বাসস, ঢাকা

আত্মবিশ্বাস হারানো জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের মূল আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও পদ্মার বুকে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণে তাঁর সরকারের সাফল্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ সামরিক শাসন আমাদের এমনভাবে পরনির্ভর করে ফেলেছিল যে আমাদের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও স্বকিয়তার কথা মানুষ যেন ভুলতে বসেছিল। আর মানুষ যখন তার আত্মবিশ্বাস হারায়, তখন সেই জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর। কিন্তু জাতির পিতা বাংলার মানুষকে চিনতেন বলেই তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলে গিয়েছিলেন, ‘‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’’।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিও জাতির পিতার কন্যা হিসেবে এই মানুষদের পাশে থাকার সুযোগে যতটুকু তাঁদের চিনতে পেরেছিলেন সেই ভরসাতেই বলেছিলেন নিজস্ব অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। আর এই একটি সিদ্ধান্তই বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আজকে উজ্জ্বল করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজ সেই পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। এটা শুধু ইট, কাঠ, কংক্রিটের একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদার একটি নিদর্শন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে মর্যাদার একটি নিদর্শন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীতে পণ্য আসার পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে পাইকারি বাজার ও কাঁচাবাজার হিসেবে কারওয়ান বাজারের ওপর চাপ কমিয়ে রাজধানীর বাইরের অংশে আমিনবাজার, কাঁচপুর, মহাখালী, পোস্তগোলা বা কেরানীগঞ্জসহ চারটি স্থানে চারটি বাজার সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই।’
এ সময় সরকারপ্রধান চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি দেশের জনগণের জন্য। আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণকালে ঘোষণা করা দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশকে আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কর্মপরিকল্পনা থাকে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এবং বাজেট প্রণয়ন করেছে, তখন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারটা সামনে রেখে কতটুকু তার বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কতটুকু করতে হবে, তা ধরেই সব সময় কর্ম নির্ধারণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দলের জন্যও পৃথক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
শেখ হাসিনা জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাঁর সরকার আশু, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় করণীয় নির্দিষ্ট করে থাকে।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সাফল্য অর্জনকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এবং ব্যক্তিবিশেষের মাঝে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষ স্থান অর্জন করে। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এর আগে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের সচিব এবং সিনিয়র সচিব নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে চলতি বছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরে একে একে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত বিভাগে, প্রাক্তন খাদ্যসচিব ড. মোসাম্মাৎ নাজমুনারা খানম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (অবকাঠামো ও উন্নয়ন) মো. মামুন আল রশিদ সততা অনুশীলনে তাঁদের অসামান্য ভূমিকার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।
শুদ্ধাচার প্রয়োগে খাদ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে জনগণের সমর্থনে টানা ক্ষমতায় থাকার সুবাদে দেশকে কিছুটা হলেও তাঁর সরকার এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। অন্তত একসময়কার বুভুক্ষু জনগণের জীবনমানের পরিবর্তন হয়েছে। আগে কোনো সমাবেশে গেলে হাড্ডি কঙ্কালসার জনগণ সামনে হাত পেতে দিয়ে পেট আর মুখ দেখিয়ে যে অন্নের জোগানের কথা বলত, তাদের সেই চাহিদারও আজ পরিবর্তন ঘটেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, সবাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই তাঁর সরকার আজ দেশকে এই অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষস্থান অর্জন করায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়েও যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে নিজস্ব সম্পদের সীমাবদ্ধতার মাঝে এর সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে যেন আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে পারি, তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।
সরকারের করোনা মোকাবিলার সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশও যেটা পারেনি, সেটা আমরা করেছি। বিনা পয়সায় টার্গেটেড জনগণকে টিকা দিয়েছি। এখন বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে। সবাই এই বুস্টার ডোজ নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।’

আত্মবিশ্বাস হারানো জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের মূল আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও পদ্মার বুকে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণে তাঁর সরকারের সাফল্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ সামরিক শাসন আমাদের এমনভাবে পরনির্ভর করে ফেলেছিল যে আমাদের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও স্বকিয়তার কথা মানুষ যেন ভুলতে বসেছিল। আর মানুষ যখন তার আত্মবিশ্বাস হারায়, তখন সেই জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর। কিন্তু জাতির পিতা বাংলার মানুষকে চিনতেন বলেই তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলে গিয়েছিলেন, ‘‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’’।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিও জাতির পিতার কন্যা হিসেবে এই মানুষদের পাশে থাকার সুযোগে যতটুকু তাঁদের চিনতে পেরেছিলেন সেই ভরসাতেই বলেছিলেন নিজস্ব অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। আর এই একটি সিদ্ধান্তই বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আজকে উজ্জ্বল করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজ সেই পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। এটা শুধু ইট, কাঠ, কংক্রিটের একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদার একটি নিদর্শন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে মর্যাদার একটি নিদর্শন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীতে পণ্য আসার পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে পাইকারি বাজার ও কাঁচাবাজার হিসেবে কারওয়ান বাজারের ওপর চাপ কমিয়ে রাজধানীর বাইরের অংশে আমিনবাজার, কাঁচপুর, মহাখালী, পোস্তগোলা বা কেরানীগঞ্জসহ চারটি স্থানে চারটি বাজার সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই।’
এ সময় সরকারপ্রধান চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি দেশের জনগণের জন্য। আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণকালে ঘোষণা করা দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশকে আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কর্মপরিকল্পনা থাকে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এবং বাজেট প্রণয়ন করেছে, তখন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারটা সামনে রেখে কতটুকু তার বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কতটুকু করতে হবে, তা ধরেই সব সময় কর্ম নির্ধারণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দলের জন্যও পৃথক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
শেখ হাসিনা জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাঁর সরকার আশু, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় করণীয় নির্দিষ্ট করে থাকে।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সাফল্য অর্জনকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এবং ব্যক্তিবিশেষের মাঝে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষ স্থান অর্জন করে। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এর আগে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের সচিব এবং সিনিয়র সচিব নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে চলতি বছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরে একে একে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত বিভাগে, প্রাক্তন খাদ্যসচিব ড. মোসাম্মাৎ নাজমুনারা খানম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (অবকাঠামো ও উন্নয়ন) মো. মামুন আল রশিদ সততা অনুশীলনে তাঁদের অসামান্য ভূমিকার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।
শুদ্ধাচার প্রয়োগে খাদ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে জনগণের সমর্থনে টানা ক্ষমতায় থাকার সুবাদে দেশকে কিছুটা হলেও তাঁর সরকার এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। অন্তত একসময়কার বুভুক্ষু জনগণের জীবনমানের পরিবর্তন হয়েছে। আগে কোনো সমাবেশে গেলে হাড্ডি কঙ্কালসার জনগণ সামনে হাত পেতে দিয়ে পেট আর মুখ দেখিয়ে যে অন্নের জোগানের কথা বলত, তাদের সেই চাহিদারও আজ পরিবর্তন ঘটেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, সবাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই তাঁর সরকার আজ দেশকে এই অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষস্থান অর্জন করায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়েও যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে নিজস্ব সম্পদের সীমাবদ্ধতার মাঝে এর সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে যেন আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে পারি, তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।
সরকারের করোনা মোকাবিলার সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশও যেটা পারেনি, সেটা আমরা করেছি। বিনা পয়সায় টার্গেটেড জনগণকে টিকা দিয়েছি। এখন বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে। সবাই এই বুস্টার ডোজ নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।’
বাসস, ঢাকা

আত্মবিশ্বাস হারানো জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের মূল আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও পদ্মার বুকে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণে তাঁর সরকারের সাফল্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ সামরিক শাসন আমাদের এমনভাবে পরনির্ভর করে ফেলেছিল যে আমাদের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও স্বকিয়তার কথা মানুষ যেন ভুলতে বসেছিল। আর মানুষ যখন তার আত্মবিশ্বাস হারায়, তখন সেই জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর। কিন্তু জাতির পিতা বাংলার মানুষকে চিনতেন বলেই তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলে গিয়েছিলেন, ‘‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’’।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিও জাতির পিতার কন্যা হিসেবে এই মানুষদের পাশে থাকার সুযোগে যতটুকু তাঁদের চিনতে পেরেছিলেন সেই ভরসাতেই বলেছিলেন নিজস্ব অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। আর এই একটি সিদ্ধান্তই বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আজকে উজ্জ্বল করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজ সেই পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। এটা শুধু ইট, কাঠ, কংক্রিটের একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদার একটি নিদর্শন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে মর্যাদার একটি নিদর্শন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীতে পণ্য আসার পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে পাইকারি বাজার ও কাঁচাবাজার হিসেবে কারওয়ান বাজারের ওপর চাপ কমিয়ে রাজধানীর বাইরের অংশে আমিনবাজার, কাঁচপুর, মহাখালী, পোস্তগোলা বা কেরানীগঞ্জসহ চারটি স্থানে চারটি বাজার সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই।’
এ সময় সরকারপ্রধান চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি দেশের জনগণের জন্য। আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণকালে ঘোষণা করা দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশকে আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কর্মপরিকল্পনা থাকে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এবং বাজেট প্রণয়ন করেছে, তখন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারটা সামনে রেখে কতটুকু তার বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কতটুকু করতে হবে, তা ধরেই সব সময় কর্ম নির্ধারণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দলের জন্যও পৃথক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
শেখ হাসিনা জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাঁর সরকার আশু, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় করণীয় নির্দিষ্ট করে থাকে।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সাফল্য অর্জনকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এবং ব্যক্তিবিশেষের মাঝে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষ স্থান অর্জন করে। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এর আগে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের সচিব এবং সিনিয়র সচিব নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে চলতি বছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরে একে একে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত বিভাগে, প্রাক্তন খাদ্যসচিব ড. মোসাম্মাৎ নাজমুনারা খানম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (অবকাঠামো ও উন্নয়ন) মো. মামুন আল রশিদ সততা অনুশীলনে তাঁদের অসামান্য ভূমিকার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।
শুদ্ধাচার প্রয়োগে খাদ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে জনগণের সমর্থনে টানা ক্ষমতায় থাকার সুবাদে দেশকে কিছুটা হলেও তাঁর সরকার এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। অন্তত একসময়কার বুভুক্ষু জনগণের জীবনমানের পরিবর্তন হয়েছে। আগে কোনো সমাবেশে গেলে হাড্ডি কঙ্কালসার জনগণ সামনে হাত পেতে দিয়ে পেট আর মুখ দেখিয়ে যে অন্নের জোগানের কথা বলত, তাদের সেই চাহিদারও আজ পরিবর্তন ঘটেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, সবাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই তাঁর সরকার আজ দেশকে এই অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষস্থান অর্জন করায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়েও যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে নিজস্ব সম্পদের সীমাবদ্ধতার মাঝে এর সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে যেন আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে পারি, তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।
সরকারের করোনা মোকাবিলার সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশও যেটা পারেনি, সেটা আমরা করেছি। বিনা পয়সায় টার্গেটেড জনগণকে টিকা দিয়েছি। এখন বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে। সবাই এই বুস্টার ডোজ নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।’

আত্মবিশ্বাস হারানো জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের মূল আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্যেও পদ্মার বুকে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণে তাঁর সরকারের সাফল্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ সামরিক শাসন আমাদের এমনভাবে পরনির্ভর করে ফেলেছিল যে আমাদের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও স্বকিয়তার কথা মানুষ যেন ভুলতে বসেছিল। আর মানুষ যখন তার আত্মবিশ্বাস হারায়, তখন সেই জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর। কিন্তু জাতির পিতা বাংলার মানুষকে চিনতেন বলেই তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলে গিয়েছিলেন, ‘‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’’।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনিও জাতির পিতার কন্যা হিসেবে এই মানুষদের পাশে থাকার সুযোগে যতটুকু তাঁদের চিনতে পেরেছিলেন সেই ভরসাতেই বলেছিলেন নিজস্ব অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। আর এই একটি সিদ্ধান্তই বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আজকে উজ্জ্বল করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজ সেই পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। এটা শুধু ইট, কাঠ, কংক্রিটের একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদার একটি নিদর্শন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে মর্যাদার একটি নিদর্শন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীতে পণ্য আসার পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে পাইকারি বাজার ও কাঁচাবাজার হিসেবে কারওয়ান বাজারের ওপর চাপ কমিয়ে রাজধানীর বাইরের অংশে আমিনবাজার, কাঁচপুর, মহাখালী, পোস্তগোলা বা কেরানীগঞ্জসহ চারটি স্থানে চারটি বাজার সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই।’
এ সময় সরকারপ্রধান চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি দেশের জনগণের জন্য। আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণকালে ঘোষণা করা দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশকে আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কর্মপরিকল্পনা থাকে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এবং বাজেট প্রণয়ন করেছে, তখন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারটা সামনে রেখে কতটুকু তার বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কতটুকু করতে হবে, তা ধরেই সব সময় কর্ম নির্ধারণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দলের জন্যও পৃথক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
শেখ হাসিনা জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাঁর সরকার আশু, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় করণীয় নির্দিষ্ট করে থাকে।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সাফল্য অর্জনকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এবং ব্যক্তিবিশেষের মাঝে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন পুরস্কার ২০২২’ ও ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষ স্থান অর্জন করে। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এর আগে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের সচিব এবং সিনিয়র সচিব নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে চলতি বছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরে একে একে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিগত বিভাগে, প্রাক্তন খাদ্যসচিব ড. মোসাম্মাৎ নাজমুনারা খানম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (অবকাঠামো ও উন্নয়ন) মো. মামুন আল রশিদ সততা অনুশীলনে তাঁদের অসামান্য ভূমিকার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।
শুদ্ধাচার প্রয়োগে খাদ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে জনগণের সমর্থনে টানা ক্ষমতায় থাকার সুবাদে দেশকে কিছুটা হলেও তাঁর সরকার এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। অন্তত একসময়কার বুভুক্ষু জনগণের জীবনমানের পরিবর্তন হয়েছে। আগে কোনো সমাবেশে গেলে হাড্ডি কঙ্কালসার জনগণ সামনে হাত পেতে দিয়ে পেট আর মুখ দেখিয়ে যে অন্নের জোগানের কথা বলত, তাদের সেই চাহিদারও আজ পরিবর্তন ঘটেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, সবাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই তাঁর সরকার আজ দেশকে এই অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বার্ষিক কর্মসম্পাদনে শীর্ষস্থান অর্জন করায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়েও যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে নিজস্ব সম্পদের সীমাবদ্ধতার মাঝে এর সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে যেন আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে পারি, তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।
সরকারের করোনা মোকাবিলার সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশও যেটা পারেনি, সেটা আমরা করেছি। বিনা পয়সায় টার্গেটেড জনগণকে টিকা দিয়েছি। এখন বুস্টার ডোজও দেওয়া হচ্ছে। সবাই এই বুস্টার ডোজ নিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।’

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

আত্মবিশ্বাস হারানো জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার মন্ত্রণালয় এবং বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের ম
০৩ জুলাই ২০২২
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আত্মবিশ্বাস হারানো জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার মন্ত্রণালয় এবং বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের ম
০৩ জুলাই ২০২২
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

আত্মবিশ্বাস হারানো জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার মন্ত্রণালয় এবং বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের ম
০৩ জুলাই ২০২২
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের...
১৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের সব সচিবের কাছে নতুন পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রের অনুলিপি উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবদেরও দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, লক্ষ করা যাচ্ছে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা আগের নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থী।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।’
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘একান্ত প্রয়োজন’ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আগের পরিপত্র এবং অর্থ বিভাগের গত ৮ জুলাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সম্প্রতি সরকারের সব সচিবের কাছে নতুন পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রের অনুলিপি উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবদেরও দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, লক্ষ করা যাচ্ছে, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা আগের নির্দেশনাগুলোর পরিপন্থী।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ-সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করার অনুরোধ করা হলো।’
আরও খবর পড়ুন:

আত্মবিশ্বাস হারানো জাতিকে টেনে তোলা খুব কষ্টকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার মন্ত্রণালয় এবং বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের ম
০৩ জুলাই ২০২২
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
৩ ঘণ্টা আগে