নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘বাংলাদেশের ৬৭ পার্সেন্ট লোক নন-কমিউনিকেবল ডিজিসে মারা যায়। তার মধ্যে ক্যানসার উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশে ২০ লাখ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত। বছর শেষে আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ক্যানসার রোগী যুক্ত হয় এই তালিকায়। মৃত্যু হয় লাখের কাছাকাছি। অর্থাৎ আমাদের দেশে যদি ১ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে বছরে, তাহলে প্রতিদিন মারা যায় ২৭৩ জন। যদি দেড় লাখ লোক মারা যায়, তাহলে দিন শেষে সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০০-এর মতো। অথচ আমরা করোনার মৃত্যুটাকেই দেখে থাকি। রোজ করোনার মৃত্যুসংখ্যাটা জানানো হচ্ছে বিধায় আমরা জানতে পারি। কিন্তু ক্যানসারে কত লোক মারা যায়, এই হিসাব কেউ খুব একটা রাখে না।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত ক্যানসার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ক্যানসারের মতো এমন রোগ কেন বাড়ছে, এর পেছনের কারণটা কী, এটা খুঁজে বের করার তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধটা ক্যানসারের জন্য খুবই জরুরি। আমরা যে বাতাস গ্রহণ করি, সেগুলোর ভেতরে অনেক ধরনের জীবাণু রয়েছে। ঢাকার বাতাস অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব একটা ভালো না। যার ফলে আমাদের এখানকার মানুষদের ফুসফুস ও গলায় ক্যানসার হয়। নদী-নালায় শিল্পের বর্জ্য ফেলা হয়, ওই সমস্ত পানি ব্যবহার করলে নানা ধরনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভেজাল খাবার এবং তামাক সেবন করলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশে ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারের আধিক্য বেশি। আবাদি খাদ্যশস্যে কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যানসারমুক্ত থাকার সব থেকে সহজ ও সুন্দর পদ্ধতি হলো দ্রুত ক্যানসার শনাক্ত করে ভালো চিকিৎসা দেওয়া। দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে না।’
ক্যানসারে আক্রান্ত হলে শুধু ঢাকার মানুষ কিংবা বিত্তশালী মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে—এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আশাবাদও ব্যক্ত করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ক্যানসার চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে। এই ইনস্টিটিউটে (জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল) মাত্র ৫০ বেড ছিল। এখন সেটা ৫০০ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। এখানকার সেবার মান বাড়াতে আমরা আরও নতুন নতুন মেশিন দেব। একটি উন্নত ক্যানসার চিকিৎসা ইনস্টিটিউট করতে যা যা দরকার, তার সবই করা হবে। এটার পাশাপাশি দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর যে ক্যানসার ইউনিট আছে, সেগুলো আপগ্রেড করা হবে। ক্যানসার যেহেতু বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে দেশের আট বিভাগে আটটি ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলোতে ১৮০টি করে বেড ক্যানসার রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। অর্থাৎ, আটটি হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বেড নতুন যুক্ত হবে। ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ের এসব বেড চালু হয়ে গেলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না। নিজ এলাকায় চিকিৎসা নিয়ে অনেকের জীবন বেঁচে যাবে।’
দেশের মানুষকে করোনা ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বাঁচতে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ মুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

‘বাংলাদেশের ৬৭ পার্সেন্ট লোক নন-কমিউনিকেবল ডিজিসে মারা যায়। তার মধ্যে ক্যানসার উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশে ২০ লাখ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত। বছর শেষে আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ক্যানসার রোগী যুক্ত হয় এই তালিকায়। মৃত্যু হয় লাখের কাছাকাছি। অর্থাৎ আমাদের দেশে যদি ১ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে বছরে, তাহলে প্রতিদিন মারা যায় ২৭৩ জন। যদি দেড় লাখ লোক মারা যায়, তাহলে দিন শেষে সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০০-এর মতো। অথচ আমরা করোনার মৃত্যুটাকেই দেখে থাকি। রোজ করোনার মৃত্যুসংখ্যাটা জানানো হচ্ছে বিধায় আমরা জানতে পারি। কিন্তু ক্যানসারে কত লোক মারা যায়, এই হিসাব কেউ খুব একটা রাখে না।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত ক্যানসার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ক্যানসারের মতো এমন রোগ কেন বাড়ছে, এর পেছনের কারণটা কী, এটা খুঁজে বের করার তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধটা ক্যানসারের জন্য খুবই জরুরি। আমরা যে বাতাস গ্রহণ করি, সেগুলোর ভেতরে অনেক ধরনের জীবাণু রয়েছে। ঢাকার বাতাস অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব একটা ভালো না। যার ফলে আমাদের এখানকার মানুষদের ফুসফুস ও গলায় ক্যানসার হয়। নদী-নালায় শিল্পের বর্জ্য ফেলা হয়, ওই সমস্ত পানি ব্যবহার করলে নানা ধরনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভেজাল খাবার এবং তামাক সেবন করলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশে ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারের আধিক্য বেশি। আবাদি খাদ্যশস্যে কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যানসারমুক্ত থাকার সব থেকে সহজ ও সুন্দর পদ্ধতি হলো দ্রুত ক্যানসার শনাক্ত করে ভালো চিকিৎসা দেওয়া। দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে না।’
ক্যানসারে আক্রান্ত হলে শুধু ঢাকার মানুষ কিংবা বিত্তশালী মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে—এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আশাবাদও ব্যক্ত করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ক্যানসার চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে। এই ইনস্টিটিউটে (জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল) মাত্র ৫০ বেড ছিল। এখন সেটা ৫০০ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। এখানকার সেবার মান বাড়াতে আমরা আরও নতুন নতুন মেশিন দেব। একটি উন্নত ক্যানসার চিকিৎসা ইনস্টিটিউট করতে যা যা দরকার, তার সবই করা হবে। এটার পাশাপাশি দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর যে ক্যানসার ইউনিট আছে, সেগুলো আপগ্রেড করা হবে। ক্যানসার যেহেতু বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে দেশের আট বিভাগে আটটি ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলোতে ১৮০টি করে বেড ক্যানসার রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। অর্থাৎ, আটটি হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বেড নতুন যুক্ত হবে। ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ের এসব বেড চালু হয়ে গেলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না। নিজ এলাকায় চিকিৎসা নিয়ে অনেকের জীবন বেঁচে যাবে।’
দেশের মানুষকে করোনা ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বাঁচতে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ মুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘বাংলাদেশের ৬৭ পার্সেন্ট লোক নন-কমিউনিকেবল ডিজিসে মারা যায়। তার মধ্যে ক্যানসার উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশে ২০ লাখ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত। বছর শেষে আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ক্যানসার রোগী যুক্ত হয় এই তালিকায়। মৃত্যু হয় লাখের কাছাকাছি। অর্থাৎ আমাদের দেশে যদি ১ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে বছরে, তাহলে প্রতিদিন মারা যায় ২৭৩ জন। যদি দেড় লাখ লোক মারা যায়, তাহলে দিন শেষে সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০০-এর মতো। অথচ আমরা করোনার মৃত্যুটাকেই দেখে থাকি। রোজ করোনার মৃত্যুসংখ্যাটা জানানো হচ্ছে বিধায় আমরা জানতে পারি। কিন্তু ক্যানসারে কত লোক মারা যায়, এই হিসাব কেউ খুব একটা রাখে না।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত ক্যানসার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ক্যানসারের মতো এমন রোগ কেন বাড়ছে, এর পেছনের কারণটা কী, এটা খুঁজে বের করার তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধটা ক্যানসারের জন্য খুবই জরুরি। আমরা যে বাতাস গ্রহণ করি, সেগুলোর ভেতরে অনেক ধরনের জীবাণু রয়েছে। ঢাকার বাতাস অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব একটা ভালো না। যার ফলে আমাদের এখানকার মানুষদের ফুসফুস ও গলায় ক্যানসার হয়। নদী-নালায় শিল্পের বর্জ্য ফেলা হয়, ওই সমস্ত পানি ব্যবহার করলে নানা ধরনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভেজাল খাবার এবং তামাক সেবন করলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশে ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারের আধিক্য বেশি। আবাদি খাদ্যশস্যে কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যানসারমুক্ত থাকার সব থেকে সহজ ও সুন্দর পদ্ধতি হলো দ্রুত ক্যানসার শনাক্ত করে ভালো চিকিৎসা দেওয়া। দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে না।’
ক্যানসারে আক্রান্ত হলে শুধু ঢাকার মানুষ কিংবা বিত্তশালী মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে—এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আশাবাদও ব্যক্ত করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ক্যানসার চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে। এই ইনস্টিটিউটে (জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল) মাত্র ৫০ বেড ছিল। এখন সেটা ৫০০ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। এখানকার সেবার মান বাড়াতে আমরা আরও নতুন নতুন মেশিন দেব। একটি উন্নত ক্যানসার চিকিৎসা ইনস্টিটিউট করতে যা যা দরকার, তার সবই করা হবে। এটার পাশাপাশি দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর যে ক্যানসার ইউনিট আছে, সেগুলো আপগ্রেড করা হবে। ক্যানসার যেহেতু বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে দেশের আট বিভাগে আটটি ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলোতে ১৮০টি করে বেড ক্যানসার রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। অর্থাৎ, আটটি হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বেড নতুন যুক্ত হবে। ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ের এসব বেড চালু হয়ে গেলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না। নিজ এলাকায় চিকিৎসা নিয়ে অনেকের জীবন বেঁচে যাবে।’
দেশের মানুষকে করোনা ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বাঁচতে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ মুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

‘বাংলাদেশের ৬৭ পার্সেন্ট লোক নন-কমিউনিকেবল ডিজিসে মারা যায়। তার মধ্যে ক্যানসার উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশে ২০ লাখ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত। বছর শেষে আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ক্যানসার রোগী যুক্ত হয় এই তালিকায়। মৃত্যু হয় লাখের কাছাকাছি। অর্থাৎ আমাদের দেশে যদি ১ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে বছরে, তাহলে প্রতিদিন মারা যায় ২৭৩ জন। যদি দেড় লাখ লোক মারা যায়, তাহলে দিন শেষে সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০০-এর মতো। অথচ আমরা করোনার মৃত্যুটাকেই দেখে থাকি। রোজ করোনার মৃত্যুসংখ্যাটা জানানো হচ্ছে বিধায় আমরা জানতে পারি। কিন্তু ক্যানসারে কত লোক মারা যায়, এই হিসাব কেউ খুব একটা রাখে না।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত ক্যানসার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ক্যানসারের মতো এমন রোগ কেন বাড়ছে, এর পেছনের কারণটা কী, এটা খুঁজে বের করার তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধটা ক্যানসারের জন্য খুবই জরুরি। আমরা যে বাতাস গ্রহণ করি, সেগুলোর ভেতরে অনেক ধরনের জীবাণু রয়েছে। ঢাকার বাতাস অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব একটা ভালো না। যার ফলে আমাদের এখানকার মানুষদের ফুসফুস ও গলায় ক্যানসার হয়। নদী-নালায় শিল্পের বর্জ্য ফেলা হয়, ওই সমস্ত পানি ব্যবহার করলে নানা ধরনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভেজাল খাবার এবং তামাক সেবন করলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশে ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারের আধিক্য বেশি। আবাদি খাদ্যশস্যে কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যানসারমুক্ত থাকার সব থেকে সহজ ও সুন্দর পদ্ধতি হলো দ্রুত ক্যানসার শনাক্ত করে ভালো চিকিৎসা দেওয়া। দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে সেটি ছড়িয়ে পড়ে না।’
