Ajker Patrika

বিদ্যুতের অপচয় কমাতে সকলের সহযোগিতা চান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ের সভায় বক্তব্য দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ের সভায় বক্তব্য দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিদ্যুতের লোডশেডিং যাতে না হয়, সে কারণে বিদ্যুতের অপচয় রোধে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে যাতে আর কোনো কষ্ট না হয়, সে জন্য আপনাদেরও সহযোগিতা লাগবে।’ আজ রোববার বিকেলে আসরের নামাজের পর রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে মুসল্লীদের সঙ্গে মত বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রীর নিচে না নামানোর জন্য অনুরোধ করছি। না হলে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে, তাতে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হতে পারে। মসজিদ ছাড়াও বাসা-বাড়ি, দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে যাতে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা ও অপ্রয়োজনীয় ফ্যান লাইট না চলে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে জ্বালানি সংকট রয়েছে, গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে, চাহিদা পূরণে জ্বালানি আমদানি করতে হচ্ছে, ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে।’

এ বছর রোজা গরমকালে এবং এ সময় সেচের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে, উল্লেখ করে ফাওজুল কবির বলেন, ‘শীতকালে আমাদের চাহিদা থাকে ৯-১০ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু গরমকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তা বেড়ে ১৭-১৮ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়ায়।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সেচের জন্য দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়, সেচ বন্ধ করা সম্ভব নয়, এতে উৎপাদন ব্যাহত হবে। বাকি পাঁচ-ছয় হাজার প্রয়োজন হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও অতিরিক্ত আলোকসজ্জায়।’

এ কারণে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে নির্ধারণ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি বেশ আরামদায়ক তাপমাত্রা। মালয়েশিয়ায় বিদ্যুতের ঘাটতি নেই, তবুও তারা এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে সেট করে দিয়েছে।’

দোকানপাট, পেট্রোল পাম্প, সিএনজি স্টেশন ও শপিংমলে যাতে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা না হয়, তার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন তাদের সচেতন করার জন্য যাচ্ছে বলেও উপদেষ্টা জানান।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, ‘রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত এক কার্গোসহ মোট চার কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। জনগণ যদি সচেতন হয় এবং অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে, তবে এই রমজান মাসে কোনো লোডশেডিং হবে না।’

অবৈধ ও চুরির বিদ্যুৎ সংযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘গ্যাসের মতো বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত