নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে দিনদিন মুক্ত সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী বিভিন্ন আইনের কারণে সাংবাদিকেরা যা বলতে চান তা বলতে পারছেন না, যা লিখতে চাচ্ছেন তা লিখতে পারছেন না। যার কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন তা জানতে চান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটির ১৪টি জায়গা জামিন অযোগ্য রয়েছে। সাংবাদিকতা কি এইরকম অপরাধ যে—এটা জামিন অযোগ্য হবে। ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে এটার প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলে এটা এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ হবে না তা আইনে থাকলেই আমাদের দাবিটা বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’
মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাও আমরা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার করে যাব।’
সভায় আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সেভাবে স্বীকার করি না। একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যাই। আমরা দেখেছি যে, এ পর্যন্ত যত সরকারই এসেছে তারা কেউ সেভাবে প্রেস কিংবা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য একেবারে আত্মনিয়োগ করেছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা সরকারই গণমাধ্যমগুলোকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি মনে করে। এই জায়গাটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলছি, গণতন্ত্রের সংস্কৃতির কথা বলছি কিন্তু সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি না। এই যে স্ববিরোধিতা, এই জায়গাটায় সাংস্কৃতিক যে প্রক্রিয়া সেটার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটটা চিহ্নিত করা দরকার।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে শুধু সুশীল সমাজ কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব শুধু সুশীল সমাজ নয় এখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রকৃতপক্ষে তাদের অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমার মনে হয় সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এ সমাজের নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিশ্চয়ই, অবশ্যই গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজির কারণে জনগণ বা নাগরিকের যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সেটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এটাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই আইনি সহায়তার নাম করে যখন আইন প্রণয়ন করতে দেখি, আর সেই আইন জনগণের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবং চ্যালেঞ্জটাকে চিহ্নিত করে অন্তত বর্তমান কাজগুলোর পরিকল্পনা করি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকতা আইনগতভাবে নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এটাকে আরও শক্ত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই আইনের মাধ্যমে আমাদের কথা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রোধের জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের যে ধারাগুলো বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।’
ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হতে পারে না। আইন হয় মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অথচ এই আইন রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেই আইন কেড়ে নেয় সেটা আইন হতে পারে না। এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সময় বলা হয়নি ‘ভাত দে হারামজাদা?’ —তাই বলে মেরে ফেলেছে? নেতাদের সমালোচনা করা যায় কিন্তু জানোয়ারের সমালোচনা করা যায় না। যারা সমালোচনায় বাধা দেন তাঁরা কি তাদের জানোয়ারদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন?’
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সাংবাদিকদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ১৩ বছরে ৪৫ জন সংবাদকর্মী খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১২১ থেকে ১৬২ তম হয়েছি। নিউ মার্কেটে সহিংসতায় ১৪ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। অথচ মামলা হলেও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় একটা জিডিও হয়নি।’
বিএফইউজে এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকার কেন মালিকের আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কথা বললেও চাকরি চলে যায়। নজরদারি শুধু আমাদের ওপর সরকার না, আমাদের মালিকেরাও করছে।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আইনটি পাসের সময় বলেছেন এই আইন তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্নের জন্য তো আর সাংবাদিকতার বারোটা বাজতে পারে না। তার পর থেকেই এই আইন অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই আইনের অধীনে ৮৭ ভাগ মামলায় কোনো সাজা দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ এটা হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের সম্পাদক বলেন, ‘এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে জেলে গিয়েছিলাম। এই সরকারের আমলে ৮ মাস বাইরে থেকেছি। মালিকদের মধ্যে সমস্যা নাই, আমাদের মধ্যেই সমস্যা। কোনো লেখা আসলে সাংবাদিকরাই বলে এই লেখাটা না দিলে কেমন হয়? আমরা যা দেখছি তা দেখছি না, যা বলছি তা বলছি না, যা শুনছি তা শুনছি না। আমরা দেখি, শুনি কিন্তু কার্যকর করি না। প্রতিদিন আমি ভয় পাই। বলতেও পারি না, লিখতেও পারি না। এই যে ভয়, এটা থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নজরদারিতে কি সাংবাদিকতা করা যায়? এটাকে কি মুক্ত সাংবাদিকতা বলা যাবে? আমরা লিখতে পারি কিন্তু যেটা লিখতে চাই সেটা পারি কিনা? ডিজিটাল অবরোধের যুগে সাংবাদিকতা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবির বলেন, ‘সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার সব সময় গণমাধ্যমকে দমন করতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নোয়াব এটার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কথা বলেছে। সংবাদপত্রের বিকাশে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তবে এখন সেটা কমে আসছে। আয় না থাকলে সংবাদপত্র বিকাশ হয় না তাই পত্রিকার আয় বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন। সরকারি বিজ্ঞাপনের ১২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাওনা আছি।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

দেশে দিনদিন মুক্ত সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী বিভিন্ন আইনের কারণে সাংবাদিকেরা যা বলতে চান তা বলতে পারছেন না, যা লিখতে চাচ্ছেন তা লিখতে পারছেন না। যার কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন তা জানতে চান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটির ১৪টি জায়গা জামিন অযোগ্য রয়েছে। সাংবাদিকতা কি এইরকম অপরাধ যে—এটা জামিন অযোগ্য হবে। ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে এটার প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলে এটা এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ হবে না তা আইনে থাকলেই আমাদের দাবিটা বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’
মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাও আমরা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার করে যাব।’
সভায় আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সেভাবে স্বীকার করি না। একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যাই। আমরা দেখেছি যে, এ পর্যন্ত যত সরকারই এসেছে তারা কেউ সেভাবে প্রেস কিংবা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য একেবারে আত্মনিয়োগ করেছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা সরকারই গণমাধ্যমগুলোকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি মনে করে। এই জায়গাটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলছি, গণতন্ত্রের সংস্কৃতির কথা বলছি কিন্তু সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি না। এই যে স্ববিরোধিতা, এই জায়গাটায় সাংস্কৃতিক যে প্রক্রিয়া সেটার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটটা চিহ্নিত করা দরকার।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে শুধু সুশীল সমাজ কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব শুধু সুশীল সমাজ নয় এখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রকৃতপক্ষে তাদের অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমার মনে হয় সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এ সমাজের নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিশ্চয়ই, অবশ্যই গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজির কারণে জনগণ বা নাগরিকের যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সেটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এটাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই আইনি সহায়তার নাম করে যখন আইন প্রণয়ন করতে দেখি, আর সেই আইন জনগণের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবং চ্যালেঞ্জটাকে চিহ্নিত করে অন্তত বর্তমান কাজগুলোর পরিকল্পনা করি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকতা আইনগতভাবে নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এটাকে আরও শক্ত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই আইনের মাধ্যমে আমাদের কথা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রোধের জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের যে ধারাগুলো বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।’
ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হতে পারে না। আইন হয় মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অথচ এই আইন রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেই আইন কেড়ে নেয় সেটা আইন হতে পারে না। এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সময় বলা হয়নি ‘ভাত দে হারামজাদা?’ —তাই বলে মেরে ফেলেছে? নেতাদের সমালোচনা করা যায় কিন্তু জানোয়ারের সমালোচনা করা যায় না। যারা সমালোচনায় বাধা দেন তাঁরা কি তাদের জানোয়ারদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন?’
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সাংবাদিকদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ১৩ বছরে ৪৫ জন সংবাদকর্মী খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১২১ থেকে ১৬২ তম হয়েছি। নিউ মার্কেটে সহিংসতায় ১৪ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। অথচ মামলা হলেও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় একটা জিডিও হয়নি।’
বিএফইউজে এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকার কেন মালিকের আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কথা বললেও চাকরি চলে যায়। নজরদারি শুধু আমাদের ওপর সরকার না, আমাদের মালিকেরাও করছে।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আইনটি পাসের সময় বলেছেন এই আইন তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্নের জন্য তো আর সাংবাদিকতার বারোটা বাজতে পারে না। তার পর থেকেই এই আইন অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই আইনের অধীনে ৮৭ ভাগ মামলায় কোনো সাজা দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ এটা হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের সম্পাদক বলেন, ‘এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে জেলে গিয়েছিলাম। এই সরকারের আমলে ৮ মাস বাইরে থেকেছি। মালিকদের মধ্যে সমস্যা নাই, আমাদের মধ্যেই সমস্যা। কোনো লেখা আসলে সাংবাদিকরাই বলে এই লেখাটা না দিলে কেমন হয়? আমরা যা দেখছি তা দেখছি না, যা বলছি তা বলছি না, যা শুনছি তা শুনছি না। আমরা দেখি, শুনি কিন্তু কার্যকর করি না। প্রতিদিন আমি ভয় পাই। বলতেও পারি না, লিখতেও পারি না। এই যে ভয়, এটা থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নজরদারিতে কি সাংবাদিকতা করা যায়? এটাকে কি মুক্ত সাংবাদিকতা বলা যাবে? আমরা লিখতে পারি কিন্তু যেটা লিখতে চাই সেটা পারি কিনা? ডিজিটাল অবরোধের যুগে সাংবাদিকতা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবির বলেন, ‘সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার সব সময় গণমাধ্যমকে দমন করতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নোয়াব এটার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কথা বলেছে। সংবাদপত্রের বিকাশে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তবে এখন সেটা কমে আসছে। আয় না থাকলে সংবাদপত্র বিকাশ হয় না তাই পত্রিকার আয় বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন। সরকারি বিজ্ঞাপনের ১২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাওনা আছি।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে দিনদিন মুক্ত সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী বিভিন্ন আইনের কারণে সাংবাদিকেরা যা বলতে চান তা বলতে পারছেন না, যা লিখতে চাচ্ছেন তা লিখতে পারছেন না। যার কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন তা জানতে চান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটির ১৪টি জায়গা জামিন অযোগ্য রয়েছে। সাংবাদিকতা কি এইরকম অপরাধ যে—এটা জামিন অযোগ্য হবে। ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে এটার প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলে এটা এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ হবে না তা আইনে থাকলেই আমাদের দাবিটা বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’
মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাও আমরা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার করে যাব।’
সভায় আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সেভাবে স্বীকার করি না। একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যাই। আমরা দেখেছি যে, এ পর্যন্ত যত সরকারই এসেছে তারা কেউ সেভাবে প্রেস কিংবা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য একেবারে আত্মনিয়োগ করেছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা সরকারই গণমাধ্যমগুলোকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি মনে করে। এই জায়গাটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলছি, গণতন্ত্রের সংস্কৃতির কথা বলছি কিন্তু সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি না। এই যে স্ববিরোধিতা, এই জায়গাটায় সাংস্কৃতিক যে প্রক্রিয়া সেটার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটটা চিহ্নিত করা দরকার।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে শুধু সুশীল সমাজ কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব শুধু সুশীল সমাজ নয় এখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রকৃতপক্ষে তাদের অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমার মনে হয় সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এ সমাজের নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিশ্চয়ই, অবশ্যই গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজির কারণে জনগণ বা নাগরিকের যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সেটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এটাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই আইনি সহায়তার নাম করে যখন আইন প্রণয়ন করতে দেখি, আর সেই আইন জনগণের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবং চ্যালেঞ্জটাকে চিহ্নিত করে অন্তত বর্তমান কাজগুলোর পরিকল্পনা করি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকতা আইনগতভাবে নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এটাকে আরও শক্ত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই আইনের মাধ্যমে আমাদের কথা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রোধের জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের যে ধারাগুলো বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।’
ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হতে পারে না। আইন হয় মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অথচ এই আইন রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেই আইন কেড়ে নেয় সেটা আইন হতে পারে না। এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সময় বলা হয়নি ‘ভাত দে হারামজাদা?’ —তাই বলে মেরে ফেলেছে? নেতাদের সমালোচনা করা যায় কিন্তু জানোয়ারের সমালোচনা করা যায় না। যারা সমালোচনায় বাধা দেন তাঁরা কি তাদের জানোয়ারদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন?’
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সাংবাদিকদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ১৩ বছরে ৪৫ জন সংবাদকর্মী খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১২১ থেকে ১৬২ তম হয়েছি। নিউ মার্কেটে সহিংসতায় ১৪ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। অথচ মামলা হলেও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় একটা জিডিও হয়নি।’
বিএফইউজে এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকার কেন মালিকের আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কথা বললেও চাকরি চলে যায়। নজরদারি শুধু আমাদের ওপর সরকার না, আমাদের মালিকেরাও করছে।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আইনটি পাসের সময় বলেছেন এই আইন তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্নের জন্য তো আর সাংবাদিকতার বারোটা বাজতে পারে না। তার পর থেকেই এই আইন অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই আইনের অধীনে ৮৭ ভাগ মামলায় কোনো সাজা দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ এটা হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের সম্পাদক বলেন, ‘এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে জেলে গিয়েছিলাম। এই সরকারের আমলে ৮ মাস বাইরে থেকেছি। মালিকদের মধ্যে সমস্যা নাই, আমাদের মধ্যেই সমস্যা। কোনো লেখা আসলে সাংবাদিকরাই বলে এই লেখাটা না দিলে কেমন হয়? আমরা যা দেখছি তা দেখছি না, যা বলছি তা বলছি না, যা শুনছি তা শুনছি না। আমরা দেখি, শুনি কিন্তু কার্যকর করি না। প্রতিদিন আমি ভয় পাই। বলতেও পারি না, লিখতেও পারি না। এই যে ভয়, এটা থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নজরদারিতে কি সাংবাদিকতা করা যায়? এটাকে কি মুক্ত সাংবাদিকতা বলা যাবে? আমরা লিখতে পারি কিন্তু যেটা লিখতে চাই সেটা পারি কিনা? ডিজিটাল অবরোধের যুগে সাংবাদিকতা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবির বলেন, ‘সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার সব সময় গণমাধ্যমকে দমন করতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নোয়াব এটার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কথা বলেছে। সংবাদপত্রের বিকাশে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তবে এখন সেটা কমে আসছে। আয় না থাকলে সংবাদপত্র বিকাশ হয় না তাই পত্রিকার আয় বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন। সরকারি বিজ্ঞাপনের ১২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাওনা আছি।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

দেশে দিনদিন মুক্ত সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী বিভিন্ন আইনের কারণে সাংবাদিকেরা যা বলতে চান তা বলতে পারছেন না, যা লিখতে চাচ্ছেন তা লিখতে পারছেন না। যার কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন তা জানতে চান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটির ১৪টি জায়গা জামিন অযোগ্য রয়েছে। সাংবাদিকতা কি এইরকম অপরাধ যে—এটা জামিন অযোগ্য হবে। ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে এটার প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলে এটা এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ হবে না তা আইনে থাকলেই আমাদের দাবিটা বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’
মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাও আমরা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার করে যাব।’
সভায় আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সেভাবে স্বীকার করি না। একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যাই। আমরা দেখেছি যে, এ পর্যন্ত যত সরকারই এসেছে তারা কেউ সেভাবে প্রেস কিংবা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য একেবারে আত্মনিয়োগ করেছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা সরকারই গণমাধ্যমগুলোকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি মনে করে। এই জায়গাটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলছি, গণতন্ত্রের সংস্কৃতির কথা বলছি কিন্তু সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি না। এই যে স্ববিরোধিতা, এই জায়গাটায় সাংস্কৃতিক যে প্রক্রিয়া সেটার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটটা চিহ্নিত করা দরকার।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে শুধু সুশীল সমাজ কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব শুধু সুশীল সমাজ নয় এখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রকৃতপক্ষে তাদের অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমার মনে হয় সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এ সমাজের নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিশ্চয়ই, অবশ্যই গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজির কারণে জনগণ বা নাগরিকের যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সেটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এটাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই আইনি সহায়তার নাম করে যখন আইন প্রণয়ন করতে দেখি, আর সেই আইন জনগণের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবং চ্যালেঞ্জটাকে চিহ্নিত করে অন্তত বর্তমান কাজগুলোর পরিকল্পনা করি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকতা আইনগতভাবে নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এটাকে আরও শক্ত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই আইনের মাধ্যমে আমাদের কথা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রোধের জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের যে ধারাগুলো বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।’
ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হতে পারে না। আইন হয় মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অথচ এই আইন রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেই আইন কেড়ে নেয় সেটা আইন হতে পারে না। এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সময় বলা হয়নি ‘ভাত দে হারামজাদা?’ —তাই বলে মেরে ফেলেছে? নেতাদের সমালোচনা করা যায় কিন্তু জানোয়ারের সমালোচনা করা যায় না। যারা সমালোচনায় বাধা দেন তাঁরা কি তাদের জানোয়ারদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন?’
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সাংবাদিকদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ১৩ বছরে ৪৫ জন সংবাদকর্মী খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১২১ থেকে ১৬২ তম হয়েছি। নিউ মার্কেটে সহিংসতায় ১৪ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। অথচ মামলা হলেও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় একটা জিডিও হয়নি।’
বিএফইউজে এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকার কেন মালিকের আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কথা বললেও চাকরি চলে যায়। নজরদারি শুধু আমাদের ওপর সরকার না, আমাদের মালিকেরাও করছে।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আইনটি পাসের সময় বলেছেন এই আইন তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্নের জন্য তো আর সাংবাদিকতার বারোটা বাজতে পারে না। তার পর থেকেই এই আইন অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই আইনের অধীনে ৮৭ ভাগ মামলায় কোনো সাজা দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ এটা হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের সম্পাদক বলেন, ‘এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে জেলে গিয়েছিলাম। এই সরকারের আমলে ৮ মাস বাইরে থেকেছি। মালিকদের মধ্যে সমস্যা নাই, আমাদের মধ্যেই সমস্যা। কোনো লেখা আসলে সাংবাদিকরাই বলে এই লেখাটা না দিলে কেমন হয়? আমরা যা দেখছি তা দেখছি না, যা বলছি তা বলছি না, যা শুনছি তা শুনছি না। আমরা দেখি, শুনি কিন্তু কার্যকর করি না। প্রতিদিন আমি ভয় পাই। বলতেও পারি না, লিখতেও পারি না। এই যে ভয়, এটা থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নজরদারিতে কি সাংবাদিকতা করা যায়? এটাকে কি মুক্ত সাংবাদিকতা বলা যাবে? আমরা লিখতে পারি কিন্তু যেটা লিখতে চাই সেটা পারি কিনা? ডিজিটাল অবরোধের যুগে সাংবাদিকতা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবির বলেন, ‘সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার সব সময় গণমাধ্যমকে দমন করতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নোয়াব এটার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কথা বলেছে। সংবাদপত্রের বিকাশে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তবে এখন সেটা কমে আসছে। আয় না থাকলে সংবাদপত্র বিকাশ হয় না তাই পত্রিকার আয় বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন। সরকারি বিজ্ঞাপনের ১২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাওনা আছি।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১২ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে