবার কাছে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী। তাঁর বাবা সুখেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী ও মা বীণাপাণি। কবি মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারান। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করলে নতুন মা চারুবালার কাছেই লেখাপড়ায় হাতেখড়ি হয় তাঁর। তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম বারহাট্টা স্কুলে ভর্তি হন। বর্তমান বারহাট্টা সিকেপি সরকারি পাইলট হাই স্কুল (তখন সিকেপি পাইলট হাই স্কুল ছিল) অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় কবি প্রতিভার বিকাশ শুরু হয়।
১৯৬২ সালে দুই বিষয়ে লেটারসহ মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পান তিনি। তখন বাবা তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, ‘কৃষ্ণ কৃপাহি কেবলম’। এরপর কবি আইএসসি পড়তে চলে আসেন ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে। পরে বাবার অনুরোধে ভর্তি হন নেত্রকোনা কলেজে। ১৯৬৪ সালে আইএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ১১৯ জন প্রথম বিভাগ অর্জনকারীর মধ্যে নেত্রকোনা কলেজের একমাত্র তিনিই ছিলেন। পরে তিনি চান্স পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে। কিন্তু ভর্তির প্রস্তুতিকালে হঠাৎ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা শুরু হলে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। পরে ঢাকার অবস্থার উন্নতি হলেও তিনি ফিরে এসে আর ভর্তি হতে পারেননি। আবারও ফিরে আসেন গ্রামে।
১৯৬৯ সালে প্রাইভেটে বিএ পাস করেন নির্মলেন্দু গুণ। ১৯৬৫ সালে বুয়েটে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভর্তি হওয়া হয়নি। কবির প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় মেট্রিক পরীক্ষার আগে। নেত্রকোনা থেকে প্রকাশিত ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কবিতা ‘নতুন কাণ্ডারী’। ১৯৬৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ‘সাপ্তাহিক জনতা’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কোন এক সংগ্রামীর দৃষ্টিতে’। নিজের সম্পাদনায় বের করেন ‘সূর্য ফসল’ সংকলন। কাজ করেন আব্দুল্লাহ্ আবু সায়ীদের ‘কণ্ঠস্বর’ পত্রিকায়। ৬ দফা আন্দোলন শুরু হলে কবি বঙ্গবন্ধুকে একটি কবিতা উৎসর্গ করেন। পরে সেটি ‘সংবাদ’ পত্রিকায় ছাপা হয়। পরে কবি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সহপাঠী হিসেবে পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে। ১৯৬৭ সালে কবি শামসুর রাহমান, কবি আল মাহমুদ, কবি সিকান্দার আবু জাফর প্রমুখ বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবিদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৬৮ সালের ২৯ জুলাই হোটেল পূর্বাণীতে তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে সুযোগ পান তিনি। পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার পায় এ কবিতা পাঠের আসর। এ সুযোগ তাঁকে পাঠক ও কবি মহলে পরিচিতি এনে দেয়। ঊনসত্তুরের প্রথম দিকে রেডিওতে কবিতা পাঠের আসরে ডাক পড়ে নির্মলেন্দু গুণের। এ সময় ঢাকায় তাঁর প্রচুর কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
১৯৭০ সালের ২১ জুলাই কবির ‘ফসল বিনাসী হাওয়া’ কলাম প্রকাশিত হয়। তরুণ কবিদের কবিতা পাঠের আসরে পাঠ করেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘হুলিয়া’। ‘হুলিয়া’ তাঁকে কবি খ্যাতি এনে দেয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’। কবি নির্মলেন্দু গুণ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সম্পাদিত কণ্ঠস্বর, আহমদ রফিক সম্পাদিত নাগরিক, পরিক্রম ও জোনাকি ইংরেজি পত্রিকা পিপলস, গণকণ্ঠ, সংবাদ ও দৈনিক বাংলার বাণী, বাংলাবাজার ও দৈনিক আজকের আওয়াজ পত্রিকায় কাজ করেছেন।
তার গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আপন দলের মানুষ, ছড়ার বই সোনার কুঠার, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ আমার ছেলেবেলা, আমার কণ্ঠস্বর ও আত্মকথা ১৯৭১, অনুবাদ করেছেন রক্ত আর ফুলগুলি। তার অন্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, না প্রেমিক না বিপ্লবী, কবিতা, অমীমাংসিত রমণী, দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী, চৈত্রের ভালোবাসা, ও বন্ধু আমার, বাংলার মাটি বাংলার জল, চাষাভুষার কাব্য, প্রথম দিনের সূর্য, দুঃখ করো না, বাঁচো, আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি, ও মুঠোফোনের কাব্যসহ আরও অনেক। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি লাভ করেছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবি আহসান হাবীব সাহিত্য পুরস্কার প্রভৃতি।
কবি নির্মলেন্দু গুণ তাঁর নিজ গ্রাম কাশতলায় ‘কাশবন বিদ্যা নিকেতন’ নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের সঙ্গে মানুষের নিত্য বিরোধ, তাই তিনি স্ববিরোধী কবিতায় বলেন, আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়ে ছিলাম, এখন মৃত্যুর জন্য বড় হচ্ছি। ৭৭ তম জন্মদিনে ভালো থাকুন প্রিয় ভালোবাসার কবি নির্মলেন্দু গুণ।

কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
২৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
৩৯ মিনিট আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণের আজ ৭৭ তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালে ২১ জুন (৭ ই আষাঢ়) তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা এবং বর্তমান নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে জন্ম নেন তিনি। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারী প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা—এ তিন বিষয় নিয়েই মূ
২১ জুন ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
২৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
৩৯ মিনিট আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণের আজ ৭৭ তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালে ২১ জুন (৭ ই আষাঢ়) তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা এবং বর্তমান নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে জন্ম নেন তিনি। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারী প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা—এ তিন বিষয় নিয়েই মূ
২১ জুন ২০২১
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২২ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
৩৯ মিনিট আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণের আজ ৭৭ তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালে ২১ জুন (৭ ই আষাঢ়) তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা এবং বর্তমান নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে জন্ম নেন তিনি। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারী প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা—এ তিন বিষয় নিয়েই মূ
২১ জুন ২০২১
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
২৪ মিনিট আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১১ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণের আজ ৭৭ তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালে ২১ জুন (৭ ই আষাঢ়) তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা এবং বর্তমান নেত্রকোনার কাশবন গ্রামে জন্ম নেন তিনি। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারী প্রেম, শ্রেণি সংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা—এ তিন বিষয় নিয়েই মূ
২১ জুন ২০২১
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
২৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
৩৯ মিনিট আগে