ক্যানসারে আক্রান্ত হলে শুধু ঢাকার মানুষ কিংবা বিত্তশালী মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে—এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আশাবাদও ব্যক্ত করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ক্যানসার চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে। এই ইনস্টিটিউটে (জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল) মাত্র ৫০ বেড ছিল। এখন সেটা ৫০০ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। এখানকার সেবার মান বাড়াতে আমরা আরও নতুন নতুন মেশিন দেব। একটি উন্নত ক্যানসার চিকিৎসা ইনস্টিটিউট করতে যা যা দরকার, তার সবই করা হবে। এটার পাশাপাশি দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর যে ক্যানসার ইউনিট আছে, সেগুলো আপগ্রেড করা হবে। ক্যানসার যেহেতু বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে দেশের আট বিভাগে আটটি ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলোতে ১৮০টি করে বেড ক্যানসার রোগীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। অর্থাৎ, আটটি হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বেড নতুন যুক্ত হবে। ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ের এসব বেড চালু হয়ে গেলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না। নিজ এলাকায় চিকিৎসা নিয়ে অনেকের জীবন বেঁচে যাবে।’
দেশের মানুষকে করোনা ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে বাঁচতে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ মুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

বাংলাদেশের ৬৭ পার্সেন্ট লোক নন কমিউনিকেবল ডিজিসে মারা যায়। তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। আমাদের দেশে ২০ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত। বছর শেষে আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ক্যান্সার রোগী যুক্ত হয় এই তালিকা। মৃত্যু হয় প্রায় লাখের কাছাকাছি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ৬৭ পার্সেন্ট লোক নন কমিউনিকেবল ডিজিসে মারা যায়। তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। আমাদের দেশে ২০ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত। বছর শেষে আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ক্যান্সার রোগী যুক্ত হয় এই তালিকা। মৃত্যু হয় প্রায় লাখের কাছাকাছি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৬ ঘণ্টা আগেআয়নাল হোসেন, ঢাকা

ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতারণার শিকার ওমরাহযাত্রীরা প্রতিকার চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। আর একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ত্রুটিগুলো লিখিতভাবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠা তিন এজেন্সির একটি হলো দেশ ও বিদেশ হজ এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওমরাহ যাত্রীরা হলেন আজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, নূর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, খোদেজা আলম, কোহিনুর আক্তার, রহিমা আক্তার, সারোয়ার আলম চৌধুরী ফরিদা ইয়াসমিন লাভলী, শফিকুল আলম ও শাহেনা আকতার। এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওমরাহ পালনকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সুনির্দিষ্ট হোটেল বুকিং না থাকা, নিজ উদ্যোগে হোটেলে লাগেজ বহন, হোটেল ব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি, সংকীর্ণ আবাসস্থল, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হজের পাঁচ দিন বাস সার্ভিসে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন।
জানতে চাইলে দেশ ও বিদেশ এজেন্সির মালিক এহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমরাহ যাত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকজন টাকা বকেয়া রেখেই ওমরাহ পালনে যান। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মো. শামীম হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সির কাছে। তিনজনে ওমরা পালনের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা জমা দেন। অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন। এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় নোটিশ পাঠায়। এতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নয়। পরে জমা দেওয়া টাকার মধ্যে২ লাখ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহনেওয়াজ নামের অন্য একটি ব্যক্তি লাইম স্টোন রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার করে তিনজনের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওমরাহ পালনে যান তাঁরা। মদিনায় ৪ দিন ও মক্কায় ১০ দিন রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়। এজেন্সি মদিনায় ফ্লাইট না দিয়ে জেদ্দায় ফ্লাইট দেয়। এরপর জেদ্দা-মদিনায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রিয়াল করে আদায় করে। মদিনায় হোটেল নিম্নমানের দেওয়া হয়। একই কক্ষে নারী-পুরুষকে রাখা হয়। মক্কায়ও নিম্নমানের হোটেল দেওয়া হয়। সেখানেও নারী-পুরুষকে একত্রে রাখা হয়। মক্কা থেকে ফ্লাইট না দিয়ে মদিনা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট দেওয়া হয়।

ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রতারণার শিকার ওমরাহযাত্রীরা প্রতিকার চেয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। গত বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। আর একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ত্রুটিগুলো লিখিতভাবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠা তিন এজেন্সির একটি হলো দেশ ও বিদেশ হজ এজেন্সি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওমরাহ যাত্রীরা হলেন আজহারুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, নূর মোহাম্মদ, মো. খোরশেদ আলম, খোদেজা আলম, কোহিনুর আক্তার, রহিমা আক্তার, সারোয়ার আলম চৌধুরী ফরিদা ইয়াসমিন লাভলী, শফিকুল আলম ও শাহেনা আকতার। এজেন্সির বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ওমরাহ পালনকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সুনির্দিষ্ট হোটেল বুকিং না থাকা, নিজ উদ্যোগে হোটেলে লাগেজ বহন, হোটেল ব্যবস্থাপনায় চরম ভোগান্তি, সংকীর্ণ আবাসস্থল, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হজের পাঁচ দিন বাস সার্ভিসে চরম অব্যবস্থাপনা এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশন।
জানতে চাইলে দেশ ও বিদেশ এজেন্সির মালিক এহসানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওমরাহ যাত্রীরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। কয়েকজন টাকা বকেয়া রেখেই ওমরাহ পালনে যান। এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে।
মো. শামীম হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেন ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সির কাছে। তিনজনে ওমরা পালনের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা জমা দেন। অফিসে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন। এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. মুফতি এম এ আজিজ হজ অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় নোটিশ পাঠায়। এতে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কক্ষে শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে ধরে নেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নয়। পরে জমা দেওয়া টাকার মধ্যে২ লাখ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহনেওয়াজ নামের অন্য একটি ব্যক্তি লাইম স্টোন রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, জনপ্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার করে তিনজনের জন্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওমরাহ পালনে যান তাঁরা। মদিনায় ৪ দিন ও মক্কায় ১০ দিন রাখার শর্তে টাকা দেওয়া হয়। এজেন্সি মদিনায় ফ্লাইট না দিয়ে জেদ্দায় ফ্লাইট দেয়। এরপর জেদ্দা-মদিনায় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ রিয়াল করে আদায় করে। মদিনায় হোটেল নিম্নমানের দেওয়া হয়। একই কক্ষে নারী-পুরুষকে রাখা হয়। মক্কায়ও নিম্নমানের হোটেল দেওয়া হয়। সেখানেও নারী-পুরুষকে একত্রে রাখা হয়। মক্কা থেকে ফ্লাইট না দিয়ে মদিনা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের ৬৭ পার্সেন্ট লোক নন কমিউনিকেবল ডিজিসে মারা যায়। তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। আমাদের দেশে ২০ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত। বছর শেষে আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ক্যান্সার রোগী যুক্ত হয় এই তালিকা। মৃত্যু হয় প্রায় লাখের কাছাকাছি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

বাংলাদেশের ৬৭ পার্সেন্ট লোক নন কমিউনিকেবল ডিজিসে মারা যায়। তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। আমাদের দেশে ২০ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত। বছর শেষে আরও প্রায় এক থেকে দেড় লাখ ক্যান্সার রোগী যুক্ত হয় এই তালিকা। মৃত্যু হয় প্রায় লাখের কাছাকাছি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২ ঘণ্টা আগে
ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়েছেন ১৭ জন যাত্রী। পরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুটি এজেন্সি টাকা ফেরত দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। অন্য একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে