আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মামলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা
বিশ্রাম পদ্ধতি বাতিল করে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর সচিবালয় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। ওই দিন সচিবালয়সহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রাতে আনসারদের সচিবালয়ের সামনে থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ডিএমপির শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলা করা হয়। এতে হাজারের বেশি সদস্যকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় অন্তত ৪০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত ৮ হাজার ৯১৪ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়, আনসার ক্যাম্প ও জেলা অফিসগুলোতে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবগুলো ঘটনা তদন্ত করেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তথা সচিবালয়ে হামলায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত ১৫ জনকে কালো-তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা কখনোই আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না।
তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে, পাশাপাশি আনসার সদর দপ্তরও ব্যবস্থা নিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার করা আনসার সদস্যরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ আগস্ট বিক্ষোভের দিনই বিকেলে আনসার সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্রামের যে প্রথা তা থাকবে না। তাঁরা নিয়মিত চাকরি করে যেতে পারবেন। আনসারদের দাবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আনসাররা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অনড় থেকে সচিবালয় এলাকায় রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
৫ আগস্টের আগে সারা দেশে পুলিশ বাহিনীসহ ৫৭০১টি সংস্থায় ৫৪৬৫১ জন প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ সাধারণ আনসার সদস্য অঙ্গীভূত হয়ে বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিপণিবিতান, গার্মেন্টস শিল্প, লঞ্চঘাট, সমুদ্রবন্দর এবং ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
সারা দেশে অঙ্গীভূত আনসারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার সদস্য সব সময় দায়িত্ব পালন করতেন। বাকি ১৫ হাজার বিশ্রামে থাকতেন। তিন বছর পরপর তাঁদের বিশ্রামে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা কোনো ভাতা পান না।
‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ গ্রহণকারী সাধারণ আনসার সদস্যদেরকে নিরাপত্তাব্যস্থাসহ সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অঙ্গীভূত করা হলে তাঁদের অঙ্গীভূত আনসার বলা হয়।
পুলিশ থেকে প্রত্যাহার
পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কখনো কখনো মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হতো। তবে সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলার পর তাঁদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফের তাঁদের পুলিশের সঙ্গে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আনসার বাহিনীতে সংস্কারের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর সদর দপ্তর। আনসার সদস্যরা না থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, থানা-পুলিশের টহল চালানো এবং তল্লাশিচৌকি বসাতে জনবল-সংকটে পড়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁর বাহিনীতে কর্মরত আড়াই হাজার আনসারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ডিএমপিতে বর্তমানে ৫৯ আনসার জন রয়েছেন, তাঁদেরও ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পরিস্থিতির কারণে আনসাররা ফেরত গেছেন। তবে এতে আমাদের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
আনসারদের শিগগির পুলিশে ফেরার দৃশ্যত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান বলেন, প্রত্যাহার করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আনসার সদস্য চাওয়া হয়নি। তাই নতুন করে দেওয়াও হয়নি। তাঁরা চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার দেওয়া হবে।
কেপিআইভুক্ত স্থাপনায় কিছু আনসার
আগস্টের সংকটের পর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের অস্ত্র প্রত্যাহার করা হলে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জটিলতায় পড়ে। মনে করা হয়, আনসাররা অস্ত্র ছাড়া দায়িত্ব পালন করলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকতে পারে। পরে অক্টোবরের শেষের দিকে যাচাই-বাছাই করে আবার কিছুসংখ্যক আনসার সদস্যকে নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের কোনো অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না।
অতীতেও অসন্তোষের নজির
চাকরি ও সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক দাবিদাওয়া নিয়ে আনসার বাহিনীর মধ্যে অতীতেও অসন্তোষ, এমনকি বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটেছে।
১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর সফিপুর আনসার একাডেমিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আনসার সদস্যের বাগ্বিতণ্ডার জেরে বিদ্রোহ শুরু হয়। সে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার খিলগাঁওয়ের আনসার সদর দপ্তরেও। প্রথমে সাত দফা দাবি তুললেও পরে আনসার সদস্যরা চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানান। বিদ্রোহের চতুর্থ দিনে সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ কঠোর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে প্রায় ২৫০০ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে কেউ কেউ আদালতে গিয়ে খালাস পান ও চাকরি ফিরে পান।
আনসারে সংস্কারের উদ্যোগ
সংকট মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আনসার রিফর্মের (সংস্কারের) কাজ চলছে। কমিটি সংস্কারের জন্য কাজ শেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেবে।
আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানায়, অঙ্গীভূত আনসারদের ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একাধিক কমিটি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব কমিটি কাজ শুরু করেছে। তাঁদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া, বেতন-ভাতা ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে।
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মামলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা
বিশ্রাম পদ্ধতি বাতিল করে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর সচিবালয় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। ওই দিন সচিবালয়সহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রাতে আনসারদের সচিবালয়ের সামনে থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ডিএমপির শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলা করা হয়। এতে হাজারের বেশি সদস্যকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় অন্তত ৪০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত ৮ হাজার ৯১৪ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়, আনসার ক্যাম্প ও জেলা অফিসগুলোতে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবগুলো ঘটনা তদন্ত করেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তথা সচিবালয়ে হামলায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত ১৫ জনকে কালো-তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা কখনোই আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না।
তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে, পাশাপাশি আনসার সদর দপ্তরও ব্যবস্থা নিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার করা আনসার সদস্যরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ আগস্ট বিক্ষোভের দিনই বিকেলে আনসার সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্রামের যে প্রথা তা থাকবে না। তাঁরা নিয়মিত চাকরি করে যেতে পারবেন। আনসারদের দাবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আনসাররা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অনড় থেকে সচিবালয় এলাকায় রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
৫ আগস্টের আগে সারা দেশে পুলিশ বাহিনীসহ ৫৭০১টি সংস্থায় ৫৪৬৫১ জন প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ সাধারণ আনসার সদস্য অঙ্গীভূত হয়ে বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিপণিবিতান, গার্মেন্টস শিল্প, লঞ্চঘাট, সমুদ্রবন্দর এবং ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
সারা দেশে অঙ্গীভূত আনসারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার সদস্য সব সময় দায়িত্ব পালন করতেন। বাকি ১৫ হাজার বিশ্রামে থাকতেন। তিন বছর পরপর তাঁদের বিশ্রামে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা কোনো ভাতা পান না।
‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ গ্রহণকারী সাধারণ আনসার সদস্যদেরকে নিরাপত্তাব্যস্থাসহ সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অঙ্গীভূত করা হলে তাঁদের অঙ্গীভূত আনসার বলা হয়।
পুলিশ থেকে প্রত্যাহার
পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কখনো কখনো মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হতো। তবে সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলার পর তাঁদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফের তাঁদের পুলিশের সঙ্গে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আনসার বাহিনীতে সংস্কারের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর সদর দপ্তর। আনসার সদস্যরা না থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, থানা-পুলিশের টহল চালানো এবং তল্লাশিচৌকি বসাতে জনবল-সংকটে পড়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁর বাহিনীতে কর্মরত আড়াই হাজার আনসারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ডিএমপিতে বর্তমানে ৫৯ আনসার জন রয়েছেন, তাঁদেরও ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পরিস্থিতির কারণে আনসাররা ফেরত গেছেন। তবে এতে আমাদের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
আনসারদের শিগগির পুলিশে ফেরার দৃশ্যত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান বলেন, প্রত্যাহার করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আনসার সদস্য চাওয়া হয়নি। তাই নতুন করে দেওয়াও হয়নি। তাঁরা চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার দেওয়া হবে।
কেপিআইভুক্ত স্থাপনায় কিছু আনসার
আগস্টের সংকটের পর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের অস্ত্র প্রত্যাহার করা হলে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জটিলতায় পড়ে। মনে করা হয়, আনসাররা অস্ত্র ছাড়া দায়িত্ব পালন করলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকতে পারে। পরে অক্টোবরের শেষের দিকে যাচাই-বাছাই করে আবার কিছুসংখ্যক আনসার সদস্যকে নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের কোনো অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না।
অতীতেও অসন্তোষের নজির
চাকরি ও সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক দাবিদাওয়া নিয়ে আনসার বাহিনীর মধ্যে অতীতেও অসন্তোষ, এমনকি বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটেছে।
১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর সফিপুর আনসার একাডেমিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আনসার সদস্যের বাগ্বিতণ্ডার জেরে বিদ্রোহ শুরু হয়। সে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার খিলগাঁওয়ের আনসার সদর দপ্তরেও। প্রথমে সাত দফা দাবি তুললেও পরে আনসার সদস্যরা চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানান। বিদ্রোহের চতুর্থ দিনে সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ কঠোর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে প্রায় ২৫০০ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে কেউ কেউ আদালতে গিয়ে খালাস পান ও চাকরি ফিরে পান।
আনসারে সংস্কারের উদ্যোগ
সংকট মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আনসার রিফর্মের (সংস্কারের) কাজ চলছে। কমিটি সংস্কারের জন্য কাজ শেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেবে।
আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানায়, অঙ্গীভূত আনসারদের ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একাধিক কমিটি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব কমিটি কাজ শুরু করেছে। তাঁদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া, বেতন-ভাতা ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মামলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা
বিশ্রাম পদ্ধতি বাতিল করে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর সচিবালয় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। ওই দিন সচিবালয়সহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রাতে আনসারদের সচিবালয়ের সামনে থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ডিএমপির শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলা করা হয়। এতে হাজারের বেশি সদস্যকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় অন্তত ৪০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত ৮ হাজার ৯১৪ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়, আনসার ক্যাম্প ও জেলা অফিসগুলোতে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবগুলো ঘটনা তদন্ত করেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তথা সচিবালয়ে হামলায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত ১৫ জনকে কালো-তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা কখনোই আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না।
তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে, পাশাপাশি আনসার সদর দপ্তরও ব্যবস্থা নিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার করা আনসার সদস্যরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ আগস্ট বিক্ষোভের দিনই বিকেলে আনসার সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্রামের যে প্রথা তা থাকবে না। তাঁরা নিয়মিত চাকরি করে যেতে পারবেন। আনসারদের দাবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আনসাররা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অনড় থেকে সচিবালয় এলাকায় রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
৫ আগস্টের আগে সারা দেশে পুলিশ বাহিনীসহ ৫৭০১টি সংস্থায় ৫৪৬৫১ জন প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ সাধারণ আনসার সদস্য অঙ্গীভূত হয়ে বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিপণিবিতান, গার্মেন্টস শিল্প, লঞ্চঘাট, সমুদ্রবন্দর এবং ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
সারা দেশে অঙ্গীভূত আনসারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার সদস্য সব সময় দায়িত্ব পালন করতেন। বাকি ১৫ হাজার বিশ্রামে থাকতেন। তিন বছর পরপর তাঁদের বিশ্রামে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা কোনো ভাতা পান না।
‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ গ্রহণকারী সাধারণ আনসার সদস্যদেরকে নিরাপত্তাব্যস্থাসহ সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অঙ্গীভূত করা হলে তাঁদের অঙ্গীভূত আনসার বলা হয়।
পুলিশ থেকে প্রত্যাহার
পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কখনো কখনো মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হতো। তবে সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলার পর তাঁদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফের তাঁদের পুলিশের সঙ্গে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আনসার বাহিনীতে সংস্কারের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর সদর দপ্তর। আনসার সদস্যরা না থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, থানা-পুলিশের টহল চালানো এবং তল্লাশিচৌকি বসাতে জনবল-সংকটে পড়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁর বাহিনীতে কর্মরত আড়াই হাজার আনসারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ডিএমপিতে বর্তমানে ৫৯ আনসার জন রয়েছেন, তাঁদেরও ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পরিস্থিতির কারণে আনসাররা ফেরত গেছেন। তবে এতে আমাদের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
আনসারদের শিগগির পুলিশে ফেরার দৃশ্যত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান বলেন, প্রত্যাহার করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আনসার সদস্য চাওয়া হয়নি। তাই নতুন করে দেওয়াও হয়নি। তাঁরা চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার দেওয়া হবে।
কেপিআইভুক্ত স্থাপনায় কিছু আনসার
আগস্টের সংকটের পর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের অস্ত্র প্রত্যাহার করা হলে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জটিলতায় পড়ে। মনে করা হয়, আনসাররা অস্ত্র ছাড়া দায়িত্ব পালন করলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকতে পারে। পরে অক্টোবরের শেষের দিকে যাচাই-বাছাই করে আবার কিছুসংখ্যক আনসার সদস্যকে নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের কোনো অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না।
অতীতেও অসন্তোষের নজির
চাকরি ও সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক দাবিদাওয়া নিয়ে আনসার বাহিনীর মধ্যে অতীতেও অসন্তোষ, এমনকি বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটেছে।
১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর সফিপুর আনসার একাডেমিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আনসার সদস্যের বাগ্বিতণ্ডার জেরে বিদ্রোহ শুরু হয়। সে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার খিলগাঁওয়ের আনসার সদর দপ্তরেও। প্রথমে সাত দফা দাবি তুললেও পরে আনসার সদস্যরা চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানান। বিদ্রোহের চতুর্থ দিনে সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ কঠোর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে প্রায় ২৫০০ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে কেউ কেউ আদালতে গিয়ে খালাস পান ও চাকরি ফিরে পান।
আনসারে সংস্কারের উদ্যোগ
সংকট মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আনসার রিফর্মের (সংস্কারের) কাজ চলছে। কমিটি সংস্কারের জন্য কাজ শেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেবে।
আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানায়, অঙ্গীভূত আনসারদের ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একাধিক কমিটি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব কমিটি কাজ শুরু করেছে। তাঁদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া, বেতন-ভাতা ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে।
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মামলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা
বিশ্রাম পদ্ধতি বাতিল করে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর সচিবালয় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। ওই দিন সচিবালয়সহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রাতে আনসারদের সচিবালয়ের সামনে থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ডিএমপির শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলা করা হয়। এতে হাজারের বেশি সদস্যকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় অন্তত ৪০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত ৮ হাজার ৯১৪ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়, আনসার ক্যাম্প ও জেলা অফিসগুলোতে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবগুলো ঘটনা তদন্ত করেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তথা সচিবালয়ে হামলায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত ১৫ জনকে কালো-তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা কখনোই আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না।
তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে, পাশাপাশি আনসার সদর দপ্তরও ব্যবস্থা নিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার করা আনসার সদস্যরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ আগস্ট বিক্ষোভের দিনই বিকেলে আনসার সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্রামের যে প্রথা তা থাকবে না। তাঁরা নিয়মিত চাকরি করে যেতে পারবেন। আনসারদের দাবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সাত সদস্যের কমিটিও গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আনসাররা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে অনড় থেকে সচিবালয় এলাকায় রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
৫ আগস্টের আগে সারা দেশে পুলিশ বাহিনীসহ ৫৭০১টি সংস্থায় ৫৪৬৫১ জন প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ সাধারণ আনসার সদস্য অঙ্গীভূত হয়ে বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ গণপরিবহন, শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিপণিবিতান, গার্মেন্টস শিল্প, লঞ্চঘাট, সমুদ্রবন্দর এবং ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
সারা দেশে অঙ্গীভূত আনসারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার সদস্য সব সময় দায়িত্ব পালন করতেন। বাকি ১৫ হাজার বিশ্রামে থাকতেন। তিন বছর পরপর তাঁদের বিশ্রামে পাঠানো হয়। এ সময় তাঁরা কোনো ভাতা পান না।
‘মৌলিক প্রশিক্ষণ’ গ্রহণকারী সাধারণ আনসার সদস্যদেরকে নিরাপত্তাব্যস্থাসহ সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অঙ্গীভূত করা হলে তাঁদের অঙ্গীভূত আনসার বলা হয়।
পুলিশ থেকে প্রত্যাহার
পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কখনো কখনো মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হতো। তবে সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলার পর তাঁদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফের তাঁদের পুলিশের সঙ্গে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আনসার বাহিনীতে সংস্কারের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এর সদর দপ্তর। আনসার সদস্যরা না থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, থানা-পুলিশের টহল চালানো এবং তল্লাশিচৌকি বসাতে জনবল-সংকটে পড়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁর বাহিনীতে কর্মরত আড়াই হাজার আনসারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ডিএমপিতে বর্তমানে ৫৯ আনসার জন রয়েছেন, তাঁদেরও ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি পরিস্থিতির কারণে আনসাররা ফেরত গেছেন। তবে এতে আমাদের কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
আনসারদের শিগগির পুলিশে ফেরার দৃশ্যত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান বলেন, প্রত্যাহার করার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আনসার সদস্য চাওয়া হয়নি। তাই নতুন করে দেওয়াও হয়নি। তাঁরা চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার দেওয়া হবে।
কেপিআইভুক্ত স্থাপনায় কিছু আনসার
আগস্টের সংকটের পর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের অস্ত্র প্রত্যাহার করা হলে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জটিলতায় পড়ে। মনে করা হয়, আনসাররা অস্ত্র ছাড়া দায়িত্ব পালন করলে প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকতে পারে। পরে অক্টোবরের শেষের দিকে যাচাই-বাছাই করে আবার কিছুসংখ্যক আনসার সদস্যকে নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের কোনো অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না।
অতীতেও অসন্তোষের নজির
চাকরি ও সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক দাবিদাওয়া নিয়ে আনসার বাহিনীর মধ্যে অতীতেও অসন্তোষ, এমনকি বিদ্রোহের ঘটনাও ঘটেছে।
১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর সফিপুর আনসার একাডেমিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আনসার সদস্যের বাগ্বিতণ্ডার জেরে বিদ্রোহ শুরু হয়। সে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার খিলগাঁওয়ের আনসার সদর দপ্তরেও। প্রথমে সাত দফা দাবি তুললেও পরে আনসার সদস্যরা চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানান। বিদ্রোহের চতুর্থ দিনে সেনাবাহিনী, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ কঠোর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে প্রায় ২৫০০ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার ও চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে কেউ কেউ আদালতে গিয়ে খালাস পান ও চাকরি ফিরে পান।
আনসারে সংস্কারের উদ্যোগ
সংকট মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের মুখপাত্র মো. আশিকউজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আনসার রিফর্মের (সংস্কারের) কাজ চলছে। কমিটি সংস্কারের জন্য কাজ শেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেবে।
আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানায়, অঙ্গীভূত আনসারদের ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একাধিক কমিটি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব কমিটি কাজ শুরু করেছে। তাঁদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া, বেতন-ভাতা ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৩ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেসুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৩ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।
এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।
আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।
আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।
আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৩ ঘণ্টা আগেপলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৫ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২ ঘণ্টা আগেআমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। ভয়ে তিনি পাশের একটি
৩ ঘণ্টা আগেআসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে